RSS

Tuesday, December 28, 2010

উপহারে আশীর্বাদ

বিয়ের নিমন্ত্রণে যাবেন। সব ঠিকঠাক। কিন্তু উপহার কী দেবেন? এই চিন্তায় অনেক সময় আনন্দটাই দমে যায়। ‘আগে বিয়েতে কাঁসার তৈজসপত্র, মেলামাইন, কাচের বাসনকোসন কিংবা ডিনারসেট দেওয়ার প্রচলন বেশি ছিল। হয়তো নগদ অর্থ দিতেন কেউ কেউ। এ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।’ বলেন ডিজাইনার চন্দ্রশেখর সাহা।

Monday, December 27, 2010

বর-কনের প্রস্তুতি

বিয়ের দিনে যেন দেখায় সবচেয়ে সুন্দর—এমন আকাঙ্ক্ষা বর-কনের তো থাকবেই। সে জন্য চাই প্রস্তুতি। তবে সাজের সে প্রস্তুতিটি যেন গায়েহলুদের দিন থেকে শুরু না হয়। প্রস্তুতি নিন বিয়ের কিছুদিন আগে থেকেই। অন্তত তিন মাস সময় রাখুন হাতে।

বিয়ের খাবারের স্বাদ

বিয়ের আয়োজনে সবার আগে চিন্তা করতে হয় অতিথি আপ্যায়ন, মানে খাবারের কথা। এ আয়োজন স্মরণীয় করতে খাওয়াদাওয়ার মানটাও হওয়া চাই ভালো। সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে বিয়ের খাবারেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। বিয়ের খাবারে ঐতিহ্যের সঙ্গে কিছুটা আধুনিকতার ছোঁয়াও লেগেছে। কমিউনিটি সেন্টার বা রেস্তোরাঁয় বিয়ের আয়োজন করলে তাঁরাই খাবারের দায়িত্ব নেন। আবার খ্যাতিমান ক্যাটারিং সার্ভিস বা বাবুর্চিদেরও দেওয়া যায় খাবারের দায়িত্ব।

অন্য রকম ওড়না, ভিন্ন রকম গয়না

বিয়ের আয়োজনে সবার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন কনে। কনে কী শাড়ি পরলেন, রংটা ঠিক আছে কি না, শাড়ির সঙ্গে ওড়নাটা মানাল কি না—এই নিয়ে চলে বিস্তর আলোচনা। এই খুঁটিনাটি বিষয়ে লক্ষ রেখেই এখন তৈরি হচ্ছে কনের পোশাক। টাঙ্গাইল শাড়ি কুটিরের কর্ণধার মুনিরা ইমদাদ বলেন, একটা সময় ছিল যখন সবাই বেনারসি পরত এবং সঙ্গে থাকত মসলিনের সোনালি ওড়না। এখন সময় বদলেছে, আর এই বদলে যাওয়া সময়ে কনের পোশাকে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তাই কনের সাধ গতানুগতিক ঢঙে সীমাবদ্ধ নেই। এখন বিভিন্ন ধরনের শাড়ি যেমন পরছে, তেমনি শাড়ির সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন অনুষঙ্গেও এসেছে বৈচিত্র্য।
কনের বিয়ের মূল শাড়িটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সেই শাড়ির সঙ্গে প্রয়োজনীয় প্রতিটি অনুষঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ। মাঝখানে কিছুদিন জর্জেটের খুব ভারী শাড়ির চল দেখা গেলেও ইদানীং সবারই পছন্দ অনেকটা ঐতিহ্যবাহী শাড়িগুলো। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ করতে হয় কাতান শাড়ির নাম।

ফুলেল সাজে হলদে কনে

হলুদ গাঁদা আর লাল গোলাপ, সঙ্গে সুঁই-সুতার গাঁথুনি। তৈরি করা হতো গায়েহলুদের গয়না। ফুল ছাড়া এ অনুষ্ঠান যেন অসম্পূর্ণ। এখন ফুলের ব্যবহারে বৈচিত্র্য এলেও এর আবেদন কমেনি। কনের হলুদের গয়না যে ফুলেরই হতে হবে। তবে গাঁদা বা গোলাপের পাশাপাশি আরও অনেক নতুন ফুল দিয়ে এখন গয়না তৈরি হচ্ছে।

ফুলের গয়নায়
রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান মনে করেন, এখন মানুষের মধ্যে পরিমিতিবোধ এসেছে। কী দিয়ে সাজলে নিজেকে মানাবে, তা তারা জানে। খুব বেশি ফুল দিয়ে না সেজে অল্পের মধ্যে নিজেকে সাজাতে চায়। সে কারণে গায়েহলুদের শাড়ি কেনার পর ঠিক করতে হবে, কোন ফুল দিয়ে আপনি সাজবেন। আগে শুধু গাঁদা, গোলাপ আর রজনীগন্ধা দিয়ে কনেকে সাজানো হতো। এখন নানা ধরনের দেশি-বিদেশি ফুল বাজারে পাওয়া যায়। সেসব দিয়ে নিজেকে সাজায় মেয়েরা। এ জন্য প্রথমে দেখতে হবে, শাড়িটা কোন উপাদানের।

বিয়ের কত্ত আয়োজন

দেখে মনে হতে পারে, যেন কোনো রাজদরবারে বসে আছেন মধ্যমণি রাজা আর রানি। তাঁরা হলেন বর আর কনে। বিয়ের আসরে সিংহাসনের মতো চেয়ারে তাঁরা বসে আছেন। আর সামনে আমন্ত্রিত অতিথিরা। খটকা লাগতে পারে, কনে আবার পা ঝুলিয়ে বসে না কি! আর বরের নাকে রুমালই বা কোথায়!

বর আসবে এখনই

বিয়ে মানে নতুন জীবনের শুরু। এই শুরুটা স্মরণীয় করে রাখতে চেষ্টার অন্ত থাকে না। বিয়ের আয়োজনের সবকিছুই হওয়া চাই একদম মনের মতো। শুধু কনেরই নয়, বরদেরও পোশাক নিয়ে থাকা চাই নানা আয়োজন।
বিয়ের পোশাক হিসেবে এখনো শেরওয়ানিই জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ফ্যাশনের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এর ছাঁট-কাটে কিছু পরিবর্তন চলে এসেছে। সাটিন বা মখমল কাপড় দিয়ে বানানো চাপা শেরওয়ানি ও চাপা চুড়িদার—এটা ছিল সত্তরের দশকের স্টাইল। তবে এখন পাগড়ি থেকে শুরু করে পাঞ্জাবি—সবকিছুতেই চলে এসেছে বিভিন্ন রূপ।
ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক বলেন, ‘বিয়ের দিনটি বর-কনের জন্য স্বপ্নের দিন। “ব্রাইডাল লাইন আপ বাই এমদাদ হক” কালেকশনের মাধ্যমে বিয়ের পোশাকে সেই স্বপ্নটাই ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করি। শুধু মেয়ের নয়, বিয়ের দিনটি একটি ছেলের জীবনেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে আজকাল বিয়েতে বা জয়েন্ট রিসেপশনে স্যুট, টাক্সিডো, প্রিন্সকোট পরে থাকেন। কিন্তু বিয়েতে শেরওয়ানির আবেদন অনেক বেশি। নিজেকে এদিন অন্য সবার থেকে আলাদা করে উপস্থাপনের বিষয়টি শেরওয়ানির মাধ্যমেই যেন ফুটে ওঠে।’

Thursday, December 16, 2010

সন্দেহ যখন মনে

ইদানীং বাসায় ফিরতে প্রায়ই দেরি করছে তৌফিক। গভীর রাতে ফিরে নিতান্ত অনিচ্ছায় খাবার টেবিলে বসে কিছু মুখে দিচ্ছে। কখনো অর্ধেক খেয়ে উঠে যাচ্ছে। তারপর বারান্দায় গিয়ে সিগারেট ধরাচ্ছে। বিষটুকু গলায় ঢেলে বিছানায় শুয়ে পড়ছে। আর শোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গভীর ঘুম। এই সময়টুকুতে আদিবার প্রতি এতোটুকু মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছে না তৌফিক। সারাদিন কাজের চাপে বাসায় একবারও ফোন করছে না সে। আদিবা ফোন করলে হাই-হ্যালো বলে একটু পর ফোন রেখে দিচ্ছে। আদিবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন। তবে কি আজকাল তৌফিক সীমার সাথে আবারো মিশছে? পুরোনো প্রেমিকাকে কি সে এখনও ভুলতে পারছে না?

