RSS

Thursday, October 29, 2009

মোবাইল ফোনের যতœ

প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগের জন্য রয়েছে নানা মাধ্যম। তবে আপনাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় এ সব মাধ্যমের মধ্যে কোনটি অত্যাধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন, তাহলে আপনি চোখ বন্ধ করে বলে উঠবেন- মোবাইল। প্রয়োজনীয় এই জিনিসটি অনেকদিন ধরে কার্যকর রাখতে যতœ আত্তির কোন বিকল্প নেই। দক্ষ হাতে যতœ করলে আপনার সেটটি শুধু কার্যকরই নয়, নজর কাড়া থাকবে অনেকদিন ধরে। যে জিনিসটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে দিচ্ছে বন্ধু সুলভ সুবিধা, তার নাম মোবাইল ফোন। এদেশে প্রথম যখন মোবাইল ফোনের প্রচলন হয়, তখন শহরে গুটি কয়েক মানুষের হাতে দেখা যেত কেবল। তাও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা স্থানীয় লোকজনের হাতে। নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে হোক কিংবা ব্যয় বহুলতার জন্যই হোক, গ্রামের পর গ্রাম ঘুরেও কোন মোবাইলের সন্ধান মিলতো না। কিন্তু এখন শহরে সবার হাতে হাতে তো বটেই, এমনকি নিভৃত গ্রামেও প্রায় সবার হাতে শোভা পায় মোবাইল। তরুণ-তরুণীদের কাছে মোবাইল শুধু প্রয়োজনীয়ই নয়, বিশেষ ফ্যাশনও বটে। যে কোনো প্রয়োজনীয় জিনিসেরই সঠিক যতœ না নিলে তা অনেকদিন ধরে সচল থাকে না। বিশেষ করে কল-কব্জার জিনিস। এ দৃষ্টিকোণ থেকে মোবাইলের সঠিক যতœ নেয়া অতি জরুরী। সে যতেœর ধরণ কেমন হবে, তা হয়তো অনেকেই জানেন। তবে যারা জানেন না, কিংবা জেনেও প্রয়োগ করতে চান না, তাদের জন্য মোবাইলের যতœ আত্তির কিছু পদ্ধতি তুলে ধরা হলো-

বসার আয়োজন

প্রকৃতির বৈরি ভাব আর হিংস্র পশু-পাখিদের হাত থেকে বাঁচতেই মানুষ গুহায় বসবাস শুরু করেছিলো। আর সেই গুহায় বাস থেকে শুরু হয় ঘর তৈরির প্রয়োজনীয়তা। শুরুটা কেবলই দেয়াল আর ছাদ ঘেরা কোনো জায়গা হলেও বর্তমানে এই ঘরের সংজ্ঞাটা অনেকটাই পরিবর্তিত। মার্বেল করা মেঝে, রাফ টাইলসের দেয়াল আর নান্দনিক সব আসবাবের সমাহার ঘটে এখনকার ঘরগুলোতে। এতসব ফার্নিচারের মাঝ থেকে এসংখ্যার কড়চায় থাকছে বসার জন্য বিভিন্ন ফার্নিচার নিয়ে বিশেষ আয়োজন নিয়ে লিখেছেন এমএইচ মিশু

সুস্থ থাকতে মেডিটেশন

প্রতিদিনের জীবনে ভালো থাকার প্রয়োজনে শুধু যে দৌড়ঝাপ নয় বরং মনোজাগতিক চিন্তা চেতনার ভেতরেও উপলব্ধি ছড়িয়ে দেয়া যায় তা আজ প্রমাণিত। ফিটনেসের সেই অধ্যায় নিয়েই লিখৈছেন হাসান মাহমুদ

হয়তো পড়াশোনায় খুব চাপ যাচ্ছে আপনার। কিংবা অফিসের কাজ আর নানাবিধ টেনশন নিয়ে হয়তো প্রায়ই নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় আপনাকে। কাজেই শরীরটা দিব্যি সুঠাম হলেও মনের রোগে যেন প্রতিনিয়তই কাবু হয়ে পড়ছেন আপনি। পরোক্ষভাবে যেটি হয়তো প্রভাবিত করছে আপনার জীবনযাত্রা আর শারিরীক সক্ষমতাকেও। অথচ শরীর ও মনের জন্য প্রতিদিন সামান্য একটু সময় আলাদা করে বরাদ্দ করেই কিন্তু আপনি নিজেকে করে তুলতে পারেন কর্মচঞ্চল ও চাঙ্গা। আর শরীর ও মনের জন্য উপকারী এমনই এক বিষয় হলো মেডিটেশন।

হঠাৎ একা থাকা

‘আমার দিনগুলো ছিল গুমোট। আর রাতগুলো ছিল নীরব। নিজের খুব আপন জেনে যে স্বপ্নগুলোকে এতদিন লালন করে এসেছি সেগুলোকে হঠাৎ করেই খুব অচেনা বলে মনে হচ্ছিল। রাত জাগা ভোরে কানপেতে আমি শুধু ভাঙ্গনের শব্দই শুনেছি। হয়তো আমার, ওর কিংবা আমাদেরও ছিল অনেক অভিমান। সেই অভিমানের প্রকাশ কিংবা ঝোঁকের মাথায় নেয়া সিদ্ধান্তগুলো হয়তো সবসময় ঠিকও ছিল না। কিন্তু ঝড়ের পরের এক রাতে ওর জানিয়ে দেয়া কথাগুলো যে শেষ পর্যন্ত সম্পর্কের দেয়ালটাকে ভেঙ্গে দেবে এমনটাই কি জানা ছিল?’- ডায়েরির পাতা জুড়ে কথাগুলো লিখতে লিখতে একসময় নিজের অজান্তেই চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে শ্রাবন্তীর। আজ ৩ মাস ১৮ দিন হলো আকাশের সাথে তার বিবাহিত সম্পর্কের ইতি ঘটেছে। অথচ এই ক’দিনেও পুরোপুরি ভুলে থাকা যায়নি ফেলে আসা দিনের স্মৃতিগুলোকে। কিংবা বলা চলে পারপার্শ্বিক সময় আর পরিবেশ চাইলেও ফেলে আসা দিনগুলোকে অতীত হতে দেয়নি। হয়তো এ কারণেই আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের কোনো আড্ডায়, নিমন্ত্রণে এখন আর যেতে ইচ্ছে করে না শ্রাবন্তীর। ইচ্ছে করে না কাছের মানুষদের অপ্রিয় প্রশ্নের মুখোমুখি হতেও। তার উপর ডিভোর্সের পরের এই সময়টায় নিজের চেনা বাবা-মা আর ভাই-বোনকেও কেমন যেন অচেনা বলে মনে হতে থাকে শ্রাবন্তীর। মা এখনো মনে করেন, শ্রাবন্তী আরেকটু সহনশীল হলেই নাকি টিকিয়ে রাখা যেতো সম্পর্কটাকে। তাহলে আকাশ এর কি কোনো দোষই ছিল না! আর ঘটনা যেভাবে যাই ঘটুক না কেন হঠাৎ একা হয়ে যাবার চাপটা কেন বইতে হবে শুধু শ্রাবন্তীকেই!

খাবারের সঙ্গে দাবার

খাবার যদি মুখরোচক হয় তখন কোন প্রকার অনুষঙ্গ ছাড়াই খেয়ে ফেলা যায় টপাটপ। কিন্তু মুখরোচক খাবারের সাথে যদি আরো কিছু দাবার যুক্ত করা যায় তাহলে ভোজ আয়োজন হয়ে উঠে পূর্ণাঙ্গ। এমনই কিছু ভর্তা, আচার নিয়ে এ সপ্তাহে কড়চা রেসিপিতে থাকছে খাবারের সঙ্গে কিছু উপাদেও আর সময় উপযোগী দাবার। রেসিপিগুলো দিয়েছেন সাকসেস ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার ও রন্ধন বিশেষজ্ঞ আফরোজা জামান

নাকের যতœ

চুল, হাত, পা, ত্বক এ সব কিছুর যতেœর ব্যাপারেই আজকালকার মেয়েরা অনেক সচেতন কিন্তু সৌন্দর্যের অন্যতম অঙ্গ নাকের প্রতি আমাদের উদাসীনতা প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়। চুল, চোখ, ঠোঁট, হাত, পা’র যতেœর পাশাপাশি নাকেরও সমান যতœ প্রয়োজন। এবারের রূপচর্চার আয়োজনে তুলনামূলক অবহেলিত এ ত্বকটির যতœ-আত্তি জানিয়ে দিচ্ছি আপনাদের।

চুলের জন্য দিওয়ানা

শুষ্ক চুল

০ যতোবার প্রয়োজন শ্যাম্পু করতে থাকুন। সপ্তাহে দু’বার রাতে অলিভ অয়েল লাগিয়ে সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

