RSS

Friday, June 12, 2009

নিচের প্রশ্নগুলোর ঝটপট উত্তর দিন

০ আপনি কি একজন বিবাহিত নারী? ফ আপনি কি প্রেম করে বিয়ে করেছেন? ফ বিয়ের পর কি আপনার মনে হচ্ছে বিয়ের আগেই আপনার স্বামী আপনাকে বেশি ভালোবাসতেন? ফ বিয়ের পর আপনার প্রতি কি আপনার স্বামীর আকর্ষণ কমে গেছে বলে মনে হচ্ছে?

০ কেন এমন হচ্ছে সেই কারণ খুঁজতে কি আপনি ব্যর্থ হয়েছেন?

উপরের সবগুলো প্রশ্নের উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তবে আপনার জন্যই এই লেখা। মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। স্মৃতি হাতড়ে সম্পর্কের সোনালী অতীতে ফিরে যেতে হবে না, বরং সেই আলোকবর্তিকাই আপনার কাছে এসে ধরা দেবে।

‘বিয়ে’। দুই অক্ষরের এই শব্দের মধ্যেই আছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সম্পর্কের দৃঢ় বন্ধন। বিয়ে হতে পারে অ্যারেঞ্জড অর্থাৎ অনেক দেখেশুনে ইন্টারভিউ(!) নিয়ে তারপর দুজন অপরিচিত মানুষকে একটি সম্পর্কে জড়িয়ে দেয়া। আবার হতে পারে সেটেলড, যাকে সোজা বাংলায় ‘প্রেম করে বিয়ে’ বললে আর কোনো বিশ্লেষণের প্রয়োজন পড়ে না। বিয়ের পর সম্পর্কে মরচে ধরার যে সমস্যা তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় প্রেমের বিয়েতে। বলা বাহুল্য, অ্যারেঞ্জড ম্যারেজে প্রেম হতেই অনেক সময় নেয় তাই সমস্যার প্রশ্ন আসে অনেক পরে। তবে কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ সেই তর্ক আরেকদিন করা যাবে।

প্রেমের বিয়েতে বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে প্রেম কমে যায়, কমে যায় একে অপরের প্রতি আকর্ষণ। এমন অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। দুজনেরই দোষ থাকতে পারে এক্ষেত্রে। তবে পৃথিবীর চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী নারীরা সবসময়ই পুরুষের চেয়ে বেশি দায়িত্বশীল ও সম্পর্কের প্রতি অনুগত, সেটা স্বীকার করে নিয়েই বলতে হচ্ছে একজন নারীই পারে তার স্বামীর সাথে বিয়ের আগের চেয়ে আরো বেশি উচ্ছ্বসিত সম্পর্ক বজায় রাখতে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, নিজেকে স্বামীর কাছে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলাই এর একমাত্র পন্থা। তবে একমাত্র পন্থা বলে যে নিয়ম বা কৌশলও একটি তা নয়। ভুলেও ভাববেন না, এখানে সেজেগুজে থাকা কিংবা ভালো পোশাক পরা ইত্যাদি বিষয় বোঝানো হচ্ছে। এর চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। বলা যায় এটা সম্পর্ক ভালো রাখার একটা প্যাকেজ।

বিয়ের পর মেয়েদের মধ্যে কিছু ধারণার সৃষ্টি হয় যা নিতান্তই অবান্তর। যেমন ‘বিয়ে হয়ে গেছে, সংসার করছি, এখন অতো সাজগোজ না করলেও চলবে’, ‘এখন নিজের প্রতি খেয়াল রাখার দরকার নেই’, ‘বাড়িতেই তো থাকি’ ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেকে আবার তার স্বামীর মনোজগৎকে তাবৎ দুনিয়ার সব ছেলেদের ভাবনা মনে করেন। প্রাথমিকভাবে এসব ভাবনাই সম্পর্কের গোড়ায় কীটনাশক ঢালতে শুরু করে। বিয়ের পরও আপনি একজন মেয়ে, সাথে আপনার জীবনে যোগ হয়েছে একজন নতুন মানুষ। তাই যতেœর প্রয়োজনটা বেড়েছে বৈ কমেনি এতোটুকুও। আপনার স্বামী যখন আপনার প্রেমিক ছিল তখন তার প্রতি যে ভালোবাসা ছিল তা যদি আপনার থেকে না কমে তাহলে হলফ করে বলা চলে আপনার স্বামীর থেকেও কমবে না। ভালোবাসা থাকলেই শুধু হবে না, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হবে। এজন্য বিচ্ছিন্ন কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। মাঝেমধ্যে স্বামীকে নিয়ে শপিংয়ে যান। তার পছন্দসই পোশাক কিনুন। তাহলে তিনি বুঝবেন আপনার কাছে তার গুরুত্ব আছে। একইসাথে আপনার পছন্দের প্রতিও তার খেয়াল বাড়বে। কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে তার পছন্দের পোশাকটি পরুন। দেখুন তিনি চিনতে পারেন কি-না। না পারলে হালকা অভিমান করে, ইঙ্গিত দিয়ে মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করুন। তখন দেখবেন আপনার স্বামীর মুখে সেই রোমান্টিক হাসি বা চোখের চাহনি। নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন খানিকটা সময় রাখুন এক্সারসাইজের জন্য। কেবল বেশি দামী জিনিসের প্রতি নয় খেয়াল রাখুন তার পছন্দের প্রতি। স্বামীর পছন্দের জিনিসে উৎসাহ দিন। স্বামী বাইরে থাকলে ফিরে আসার পর হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানান। নিজেদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে সহায়তা করুন। কখনও নিজেই উদ্যোগ নিন। সবচেয়ে বড় কথা আপনি তাকে ভালোবাসেন, তার সাথেই থাকতে চান, এটি প্রতি মুহূর্তে তাকে বোঝান। দেখবেন আপনার কথাও সে ভাববে এবং শুনবে।

কিছু বিষয় খেয়াল রাখবেন। কখনই নিজস্বতা হারাবেন না। আপনার ভালো-খারাপ সবটা মিলেই আপনাকে আপনার স্বামী ভালোবাসেন। তবে স্বামীর জন্য একটা-দুটা ভালোলাগা বিসর্জন দিন না। তাতে আপনিও যেমন তার প্রতি আপনার মতামতের প্রতিদান পাবেন, আবার সম্পর্কটা মজবুত হবে। একটি ভালো সম্পর্কের জন্য দুজনেরই এতোটুকু কম্প্রোমাইজ করার মানসিকতা থাকা উচিত। তাহলেই না সম্পর্কের মাঝে চিরদিন বজায় থাকবে সেই চেনা রোশনাই।

ভুল মানুষেরই হয়। আপনার স্বামীও যেহেতু মানুষ, তাই তারও ভুল হতে পারে। হয়তো বড় কোনো ভুল করে ফেলেছেন তিনি। সেটা তাকে বলুন। তিনি যদি তার ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হন তবে তাকে শাস্তির নামে মানসিকভাবে কষ্ট দেবেন না।

0 comments:

Post a Comment