গেজেট রাখুন পরিষ্কার

শুধু কম্পিউটার, ক্যামেরা, মোবাইল ফোন, টেলিভিশন কিংবা মিউজিক পেস্নয়ারই নয়, গ্যাজেটও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। তাহলে জেনে নিন কিভাবে পরিচ্ছন্ন রাখবেন_

০০ কম্পিউটারের মনিটর পরিষ্কার করার জন্য অল্প ভেজা কাপড় ব্যবহার করুন। কম্পিউটারের ইলেকট্রিক ওয়্যার পরিষ্কার করার জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের হোস অ্যাটাচমেন্ট ব্যবহার করা ভালো। এলসিডি স্ক্রিন পরিষ্কার করার জন্য নরম, শুকনো সুতির কাপড় ব্যবহার করুন। নন-এলসিডি স্ক্রিন পরিষ্কারের জন্য নরম একটি কাপড় হাতে নিন। তারপর পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। কিবোর্ড উল্টে রাখুন। তারপর সুতির মোটা কাপড় সামান্য রাবিং অ্যালকোহলে ডুবিয়ে নিয়ে কিবোর্ড পরিষ্কার করুন। কম্পিউটার স্ক্রিন পরিষ্কার জন্য হাউসহোল্ড গস্নাস ক্লিনজার ব্যবহার করবেন না।

Sunday, November 28, 2010

কিছু টিপস

 ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া এয়ার এশিয়া অথবা মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের টিকিট পাবেন। খরচ জনপ্রতি রিটার্নসহ ১৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
 কুয়ালালামপুরে ইচ্ছা করলে হোটেলে না থেকে গেস্ট হাউসে থাকতে পারেন। এখানে বাংলাদেশিদের গেস্ট হাউস আছে, যা আপনাকে একেবারে ঘরোয়া অনুভূতি দেবে। খরচ পড়বে টাকায় এক হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার।
 কুয়ালালামপুরে শপিংয়ের জন্য সানওয়ে লেগুন, মাইনস, মাইডিন, টাইমস স্কয়ার, চায়না টাউন, মিড ভ্যালি আর লাংকাউইতে লাংকাউই ফেয়ার শপিং মল উল্লেখযোগ্য। ইলেকট্রনিকস যেকোনো পণ্যের জন্য অতি পরিচিত কুয়ালালামপুরের লে ইয়াট মার্কেট।
 ট্যাক্সিতে না ঘুরে বাসে যেতে পারেন, অনেক সাশ্রয়ী। এ ছাড়া আছে মনোরেল। শহরজুড়ে মাথার ওপর রেলপথ। অসাধারণ সার্ভিসে খরচ জনপ্রতি এক-পাঁচ রিঙ্গিত।
 বুকিট বিনতান সদা জমজমাট রেস্তোরাঁ, শপিং আর স্পা ম্যাসাজের পসরা নিয়ে। ইন্ডিয়ান ফুড, চায়নিজ ফুড, পাকিস্তানি ফুড আর মালয় ফুড খেতে পারেন স্বাদ বদলানোর জন্য। আর বিপদের সঙ্গী কেএফসি আর ম্যাকডোনাল্ডস তো আছেই গলির মোড়ে মোড়ে।
 লাংকাউইতে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে ভুলবেন না। কারণ, ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি জমা দিয়ে নামীদামি সব গাড়ি সারা দিনের জন্য ভাড়া নেওয়া যায় অনায়াসে। যাঁদের স্পোর্টস কার চালানোর স্বপ্ন, তাঁদের জন্য লাংকাউই স্বর্গ। কম খরচে নিজের হয়ে যাবে দামি দামি সব স্পোর্টস কার।
 গেনটিং হাইল্যান্ডের জন্য গরম কাপড় অবশ্যই নেবেন। অনেক উঁচুতে বলে মেঘের রাজ্যে শীতটা একটু বেশি।
 পুরো মালয়েশিয়া একদম নিরাপদ। তাই চুটিয়ে ঘুরে বেড়ান সারা দিন, এমনকি সারা রাত।

সবুজে নির্জনে

অকস্মাৎ নীরবতা। কারও যেন আর কিছু কইবার নেই। চারপাশ কী দারুণ নীরব নিস্তব্ধ! এমনকি পুরো পথ সরব ছিল যে পথপ্রদর্শক তরুণ, তার মুখেও রা নেই। অতি অসাধারণ কোনো দৃশ্যের সামনে দাঁড়িয়ে হুট করে চুপ হয়ে যাওয়াটাই সম্ভবত নিয়ম। চালক স্পিডবোটের গতি কমিয়ে এনেছে কোন ফাঁকে। আমরা চোখ দিয়ে গিলছি চারপাশের অবিশ্বাস্য সুন্দর। দূরে ওই উঁচুতে উঁকি দিচ্ছে ঘন সবুজ পাহাড়ের সারি। কুয়াশার মতো মেঘ ভর করে আছে পাহাড়ের মাথায়। নিচ দিয়ে বয়ে গেছে সারি নদীর অপরূপ জলরাশি।

চোখের যত্ন

'নীলাঞ্জনা ঐ নীল নীল চোখে চেয়ে থেকো না, তোমার ঐ দুটি চোখে আমি হারিয়ে গেছিঃ' কিংবা 'চোখ যে মনের কথা বলেঃ' গান বলেন আর কবিতাই বলেন এ অঙ্গের বন্দনা কোথায় নেই! সুন্দর একজোড়া চোখ যেমন আপনার শ্রীকে বাড়িয়ে দিতে পারে অনেক গুণ, তেমনি সুন্দর একজোড়া চোখের অভাবে আপনার সব সৌন্দর্যই মাটি হয়ে যেতে পারে। তাই চোখের যত্ন নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন-

ভাই-বোনের মনোমালিন্য

দুই বন্ধুর মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক যত গভীরই হোক না কেন, তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতেই পারে। কথাটি সহোদর ভাই-বোনদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কারণ, ভাই-বোনরা বন্ধুর মতোই। দুজন যদি শিশু এবং পিঠাপিঠি হয়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। কারণে-অকারণে ঝগড়া, হাতাহাতি লেগেই থাকে। মাঝে মাঝে এমনও হয়_তাদের ঝগড়া ভাঙাতে মা-বাবা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তারা ছেলেমেয়েদের গায়ে হাত তুলতেও বাধ্য হন। তবে মা-বাবা হাত তুলুন আর যাই করুন, যারা ঝগড়াঝাটি কিংবা হাতাহাতিটা করছে, তাদের কিছুই যায় আসে না। তারা কিছু সময়ের জন্যে হয়তো বন্ধুর মতো আচরণ করে, তারপর একটু সুযোগ পেলেই শুরু করে দেয় শত্রুর আচরণ। এই দৃশ্য দেখা যায় সবার ঘরে ঘরে।

দেয়ালের কাব্য

'সব ঘর-ই কিছু কথা বলে'_এমন করেই হয়ত বলা যায়। কারণ মানুষ যে ঘরে বসবাস করে, সেই ঘর সে তার মনের মতো করে সাজাতে পছন্দ করে। প্রত্যেকেই নিজের রুচি ও পছন্দের সমন্বয় ঘটিয়ে ঘরে ফুটিয়ে তোলে নান্দনিকতার ছোঁয়া। ঘরের সাজের ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ঘরকে সাজালে আরো সুন্দর হয়ে উঠবে আপনার ঘর। কিছু লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো_

Saturday, November 20, 2010

ধূমপান থেকে হার্টের সমস্যা

ধূমপান নিয়ে নানা সতর্কতামূলক প্রচারণা সত্বেও ধূমপান বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কেউ পরিহার করতে চাননা। ধূমপায়ীদের হার্টের সমস্যা অন্যদের চেয়ে অধিক থাকে। যদি কেউ ধূমপায়ী হয়, এ্যালকোহল পান করে কিংবা নিষিদ্ধ ড্রাগ নেয় তাহলে তার হার্টের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। অধিক পরিশ্রম করলে আমরা যেমন পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ি তদ্রুপ হার্টও ক্লান্ত হয়ে যায়। এরূপ দীর্ঘদিন চলতে থাকলে হার্ট রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় প্রমাণ করেছেন যে ধূমপান হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং হূদরোগে মৃতু্যর হার বহুগুণে বাড়ে। সুতরাং ধূমপান করা মোটেই উচিত নয়। কেউ ধূমপায়ী হলে এখনই ছেড়ে দিন। গবেষণায় আরও প্রমাণিত হয়েছে যেসব ধূমপায়ী ১০ বছর যাবৎ ধূমপান সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করেছেন তাদের হঠাৎ করে হূদরোগে মৃতু্যর ঝুঁকি অনেক কমে গেছে। যে কোন ধরনের নেশা জাতীয় ড্রাগ হার্টের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই সকল নেশা জাতীয় দ্রব্য ত্যাগ করা উচিত। এমন কি ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোন ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়। উপরের নিয়মগুলো মেনে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে এবং সুস্থির জীবন-যাপনের মাধ্যমে হূদরোগ প্রতিরোধ অনেকটাই সম্ভব।

ডা: মোড়ল নজরুল ইসলাম

চুলপড়া, চর্মরোগ ও এলার্জি এবং
যৌন সমস্যা বিশেষজ্ঞ
কন্স্যালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট
ইউনাইটেড হাসপাতাল, গুলশান, ঢাকা

শিশুকে ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম

১. ওষুধ বিভিন্ন প্রকার

টেবলেট:

একটি টেবলেটকে চার ভাগের এক ভাগ করে দিনে ২ বার দিতে হলে প্রথমে টেবলেটকে একটি পরিষ্কার কাগজে নিয়ে গুঁড়ো করতে হবে। এর পর তা সমান ৪ ভাগ করে ১ ভাগ এক চামচ পানিতে গুলে তাতে চিনি বা মধু অথবা এ জাতীয় সুইটেক্স/গ্রিন সুইট মিশিয়ে শিশুকে সকাল-বিকাল দিতে হবে।

জমানো কাঁধ এবং করণীয়

কাঁধে যখন সবসময় ব্যথা হয় এবং রোগী নিজে নিজের বা চিকিৎসক রোগীর কাঁধের বিভিন্ন নড়াচড়া করাতে পারে না তখন একে ফ্রোজেন শোল্ডার (ঋৎড়ুবহ ঝযড়ঁষফবৎ) বা জমানো কাঁধ বলে। ফ্রোজেন শোল্ডার একটি সেল্ফ লিমিটিং রোগ অর্থাৎ এটা আপনা আপনি ভালো হয়; তবে পাঁচ মাস থেকে তিন বৎসর সময় লাগে ভালো হতে। এই সময়ে যথোপোযুক্ত চিকিৎসা এবং ব্যায়াম না হলে জয়েন্ট চিরস্থায়িভাবে স্টিফ বা জমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।