০ চুলের পুষ্টির জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

০ চুল বেশি শুষ্ক ও ভঙ্গুর হলে নিয়মিত নারকেল তেল হালকা গরম করে ম্যাসেজ করুন। এতে করে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।

০ শুষ্ক চুলের জন্য ভিটামিন ই, অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।

০ তৈলাক্ত চুল শ্যাম্পু করার সময় হালকা করে ঘষুন। বেশি ঘষলে চুল তেল তেলে হয়ে যাবে।

০ ঘন ক্রিমের মতো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। প্লেইন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু দেখতে ট্রান্সপ্যারেন্ট হলে বুঝবেন এটা প্লেইন শ্যাম্পু।

০ কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে চুলের শেষ প্রান্তে লাগাতে পারেন।

স্টাইলে আধুনিক ও সনাতন শাড়ি

নারীর জীবনের যে বর্ণাঢ্য বিবর্তন, তার বেড়ে ওঠা, পরিণত বয়সে পুরুষের সঙ্গে এক নতুন জীবনের সূচনা ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে শাড়ি জড়িয়ে আছে নারীকে উৎসবে কিংবা পার্বণে আনন্দ কিংবা বেদনার এক অনুভব বার্তায়। নারী জীবনের নানা অব্যর্থ সূচনায় শাড়ি হয়ে ওঠে তার পরিপূর্ণ রূপ বিকাশের সহায়ক। একটি শাড়ি শুধু ৬ গজ কাপড়ের বুনট নয় বরং তা নারীকে দেয় তার আব্রু রক্ষার সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা। শাড়ির সুদীর্ঘকালের ইতিহাস সেই সাক্ষ্যই বহন করে। আজ তাই শাড়ি বাঙালি নারীর জন্য এক অভিন্ন অভিরুচির প্রকাশই শুধু নয় বরং বাঙালি নারীর জন্য তা পাসপোর্টস্বরূপ। যখন থেকেই শাড়ির জন্ম ইতিহাস শুরু ঠিক তখন থেকেই বাঙালি নারীর জীবনে শাড়ি মানেই নিজের অঙ্গ সৌষ্ঠবকে আড়ালে আবডালে মোহনীয় করে তোলার এক অপার মাধ্যম। চর্যাপদের পদাবলী কিংবা শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-সাহিত্যের সব আদি উপাদানেই বাঙালি নারীর জীবনে শাড়ির ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়। তাই নিয়ে লিখেছেন মোর্শেদ নাসের টিটু

Wednesday, October 28, 2009

কথা হোক মা-বাবার সঙ্গে

ফাহিম কিছুতেই বুঝতে পারছে না, ‘আর্টসেলের’ কনসার্টে যাওয়া নিয়ে মায়ের অসুবিধা কোথায়? বেশ কয়েকবার বুঝিয়ে ফাহিম অনুমতি তো পেলই না, না যেতে দেওয়ার কারণটাও ধরতে পারল না। ওদিকে বন্ধুরা সব উত্তেজনায় কাঁপছে। ফাহিম বন্ধুদের বোঝাতে পারছে না ওর না যাওয়ার কারণটি। মায়ের ওপর এত অভিমান হলো, ‘নাহ্, আর কথাই বলব না।’ সেই থেকে ২১ দিন ধরে ফাহিমের কঠিন অভিমান। কথা হতো শুধু প্রয়োজনের সময়, তাও খুবই কাট-কাট। মা ভেবেছিলেন, ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারলেন, নিজেও ছেলের সঙ্গে জেদ করছেন। এটা ঠিক হচ্ছে না।

 উপহারে থাকুক আন্তরিকতার ছোঁয়া

‘বয়োবৃদ্ধ শ্রদ্ধেয় কোনো ব্যক্তিকে উপহার দেওয়ার সময় তাঁর শখ ও পছন্দের বিষয়টি মাথায় রেখে এ ধরনের ব্যতিক্রমী উপহার দিলে তাঁর বাকি দিনগুলোতে বয়ে আনবে সুখস্মৃতি।’ বললেন আইডিয়াস ক্র্যাফটের স্বত্বাধিকারী নিপা খালেদ।
পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ কোনো সদস্যকে উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে সেটি তাঁর কী কাজে আসবে, তা ভেবে উপহার নির্বাচন করা উচিত। সে ক্ষেত্রে উপলক্ষের ওপরও নির্ভর করবে উপহারের ধরন। বাড়িতে নাতি-নাতনিরা মিলে অনেক সময় দাদা-দাদি বা নানা-নানির জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। সে ক্ষেত্রে মহিলা হলে দেওয়া যেতে পারে শৌখিন পানের কৌটো, চাবি রাখার ছোট বটুয়া, ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের হালকা ডিজাইনের ব্যাগ এবং পুরুষ হলে ঘরে পরার জুতা বা আরামদায়ক কোনো পোশাক।

ক্লান্তির ছাপ পড়বে না মুখে

কাল রাতভর জেগে অনেক কাজ করতে হয়েছে? ভালো ঘুম হয়নি? আগামীকাল অফিসে বা অন্য কোথাও কোনো জরুরি মিটিং আছে বা অনুষ্ঠান আছে, যেখানে চেহারাটা একটু সতেজ থাকা প্রয়োজন। অথচ আগের রাতে ঘুমের অভাবে চোখের কোণে পড়েছে গাঢ় কালি। চেহারাটাও দেখাচ্ছে ক্লান্ত। এ সমস্যা দূর করতে পারসোনার সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাসের সঙ্গে কথা বলে কিছু টিপস দেওয়া হলো:

 শিশুর স্কুল ব্যাগ

ঋতু সোনামণির ছোট্ট ছোট্ট পায়ের ছাপ পড়বে স্কুলের আঙিনায়। এ নিয়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নতুন স্কুলের জামা, নতুন জুতোর পাশাপাশি চাই সুন্দর একটা স্কুল ব্যাগ। বাবার হাত ধরে সে স্কুল ব্যাগ কিনতে এসেছে। এটা না, ওটা না করতে করতে পেয়ে গেল বার্বি ডলের ছবিসহ সুন্দর একটা ব্যাগ। স্কুল ব্যাগ কিনতে আসা ছোট্ট সামউনের সঙ্গে এর মধ্যে জমিয়ে ফেলেছে বন্ধুত্ব। সামউন কিনেছে মিকি মাউসের ছবিসহ ব্যাগ।
স্কুল ব্যাগ নিয়ে বাচ্চাদের যেন একটু বেশি আগ্রহ। সব শিশুই চায়, তার ব্যাগটি হবে সবচেয়ে সুন্দর, যাতে অন্য সব বন্ধুর প্রশংসা কুড়ানো যায়। শিশুরা কার্টুনের ভক্ত। তাই তাদের পছন্দের কথা চিন্তা করে বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন রকম কার্টুন চরিত্রের সুদৃশ্য ব্যাগ। ঢাকার নিউমার্কেটের ব্যাগের শোরুম ‘আবীর’-এর স্বত্বাধিকারী খন্দকার মাকসুদুল আলম জানান, বাচ্চাদের পছন্দের প্রায় সব রকম কার্টুন চরিত্রের ছবিই এখন ব্যবহার করা হচ্ছে স্কুল ব্যাগে।

গুছিয়ে রাখুন পোশাক

শহুরে জীবনে আলমারির ব্যবহার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবু প্রয়োজনীয় পোশাকটি অনেক সময় হাতের কাছে পাওয়া যায় না। সঠিকভাবে আলমারি গুছিয়ে না রাখার কারণেই এমনটি হয়। পরিপাটি আলমারি দেখতেও ভালো লাগে। সহজেই সব পাওয়া যায় এবং সময়ও বাঁচে। কোন পোশাক কীভাবে রাখবেন তা-ই এবার জানাবেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।

দাগ নিয়ে ভাবছেন?

