RSS

Monday, June 22, 2009

স্পার অন্য ভুবন

আস্তে-ধীরে সন্ধ্যা নামে। নিয়ন বাতির আলোয় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নগর। এয়ারপোর্ট রোড ধরে নিকুঞ্জ-২-এ পা দিলেই হাতের বাঁ দিকে ঢাকা রিজেন্সি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আসতে থাকে দেশি-বিদেশি অতিথিরা। বর্ণে-গন্ধে নতুনভাবে হাজির হয় ঢাকা রিজেন্সি। ১৩ জুলাই এ হোটেলটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে বিলাসবহুল স্পা সেবার। যেটিকে হোটেল কর্তৃপক্ষ সিয়াম স্পা নামে পরিচয় করিয়ে দেয়। স্পার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে আসা থাই রাষ্ট্রদুত চালের পল থানচিৎ বলেন, ‘সিয়াম স্পা শুধু থাইল্যান্ডে নয়, পৃথিবীর বহু দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়। আমার বিশ্বাস, এটি বাংলাদেশেও জনপ্রিয় হবে।’ এ ধরনের স্পা সেবা চালু করার জন্য তিনি হোটেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং এই স্পার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।
স্পা-ঘরের কাছাকাছি যেতেই চেনা-অচেনা গন্ধ যে কাউকে টেনে নিয়ে যাবে ভেতরে। থাইল্যান্ডের অচেনা সংগীত ভেসে বেড়ায় এ ঘর থেকে ও ঘরে। আলো-আঁধারিতে ঘেরা ঘরগুলোর কোণে কোণে প্রদীপ। দেশি-বিদেশি তরতাজা ফুলে আরও মোহনীয় হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। স্পা সেবার পাশাপাশি আছে স্যালন। থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী তেল দিয়ে তৈরি অ্যারোমা থেরাপি, জাকুযি, হাইড্রো থেরাপি, হারবাল সনা, হট কম্প্রেস অ্যান্ড মিনারেল বাথের জন্য আছে আলাদা ঘর। প্রতিটি ঘরই বৈচিত্র্যে অনন্য। কোনোটা কাঠের তৈরি, তো কোনোটা পাথরের, আবার কোনোটা সম্পুর্ণ কাচে ঘেরা। প্রায় পাঁচ হাজার স্কয়ার ফুট জায়গাজুড়ে তৈরি এ স্পা সম্পর্কে ঢাকা রিজেন্সির জেনারেল ম্যানেজার সাহিদ হামিদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের এ সিয়াম স্পার উদ্বোধন করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন আজ বাস্তবের মুখ দেখছে।’ অনুষ্ঠানে আরও উপস্িথত ছিলেন ঢাকা রিজেন্সির সভাপতি আরিফ মোতাহার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবির রেজা, সিয়াম এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সমিয়োথ চাওপাকনাম প্রমুখ। রাত বাড়তে থাকে। সব ঘরেই মানুষের ভিড়। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে ব্যস্ত পায়ে হেঁটে বেড়ায় সুদুর থাইল্যান্ড থেকে উড়ে আসা মাসুজরা।

0 comments:

Post a Comment