ঘুমের যত সমস্যা

ঘুমের সমস্যা কম বড় সমস্যা নয়। কতটুকু ঘুম হলো, কেমন ঘুম হলো এসব নিয়ে কত অভিযোগ মানুষের। কত শত কারণ। হয়ত বদভ্যাসের জন্য জেগে থাকে কেউ অনেক রাত, আবার অসুখের কারণেও ঘুম হয়না অনেকের। ঘুম চক্র ঘোরেনা ঠিকমত। সকালে উঠে যদি মনে হয় ঘুম হয়নি, সতেজ মনে হচ্ছেনা নিজেকে তখন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো। কম ঘুম হওয়া বেশ বড় সমস্যা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার দুটোরই ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। ঘুম কম হলে বিপদ। দৈনন্দিন জীবনে এর প্রভাব অনেক খানি। গবেষকরা দেখেছেন, ঘুম কম হলে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে মোটর কার দুর্ঘটনা হয় বেশি, সম্পর্ক নাস হয়, কর্মক্ষেত্রে পারফোরম্যান্স খারাপ হয়, কর্মস্থলে দুর্ঘটনা হয়, স্মৃতিসমস্যা হয়, মনমেজাজ খারাপ থাকে। আরও বলা হয়ে থাকে আজকাল ঘুমের সমস্যার জন্য কিছুটা হলেও পরিণতিতে হতে পারে হূদরোগ, স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের মত রোগ।

Tuesday, October 26, 2010

পুর পুরে পরোটা

তরকারি বা চাটনি যা-ই থাকুক না কেন, পরোটা দিয়ে খেতে বেশ। আবার নানা রকম পুরভরা থাকলে কিন্তু এসব আর লাগেই না, শুধু পরটাই খেয়ে ফেলা যায়। কল্পনা রহমান দিয়েছেন পুর পুরে কয়েকটি পরোটা তৈরির প্রণালি।

আলু পরোটা
উপকরণ: আলুসিদ্ধ ২ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, তেল ৩ টেবিল চামচ, আদা বাটা সিকি চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, জিরা বাটা আধা চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, গোল মরিচ আধা চা চামচ, লবণ ২ চা চামচ, শুকনা মরিচ ১ চা চামচ, ময়দা পরিমাণমতো।
প্রণালি: পাত্রে তেল ও পেঁয়াজ দিয়ে বাদামি হলে আদা, রসুন, জিরা, গোলমরিচ, শুকনা মরিচ, পেঁয়াজ বাটা ও লবণ দিয়ে কষাতে হবে। এবার আলু সেদ্ধ দিয়ে নেড়ে নামাতে হবে। তারপর ময়দার সঙ্গে তা মাখাতে হবে। সবশেষে পরোটা বেলে ছেঁকা তেলে ভাজতে হবে।

এ সময়ে ত্বকের যত্ন

সারা দিন কড়া রোদ, রাতে হালকা ঠান্ডা। শীত আসার আগামবার্তা। আবহাওয়ার সঙ্গে ত্বকেরও পরিবর্তন হচ্ছে। খুঁটিনাটি যত্ন এখন থেকেই নিলে সারা শীতে থাকতে পারবেন সতেজ।
রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান জানান, এ সময়টাতে ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে দেখা দিতে পারে র‌্যাশ। গরমের জন্য যেসব পণ্য এত দিন ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলো বদলে নিতে হবে ধীরে ধীরে এখন থেকেই।

ছোটদের সামনে বড়দের আচরণ

আড্ডায় বড়দের মধ্যে চলছে নানা আলাপ। অন্যের সমালোচনাও। চিৎকার করে মা-বাবা ঝগড়া করছেন। ফোনে বন্ধুকে বলছেন অশালীন কথা। খাবার টেবিলে বসে কাজের লোককে ধমক দিচ্ছেন। টিভিতে দিনমান দেখছেন নাটক, সিনেমা। তবে বাড়িতে কিন্তু ছোট শিশু আছে। তার সামনেই চলছে এসব। আমরা ভাবছি ও তো ছোট, এসব বুঝবে না। কিন্তু শিশুর মনের ওপর এসবের কী প্রভাব পড়ছে, তা কি ভেবে দেখেছি আমরা? আমরা অসচেতনভাবেই ছোটদের সামনে এমন অনেক আচরণ করে থাকি। বড়রা বেশির ভাগ সময় খেয়াল করি না, ছোটরা এসব আচরণ ধারণ করছে। তা থেকেই পরে নানা সমস্যা দেখা দেয়।

Wednesday, October 13, 2010

ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

সারা দিন কাজের পর ক্লান্ত হয়ে যায় শরীর ও মন। ক্লান্তিহীন থাকার জন্য সচেতন থাকতে হবে সব সময়—সেটা হোক শীত বা গরম কাল। তাই মন ও শরীর ভালো রাখার জন্য থাকতে হবে বাড়তি সচেতনতা। দিনের শুরুতে বা সারা দিন কাজের শেষে অবসর সময়টুকু কাজে লাগাতে পারেন।

সময়ের কাজ সময়ে

সারা দিন যেন কেটে যায় নানা কাজে। দম ফেলার ফুসরত নেই। আর এসবের মধ্যে নিজের জন্য একটু সময় রাখার কথা তো ভাবাই যায় না। কর্মজীবী মেয়েদের জীবনটা যেন এমনই। তবে একটু বুঝে সময়ের সঠিক ব্যবহার করলেই কিন্তু এ পরিস্থিতি এড়ানো যায়। সে জন্য প্রয়োজন পরিবারের সবার আন্তরিক সহযোগিতা ও সঠিক পরিকল্পনা।

Wednesday, September 29, 2010

পানির যত গুণাগুণ

তীব্র পিপাসায় প্রাণ জুড়াবে একগ্লাস পানি। পানির হাজারটা গুণ ও দিনে কতখানি পানি পান করতে হয়, তা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। পানি শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন; জেনে নিন

ত্বকে থাকুক সচেতনতা

শরতের রৌদ্রদীপ্ত দিনগুলো তেমন অসহনীয় না হলেও মাঝে মাঝেই ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়। ঘাম, রোদেপোড়া কালচে দাগ, ব্রণ, অ্যালার্জি কোনোটাই পিছিয়ে থাকে না। একে তো বাইরে প্রখর রোদ আর ঘরেও অনেক সময় লোডশেডিং এর ঝামেলা তো আছেই। এই সময়ে ত্বকের সমস্যা নিয়ে যারা ভুগছেন তাদের জন্য রইল কিছু টিপস্।

Tuesday, September 28, 2010

সাজগোজের পর...

সেজেগুজে নিজেকে সুন্দর করে তোলা তো হলো। এরপরের করণীয়টা কি সবসময় মনে থাকে! পার্টি থেকে ফিরে আলসেমিতে অনেক সময় মেকআপটা তোলা হয়না। সেই নিয়েই ঘুম। তার ফল? ত্বকে ব্রণ, দাগসহ নানা সমস্যা।
এ নিয়ে রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা বলেন, কোন পার্টিতে গেলে বেশিরভাগ সময়ই তেল-চর্বিযুক্ত ভারী খাবার খাওয়া হয়। আর সাজের জন্য প্রচুর মেকআপ, হেয়ার স্প্রে ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। এর কোনো কিছুই ত্বকের জন্য ভালো নয়। তাই অবশ্যই মেকআপ করে আবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তা ঠিকমতো তুলে ফেলতে হবে। কেননা, সারা দিনের ভারী মেকআপ ত্বকের লোমকূপগুলোকে বন্ধ করে দেয়। ফলে ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ভেতরে ঢুকতে পারে না। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তাই ভালোভাবে মেকআপ তুলে ফেলা উচিত। মেকআপ করার পর ত্বকের যত্নের কিছু উপায় বলে দিয়েছেন রাহিমা সুলতানা।

চার আচার

আমড়ার টক আচার
উপকরণ: আমড়া ১২টি, সিরকা ১ কাপ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ, পাঁচফোড়ন ১ টেবিল-চামচ, আদা বাটা আধা চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, সরিষার তেল পৌনে এক কাপ, লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ২টি।
প্রস্তুত প্রণালি: আমড়া খোসা ফেলে টুকরা করে সিরকায় ১০-১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে তুলে নিন। এবার হলুদ ও লবণ দিয়ে এক দিন কড়া রোদে শুকিয়ে নিন। গরম তেলে সব মসলা, আমড়া ও সিরকা দিয়ে নাড়ুন। আচার হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

বিয়ের পর নতুন বউ

বিয়েতে বর-কনের সাজসজ্জা নিয়ে চিন্তাভাবনার তো শেষ নেই। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে শুরু হয় আরেকটি পর্ব। সেটি হলো আত্মীয়-পরিজন, বন্ধুবান্ধবের বাড়িতে নিমন্ত্রণের পর্ব। এ সময় বউকে একটু বাড়তি সাজগোজ করতেই হয়। নতুন দম্পতিকে অনেকেই নিমন্ত্রণ করেন। সেখানেও যাওয়া চাই নতুন বউয়ের মতো সেজেগুজেই। এ সময়ের পোশাক ও সাজটা কেমন হবে, এই বেলা না-হয় তা-ই জেনে নেওয়া যাক।
কিছুদিন আগে বিয়ে হয়েছে মডেল ও অভিনয়শিল্পী বাঁধনের। শ্বশুরবাড়িতে প্রথম সপ্তাহটা বাঁধন শাড়ি পরেই কাটিয়েছেন। আত্মীয়স্বজনের বাড়ি বেড়াতেও যেতে হয়েছে। বাড়িতে থাকার সময় বাঁধন বেশির ভাগ সময় কোটা শাড়িই পরেছেন। কোটা শাড়িতে স্বচ্ছন্দ বলেই বাঁধন সেটা বেছে নিয়েছিলেন। আর বাইরে যাওয়ার সময় পরতেন শিফন, সিল্ক, মসলিন—এ ধরনের শাড়ি। গয়নার ক্ষেত্রে বাঁধন বলেন, ছোটখাটো নকশার সোনার গয়নাই ওই সময় বেশি পরা হয়েছে। আর পোশাকের সঙ্গে মানানসই সাজগোজ তো আছেই।