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিজওয়ান, তিনি স্কুলে থাকতেই হাতঘড়ি পরেন। কিন্তু একসময় হাতঘড়ি পরা বন্ধ করে দিলেন। এরপর আবিষ্কার করলেন, ঘড়ি পরার জায়গা হাতের অন্যান্য অংশের চামড়া থেকে খানিকটা সাদা ও ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে ।
শুধু তা-ই নয়, সেখানে একটি দাগও বোঝা যাচ্ছে, যা একেবারেই শরীরের সঙ্গে বেমানান।
দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘড়ি, চশমা, ব্রেসলেট, টুপি প্রভৃতি পরে থাকলে সেখানে একধরনের দাগ পড়তে পারে।

 ফিতায় ফিতায় পাদুকা

ফ্যাশন আর স্টাইলের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের মেয়েরা এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে আরামের বিষয়টি। আর তাই কয়েক বছর ধরে যেমন চলছে চটি স্যান্ডেল, তেমনি দেখা যাচ্ছে ফিতার মহাসমারোহ।দুই ফিতার স্লিপার স্যান্ডেলের পাশাপশি এখন চলছে অনেক ফিতার স্যান্ডেল। কখনো কখনো হিলও থাকে সেসবে। এসব স্যান্ডেল বেশি পরিচিত গ্ল্যাডিয়েটর স্যান্ডেল হিসেবে।
ফ্যাশন ডিজাইনার মাহিন খান জানালেন, বেশি ফিতার এ স্যান্ডেল এখন জনপ্রিয় সব মেয়ের কাছেই।
দুই বা এরও বেশি ফিতার বিভিন্ন ধরনের স্যান্ডেল চলছে ফ্যাশনে। চামড়া, স্পঞ্জ, রবার, কাঠসহ বিভিন্ন ধরনের উপাদানে তৈরি এসব স্যান্ডেল বেশি পরছে কিশোরী আর তরুণীরা। তবে ফিতাটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চামড়ার দেখা যায়।

Sunday, October 25, 2009

আর নয় ভুল বোঝা

টানা চারদিন ধরে জ্বরে ভুগছে আনিকা। অথচ সবচেয়ে কাছের বন্ধুটা পর্যন্ত একদিন ফোন করে জানতে চাইলো না কেমন আছে সে? অথচ বন্ধুদের কেউ অসুস্থ হলে সবার আগে তার খোঁজ নিতে ছুটে যায় অনিকাই। কাজেই এ অবস্থায় বন্ধুদের প্রতি যদি আনিকার একটু অভিমান হয়েই যায় তাহলে তাকে কি দোষ দেয়া যায়? অথচ মুদ্রার অন্যপিঠে ঘটনাটা কিন্তু তখন একেবারেই ভিন্নতর। কাছের বন্ধু তো দূরে থাক, আনিকার বন্ধুমহলের কারোই আসলে বিন্দু-বিসর্গ জানা নেই আনিকা সম্পর্কে। কাজেই আদৌ আনিকার জ্বর হয়েছে নাকি সে কোথাও বেড়াতে গিয়েছে সেটা জানাই ছিল না বন্ধুদের। আর এ কারণেই অহেতুক এ ভুল বোঝাবুঝি।

মুড ভাল রাখতে

সকালে ঘুম ভাঙতেই রাজ্যের কাজ এসে যেনো ঝাপিয়ে পড়ে কাধে। আমাদের শহুরে জীবনটাই এমন। বাড়িতে নানান কাজের ঝক্কি সামলে যখন আপনি নামবেন রাজপথে অফিস যাত্রা করতে, তখন আপনাকে আষ্টে-পিষ্ঠে জড়িয়ে ধরবে রাস্তার বেধড়ক ট্রাফিক জ্যাম আর অস্বস্তিকর গরম। গোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে জলবায়ু যেমন চরম ভাবাপন্ন তেমনি আপনার মেজাজটাও কিন্তু একই রকম উত্তপ্ত। আর এই উত্তাপ অনেকটাই ক্রমবর্ধমান। অফিসে ঢুকেই বসের ঝাড়ি। এরপর অগোছালো কাজগুলোকে গোছাতে গোছাতেই ২-৪টা মিটিং এসে হাজির হবে। সব কাজ শেষে যখন আপনি একটু একটু করে অফিস থেকে বাড়ির দিকে যাত্রা শুরু করেছেন তখনই বস ডেকে পাঠাকে আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করার জন্য। ব্যস! আপনার মেজাজটা আর একবার খিচড়ে গেলো। এরপর ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফেরার পরে নিজেকে সংসারের সুখ দুঃখের মাঝে গা ভাসানো কঠিন হয়ে পড়ে। এম সময় অস্থির মনকে বসে আনার জন্য কিছু প্রয়োজনিয় টিপস্ থাকছে এই সংখ্যা কড়চায়। মাথা ঠান্ডা করে একটু স্মরণ করে এই টিপসগুলো মেনে চললে সহজেই আপনি জীবনটাকে আর একটু সহজ ভাবে গ্রহণ করতে পারবেন।

চোখের জন্য

চোখের সাজ শুরু করার আগে ভ্রুর দিকে নজর দিন। ভ্রুর বাড়তি চুলগুলিকে উঠিয়ে ফেলতে হবে। তারপর ছোট শক্ত ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে শেপ দিতে হবে। আইব্রো পেন্সিলের হালকা ছোট ছোট টানে ভ্রু দু’টিকে গাঢ় করে নিতে পারেন।

চোখ ধাঁধানো গ্লিটার

মেকআপের হরেক রমক সরঞ্জামে নতুন সংযোজন গ্লিটার মেকআপ। পুরো নতুন বলা যাবেন না এই গ্লিটার মেকআপকে। অনেক দিন থেকেই এই গ্লিটার মেকআপের প্রচলন ছিলো। সম্প্রতি এই মেকআপের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। চটজলদি নিজেকে ঝলমলে করে সাজাতে এই গ্লিটার মেকআপের জুড়ি নেই। ক্লাসিক আর ড্রামাটিক লুক দিতে ব্যবহার করতে পারে এই গ্লিটার মেকআপ। পার্লারগুলোতে বটেই চাইলে বাড়িতে বসেও আপনি গ্লিটার মেকআপের ব্যবহার করতে পারেন। মেকআপের এই নতুন সংযোজন নিয়েই এবারের রূপকড়চা, লিখেছেন এমএইচ মিশু

Saturday, October 24, 2009

অফিস মিটিংয়ে বডি ল্যাংগুয়েজ

কর্মজীবনে অফিসিয়াল মিটিং এক রকম প্রাত্যহিক কাজ। কিন্তু জীবনে প্রথম যেদিন অফিসের সব কর্তা ব্যক্তিদের সাথে মিটিংএ, সেদিন কিন্তু কমবেশী সবারই গলা শুকিয়ে যায়। এমন সব গুরুত্বপূর্ণ মিটিংএ কিন্তু আপনার পোশাক, ব্যবহার সর্বোপরি আপনার বডিল্যাঙ্গুয়েজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অফিসে বসদের সাথে কিংবা সহকর্মীদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এর দিন ঠিক কি পোশাক পড়া উচিৎ, কেমন হওয়া উচিৎ আপনার বডি ল্যাংগুয়েজ আর তাই নিয়ে থাকছে এসপ্তাহের কড়চা ম্যানার্স বিভাগটি।

ছটফটে শিশুর জন্য


অনিমা রায়হানের একটি মাত্র সন্তান, মাত্র ছয় বছরের ছেলে রাজিন। কিন্তু এই ছয় বছরের ছেলেকে নিয়েই যত যন্ত্রণা অনিমার। কারণ রাজিন খুবই ছটফটে। সবকিছুতেই তার দুষ্টুমি করা চাই। এক জায়গায় বেশি সময় তাকে কিছুতেই বসিয়ে রাখা যায় না। আবার কোনো কিছুতে তার খুব বেশিক্ষণ মনোযোগও থাকে না। অনিমা ও রায়হানের মতো একই ঝামেলা পোহাতে হয় আরো হাজার হাজার মা-বাবাকে। রাজিনের মতো এরকম হাজার হাজার শিশুর জন্য প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মা-বাবা দিন কাটাচ্ছে অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে। রাজিনের যে সমস্যা বৈজ্ঞানিক ভাষায় একে বলে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভ ডিজঅর্ডার।

আসুন জেনে নিই অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভ ডিজঅর্ডার সম্বন্ধে-

ফ্যাশনের রঙ যখন লাল


অস্তিত্ববাদী রঙ হিসেবে লালের অভিযাত্রা। জীবনের শুরুতে যেমন লালের অস্তিত্ব তেমনি রঙের ভাবনাতেও লাল যেন এক আদি বাকগাঁথা। উজ্জ্বলতা প্রকাশে লাল আদি ও অকৃত্রিম। উৎসব মানেই লালের অস্তিত্ব। লড়াইতে যেমন লাল তেমনি লাল হাজির থাকে নিজেকে অনন্য আর অন্যের কাছে দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেবার সহায় শক্তিতে। লালের এই দুনিয়া জোড়া আবেদন ফ্যাশন স্টেটমেন্টে আরো বেশি প্রাধান্যবাদী হয়। তাই নিয়ে আমাদের বিশেষ ফিচার।

