RSS

Monday, June 29, 2009

লেসের শাড়ি

বাঙালির নারীর পোশাক ঐতিহ্যে বরাবরই শাড়ি ছিল সবচেয়ে এগিয়ে। মসলিন, বেনারসী কিংবা কাতান, জামদানি এর সবই বাঙালির নারীর ফ্যাশন ঐতিহ্যে আদি অনুষঙ্গ। যুগে যুগে ফ্যাশন যেমন তার বেশ বদলিয়েছে তেমনি শাড়ির ফ্যাশনেও এসেছে পরিবর্তন। একসময় জর্জেটের ব্যাপক জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে উন্নত বিশ্বেও শাড়ির কদর আছে। সে ধারাবাহিকতায় শাড়ির সারিতে যুক্ত হয়েছে বারিজা, জর্জেট, শিফন ও সিল্কের মতো আধুনিক কাপড়। শাড়ির ফ্যাশনে এখন নতুন সংযোজন লেসের শাড়ি। শাড়ির এই ভিন্ন ধারা নিয়ে কড়চা’র মূল ফিচার আয়োজন লেসের শাড়ি।

অনেকটা মসলিনের আদলে তৈরি এই লেসের শাড়ি দেখতে পাতলা ফিনফিনে হয়ে থাকে। কিন্তু তাই বলে একে শিফন কিংবা সফট সিল্ক ভাবলে ভুল হবে। জামদানির বুনটের মতো করে এই লেসের শাড়িতে কৃত্রিম উপায়ে ফুটিয়ে তোলা হয় ডিজাইন। আমাদের দেশি ফ্যাশনহাউসগুলোতে এই ধরনের শাড়ি তৈরি না হলেও রমনিরা থেমে নেই এই শাড়ি কিনতে। আর তাই এসব শাড়ি এখন ঢাকার বিভিন্ন শপিং সেন্টারগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। ভারতে এই শাড়ি প্রবল ভাবে জনপ্রিয় আর তাই বাংলাদেশের ফ্যাশনেও লেগেছে তার বাতাস। তরুণ র্তুকী থেকে শুরু করে এসব শাড়ি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পৌঢ় বয়স্কাদের মাঝেও। লেসের এই ফ্যাশন এখন হাল ঢাকা থেকে শুরু করে কাপাচ্ছে পুরান ঢাকাকেও। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন ফ্যাশনে লেসের আয়োজন অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয় ছিলো। ঢাকাতে একটু একটু করে চাদনী চক ও গাউসিয়ার মতো ফ্যাশন পণ্য বিক্রি কেন্দ্রগুলোতে অনেকদিন থেকেই এই লেস জনপ্রিয়তা পাচ্ছিলো। কামিজ কিংবা শাড়ির পারে জরির জড়ানো কাজ করা লেস লাগিয়ে পড়ার প্রচলন ছিলো অনেকদিনের। ধীরে ধীরে এই লেস আর শুধু জামা কিংবা শাড়ির অংশে সীমাবদ্ধ না থেকে আজ হয়ে উঠেছে ফ্যাশনের পূর্নাঙ্গ অংশ। লেসের শাড়ি পড়ার জন্য সবচেয়ে উত্তম সময় হচ্ছে রাতের পার্টি। তবে চাইলে দিনের বেলাতেও এধরনের শাড়ি পড়তে পারেন। এমন শাড়িগুলো চেষ্টা করুন একটু হালকা রঙের পড়তে। নচেত পড়তে াপরেন কাল রঙের মতো কোনো গম্ভির অভিজাত রঙে। আর লেসের শাড়ির সঙ্গে গহনাও একটু হালকা গড়নের পড়লেই মানাবে ভাল। মুক্তা কিংবা গার্নেটের সেট, অথবা হিরে বসানো হালকা সেট পড়লে মানিয়ে যাবে যেকোনো লেসের শাড়ি। এর সাথে কোনো সুদৃশ্য ঝকঝকে পার্টিব্যাগ মানাবে দারুন। আর সাথে থাকা চাই হাই হিল জুতা। লেসের শাড়ি কিনতে ঢাকাতে যেতে পারেন মান্ত্রা ফ্যাশন হাউজে, অহং-এ, রুপাহালিতে। ঢাকার চাদনীচক মার্কেট খুজেও কিনতে পারেন এমন শাড়ি। যদি বহর মিলে যায় তাহলে নিউমার্কেট এলাকা থেকে গজ হিসেবে কাপড় কিনেও এই শাড়ি তৈরি নিতে পারেন। আর নিউমার্কেট এলাকাতে এমন অনেক দোকান আছে যেখানে এমন কাপড় কিনে নিজের পছন্দ সই জড়ি পুতির কাজ করে পেতে পারেন কম দামে দামি শাড়ির সাজ।

0 comments:

Post a Comment