Friday, September 24, 2010

ভূমিকম্পে আতঙ্কিত নয় সচেতন হোন

সময়ের আলোচিত বিষয় ভূমিকম্প। ঈদের আনন্দে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে ঈদের রাতে একাধিক ভূমিকম্প—যেগুলোর একটির উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের ভেতরেই। স্থানভেদে ভূমিকম্পগুলোর মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ২.৫ থেকে ৪.৮। এই তিনটি ভূমিকম্পে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষতি না হলেও ভূমিকম্পের প্রতিকার ও প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সর্বত্র। বড় ধরনের ভূমিকম্প হবে কি না, সেটা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। সাধারণত পরপর ছোট কয়েকটি ভূমিকম্প হয়ে গেলে সেখানে বড় ভূমিকম্প হবার আশঙ্কা কম বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে হলে ক্ষতি হবে অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি। কারণ বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। বিশেষ করে ঢাকা শহরের অনেক ভবনই পাশাপাশি গা ঘেঁষে অবস্থান করছে।

গর্ভবতী মায়ের ত্বকের যত্ন

এটা খাও, ওটা খাও—অনাগত সন্তানের কথা ভেবে গর্ভবতী মাকে এমন কথা প্রায়ই শুনতে হয়। আর তাই ঘুরে-ফিরে অভিভাবকেরা গর্ভবতী মায়ের হাতে তুলে দিচ্ছেন কখনো দুধের গ্লাস, কখনো বা ফল। কিন্তু গর্ভবতী মায়ের ত্বকের যত্ন যেন সবাই ভুলেই যান। অনেকেই হয়তো ভাবেন, গর্ভবতী মায়ের আবার ত্বকের যত্ন কেন?। এ সময় খাওয়া-দাওয়াটাই তো মুখ্য। তবে একটু লক্ষ করলেই দেখা যায় যে গর্ভকালীন মায়েদের ত্বকে দেখা দেয় মেছতা, ব্রণ বা কালো ছোপ ছোপ দাগ। আবার কখনো বা ত্বক ফেটে যায়। এ সময়ে ত্বকের সঠিক পরিচর্যা না করলে অনেক সময় তা স্থায়ী হয়ে যায়। এমনটাই বললেন রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। তিনি বলেন, মায়ের হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মূলত ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা হয়। এ কারণে গর্ভকালীন মায়ের ত্বকের যত্নের জন্য কিছু টিপস দিয়েছেন তিনি।

মনে রাখার সহজ উপায়

ভুলে যাওয়াটা মানুষের সহজাত একটা অভ্যাস। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ কেউ খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় ভুলে যান। এসব ভুলে যাওয়া একসময় সম্পর্কের মাঝেও ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে। কাজের চাপেই হোক কিংবা যেকোনো কারণেই আপনার মনে ছিলো না, প্রিয় মানুষটির জš§দিনের কথা। এ নিতান্তই আপনার ভুল। কিন্তু আপনার প্রিয় মানুষটি হয়তো অন্য কিছু ভেবে বসতে পারেন। হতে পারে, এর সূত্র ধরে সম্পর্কটাই তিক্ত হয়ে উঠলো। তাই নিজেকে ভুলে যাওয়ার বাতিক থেকে রক্ষা করা উচিত। জীবনের দৈনন্দিন ব্যস্ততা ও দুশ্চিন্তার কারণে সাধারণত কিছু মনে না থাকার সমস্যাটি দেখা দেয়। আবার বয়স বাড়ার সাথে সাথেও মানুষের স্মৃতিশক্তি কমে আসে। তবুও চেষ্টা করলে উপায় মেলে। কিছু বিষয় মেনে চলতে পারলে; মনে রাখতে না পারার সমস্যা কাটানো সম্ভব। আমরা বিভিন্ন মনোবিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করে তেমন কিছু বিষয় নির্বাচন করেছি। আর সেই বিষয়গুলিই উপস্থাপন করছি এবারের মনমন্দিরের পাঠকদের জন্য।

সাজে রঙের ছোঁয়া

শরৎ আকাশের মেঘে লেগে গেছে রঙের ছোঁয়া। আর বেশ সুনীল হয়ে উঠেছে মেঘ-রাজকন্যা। ওদিকে বৃষ্টির জলে ধুয়ে-মুছে প্রকৃতি হয়ে উঠেছে শ্যামল-সবুজ। আকাশ, মেঘ আর শ্যামল প্রকৃতির সঙ্গে লাল ঝুমকো জবা জুড়ে দিয়েছে কত কথা!
প্রকৃতিতে যখন রং নিয়ে এত ডাকাডাকি, তখন আপনি কেন চুপটি বসে? প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে মেতে উঠুন রঙিন সাজে।
এ সময়ের রঙিন সাজের সাতকাহন বলেন রেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা কামাল।
শরতের এ সময়টায় চলে রোদ-বৃষ্টির খেলা। তাই সাজের ক্ষেত্রে সাজ উপকরণটি পানিরোধক বেছে নেওয়া ভালো। আর সাজ উপকরণের রংটি অবশ্যই উজ্জ্বল রং বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

আর নয় হতাশা

অসীম চাহিদা আর সসীম সম্পদের দ্বন্দ্বটা আমাদের বাস্তবতার খুব পরিচিত এক চিত্র। এর কারণেই আমাদের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মাঝে এত ব্যবধান, যে ব্যবধান আমাদের টেনে নামাতে পারে হতাশার কালো গহ্বরে।
আজকের এই তরুণ সমাজ ব্যাপক অনিশ্চয়তার মধ্যে হতাশা কাটিয়ে কীভাবে সঠিক পথটি বেছে নেবে, তার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক নাজমা খাতুন ও ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা তাহনিয়াত আহমেদ করীম।

কেজো পার্টির সাজগোজ

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ। তা যদি হয় কেজো কোনো অনুষ্ঠান, তাহলে বাড়তি যত্ন লাগবেই। কেননা, কাজের পরিবেশের পরিমিত ভাবটা সাজসজ্জার মধ্যে থাকতে হয়। জমকালো সাজপোশাক এ ক্ষেত্রে একেবারেই বেমানান। অফিসের কোন ধরনের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করবে আপনার সাজ। এমনটিই মনে করেন রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান।
কানিজ আলমাস খান আরও বলেন, নিজের ব্যক্তিত্ব ও রুচির সঙ্গে মানানসই নয়, এমন সাজ এড়িয়ে যাওয়া উচিত। আবার একেবারে না সাজলেও আপনাকে পুরো অনুষ্ঠানে বেমানান লাগবে, যার কোনোটিই কাম্য নয়। কোন ধরনের অনুষ্ঠান ও সময়, এ সম্পর্কে আগেই জেনে নিন। যদি রাতের কোনো অনুষ্ঠান হয়, তবে সাজটা একটু জমকালো হবে। দিনের বেলা হলে হালকা সাজই উপযুক্ত।

Thursday, July 29, 2010

শিশুকে ভয় দেখাতে মানা

মৃত্তিকা খেতে চায় না, চায় না পড়তে। মা সোনিয়া বিষয়টা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। সব সময়ই তিনি সমাধানের উপায় ভাবতে থাকেন। তবে এরই মধ্যে মা নতুন এক কৌশল আবিষ্কার করেছেন। মৃত্তিকা মায়ের কথা না শুনলেই মা ভয় দেখাচ্ছেন। পড়তে না বসলে ভূতে ধরবে, না খেলে সাপে কামড় দেবে। প্রথম প্রথম কাজ হয়েছিল ভালোই। কিন্তু এখন হিতে বিপরীত হওয়ার দশা। সব সময় মৃত্তিকা ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকে। মৃত্তিকার মধ্যে এসেছে জড়তা। সে আর ছোটাছুটি করে না। স্কুলে গিয়েও সে আগের মতো খেলে না। সার্বক্ষণিক যেন ভয় তাড়া করে তাকে। মা এখন পড়েছেন নতুন সমস্যায়।

Tuesday, July 13, 2010

ঘর হয়ে উঠুক প্রশান্তিময়

পরিবারের যে মানুষগুলো সারা জীবন আমাদের দিয়ে যান স্নেহ, মমতা আর ভালোবাসার ছায়া, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সেই মানুষগুলো শুধু চান একটু প্রশান্তিময় আশ্রয়। বৃদ্ধ বয়সে যখন কমে আসে মানসিক ও শারীরিক কর্মক্ষমতা, তখন নিজ ঘরটিই যেন হয়ে ওঠে একমাত্র শান্তির স্থান। সাধারণত পরিবারের বয়োবৃদ্ধ (৬০ বা তদূর্ধ্ব) মানুষগুলো ঘরেই দিনের অনেকটা সময় কাটান। তাই তাঁদের ঘরটি যাতে আরামদায়ক হয়, সেই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে করতে হবে অন্দরসজ্জা; জানালেন ‘অন্দরসজ্জা’র ইন্টেরিয়র ডিজাইনার রুমানা আফজাল খান। তিনি বলেন, ‘পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের ঘরে বেশি আসবাব না রাখাই ভালো। এতে ঘরে তাঁদের চলাফেরার সুবিধা হয়। ঘরে আসবাব স্থাপনের সময় খেয়াল রাখতে হবে তা যেন আরামদায়ক এবং স্বচ্ছন্দে ব্যবহারের উপযোগী হয়।’ সে ক্ষেত্রে ঘরের এক দিকের দেয়ালজুড়ে বানাতে পারেন কেবিনেট আলমারি। ঘরে বড় কেবিনেট আলমারি থাকলে সেখানেই তাঁরা তাঁদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সাজিয়ে রাখতে পারবেন। জিনিসপত্র রাখার জন্য আলাদা আসবাবের প্রয়োজন হবে না।