গুডমর্নিং ব্রেকফাস্ট


দিনের শুরুরা যখন ডাইনিং-এ তখন কিছুটা মুখরোচক আর কিছুটা স্বাস্থ্যসম্মত খাবারই সাজানো উচিত প্রাতরাশের ডাইনিং। সকালবেলা অনেকেরই মুখে অরুচি থাকে। আর তাই সকাল বেলার নাস্তা প্রিপারেশনটা হওয়া চাই জম্পেশ। তবেই পুরো দিনটা কাটবে ঝকঝকে। এমনই কিছু মুখরোচক প্রাতরাশের খোঁজ নিয়ে থাকছে এবারের কড়চা রেসিপি।

গরুর মাংসের সুরুয়া

উপকরণ : মাংস ১ কেজি, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, ধনে বাটা ১ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদের গুড়া ১ চা চামচ, মরিচগুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, টমেটোর সস ২ টেবিল চামচ, টকদই হাফ কাপ, তেল হাফ কাপ, পেঁয়াজ রেরেস্তা সিকি কাপ, তেজপাতা ২টা, এলাচ ২ টা, দারুচিনি ৪ টুকরো, গরম মসলারগুঁড়ো ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন : মাংস টুকরা করে ধুয়ে সরবাটা মসলা ও গুঁড়া মসলা ভাল করে মিশিয়ে এবং মাখিয়ে ১ ঘন্টা রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, গরম মসলার গুঁড়ো, টমেটো সস, পেঁয়াজ রেরেস্তা যেন একসঙ্গে না দিয়ে ফেলি। এক ঘন্টা রাখার পর চুলায় মাংস চাপিয়ে কষাতে হবে। তেল উপরে এলে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে রান্না করতে হবে। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে এবং সুরুয়া ঘন হয়ে এলে টমেটো সস, গরম মসলার গুঁড়ো ওপরে ছড়িয়ে পেঁয়াজ বেরেস্তা ছিটিয়ে একটু রেখে নামাতে হবে। পরোটা, নান, রুমালী রুটির সাথে পরিবেশন করুন।

অসুখ থেকে বাঁচতে

আজ বিকেলে রুমানার গায়ে হলুদ। রুমানা হলো ফারাহর বান্ধবী অনন্যার ছোট বোন। বান্ধবীর বোনের বিয়ে উপলক্ষে ফারাহর বান্ধবীদের মাঝে বেশ একটু সাজ সাজ রব পড়ে গেল। মার্কেটে বেড়ে গেল ঘোরাঘুরি, টেলিফোনে ঘন ঘন আলাপন, ‘এ্যাই শামীমা আসছে তো ? মহুয়াকেও বলেছিঃ।’ সংসার, চাকরি নানান সূত্রে বন্ধুদের ব্যস্ততায় ক্ষীণ হয়ে আসা যোগাযোগটা ঝালাই করে নেওয়া যাবে এই উপলক্ষে, উৎসাহের তাই কমতি নেই। ফারাহও বেশ পছন্দ করে একটা শাড়ি কিনেছে আজকে পরার জন্য। খোপায় পরার ফুলও আনিয়ে রেখেছে দুপুরের মধ্যে। কিন্তু হঠাৎই সকল উৎসাহে যেন ভাটা পড়ে গেল যখন ছোট ছেলে রাব্বী ছটফট করতে লাগল পেটের ব্যথায়। ক’দিন ধরেই ছেলেটার শরীরটা শুকিয়ে যাচ্ছে, খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণ অবশ্য হ্রাস পায়নি। কৃমির আক্রমণ নয় তো ? ওদিকে বড় ছেলে রাকিব কোচিং থেকে ফিরল ‘হ্যাচ্চো হ্যাঁচ্চো’ হাচি দিতে দিতে। উদ্বিগ্ন আশঙ্কায় ফারাহ্ ভাবতে লাগল, এবার রাজিব (ফারাহর স্বামী) অফিস থেকে ফিরে ওষুধের বাক্সে মাথা ব্যথার ঔষুধের খোঁজে বসলেই ষোলকলা পূর্ণ হয়। এই পাল্টে যাওয়া সময়ে প্রতিদিনই ধুলোবালি, দুষিত পানি-বাতাস, ভেজালের ভিড় ঠেলে পরিবারের সদস্যদের সু স্বাস্থ্য রক্ষা করতে ফারাহ্র মতো কম-বেশি সব গৃহকত্রীই যেন হিমসিম খেয়ে যাচ্ছেন। ডাক্তার-বৈদ্যবাড়ি ছোটাছুটি, দুর্ভাবনা আর খরচপাতির যোগান দিতে গিয়ে ক্রমশই সমস্যা সঙ্কুল হয়ে উঠছে জীবনযাত্রা। অসুখ হলে ডাক্তারের বিকল্প তো কিছু নেই। কিন্তু একটু লক্ষ্য করে দেখুন তো, রোগ জীবাণুর উৎসগুলো আপনার সাথেই সহাবস্থান করছে নাতো আপনারই ভুলে, অজ্ঞানতায়। সেক্ষেত্রে সামান্য সচেতনতাই কিন্তু আপনার পরিবারকে সুরক্ষা দিতে পারে ছোট-বড় অনেক অসুখ থেকে। কেননা প্রতিরোধই কি সর্বোত্তম ব্যবস্থা নয় ? তাই, এই আয়োজন থেকে জেনে নিন পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে করণীয় কর্তব্যগুলো।

Tuesday, October 20, 2009

চায়ের সঙ্গে টা

চা, একেক দেশে জনপ্রিয় একেক রীতিতে। কিন্তু পান করার উদ্দেশ্য একটিই—মুহূর্তে সতেজ হয়ে যাওয়া। চায়ের পরিপূর্ণ স্বাদ পাওয়া যায় এর পরিবেশনের সঙ্গে। সারা দিনের পর ক্লান্তি দূর করতে চা-ই আমাদের সঙ্গী হয়। মনোরম বিকেলে বা সন্ধ্যায় সেই চা পরিবেশনের কথাই তুলে ধরা হলো এখানে।
শত হোক মনের সঙ্গে চোখের শান্তিরও একটা যোগাযোগ আছে বৈকি। চায়ের উপকারিতা কম-বেশি সবারই জানা। দুধ দিয়ে, দুধ ছাড়া-চা তো আমরা খাই-ই। এ ছাড়া মসলা চা, দুধের ভেতর পাতি দিয়ে বানানো চা, আদা চা তো আছেই। আছে লেবু চা-ও। প্রিয় পানীয়ের স্বাদ আনতে ব্যবহার করা হয় অনেক রকমের উপকরণ। বানানো হয় মনমতো করে। বানাতে যখন এত আয়োজন, তখন পরিবেশনও হওয়া উচিত রঙে-ঢঙে মিলিয়ে।

কাটিয়ে উঠুন হতাশা

প্রতিযোগিতার দৌড়ে মানুষ হয়ে যাচ্ছে যন্ত্র। যান্ত্রিক জীবনে আনন্দ-বিনোদনের স্থান দখল করে নিয়েছে কাজের ব্যস্ততা। ব্যস্ততা আর কাজের চাপে কেউ হচ্ছেন জয়ী, আর কেউ যাচ্ছে হেরে। পরাজিত অনেকেই ডুবে যাচ্ছেন হতাশার সাগরে। শুধু কাজের ব্যস্ততা নয়, অনেকে একাকিত্বের ভাবনায় হচ্ছেন হতাশ। শত কাজের ব্যস্ততায় নিজেকে ভাবছেন একা, জড় পদার্থ। আবার অনেকে অকারণেই নিজেকে ছোট ভেবে কষ্ট পাচ্ছে। এর কোনোটিই ঠিক নয়। হতাশার পরিণতি সর্বদাই নেতিবাচক। ঝেড়ে ফেলুন হতাশা, অবসাদ।
যে ব্যক্তি যত বেশি হতাশ হবে, সে জীবন থেকে তত বেশি পিছিয়ে যাবে। হতাশা শুধু কষ্টই ডেকে আনে, কোনো সাফল্য নয়। মানুষের মস্তিষ্ক তার চিন্তা-চেতনা আর আবেগের স্থান। মস্তিষ্কই নিয়ন্ত্রণ করে যাবতীয় মানসিক বিষয়। মস্তিষ্কে রয়েছে অসংখ্য শিরা-উপশিরা আর স্নায়ু। মন খারাপ বা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় স্নায়ুগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। একটি স্নায়ু অপর স্নায়ুকেও প্রভাবিত করে। ফলে অপর স্নায়ুগুলো দুর্বল হয়ে যায়। এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে অন্য অঙ্গগুলোর ওপর। ফলে দেহ তার স্বাভাবিক কাজকর্মের গতি হারিয়ে ফেলে। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ত্বক ও চুলের ওপর। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলে ত্বক অকালেই বৃদ্ধ মানুষের মতো দেখায়। দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো দুর্বল হওয়ার জন্য চুলও ঝরতে শুরু করে। হারিয়ে যায় চুলের ঔজ্জ্বল্য। ত্বকে সৃষ্টি হয় অজস্র ভাঁজ এবং বলিরেখা।

