RSS

Friday, June 12, 2009

ডিও স্প্রে

ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতেই মূলত ডিও স্প্রে’র আবিষ্কার। কিন্তু টেলিভিশনে প্রচারিত জনপ্রিয় বডি স্প্রে’র বিজ্ঞাপনগুলো দেখলে অন্য ধারনা হয়। এসব বিজ্ঞাপনে ডিও স্প্রে’র প্রধান ব্যবহারই হলো বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি। আসলে কিন্তু প্রথম কারণটাই সঠিক। শরীরে ঘামের দুর্গন্ধ ঘোঁচাতেই বডি স্প্রে বা ডিও স্প্রে’র জন্ম। কিন্তু এই ডিও স্প্রেও আসলে এখন ফ্যাশনেরই একটি অংশ। নিজেকে সুগন্ধির সাজে উপস্থাপন করতে এখন সবাই কমবেশী ভালোবাসে। ফ্যাশনের এই ভিন্ন উপরকণ নিয়েই আমাদের এবারের ফ্যাশন ট্রেন্ড। বডি স্প্রে অনেকেই ব্র্যান্ডের কিনে থাকেন। এক্ষেত্রে অবশ্য স্যাটেলাইটের প্রভাবও আছে বেশ। বিজ্ঞাপন চিত্রগুলোতে প্রভাবিত হয়ে এদেশের তরুণরা এখন নামকরা ব্র্যান্ডের বডি স্প্রে ব্যবহারে ঝুঁকছে। এতে শুধু ব্র্যান্ড-ই নয়, পাশাপাশি ফ্রেগনেন্সেও পরিবর্তন এসেছে অনেকটা। ঢাকার বাজারে ছেলেদের যেসব বডি স্প্রে প্রচলিত আছে তার মধ্যে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় এক্স। এক্সের আছে বেশ কিছু মজার ফ্রেগনেন্স। এরমধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় এক্স-চকলেট ফ্লেভার। গরমের জন্য আছে এক্স সামার। এক্স এর অক্সিজেন সিরিজের কিছু স্পেশাল ফ্রেগনেন্স-ও বাজারে পাওয়া যায়। এগুলোর অধিকাংশই স্পেশাল এডিশন। এক্সএর এসব বডিস্প্রের দাম পড়বে ২৭০ থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা। ঢাকাতে পাওয়া যাচ্ছে এক্সএর ডাবল একশন বডিস্প্রে। এই বডিস্প্রেটিতে এক প্যাকে ২টি বোতল থাকে। দুই বোতল থেকে একসাথে শরীরে স্প্রে করে একটা ভিন্ন গন্ধ তৈরি করা সম্ভব, যেটা হবে একেবারেই আনকোড়া নতুন কোনো গন্ধ। এক্স এর পাশাপাশি আছে লাইনাক্স, ম্যাক্স, নিভিয়া মেনসহ আরো বেশ কিছু বডিস্প্রে। যেসব বডিস্প্রে একটু স্পোর্টি স্মেল সেগুলো অপেক্ষাকৃত টিনএজ এবং তরুণদের জন্য প্রযোজ্য। যেমন এক্স, নাইকি, আডিডাস, লাইনাক্স, ম্যাক্স, সেটম্যাক্স ইত্যাদি। আর অফিসিয়াল ক্ষেত্রগুলোতে ব্যবহার করতে পারেন নিভিয়া মেন, ফা মেন, গেটসবে কিংবা হুগো বস। এখানে মেয়েদের জন্য বাজারে বেশ কিছু বডিস্প্রে প্রচলিত আছে। মেয়েরা খুব বেশী পরিমাণে পারফিউমের প্রতি নির্ভরশীল হওয়াতে মেয়েদের বডিস্প্রে নিয়ে খুব একটা মাতামাতি নেই। ঢাকায় মেয়েদের জন্য বডিস্প্রে পাওয়া যাবে টমিগার্ল ৩২০ টাকা, এমপার্ল ২৪০ টাকা, ফা ৩২০ টাকা, নিভিয়া ওমেন ২৭০ টাকা।

0 comments:

Post a Comment