যোগব্যায়াম: শরীর ও মনের সৌন্দর্যে

সুন্দর মনের বসবাস সুস্থ দেহের মধ্যেই। মন বা শরীর যেটির সৌন্দর্যের কথাই বলি না কেন, দুটোই নির্ভর করে ব্যায়ামের ওপর। বিশেষ করে যোগব্যায়ামের মাধ্যমে দেহ ও মনের স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য সহজেই ধরে রাখা যায়। বারডেম হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের ল্যাবরেটরি সার্ভিসেসের পরিচালক অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী বলেন, ব্যায়ামের মাধ্যমে আমাদের মন সজীব হয়। যখন আমাদের মন সতেজ থাকে, তখন এমনি এমনিই আমাদের শরীরও ভালো হয়ে যায়। তাই নিরোগ দেহের জন্য সব বয়সী মানুষই যোগব্যায়াম করতে পারে। তা ছাড়া ওষুধের পাশাপাশি যোগব্যায়াম অনুষঙ্গ হিসেবে ভালো কাজে দেয়।

Thursday, July 1, 2010

কাপড়ের দাগ তুলতে

সাবধানেই তো চলাফেরা করা হয়। তবু কোন ফাঁকে যে কাপড়ে দাগ লেগে গেল বুঝতেই পারলেন না। কীভাবে তুলবেন এ দাগ জানেন না। তবে আগে দেখেন, কোন উৎস থেকে দাগ লেগেছে। পরনের পোশাকটি কোন তন্তুর কোন রঙের, সেটাও দেখতে হবে। এরপর বেছে নেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়নশিল্প বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানজিদা হকের দেওয়া টিপস।

ছোটবেলার আচরণ

দেড় বছরের দুরন্ত আইমান। হাতের কাছে যা পায়, তা-ই গালে পুরে ফেলে। বাসায় অনেক মেহমান এসেছে তার জন্মদিনে। সবার আকর্ষণ যখন তাকে ঘিরে, ঠিক তখনই একটা তেলাপোকা ধরে এনে মুখে পুরে দিল। মা-বাবা ছেলের এমন কাণ্ড দেখে হতবাক। বাবা তো মেরেই বসল।

কচুর মজা

বর্ষার শুরু থেকেই বাজারে দেখা যাচ্ছে কচু। কচুর মুখি, শাক—কতভাবেই তো এর স্বাদ নিতে পারেন।
কল্পনা রহমান দিয়েছেন কচুর কয়েক পদ রান্না।

কচুর লতিতে ডালের মাখনি

উপকরণ: কচুর লতি ৫০০ গ্রাম, রসুনকুচি ৪ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, তেল আধাকাপের কম, লেবুর খোসাসহ কুচি ১ টেবিল-চামচ, ডাল খেসারি বা মুগ ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ৫-৬ টুকরা, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো।

সবুজের স্নিগ্ধতায়

‘বর্ষা ঋতু গাছ লাগানোর আদর্শ সময়। এ সময় বৃষ্টি হওয়ায় বাতাসে শুষ্কতার পরিমাণ কমে যায়। আর এতে গাছপালার শেকড় ও ডালপালা মেলতে পারে খুব সহজেই।’ বললেন প্রকৃতিবিদ মোকাররম হোসেন। কিন্তু ইটপাথরের এই শহরে সবুজের দেখা প্রায় মেলে না বললেই চলে। আর চারদিকে আকাশছোঁয়া ঘরবাড়ির ভিড়ে একটু খোলা জায়গাও খুঁজে পাওয়া যেন দুষ্কর। যদি সবুজের স্পর্শ পেতে চায় আপনার মন, তাহলে একমুঠো সবুজের ছোঁয়ায় রাঙিয়ে নিতে পারেন আপনার অন্দর।

বর্ষায় পায়ের যত্ন

বর্ষাকালে ঝুম বৃষ্টিতে ভেজার মজাই আলাদা কিন্তু মজাটা মাটি হয় তখনই, যখন বৃষ্টিতে রাস্তায় জমে থাকা নোংরা পানি পায়ে লেগে একাকার হয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়। এই নোংরা পানি পায়ে লেগে হতে পারে ফুসকুড়ি, চুলকানির মতো নানা ধরনের চর্মরোগ।

পায়ের ক্ষতি
বর্ষা মৌসুমে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে রাস্তায় জমে থাকা পানির সঙ্গে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ মিশে যায়। আর এই পানি পায়ে লেগে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ দেখা দেয়, এমনটাই বলেন ঢাকা হলিফ্যামিলি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ আফজালুল করিম। তাই যত সম্ভব বাইরে থেকে ফিরে পা দুটোকে পরিষ্কার করার পরামর্শ দেন তিনি। বিশেষ করে, গরম পানি দিয়ে পা পরিষ্কার করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

Sunday, June 27, 2010

ঘরে রাখুন কাজে দেবে

বাসায় কোনো কাজ করতে গিয়ে হাত কেটে রক্ত বের হলো, কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পারলে চিকিৎসকের কাছে নিতে দেরি হয়ে মারাত্মক অবস্থা ঘটে যেতে পারে। এমন মুহূর্তে সাহায্যে আসবে প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স বা ফার্স্ট এইড বাক্স। একে অনেকে এমারজেন্সি বক্স হিসেবেও চেনেন।

এই সময়ে শিশুর যত্ন

বাইরে প্রখর রোদ। আবার হঠাৎ ঝমঝম বৃষ্টি। রাস্তাঘাটে হাঁটাচলা করাই কঠিন। ভাপসা গরম। আবহাওয়ার এই বিপরীত আচরণে বড়দের অবস্থাই যেখানে শোচনীয়, সেখানে শিশুদের কথা একবার ভাবুন তো। ওদের কতটা কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে? তাই এ সময়ে নিতে হবে শিশুদের বিশেষ যত্ন। এ সময়ের মিশ্র আবহাওয়ায় শিশুরা কী ধরনের পোশাক পরবে, কোন খাবার খাবে। গরমে চুলের ছাঁটটাও তো কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সন্তানকে নিয়ে এমন চিন্তায় অনেক অভিভাবকই পড়ছেন।

Monday, June 14, 2010

Monday, May 31, 2010

মুরগির নানা রকম

এই সময়ে খিচুড়ি হোক কিংবা সাদা ভাত; মুরগির মাংস সঙ্গে থাকলে তার স্বাদই আলাদা। আবার বিকেলের নাশতায়ও মুরগির পদ দারুণ জমবে। দেখে নিন নাজমা হুদার দেওয়া মুরগির মাংসের কয়েক পদ।

রথ দেখা কলা বেচা

কাল ছুটির দিন। বেড়াতে যাব, তবে ঢাকার আশপাশে। কিন্তু সব পরিচিত জায়গাই ঘুরে দেখা শেষ। এক বন্ধু জানাল, খুব ভোরে বের হলে ঢাকা শহরের কাছেই ডেমরা জামদানির হাট ঘুরে আসা যায়। শাড়ি কেনা হবে, আবার বেড়ানোও হবে। অর্থাৎ রথ দেখা আর কলা বেচা দুটোই। যেই কথা, সেই কাজ। ভোর ছয়টায় স্ত্রীকে নিয়ে রওনা হলাম।
দিনটি ছিল শুক্রবার, ভোরবেলা রাস্তাঘাট ফাঁকা। মোটসাইকেল যেন উড়ে চলছে। মিরপুর থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম ডেমরা ঘাটে। একজন রিকশাচালকের কাছে জানতে চাইলাম, জামদানির হাট কতদূর। উত্তর মিলল, এই তো সামনে, নতুন যে সেতুটি হচ্ছে, এর বাঁ পাশ দিয়ে সামনে নদীর তীর ধরে একটু এগোলেই আহমেদ বাওয়ানী জুট মিল, পরেই বাওয়ানী উচ্চবিদ্যালয়। পাশেই হাট বসেছে শীতলক্ষ্যার তীরে।

নিটোল পায়ে...

পায়ের ওপর ভর দিয়েই আমাদের প্রতি দিনের পথচলা। তাই সারা বছরই দুখানি পায়ের চাই বাড়তি পরিচর্যা।
রূপ বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা বলেন, ‘গ্রীষ্মের শেষের এ সময়টায় প্রকৃতিতে ধুলাবালির যেমন রাজত্ব, তেমনি হঠাৎ আকাশ ভেঙে নামা বৃষ্টির পানি আর কাদারও সমান উৎপাত। তাই এ সময় পা সুন্দর রাখতে কর্মব্যস্ততার ফাঁকে বের করে নিন খানিকটা সময়।

যখন ছুটি হবে

১০ দিন, নয় দিন, আট দিন। দিন গোনা শুরু হয়ে গেছে রিদানের। সামনেই যে আম-কাঁঠালের ছুটি। পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়ার আর তর সইছে না। কিন্তু একটাই সমস্যা। বাবা-মা তো সকালে দুগালে চুমু দিয়ে সারা দিন লক্ষ্মীটি হয়ে থেকো বলেই অফিসে দৌড়। তারপর বিকেল শেষ করে সন্ধ্যায় ফেরা। বাসায় বেশির ভাগ সময় বসে কাটাতে হবে। সারা দিনের সঙ্গী হয় টিভি, নয়তো কম্পিউটার গেমস। এর বাইরে খুব বেশি কিছু করার নেই। কিন্তু তার পরও তো ছুটি বলে কথা! সারাক্ষণ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে কী করা যায় এবারের ছুটিতে?