দুপুরে খাই পাস্তা-নুডলস

দুপুরে ভাত খেতে আজকাল অনেকেই পছন্দ করেন না। নুডলস, পাস্তার মতো খাবার তাই হতে পারে ভাতের বিকল্প। আর বাচ্চাদেরও দারুণ প্রিয় এসব খাবার। দেখুন শাহানা পারভীনের রান্নাগুলো।

কেশবতী কন্যা

চুলের ফ্যাশন বদলে যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। আর তাই কখনো দেখা যায়, মেয়েদের চুল কাঁধ পর্যন্ত, কখনো পিঠ ছাপিয়ে নেমে গেছে কোমর পর্যন্ত; আবার কখনো একদম বব কাট। তবে সবকিছু ছাপিয়ে চুলের ফ্যাশনে বরাবরই রাজত্ব লম্বা চুলের। পিঠ ছাপানো দীঘল চুলেই যেন খুঁজে পাওয়া যায় সৌন্দর্যের দিশা। এখন লম্বা চুলের চলটা বেশ দেখা যাচ্ছে।তবে লম্বা চুলের জন্য চাই সঠিক যত্ন-আত্তি।

তোয়ালের যত্নআত্তি

প্রতিদিনের গোসল কিংবা ধোয়ামোছায় একটি জিনিসের প্রয়োজন পড়ে, যা ছাড়া আধুনিক জীবন যাপন সম্ভব নয়। তা হলো তোয়ালে। কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার, যত্নআত্তি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় এই জিনিসের ব্যবহার ও যত্নআত্তি নিয়ে কিছু টিপস রইল। দিয়েছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।

Saturday, October 17, 2009

পোশাকের নানা প্রথা

প্রতিদিন আমরা নানা কারণে ফ্যাশনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হই। আধুনিক জীবনধারায় নিজেকে ফ্যাশন সচেতন করে তুলতে পারা সমসাময়িকদের সঙ্গে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এক ভিন্ন ধরনের চেষ্টা। শুধু তাই নয় আধুনিক লাইফস্টাইলে নিজস্বতা খুঁজে পেতেও কিছু পোশাকি প্রথা সম্পর্কে জেনে নিতে হয়। একথা সবাই জানে যে সব পোশাক সবার জন্য নয়। পোশাকেরও কিন্তু চরিত্র থাকে। আর পোশাকের সেই চরিত্রেই নির্ণীত হয় পোশাকের অধিকারীর জীবনযাত্রা। তাই নিজের পোশাকখানি কেমন হবে এই ভাবনায় আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত প্রতিদিন নিজেকে সজ্জা করার আগে খানিকটা ভেবে নেয়া। এক্ষেত্রে কয়েকটি প্রাথমিক বিষয়

জাদুর লাঠির ছোঁয়া

আমাদের এবারের রূপচর্চার বিষয় কারেকটিভ মেকআপ এবং ত্বকের রঙ অনুযায়ী মেকআপ। কারেকটিভ মেকআপ-এর সাহায্যে মুখের যেকোনো ত্রুটি ঢাকা যায় এক ধরনের ইলিউশন তৈরি করে। ব্যাপারটা অনেকটা মুখের উপর। একটা জীবন্ত ক্যানভাসের ওপর ছবি আঁকার মতো। কারেকটিভ মেকআপ-এর সাহায্যে ধাপে ধাপে মুখের খুঁত ঢেকে ফেলা যায়।

বিস্তারের গল্পগাথা

সিঁড়ি দিয়ে উঠতেই নজরে পড়বে বিশাল ভাসে সাজিয়ে রাখা আর্ট ফ্লাওয়ার। এরপর ঘিয়ে রাঙা মেঝের আর কাঁচের বিশাল দরজা পেরুলেই বিস্তীর্ণ ‘বিস্তার’। দরজা ঠেলে ভেতরে যাওয়া পর্যন্তই হয়তো ক্রেতা নিজের পছন্দের লিস্টটা বহাল রাখতে পারবেন। এরপর আর কোনো লিস্টই আপনার কেনাকাটা দমিয়ে রাখতে পারবে না। থরে থরে সাজানো বিস্তারের বিষ্ময় আপনাকে ঘিরে ধরবে। সবকিছুতেই আপনি পাবেন ভিন্নতার ছোঁয়া

রট আয়রনের ফার্নিচার

ফার্নিচার ইন্টেরিয়রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঘরের মাপ, রঙ আর উপকরনের উপরে নির্ভর করে সাজানো একঝাঁক ঝকঝকে ফার্র্র্নিচার আপনার ঘরকে করে তুলবে অপরের কাছে ঈর্ষনীয়। আর তাই ইন্টেরিয়রে বরাবরই ফার্নিচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ফার্নিচারের এই স্টাইল পরিবর্তিত হয় অনেকটা হালের ফ্যাশন কালচারের মতোই। সময়ের সাথে সাথে ফার্নিচারের স্টাইলেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। এখানে বলে রাখা ভাল, আমাদের দেশে ফার্নিচারের এই বিবর্তনটা খুব বেশি দিনের নয়। কিন্তু এরই মধ্যে অভিজাত শ্রেণী হতে মধ্যবিত্ত সব জায়গাতেই ফার্নিচারের স্টাইলিশ টাচ আনতে মোটামুটি সবাই ব্যাকুল। এ পক্ষের ইন্টেরিয়রে থাকছে এমনই এক আধুনিক সময়ের ফার্নিচার রট আয়রন প্রসঙ্গে কথা।

পুর ভরা

ঝটপট তৈরি করতে যেসব রেসিপি জনপ্রিয় তার মধ্যে পুর ভরা রেসিপিগুলো জনপ্রিয়। এ ধরনের রেসিপিগুলোতে সুবিধা হচ্ছে পুর তৈরিতে কিছুটা সময় ব্যয় করলেই রান্না মুখরোচক হয়ে উঠে। আর ওভেন রান্নার ক্ষেত্রেও পুর ভরা রেসিপি সহজেই তৈরি করা যায়। এমনই কিছু পুর ভরা রেসিপি দিয়েছেন সাকসেস ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার আফরোজা জামান আর ছবিগুলো তুলেছেন এমএইচ মিশু

কাঁচের ভিতর মাছের যতœ

ঘরের এক কোণে রাখা কাঁচের এ্যাকুরিয়ামে হরেক রকম মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে, এ যেন এক মৎস রাজ্য, যে রাজ্যে চোখ রাখলেই আপনি পেতে পারেন প্রকৃতির এক অনন্য ছোঁয়া। তাই সৌখিন মানুষ মাত্রই এমন একটি মৎস রাজ্যের অধিকারী হতে চাইবেন। তবে প্রকৃতির এ সৌন্দর্যকে কেবল ড্রইংরুমে সাজিয়ে রাখার মধ্যেই আপনার দায়িত্ব কিন্তু শেষ নয় বরং এ সৌন্দর্যকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিতে হবে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। তাই এবারের গৃহস্থালির আয়োজনে আপনাদের জানিয়ে দিচ্ছি একুরিয়ামের মাছের যতœ সম্পর্কে।

ড্রয়ারের সাজ

প্রতিদিনের ব্যস্ততায় কখন কোথায় কোন জিনিসটি রাখা হয়েছে তা অনেক সময়ই আধুনিক আমাদের ভুলো মন সময় মতো মনে রাখতে ভুলে যায়। সম্ভবত এই একটি কারণেই পশ্চিমা বিশ্বে অফিস কিংবা বাসায় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ড্রয়ার ম্যানেজমেন্ট কনসেপ্ট। ব্যস্ততার চারদেয়ালে বন্দি হয়ে আমাদের বর্তমান জীবনেও এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানা দরকার। কিভাবে বিন্যাস আর সমন্বয়ের মাধ্যমে মনের জানালা খুলে দেয়া যায় দরকারি জিনিসপত্রের জন্য তাই নিয়ে খানিকটা উপদেশের ঢঙ্গে আমাদের এই বিশেষ আয়োজন

মাত্র ১৫ মিনিট

যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততায় অনেকেই শরীরের দিকে খেয়াল রাখার সুযোগ পাননা। কিন্তু একথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে সুস্বাস্থ্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাব ফেলে। একদিনে ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৪৪০ মিনিট। এই সময় থেকে প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট সময় বের করা বোধকরি খুব কষ্টকর বিষয় নয়। তাই জেনে নিন ১৫ মিনিটের ওয়ার্ক আউট প্ল্যান।

