RSS

Wednesday, June 17, 2009

নাকফুলের নানাদিক

মেয়েদের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তুলতে বা নিজেকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে উপস্থাপনের জন্য সেই আদিকাল থেকে শুরু করে বর্তমান যুগের আধুনিক মেয়েরাও অলংকার ব্যবহার করে। সময়ের সাথে সাথে ফ্যাশনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। পরিবর্তন এসেছে অলংকারের ডিজাইনেও। কিন্তু রমনীর সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে অলংকারের ভূমিকা আজও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

এশিয়া মহাদেশে বিশেষ করে আমাদের দেশ এবং পার্শ্ববর্তী কয়েকটি প্রতিবেশী দেশের মেয়েদের অলংকারের একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তেমনি এক অলংকার হল নাকফুল। বিশেষ করে মুসলিম মেয়েদের নাকফুল বেশি ব্যবহার করতে দেখা যায়। নাকফুল মুসলিম মেয়েদের বিয়ের নিদর্শন হিসেবে বেশি পরিচিত। কিন্তু এখন শুধু মুসলিম মেয়েরাই নয় বরং এখন কিশোরী, তরুণী সবার প্রিয় ফ্যাশন অনুষঙ্গ হল নাকফুল। শুধু নাকফুল পরার ইচ্ছা থাকলেই হবে না, তার জন্য প্রথমে নাক ফুটাতে হবে। আগে বাড়ির বয়স্ক নানী-দাদিরা তাদের নাতনীদের সোনামুখী সুঁই-সুতো দিয়ে নাক ফুটিয়ে দিত। এতে অবশ্য ব্যথা একটু বেশি হত এবং অনেক সময় সঠিকস্থানে ফুটো না হওয়ার কারণে নাক পেঁকে যেত। এথেকে অবশ্য কিছু ভোগান্তিরও সৃষ্টি হতো। বর্তমান যুগে অবশ্য নাক ফুটো করা একদমই মামুলি ব্যাপার। ডাক্তার বা পার্লারে গিয়ে নাক ফুটানো যায় সহজেই। যারা একটু ভয় বেশি পান তারা অবশ্য ডাক্তারের কাছে গিয়ে নাক ফুটো করতে পারেন। কারণ ডাক্তাররা নাক ফুটো করার আগে নাকে অ্যানেসথেটিক ক্রিম ব্যবহার করেন। ফলে ক্রিম লাগানো ওই স্থানটি কিছুক্ষণের জন্য অবশ হয়ে যায় বলে নাক ফুটানোর ব্যথা টের পাওয়া যায় না। অনেক সময় নাক ফুটো করার পর ঘা, ইনফেকশন, গোটা, ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ব্যাকট্রোব্যান, ট্রেগো, জেনটিন ইত্যাদি অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। আর তাড়াতাড়ি ফুটো শুকানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।

ফুটো করা জায়গা থেকে অনেক সময় ব্লিডিং হতে পারে। এতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। ব্লিডিং ডিজ-অর্ডার রগ বা ব্লাড সেলের উপর ফুটো হলে ব্লিডিং হতে পারে। তখন ঠিকমত ওষুধ খেলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। একটা কথা প্রচলিত আছে যে নাক ফুটো করলে টক খাওয়া যাবে না। এই ধারণা একেবারেই ভুল, বরং টক খাবারের ভিটামিন সি ইনফেকশন তাড়াতাড়ি শুকাতে সাহায্য করে। তবে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা যেসব খাবার খেলে অ্যালার্জি দেখা দেয় সেসব খাবার এ্যাভোয়েট করতে পারেন।

কেমন নাকে কেমন নাকফুল
০ যাদের নাক লম্বা বা খাড়া তাদের নাকে বড় পাথর বা সাত পাথরের নাকফুল ভাল লাগবে।
০ এই ধরনের নাকে ছোট এক পাথরের নাকফুল অথবা নাকের নথ বা বালি ভাল মানাবে।
০ লম্বা বা খাড়া নাকে, খাঁজের একটু ওপরের দিকে ফুটো করলে দেখতে ভাল লাগবে।
০ খাটো বা চাপা নাকে খাঁজের একটু উপরে ফুটো করা উচিত।
০ আগে বাক দিয়ে ফুটো করার প্রচলন থাকরেও ইদানিং ডান-বাম দুদিকেই নাক ফুটো করা যায়।
০ চেহারা, ব্যক্তিত্ব এবং নামের সঙ্গে মিলিয়ে তাই বেছে নিন সঠিক নাকফুল।

1 comments:

Unknown said...

ধন্যবাদ :)

Post a Comment