ভাগ করে নিই কাজগুলো

‘আজকাল অনেক পরিবারেই দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী দুজনই কর্মজীবী। সেই পরিবারে যদি কাজের লোক কয়েক দিন ধরে অনুপস্থিত থাকে, মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে বাড়ির মানুষের। এর সমাধান কিন্তু খুব বেশি কঠিন নয়। পারস্পরিক সহযোগিতায় রচনা করা যায় সুন্দর সুখের নীড়’—বলছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা। সংসার পরিচালনার নানা বিষয়ে পরামর্শ দেন তিনি।

Sunday, May 16, 2010

ছোট সমস্যা ছোট সমাধানঃ

সম্পর্ক এমন এক বিষয় যা তার রূপ পরিবর্তন করে জীবনের পরতে পরতে। অবশ্য এটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘটে মানব সম্পর্কের ক্ষেত্রে। মানুষ মাত্রই পরিবর্তনশীল। আর তাই সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশটা হয় নানাভাবে। জীবনযাপনের বিভিন্ন স্তরে আমরা সম্পর্ক নিয়ে সংকটে পড়ি। একটু গভীর মনোযোগ দিয়ে চিন্তা করলেই বোঝা যায় এর কারণ, বের হয়ে আসে সমাধানের পথ-

আসবাবের যতœ

মানুষ তার মাথা গোজার ঠাঁই হিসেবে যে বাসস্থানের স্বপ্নটি তার মনের মনিকোঠায় লালন করে সেই স্বপ্নটা অনেকাংশেই সুন্দর হয়ে ওঠে একটি সাজানো গোছানো গৃহসজ্জার মাঝে। আর গৃহসজ্জার প্রাণ যে আসবাব বা ‘ফার্নিচার’ সেই আসবাবটি যদি হয় বেমানান তাহলে ঘরের পরিপূর্ণ সজ্জাতেও থেকে যায় অপূর্ণতা। আপনার বাড়ির যেকোনো আসবাবের যতœ যদি সঠিক ভাবে করা যায় তাহলে প্রতি বছর নতুন আসবাব না কিনেও ঘরের সজ্জায় বজায় রাখা যায় একটা নতুন রূপ।

পাঁচ বাটি স্যুপ

মুখরোচক কিংবা উপাদেয় খাবার হিসেবে স্যুপের চাহিদা সবসময়ই বেশি।

সহজ পাচ্য এই খাবারটি সবশ্রেণীর খাদ্যরসিকদের কাছে সমাদৃত। তাই আমাদের এবারের রেসিপি সাজানো হয়েছে ৫ রকমের স্যুপ নিয়ে। রেসিপি দিয়েছেন সাকসেস ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার ও রন্ধন বিশেষজ্ঞ আফরোজা জামান

জুতা ও ব্যাগের যতœ

জুতা আর ব্যাগ, সাজগোজের একান্ত জরুরি অনুষঙ্গ। কীভাবে যতœ নেবেন এই দুই প্রয়োজনীয় জিনিসের, তারই কিছু পরামর্শ নিয়ে আমাদের এই আয়োজন-

জুতা
০০ বাইরে থেকে এসে জুতা সঙ্গে সঙ্গে সু বাক্সে তুলে রাখবেন না, খোলা বাতাসে ১০ মিনিট রাখুন।
০০ একই জুতা রোজ ব্যবহার না করে বিভিন্ন জুতা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরুন। তাতে সব জুতাই ব্যবহার করতে পারবেন।
০০ চাপা জুতার মধ্যে মাঝে মাঝে পাউডার ছড়িয়ে দিন।

স্বপ্ন ছড়ানো লিভিং রুম

জার্মান দার্শনিক ওয়াল্টার বেঞ্জামিনের মত অনুযায়ী, মানুষের প্রাচীনতম পাওয়ার আকাঙক্ষা হল ঝিনুকের খোলার মধ্যে ঢুকে যাওয়ার ইচ্ছে। শুনতে অদ্ভূত লাগলেও এটা সত্যি, মানুষ যখন ইগলুতে বাস করে কিংবা গুহায় কি কুঁড়ে ঘরে বাসস্থান গড়ে, তখন লক্ষ্য থাকে একটাই-নিরাপত্তা, গোপনীয়তা আর কিঞ্চিৎ আরামের আয়োজন করা। মানুষ এমনই জীব, যার সামাজিকতা চাই, বন্ধুত্ব-মেলামেশা, আবার চাই প্রাইভেসিও। এমন ঘর চাই যেখানে প্রচুর বন্ধু আসবে, চলবে আড্ডা, হইচই, হুল্লোড়, খানাপিনা অথবা স্রেফ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বিনোদনে ডুবে থাকা যাবে নিশ্চিন্তে। এর জন্যেই এল লিভিং রুম আইডিয়া। আসলে, পুরনো দিনে যে ঘরটি এমনিতে বন্ধ রাখা হত আর বিয়ে বা পুজো উপলক্ষে খুলে দেওয়া হত বন্ধু বা আত্মীয়ের জন্যে, সেটিই আজকের লিভিংরুম। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, ব্যস্ততম দ্রুতগতির জীবন ‘ওপেন প্ল্যান লিভিং কনসেপ্ট’-এর জন্ম দিয়েছে। বাড়ির বিভিন্ন ঘর যে অংশটিতে এসে মিলে যাচ্ছে, যুক্ত হচ্ছে, তাকেই বলা হচ্ছে লিভিং।

জিমে যেতে হলে

আধুনিক লাইফস্টাইলের দুরন্ত গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে সকলেই আজ স্বাস্থ্য সচেতন। প্রপার ডায়েটের সঙ্গে নিয়মিত মর্নিংওয়াক, এক্সারসাইজ, জিম সবকিছুই আমাদের দৈনন্দিন রুটিনে জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিটি জায়গারই নিজস্ব চরিত্র অনুযায়ী গড়ে ওঠে নির্দিষ্ট রীতিনীতি, সহবত। তাই যখন জিমে যাবেন, ওয়ার্কআউটের পাশাপাশি সেখানকার নিয়মকানুন, আচরণবিধি সম্পর্কে সচেতন থাকা আপনার কর্তব্য। মেনে চলুন জিম ম্যানার্স।

কখন, কী ও কতটা

প্রাপ্ত বয়স্ক যে কোন ব্যক্তির জন্যই রুটিন মেনে খাওয়াটা খুব জরুরী। সকাল, দুপুর, বিকেল ও সন্ধ্যা এ তিনবেলা কী খাবেন ও কী পরিমানে খাবেন তাই জানিয়ে দেয়া হল।
সকাল
সকাল ৭টা ৩০ চা এক কাপ (দুধ ও চিনিযুক্ত); বিস্কিট- ২টি (যে কোন ধরনের বিস্কিটই খাওয়া যাবে তবে ক্রিমযুক্ত বিস্কিট খাওয়া যাবে না)।

সকাল ৯টা ৩০
পাউরুটি ২-৩ পিস ( অল্প ১ চামচ মাখন দিয়ে); ফল ১টি (যে কোন মৌসুমী ফল); ডিম ১টি (৪৫ বছরের পর সপ্তাহে ২ টির বেশী নয়)।

রান্নাঘরে সময় বাঁচান

মেয়েদের জীবন কাটে রান্না ঘরে। এই কথাটার কিন্তু যথেষ্ট যুক্তি আছে। কারণ রান্না খাওয়ার ঝামেলা নিয়ে সারাটা দিন তাদের হাড়ির পেছনে থাকতে হয়। তাই অন্যদিকে নজর দেয়ার সময় হয় না। তবে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করলে অনেকটা সময় বাঁচিয়ে নেয়া যায়। সেই বুদ্ধিটা জেনে নিন এবার-

কাপড় পরিস্কার

ময়লা কাপড় ধোয়ার অভিজ্ঞতা কম-বেশি সবারই আছে। তবে কাপড়ের ধরন বুঝে কাপড় সাফাই করার নিয়মাবলী সম্পর্কে আমরা অনেকে অজ্ঞ। চলুন এবার জেনে নেই কিভাবে কাপড়ের ধরন বুঝে কাপড় ধোবেন।

বিষাদ বিদায় শেষে

জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে আমরা যে কেউ ডিপ্রেশনে বা হতাশায় ভুগতে পারি। ডিপ্রেশন বা হতাশা কোন স্থায়ী রোগ নয়। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ডিপ্রেশনকে রোগ বলে গন্য করা হয়। কোনো কারণে দুঃখকষ্ট যখন আমাদের মনে গভীরভাবে বসে যায়, তার ফলে আমরা যখন আমাদের স্বাভাবিক কাজগুলো করতে পারি না তখনই ডিপ্রেশনের উদ্ভব হয়। দিনে দিনে এই ডিপ্রেশন ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন বা ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার-এ রূপ নেয়। এর পরিণতি খুব ভাল নয়, তা আমাদের জানা। তাই ডিপ্রেশন উড়িয়ে দিয়ে কিভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় তার কিছু টিপ্স জেনে নেয়া যাক-

চোখের দৃষ্টি ঠোঁটের জাদু

মুখমন্ডলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি অংশ হচ্ছে চোখ ও ঠোঁট। মেকআপের সময় এ দুটি অংশের দিকেই বেশি দৃষ্টি দিতে হয়। তাই নিয়ে এবারের আয়োজন

চোখের জন্য
চোখ ছোট হলে

০০ চোখের পাতার কোনার দিকে মিডিয়াম টোনের আইশ্যাডো ব্যবহার করুন।
০০ চোখের পাতার দিকে হালকা রঙের শ্যাডো লাগান।

 ত্বক থাক সুস্থ

গ্রীষ্মকালটা অনেকের একদমই পছন্দ নয়। গরমে ঘাম, ঘামাচি, রোদে পোড়া কালচে দাগ, ব্রণ, অ্যালার্জি যেন পাল্লা দিয়ে হামলা করে। একে তো বাইরে প্রখর রোদ, ঘরেও নেই শান্তি; সেখানেও লোডশেডিং-অত্যাচার। গরমে যাঁরা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের সমাধান নিয়ে বলেছেন হলিফ্যামিলি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ সৈয়দ আফজালুল করিম ও রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।

 ঝকঝকে স্নানঘর

দৈনন্দিন ব্যবহারের ফলে অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে স্নানঘর। এতে ঘরের সৌন্দর্য তো নষ্ট হয়ই, নানা রোগজীবাণুও সৃষ্টি হয়। তাই কীভাবে স্নানঘর ঝকঝকে রাখবেন, সে বিষয়ে জানালেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি মহাবিদ্যালয়ের গৃহ-ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিনা আখতার।