মেকআপের বাড়তি যতœ

কাঠফাটা রোদে সারাদিন ঘোরাফেরার পর আয়নায় নিজের চেহারা দেখে বোঝারই উপায় নেই সেই আমি আর এই আমি। গরমের তপ্তরোদে প্রতিদিনই পুড়ছে আপনার ত্বক। একেবারে নাভিশ্বাস অবস্থা। মেকআপ করার সময় অবশ্যই দামি ব্র্যান্ডের মেকআপ ব্যবহার করবেন এবং খুব বেশি পুরনো মেকআপ ব্যবহার করবেন না। কেননা এই সময় আপনার মুখে ব্রণের প্রকোপ একটু বেশি থাকে গরম আবহাওয়ার বের হওয়ার জন্য। আর ব্রণের আরেক শত্রু হচ্ছে মেকআপ। অনেক সময় এর থেকে ইনফেকশনও হয়ে যেতে পারে। তাই গরমে মেকআপ ব্যবহার করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেকআপ তুলে মুখ পরিস্কার করে ফেলবেন, মেকআপ তোলার সময় ভাল কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। আর যদি ঘরেই ময়েশ্চারাইজারের কাজ সারতে চান তাহলে মুখ ধোয়ার পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিবেন। পহেলা বৈশাখের ধকল থেকে ত্বককে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ১ সপ্তাহ পরে একবার পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করিয়ে নিবেন এই ক্ষেত্রে ফ্রুট ফেসিয়ালটাই বেশি উপকারী। ফেসিয়াল করার পাশাপাশি এই সময় ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে মুখে ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন। এতে আপনার মুখের কালচে ভাব দুর হবে। আপনি ঘরে বসেও ফেস প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। কাঁচা হলুদ, কমলা লেবুর খোসা, মসুরের ডাল এক সাথে বেটে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। রাতে মেকআপ তুলে ফেলার পর আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন ক্লিনজিং ক্রিম লাগাতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের জন্য নিভিয়া মিল্ক ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকে ঘুমাতে যাওার আগে নাইট ক্রিম খুবই উপকারী। এই ক্রিম আপনি ইচ্ছে করলে ঘরে বসেও তৈরি করে নিতে পারেন।

ঠোঁট রাঙাতে

াল রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করার সময় সবার আগে খেয়াল রাখতে হয় নিজ নিজ ত্বকের বর্ণের দিকে। পাশাপাশি ত্বকের বর্ণের পরিবর্তনের সাথে সাথে লাল রঙের ভিন্নতার দিকে খেয়াল রাখবেন। এছাড়া আপনি কি ধরনের এবং কোন রঙ এর পোশাক পড়বেন সেদিকে দৃষ্টি দিবেন। মনে রাখবেন দিনের কোন সময় আপনি আপনার ঠোঁটে লাল লিপস্টিক ব্যবহার করছেন সে বিষয়টিও আপনার জানতে হবে। যাদের ত্বকের রঙ গোলাপি ফর্সা তারা হালকা গোলাপি আভা মিশ্রিত লাল লিপস্টিক লাগাবেন, গোলাপি বা পিংক ছাড়াও ব্লু লাগাতে পারেন। দেখতে ভালো লাগবে। যাদের ত্বকের রঙ শ্যামলা তারা যদি ঠোঁটে লাল লিপস্টিক ব্যবহার করতে চান তবে লালের সাথে মেরুন, ব্রাউন, বার্গেন্ডি অথবা ওরেঞ্জ মিক্সড করে লাগাতে পারেন।

অনেকের ত্বকের রঙ শ্যামলার ভেতর হালকা গোলাপি আভা মিশ্রিত থাকে, তারা চেষ্টা করবেন ঠোঁটের লিপস্টিকে গাঢ় লাল এর সাথে ব্লুইশ কিংবা পিংকি আভা রাখতে। এতে দেখতে ভাল লাগবে। যাদের ত্বকের রঙ ফর্সা কিন্তু হালকা হলুদাভাব রয়েছে তারা ওয়ার্ম রেড-এর সাথে ওরেঞ্জ অথবা ব্রাউন কালার মিক্সড করে লাল লিপস্টিক লাগাতে পারেন, দেখতে ভাল লাগবে।

যদি আপনার ত্বক ইয়েলো বেইজড ডার্ক হয় তাহলে ঠোঁটে গাঢ় লাল এর সাথে ওরেঞ্জ কালার ব্যবহার করলে ভাল লাগবে। পাশাপাশি এ ধরনের ত্বকে ব্লু বেইজ লালটা ব্যবহার না করলেও ভাল হয়।

আমাদের দেশের আবহাওয়ায় যে ধরনের ত্বক দেখা যায় তার সাথে অন্য কোনো রঙ না থাকলে সাধারণত ঠোঁটে ব্রাউন বেইজড রেডটা সহজেই ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া ঠোঁটে ব্রাউন বেইজড লাল রঙটা যে-কোনো স্কিনের সাথেই স্মাট করে। তাই আপনার ত্বক যে রকমই হোক না কেন ব্রাউন বেইজ ড লাল রঙটা আপনি আপনার ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন সহজেই।

লিপস্টিক ঠোঁটে বেশি সময় রাখতে হলে প্রথমে ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে একটা টিস্যু দিয়ে চেপে লিপস্টিকটা ড্রাই করে নিতে হবে। তারপর ব্রাসের মধ্যে একটু পাউডার নিয়ে ঠোঁটের উপর হালকা করে লাগিয়ে নিয়ে আবার এক কোট লিপস্টিক লাগিয়ে নিতে হবে। আবার একবার টিস্যু দিয়ে লিপস্টিকটা চেপে নিয়ে আর এক কোট লিপস্টিক লাগিয়ে নিতে হবে।

সারা হাতের


পরিচর্যাশরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্মুক্ত অংশ যা সরাসরি রৌদ্রের মুখে পড়ে তা হলো হাত। সাধারণত রোদে পোড়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য আমরা মুখের যতœ করি কিন্তু হাতের তেমন যতœ করিনা ফলে সান বার্ন ও সান বার্ন জনিত ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন হয় হাত। এতে করে সামার বয়েল, র‌্যাশ, এমনকি হাতে ঘামাচিরও প্রকোপ দেখা দেয়। তাই রোদে পোড়া থেকে আপনার হাতকে মুক্ত রাখতে চাইলে প্রতিদিন বাইরে বেড় বার আগে সম্পূর্ণ হাতে সানস্ক্রিন মেখে নিন। এক্ষেত্রে যে কোনো ভাল ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন বেছে নিতে পারেন। কেবল সানস্ক্রিন মাখলেই হবে না। সপ্তাহে একদিন সম্পূর্ণ হাতে শশার রস অথবা পাকা পেঁপের রস লাগিয়ে শুকাতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

নতুন পণ্য ডায়াবিনো

ডায়াবেটিস এখন পৃথিবীতে চতুর্থ মরণ ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৮% লোক এই ভয়ঙ্কর রোগ বয়ে বেড়াচ্ছে এবং এর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এই রোগের চিকিৎসায় প্রচলিত ঔষধগুলোর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই ডায়াবেটিসের জন্য একটি নিরাপদ ও কার্যকরী ঔষুধ প্রয়োজন। ‘ডায়াবিনো’ হারবাল চা এই প্রয়োজন সফলভাবে মিটাবে। এটি ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ’ এর সফল আবিষ্কার। বিজ্ঞানীগণ দীর্ঘদিনের গবেষণার পর উক্ত চা আবিষ্কার করেছেন। এই চা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, বাড়তি মেদ কমায়, তারুণ্য দীর্ঘায়িত করে। এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, ইনসুলিন এর নির্ভরতা কমায়, সাধারণ চা এর মত পান করা যায়, অন্য কোনো ঔষধের সাথে এর কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই। যোগাযোগ : সাইন্সল্যাব শো-রুম ঢাকা, ডাঃ প্রিন্স : ০১৭১২২৬৬০৯০, ঢাকা হেড অফিস : ৮৮-০২-৮৮১৭৯৫০, এছাড়াও উত্তরা, ধানমন্ডি ও কাকরাইল, নন্দন মেগাশপ ও মিরপুর প্রিন্স বাজারে। চট্টগ্রাম : ০১৮১৯৫৩৫৫০২, নোয়াখালী : ০১৭১৩৬৩৯৬৮৬, রংপুর : ১৭৩৩০১৬৬৯৯, দিনাজপুর : ০১৭১২২৩৮২২২, ঝিনাইদহ : ০১৮২০৫১৯২৯৪।