 নানা স্বাদের আচার


নানা রকম মৌসুমি ফল পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এসব দিয়ে আচার বানানোর এখনই সময়। প্রাণ-প্রথম আলো জাতীয় আচার প্রতিযোগিতা ২০০৯-এ ‘বর্ষসেরা আচার’ পুরস্কার জিতেছেন গওহর আফজা। তাঁর বানানো কয়েক স্বাদের আচার তৈরির প্রণালি দেওয়া হলো

গরমেও নষ্ট হবে না খাবার

এই গরমে খাবার ভালো রাখাটা বেশ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে একে তো ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে রেফ্রিজারেটর ভালো কাজ করছে না, তার ওপর প্রচণ্ড গরম খাবার নষ্ট হওয়ার এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অনেককেই তাই এই গরমে কাঁচা সবজি, মাছ, মাংস ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করার নানা টিপস দিয়েছেন রান্না ও পুষ্টিবিদ সিদ্দিকা কবীর

 এবার পাঁচ মিশালি মাছ

সাদা ভাতের সঙ্গে পাঁচমিশালি মাছ? জিভে তো জল আসবেই, তাই না? দেখে নিন শাহানা পারভীনের দেওয়া পাঁচমিশালি মাছের কয়েক পদ

ছোট মাছের ঝাল পাতোড়া
উপকরণ: ছোট মাছ ৩০০ গ্রাম (কেটে ও ধুয়ে রাখা), পেঁয়াজ কুচি (একটু মোটা) এক কাপ, কাঁচামরিচ আট-১০টি, রসুন সাত-আট কোয়া, হলুদ সামান্য, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: কাঁচামরিচ ও রসুন একসঙ্গে তাওয়ায় টেলে নিয়ে বেটে নিতে হবে। এবার ওপরের সব উপকরণ দিয়ে একসঙ্গে মাছ হালকা হাতে মেখে সিকি কাপ পানি দিয়ে মৃদু আঁচে কলাপাতা অথবা কাড়াইয়ে বসিয়ে দেওয়া যায়। মাছ পোড়া পোড়া হলে নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

 আশা-ভরসায় পরিবার

পাড়ার বখাটে ছেলের বাজে কথার প্রতিবাদ করেছিল কিশোরীটি। জবাবে আরও বাজে কথা আর চড় খেতে হলো সেই ছেলের কাছে। দুঃখী, অভিমানী কিশোরীটি একটু ভরসা করার, কাঁধে মাথা রেখে একটু কাঁদার মতো কাউকে পায়নি। ছেলেটার ওপর না যত, তার চেয়ে বেশি হয়তো গোটা পৃথিবীর ওপর অভিমানে বিষ খেয়ে, তাজা জীবনটার ইতি ঘটিয়ে দিল সে। পাঠক, এ গল্প তো আপনি হামেশা পড়ছেন পত্রিকায়।
ফলোআপ নিউজে পড়ছেন সেই বখাটে কিশোর কেমন ছিল, ভালো মা-বাবার সন্তান হয়েও যে কিনা লেখাপড়া ছেড়ে বখাটে হয়েছে, হয়তো নাম লিখিয়েছে মাদকগ্রহণকারীদের দলেও। কিন্তু আমরা কি ভেবে দেখেছি সমাজে কেন সৃষ্টি হচ্ছে বখাটে, মাদকাসক্ত, সন্ত্রাসী বা নারীর উত্ত্যক্তকারী? কেন তাদের উৎপাত সইতে না পেরে আত্মঘাতীহচ্ছে প্রাণোচ্ছল কিশোরী?

Wednesday, May 5, 2010

মা-মেয়ের বন্ধুতা

আধো আধো বুলি। ছোট ছোট পা। ঘরময় বিচরণ ছোট্ট মেয়েটির। পুতুল আর রান্নাবান্নার খেলা পাশ কাটিয়ে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। দুরন্ত শৈশব কাটিয়ে পা দেয় কৈশোরে। হতে থাকে তার শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন। চারপাশের জগৎটাকে অনেক বড় লাগে মেয়েটির। চিন্তাভাবনা, ধ্যান-ধারণায় আসে নতুনত্ব। তখন হঠাৎই নিজের কিশোরী মেয়েটিকে অচেনা লাগে মায়ের। এই কী আমার সেই মেয়ে! অভিভাবকেরা এ পরিবর্তন মেনে নিতে পারেন না। ইঁচড়েপাকা মনে করে অনেক ক্ষেত্রেই। মেয়েটিও তার মনের কথা কাউকে খুলে বলতে পারে না। দ্বিধাদ্বন্দ্বের ভেতরে সে আশ্রয় খুঁজে নেয় পরিবারের বাইরে। হয়ে পড়ে মোহগ্রস্ত। অনেকেই তখন ভুল করে। বিপদে জড়িয়ে পড়ে নিজের অজান্তেই।

Sunday, May 2, 2010

 মোরা যাত্রী একই তরণীর

সাদিয়া আহমেদ পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে কাজ করতেন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায়। কাজের পরিবেশটা ছিল চমৎকার। পড়াশোনার সঙ্গে মিলিয়ে কাজ করার জন্য সম্প্রতি সাদিয়া যোগ দিয়েছেন একটি বহুজাতিক সংস্থায়। নতুন চাকরির জায়গায় সবার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলা, মাপা হাসি, কাজের ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রমাণ রাখা এবং সর্বোপরি সময়ের বাইরে আর এক সেকেন্ডও অফিসে নয়—এ বিষয়গুলো নিয়ে তিনি বেশ মুষড়ে পড়েছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে একটু একটু করে যেন সাদিয়া নিজেকে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন। এখন তিনি বুঝে গেছেন, এসব করপোরেট অফিসে আচার-আচরণের ক্ষেত্রে যে অলিখিত বিধি-বিধান আছে, সেগুলো যথাযথভাবে মেনে চলতে পারলেই সব ঠিকঠাক

নিজেই করুন নিজের সাজ

ব্যস্ততা এখন সবারই, দাওয়াতের আগে পারলারে গিয়ে সাজা সব সময় হয় না। বাসায় বেইস মেকআপ করার সহজ পদ্ধতি জানাচ্ছেন কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান।
১. মুখ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা তুলার সাহায্যে টোনার লাগান। না হলে ওয়াটার-বেইসড অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা ময়েশ্চারাইজার লাগান। এরপর পাঁচ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

Thursday, April 15, 2010

ত্বকের সৌন্দর্যে ফেস স্ক্রাবঃ

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য মানুষ চেষ্টা করছে আদিকাল থেকে। ত্বক সুন্দর রাখার প্রথম শর্ত হল প্রথমেই তাকে ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ত্বকে অনবরত জমা হচ্ছে মৃত কোষ। আর এই মৃত কোষ গুলোকে পরিষ্কার করার জন্য দরকার স্ক্রাব; অর্থাৎ ফেস স্ক্রাব। ফেস স্ক্রাবের ব্যবহার নতুন কোন বিষয় নয়। প্রাচীনকালে নাকি স্ক্রাব হিসেবে চিনি ব্যবহার করা হত। এমনকি তার আগেও ব্যবহৃত হত পেঁপের তৈরি স্ক্রাব। সহজ কথায়, ছোট ছোট দানাদার কোন পেষ্ট দিয়ে ঘষে ত্বকের মৃত দেহকোষ ওঠানো কোনও নতুন কিছু নয়। যদি স্ক্রাব কি তা আপনার অজানা থাকে তবে বুঝে নিতেই হবে রূপচর্চার মূল বিষয়গুলোই আপনি জানেন না।

রোদের সঙ্গে দেখা

তপ্ত রোদ এসে পড়েছে শহরের গায়ে। তাপের ঝাঁঝে যেন নগরী স্থবির হবার দশা। সূর্যের এ তিরিক্ষি মেজাজ এর সঙ্গে কিছুতেই যেন তাল মেলাতে পারছে না নগর জীবন। গ্রীষ্মের দাবদাহে অতিষ্ট নগর বাসী খুঁজে ফিরছেন তাই শীতলতার পরশ। যদিও খাঁ-খাঁ রৌদ্দুরে শীতলতা খোঁজা নেহাৎ মরিচীকার পেছনে ছুটে চলা ছাড়া কিছুই না। তবুও রোদের চোখ রাঙানোর হাত থেকে মুক্তি পেতে সবাই খুঁজছেন নানা উপায়।

Friday, April 2, 2010

ঘরের ভেতর রঙ

রঙ জীবনের স্বপ্ন দেখায়। জীবন যেখানে থেমে যায় রঙ সেখান থেকেই নতুন করে পথ চলা শুরু করে। তাই ঘরের ভেতর স্বপ্ন আঁকতে হলে প্রয়োজন রঙের যথার্থ ব্যবহার। আপনার ঘরের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে হলে রঙের সাহায্য নিতে হবে কৌশলে। আমরা অনেক সময় জীবনকে কল্পনা করি রঙের বাইরে। সেই কল্পনা কখনো বাস্তব রূপ পায় না রঙ সাহায্যকারী না হলে। ঘরের ভেতর প্রতিদিন যে জীবন সেই জীবনে রঙ তাই স্পর্শের বাইর কিছু নয়। যেখানে যাবেন যা দেখবেন সর্বত্রই আছে রঙের বাহার। পৃথিবীতে এমন কোন জায়গা নেই যেখানে রঙ নেই। মনে রাখতে হবে যেখানে রঙের অভাব সেখানেও সৃষ্টি হয় একটি রঙ যাকে আমরা কালো বলি। ঘর সাজাতেও রঙের ব্যবহার বিশ্বজুড়ে। তবে ঋতু বৈচিত্র্যের এ দেশে আমরা গ্রীষ্ম প্রধান বলে বেশিরভাগ সময় ঠাণ্ডা রং পছন্দ করি। জাতিগতভাবে আমাদের ভিতরে রঙের প্রভাব সবসময় কাজ করে না। তাই ঘরের ভেতর খুব বেশি রঙের ব্যবহার আমাদের ঐতিহ্যে নেই। তবে এখন আমরা যত বেশি ইন্টেরিয়র সচেতন হচ্ছি ততবেশি রঙের ব্যবহার বাড়ছে। ঘর সাজাতে হালকা রঙের ব্যবহার স্বীকৃত হলেও উজ্জ্বল রঙ যে ব্যবহার করা যাবে না তা কিন্তু নয়। টিভি নাটক কিংবা সিরিয়াল দেখে আমাদের কল্পনা শক্তিতে ঘরের ভেতর এখন লাল, কমলা, নীল, সবুজ ইত্যাদি নানা উজ্জ্বল রঙ স্থান করে নিয়েছে। শুধু দেয়ালের রঙে নয় বরং নতুন নতুন ফ্যাব্রিক বাজারে আসছে চোখধাঁধানো রঙের বাহার নিয়ে। ইন্টেরিয়রে কোন রঙ ব্যবহার করবেন এবং কেন করবেন তা নিয়ে আসুন খানিকটা ভেবে দেখি।