স্মার্টনেসের ব্যাকরণ


স্মার্ট। খুব পরিচিত একটি ইংরেজি শব্দ। অভিধানে স্মার্টের দুই রকম অর্থ রয়েছে। এক উজ্জ্বল, নবীন-দর্শন, কেতাদুরস্ত ইত্যাদি। দুই. তীব্র ব্যথা অনুভব করা বা তীব্র ব্যথা দেওয়া। সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অর্থ। অথচ বানান একই। যাক, শব্দের অর্থ নিয়ে নিরর্থক প্যাঁচালে না গিয়ে বরং অর্থপূর্ণ বিষয়ে চলে আসি। মূল বিষয় ‘স্মার্টনেস’। বলা হয় বর্তমানে সকল সাফল্যের চাবিকাঠি এই স্মার্টনেস। সবাই বলেন বি স্মার্ট। কিন্তু এর সংজ্ঞা তো কেউ বলেন না। কারও কারও স্মার্টনেসে সত্যিই মুগ্ধ হতে হয়। আবার কারও স্মার্টনেসে সত্যিই, তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। কিন্তু আসলে স্মার্টনেস কী ? স্মার্টনেসের ব্যবচ্ছেদ করেছেন মোর্শেদ নাসের টিটু

Tuesday, October 13, 2009

মনে রাখুন সহজে

চাকরির পাশাপাশি সংসারও সামলাতে হয় নাজিয়াকে। এতসবের পরও মাঝেমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই মনে থাকে না। এই তো গত মাসের কথা। বড় বোনের জন্মদিন ছিল। ওই দিন শুভেচ্ছা জানাতেই ভুলে গেলেন। পরদিন মনে পড়লে নিজের ওপর খুব বিরক্ত লাগল, আফসোস হতে থাকল। এমন ঘটনা আমাদের জীবনেও ঘটে। ‘নাগরিক জীবনে সবকিছু মনে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ ছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ব্যস্ততায় আমাদের স্মৃতিশক্তি খানিকটা কমে যায়। তবে কিছু পন্থা অবলম্বন করলে সহজেই মনে রাখা সম্ভব। নিজের পাশাপাশি পরিবারের সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’ কথাগুলো বললেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।
তিনি মনে রাখার বিভিন্ন উপায় জানিয়েছেন।

 ঝকঝকে ত্বক ঝরঝরে চুল


সময়মতো কাশফুল ফুটেছে ঠিকই কিন্তু শরতের আকাশে যেমন থাকার কথা, তেমন সাদা তুলোর মতো মেঘের দেখা নেই। সারা দিন থেমে থেমে ঝরছে বৃষ্টি। ফাঁকে ফাঁকে আবার রোদের দেখাও মিলছে। সব মিলিয়ে না গরম, না ঠান্ডা। এমন সময়ে ত্বক ও চুলের যত্ন কেমন হবে, তা ভাবছেন অনেকেই। এ নিয়েই নানা পরামর্শ দিয়েছেন হারবাল সলিউশনসের স্বত্বাধিকারী সুলতানা পারভীন হক।
‘বাতাসে এখন আর্দ্রতা খুব বেশি। এর প্রভাবেই হতে পারে ত্বক ও চুলের নানা সমস্যা। চুল ঘেমে গিয়ে খুশকি হতে পারে। আবার খুশকি থেকে ত্বকে হতে পারে ব্রণ। একটু সতর্কতার সঙ্গে তাই নিয়মিত যত্ন নিতে হবে এ সময়।’ বললেন সুলতানা পারভীন হক।

 স্বাস্থ্য সম্মত রান্নাঘর

গৃহিণীদের দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে রান্নাঘরে। বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ স্থানটি হওয়া উচিত স্বাস্থ্যসম্মত। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমেই তা সম্ভব। ছিমছাম পরিপাটি রান্নাঘর দেখতে সবারই ভালো লাগে। কাজ করাও আরামদায়ক হয়। কিন্তু সামান্য অসচেতনতাই এই পরিবেশ পাল্টে দেয়। কাজ করা দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়। বদ্ধ ও অপরিষ্কার ঘরেই ভাপসা দুর্গন্ধ তৈরি হয়। নিয়মিত পরিষ্কার না করলেই এমন অবস্থা হয়। এ জন্য খোলামেলা পরিসরে রান্নাঘর হওয়া উচিত। প্রতিটি জিনিস রাখা উচিত নির্দিষ্ট জায়গায়। গোছানো ঘরে ভ্যাপসা গন্ধ হয় না। হলেও সহজেই তা দূর করা যায়। এমনটিই মনে করেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।
রান্নাঘরের ভ্যাপসা গন্ধ দূর করার কিছু টিপস দিয়েছেন তিনি।
রান্নাঘরের প্রতিটি জিনিস ধুয়েমুছে রাখতে হবে।
নির্দিষ্ট স্থানে মাছ-মাংস বা সবজি কাটতে হবে। কাটা হয়ে শেষ হলে সেই স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
রান্নাঘরের ঢাকনাযুক্ত তাকগুলো মাঝে মধ্যে খুলে দিতে হবে, যাতে গন্ধ না হয়।
সাবানের ছোট টুকরা ফেলে না দিয়ে শুকিয়ে রাখুন। তারপর পাতলা কাপড়ে ঢেকে ঘরের এক কোনায় রেখে দিন। এতেও গন্ধ দূর হয়।
মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখলেও রান্নাঘরের গন্ধ দূর হয়।
এখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ময়লা রাখুন।
কখনোই ময়লা জমিয়ে রাখবেন না। যেদিনের ময়লা সেদিনই ফেলে দিন।
এ ছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের এয়ার ফ্রেশনার পাওয়া যায়। সামর্থ্য থাকলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

দেশি খাবারের নতুন রেস্তোরাঁ

ধবধবে সাদা টাইলসে মোড়ানো পুরো মেঝে। দুই দিকে সারি সারি কাচে মোড়ানো টেবিল। রেস্তোরাঁ জুড়েই বাহারি গাছ আর লতার ছড়াছড়ি। ছাদের হালকা নীল আলোর আভা চারদিকে ছড়িয়ে আছে। ঠিক যেন আকাশের মতো। এটাই ঢাকার গুলশানে নতুন চালু হওয়া বাংলা স্পাইস রেস্তোরাঁ। ৭ অক্টোবর এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। স্বত্বাধিকারীদের একজন নাহিদ হোসেন জানান, ‘আমাদের দেশে বুফে হিসেবে চীনা, থাই—এসব খাবারেরই ছড়াছড়ি। বুফেতে বাংলা খাবার খাওয়ার তেমন সুযোগ নেই। এটা ভেবেই আমাদের এই উদ্যোগ।’
বাংলা স্পাইসে খাবার পরিবেশন হবে বুফে পদ্ধতিতে। টেবিলে সাজানো থাকবে নানা পদের খাবার। যেমন, শুরুতেই আছে সিরাজগঞ্জের খাঁটি ঘি। এর পরই আছে ভর্তা—আলুভর্তা, ডালভর্তা, কলাভর্তা, শিমভর্তা ইত্যাদি। আছে ভাজি—চাক বেগুনভাজি, ডিম দিয়ে উষিভাজি, করল্লা-চিংড়িভাজি, ভেণ্ডিভাজি। এগুলোর সংখ্যাও নয়-দশের কম হবে না। শাক-ভাজির সংখ্যাও নেহাত কম নয়। আছে কয়েক রকমের ডাল, মুড়িঘণ্ট। তরকারির মধ্যে আছে গরুর মাংসের ভুনা, মুরগির ভুনা, ছোট মাছ। সঙ্গে ভাত, খিচুড়ি তো আছেই। গুলশান ১-এর ১৩১ নম্বর সড়কে বাংলা স্পাইস খোলা থাকে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।

বাপ বেটার বন্ধুত্ব

‘কোথায় যাচ্ছ?’
‘বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে।’
‘এই সন্ধেবেলায়? এখন পড়াশোনার সময়। বাইরে যাওয়া চলবে না। ঘরেই থাকো।’
‘না বাবা, আমাকে যেতেই হবে। ওদের কথা দিয়েছি।’
‘ওদের কথা দিয়েছি, মানে? ওদের কি পড়াশোনা নেই? আমি তোমাকে বাইরে যেতে নিষেধ করছি, তা তোমার গায়ে লাগছে না?’
বাবা খুব কড়াভাবে বললেন কথাটা।

Wednesday, October 7, 2009

ত্বক পরিচর্যায় স্ক্রাব

ত্বক পরিষ্কার করা বলতে আমরা ক্লিনজিংই বুঝি। নিয়মিত তা করলেও গুরুত্বপূর্ণ একটা ধাপ কিন্তু প্রায়ই বাদ পড়ে যায়। তা হলো স্ক্রাবিং।
‘আমরা নিয়মিত যে ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করি তা মূলত ত্বকের উপরিভাগকেই পরিষ্কার করে, ত্বকের লোমকূপ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। স্ক্রাব ব্যবহারের ফলে ত্বকে লোমকূপের রন্ধ্রে যে ময়লা জমে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করা যায়। পাশাপাশি ত্বকও পায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি।’ ত্বক পরিচর্যায় স্ক্রাবের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে এভাবেই বলছিলেন রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান।
ঘরে বসে ভেষজ উপাদান দিয়ে আপনি নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন আপনার ত্বকের উপযোগী স্ক্রাবটি। স্ক্রাব তৈরিতে যে পানি ব্যবহার করবেন তা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ফলমূল বা শাকসবজি ছেঁচে রস করার আগে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন এবং এগুলো টাটকা দেখে বেছে নিন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন স্ক্রাবটি।

যত্নে থাকুক কাঠের আসবাব

প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে কাঠের আসবাবপত্র হয়ে পড়ে শ্রীহীন। আর এতে ঘরের সৌন্দর্যও ম্লান হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করার সময় আসবাব পরিষ্কার করার দিকেও নজর দিতে হবে।
নিয়মিত শুকনো ও নরম কাপড় (পুরোনো গেঞ্জির কাপড় হলে ভালো হয়) দিয়ে কাঠের আসবাব মুছতে হবে। কখনোই কাঠের আসবাবের ওপর ভেজা জিনিস (যেমন—থালা-বাসন বা কাপড়) রাখবেন না। এতে আসবাবে দাগ পড়ে এবং কাঠে পচন ধরে আসবাবের স্থায়িত্ব নষ্ট হয়। কাঠের আসবাবের প্রধান শত্রু ঘুণপোকা। আসবাবে ঘুণের সংক্রমণ হলে ছয় মাস পর পর নিমের তেল ছিটিয়ে (স্প্রে) দিন। ঘুণে ধরা আসবাবটি অন্য কাঠের আসবাব থেকে যথাসম্ভব দূরে সরিয়ে রাখুন। তা না হলে অন্য আসবাবেও ঘুণের সংক্রমণ হতে পারে।

স্পা - ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো...

আজকাল বেশির ভাগ বিউটি পারলারের নামের সঙ্গে দুটি শব্দ যুক্ত থাকে। ‘স্যালন’ ও ‘স্পা’। ‘স্পা’ শব্দটি পরিচিত হয়ে উঠলেও এ ব্যাপারে মানুষের মধ্যে ধারণা কিছুটা কম। স্পা কী? এ প্রশ্নের জবাবে রূপবিশেষজ্ঞ ও পারসোনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কানিজ আলমাস খান বলেন, ‘শরীর ও মনের অবসাদ ও ক্লান্তি দূর করে সৌন্দর্য-সজীবতা ফিরিয়ে আনে স্পা।
যে মানুষটি নিয়মিত স্পা করে, তার জীবনীশক্তিও অনেক বাড়ে। বর্তমান যান্ত্রিক যুগে মানুষ প্রকৃতি থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। স্পা মানুষকে নিয়ে যায় প্রকৃতির কাছাকাছি। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ম্যাসাজ করে, প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে, মানুষকে প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় সিক্ত করে স্পাতে দূর করা যায় সব ক্লান্তি ও অবসাদ। তিনি আরও জানান, নিয়মিত স্পা কর্মক্ষমতা, সজীবতা বাড়ায়; আবার ত্বক হারানো জৌলুশ ফিরিয়ে এনে তাকে উজ্জ্বল ও সুন্দর করে।


Saturday, October 3, 2009

কামিজে কাটিং স্টেটমেন্ট

ফ্যাশন মানেই হচ্ছে পরিবর্তন। তাইতো ইদানীং সালোয়ার কামিজের ফ্যাশনেও বেশ বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আর এই পরিবর্তনের ব্যাপকতা চোখে পড়ার মতো। কাট, কলার, টেক্সটাইল সব ক্ষেত্রেই চেঞ্জটা এসেছে। প্রথমে কাটের কথাই বলি। পেছনের বছরগুলোর ফ্যাশনের দিকে তাকালে দেখা যায় যে শর্ট কামিজের আধিপত্যটাই বেশি ছিল। আজকাল আবার শর্ট কামিজের পাশাপাশি হাটুর নিচ পর্যন্ত লম্বা ঝুলের কামিজও বেশ চলছে। যা কিনা আট দশ বছর আগেও দেখা যেত। ঈদে যেসব কামিজ জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল তার মধ্যে আনারকলি, আঙরাখা, মাজাককালি কামিজ হঠাৎ করেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আবার এ সময় ঠিক এর কন্টিনিউশন দেখা যাচ্ছে না।

সুস্বাস্থ্যের জন্য পরিচ্ছন্ন ফ্রিজ


ব্যস্ত জীবনে খানিকটা সময়কে বাঁচাতে ফ্রিজের ব্যবহার অনস্বীকার্য। আর ফ্রিজের সাথে সম্পর্কটা যেহেতু খাবার সংরক্ষণের সেহেতু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রসঙ্গ আগে উঠে আসাটাই স্বাভাবিক। ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করতে গিয়ে উল্টো যেন সেটা আনহাইজেনিক না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সবার আগে। আর এ জন্যই প্রয়োজন পড়ে ঠিকঠাক মত ফ্রিজ পরিষ্কার রাখার। ফ্রিজ পরিষ্কার রাখার কিছু পদ্ধতি জেনে নিন এখানে।

Friday, October 2, 2009

স্বাস্থ্য সচেতন


সারামাস রোজা আর এরপরই ঈদ আনন্দে বাড়ি বাড়ি রিচ ফুডের আপ্যায়ন। সবকিছু মিলে খাবারের পুরো রুটিনটা এখন অনেকটাই এলোমেলো। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের রেসিপি বিভাগে দেয়া হলো এমন কিছু রেসিপি যেগুলো আপনার খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনবে। পাশাপাশি এসব রেসিপি আপনার শরীরে শক্তি বর্ধনে আর পুষ্টি জোগাতে সহায়ক হবে। রেসিপিগুলো দিয়েছেন সাকসেস ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার আফরোজা জামান

টেলিফোন গাইড

জরুরি মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা পেতে এবারের টেলিফোন গাইডে দেয়া হল গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হসপিটালের ফোন নাম্বার-
আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হসপিটাল : ৯০০৮৯১৯
বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল : ৯১১৮২০২
সেন্ট্রাল হসপিটাল : ৯৬৬০০১৫-১৯
চায়না বাংলা হসপিটাল লিঃ : ৮৯১৩৬৭৪
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটাল : ৮৬২৬৮১২-১৪
গুলশান মাদার এন্ড চাইল্ড ক্লিনিক : ৮৮২২৭৩৮
হলি ফ্যামিলি হসপিটাল : ৮৩১১৭২১-২৫
জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল : ৮৮২৮৮৫৫
মেরিস্টোপ ক্লিনিক : ৮৮২১৮৭৪
মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিঃ : ৮৬২০৩৫৩
পঙ্গু হসপিটাল : ৯১১২১৫০
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় : ৯৬১৪৫৪৫-৯
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হসপিটাল : ৭৩১৯০০২-৬
শমরিতা হসপিটাল : ৯১৩১৯০১
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হসপিটাল : ৯১২২৫৬০-৮৭
শিশু হসপিটাল : ৮১১৬০৬১-২।

ফুডস্টাইলে ট্রাফিক

নানারকম ডায়েট
রোজার খাদ্যাভ্যাসে যারা এতদিনে অনেকটাই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন এখন তারাই আবার ফিরে গেছেন আটপৌড়ে খাবার রুটিনে। এরই মাঝে শরীর নামের মহাশয়ের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ঈদের ভাল-মন্দ খাবারের ঝড়ও! তবে খাবার গ্রহণের সময় আর খাদ্যতালিকায় এতদিনের সব অভ্যাস-অনভ্যাসকে ভুলে শরীর নামের যন্ত্রটাকে একটা মসৃণ গতি দিতে চাইলে নতুন করে কিঞ্চিৎ ভাবনা চিন্তারও প্রয়োজন আছে। এক্ষেত্রে সবাই যে ঢালাওভাবে একই খাবার তালিকা অনুসরণ করে নিজেদের শরীরটাকে ঝরঝরে করে তুলবেন তা হয়তো ঠিক নয়। আবার রাতারাতি কঠিন তপস্যা’র মতো কঠিন সব ডায়েট করে নিজের মুখের স্বাদটাকে জলাঞ্জলী দেবারও কোনো মানে হয় না। সবমিলিয়ে নিজের জিহ্বাটাকে নিয়ন্ত্রণ করা আর সুস্থ থাকার জন্য পরিমিত ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণই হলো হাজার কথার এক কথা।