মেদ ঝড়ানোর ৭টি টিপস

সুঠাম দেহ এবং সুন্দর স্বাস্থ্য কে না চায়! শরীরের বাড়তি মেদের জঞ্জাল সড়িয়ে ফেলে নিজেকে ঝড়ঝড়ে চটপটে করে তোলার আগ্রহ অনেকের মনে লুকিয়ে থাকলেও প্রায়শই তা হয়ে ওঠে না। আবার অনেকের কাছে মেদ ঝড়ানোটা একটা কঠিন কর্ম বলে মনে হয়। কেউ কেউ ভুল পদ্ধতিরও আশ্রয় নেন। অথচ মেদ ঝড়িয়ে ফেলাটা মোটেই কঠিন নয়। আপনাদের জন্য রইল মেদ ঝড়ানোর সাতটি বটিকা। চলুন শরীরের বাড়তি মেদ ঝড়িয়ে ফেলি।

পোশাকে যখন স্লিম

০ সব সময় মনে রাখবেন লম্বালম্বি স্ট্রাইপ দেয়া পোশাক পরলে স্লিম দেখায়। তাই লম্বালম্বি স্ট্রাইপ দেয়া পোশাক পরিধান করুন।

০ তির্যক স্ট্রাইপ দেয়া শর্টস ব্যবহার করুন।

০ প্রিন্সেস লাইন দেয়া পোশাক পরিধান করুন।

০ যদি স্কার্ফ ব্যবহার করেন তবে ‘ভি’ বা ‘ওয়াই’ শেপ করে ব্যবহার করুন।

পায়ের সাজ

পায়ের ওপর ভর দিয়েই তো জীবন চলা। তাই পায়ের ঠিকঠাক যত্ন নেওয়া উচিত সব বয়সের সবারই। বলা হয়ে থাকে, একজনের পায়ের দিকে তাকালেই তার রুচি সম্পর্কে অনুমান করা যায়। তাই পা রাখতে হবে সুন্দর। এ জন্য যে খুব বেশি সময় খরচ করতে হবে তা কিন্তু নয়। বরং নিজের জন্য সপ্তাহের কিছুটা সময় বরাদ্দ করে নিন। আর সেই সময়ের খানিকটা খরচ করুন পায়ের পেছনে। টুকটাক যত্ন নিয়ে খানিকটা সাজিয়ে রাখুন আপনার পদযুগল। দেখুন না নিজের কাছেও কেমন ভালে লাগে।

 রূপসজ্জার নানা উপকরণ

শুধু সাজসজ্জার জন্যই প্রসাধনসামগ্রী নয়, নিজেকে নিখুঁতভাবে উপস্থাপনেও এর জুড়ি নেই। কিন্তু এসব মেকআপ উপকরণের যত্ন নেওয়ার পদ্ধতি অনেকেই জানেন না। ফলে দেখা যায় নানা অসতর্কতায় ত্বকে যেকোনো ইনফেকশন হতে পারে—জানালেন হারমোনি স্পার রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। এবারের নকশায় এসব উপকরণের যত্নআত্তির নানা টিপস তিনি দিচ্ছেন।

 নতুন বাবার জন্য...

উত্কণ্ঠা, উত্তেজনা, অজানা শিহরণ। প্রথম কোনো কিছু পাওয়ার অনুভূতিই এমন। আর এ আনন্দ চূড়ান্ত পর্যায়ের হয়, যখন প্রথম সন্তান জন্ম নেয়। মায়ের ভেতর ধীরে ধীরে নতুন প্রাণটি বড় হতে থাকে। সখ্যও হয়। মায়ের অনুভূতিটা বিশেষ ধরনের। যে কারণে সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে তাঁর দায়িত্বটাও বেশি হয়। কিন্তু তাই বলে কি বাবারা পিছিয়ে থাকবেন। নতুন অতিথির জন্য তাঁকে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়। তাঁর ওপর দুজনের দায়িত্ব। মা ও সন্তানের দেখভাল যে তাঁকেই করতে হবে। সন্তানকে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্বটা কাঁধে এসে পড়ে। কিন্তু প্রথমবারের মতো যাঁরা বাবা হবেন, তাঁদের জন্য রইল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শিশুবিশেষজ্ঞ মাহবুব মোতানাব্বির পরামর্শ। ‘বাবার দায়িত্বটা শুরু হয় সন্তান জন্মের আগেই।

 যত্নে থাকুক মাইক্রোওয়েভ ওভেন

জীবনযাপনের কাজে ব্যবহূত বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মধ্যে যেসব যন্ত্রের নাম আসে এর মধ্যে মাইক্রোওয়েভ ওভেন অন্যতম। খাবার গরম করার কাজে এর তুলনা হয় না। সঙ্গে মজার খাবার তৈরির কাজও রয়েছে। এই বৈদ্যুতিক যন্ত্রটি ব্যবহার করতে হয় অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে। এ ছাড়া যত্ন নিতে হয় সব সময়। কিন্তু অনেকেই মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সঠিক যত্ন কীভাবে নিতে হয়, তা জানেন না। ফলে যন্ত্রে ত্রুটি দেখা যায়। অনেক সময় স্থায়ীভাবে বিকলও হয়ে যেতে পারে দরকারি এ যন্ত্রটি। এই প্রতিবেদনে থাকছে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের যত্নের নানা দিক।

টিপ দিয়ে যা...

টিপ, কপালে একটুখানি রঙের ছটা। বাঙালি নারীর সাজের অনুষঙ্গ। কখনো উৎসবে, কখনো মনের আনন্দ প্রকাশে, কখনো বা চাহনিতে টিপ আভিজাত্য ফুটিয়ে তোলে। টিপ পরার ক্ষেত্রে কাজ করে একেকজনের একেক দৃষ্টিভঙ্গি। মনের ভেতর যে ভাবনার প্রতিফলনই কাজ করুক না কেন, সাধারণ একটি টিপেই চেহারায় চলে আসে অসাধারণ লুক। এই একটুখানি রঙিন আভা সাজে নিয়ে আসে পরিপূর্ণতা।

Friday, March 26, 2010

হিট স্ট্রোক ও গরমকালের নানা সমস্যা

চারদিকে ভীষণ গরম, মনে হয় বিন্দু বিন্দু জলকণার উপস্থিতি প্রাণে স্বস্তি ফিরিয়ে দিত একটু হলেও। মাঝে মাঝে তাপমাত্রা চলে যায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এমন অবস্থায় আর্দ্রতার মাত্রা হয় ৮৫%। এই দুর্বিষহ গরমে কার ইচ্ছা করে বাইতে যেতে! কিন্তু কী আর করা, এই প্রখর রোদে কাজের তাগিদে ঘরের বাইরে তো যেতেই হয়। হিট স্ট্রোকের মতো বিপদজনক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই গরমে। বিপদ থেকে রেহাই পেতে কিছু জরুরি সতর্কতা মেনে চলতে হয়। তাই হিট স্ট্রোক সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন-

হালকা পাতলা সৌন্দর্য সমাধান

পরিচিত কয়েকটা সমস্যা প্রায়শই আমাদের সৌন্দর্যকে পিছিয়ে রাখে। ব্রণ, সানস্পট, ব্ল্যাকহেড্স, বলিরেখা, ডার্ক সার্কেল, স্কিন র‌্যাশ, নিস্তেজ চুল, পাফি আইজ নামক ছোটখাটো সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়। তবে কিছু সহজ সমাধান জানা থাকলে এসব সমস্যা কোনো ব্যাপারই না। জেনে নিন সৌন্দর্য রক্ষার সঠিক সমাধান-

সমুদ্রে ভোজনবিলাস

কক্সবাজারের সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত তো অনেক দেখা হয়েছে। কখনো কি গভীর সমুদ্রের মাঝ থেকে দেখা হয়েছে এসব দৃশ্য? এখন এ সুযোগ করে দিয়েছে ‘কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন’ নামের এক প্রমোদতরী। কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য এটি নতুন সংযোজন। ১৩ ফেব্রুয়ারি এই কেয়ারি ক্রুজের উদ্বোধন করা হয়। প্রতিদিন সকাল ১০টায় শহরের বাঁকখালী
নদীর মোহনা অর্থাৎ নুনিয়াছটা বিআইডব্লিউটিএর জেটিঘাট থেকে জাহাজটি সাগরের উদ্দেশে ছুটে
চলে। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে সাগরে একাধিকবার প্রমোদ ভ্রমণ।

ছোট্টজনের বাঁধাছাঁদা

সংসারে যে মানুষটি সবচেয়ে ছোট, তারই জিনিসপত্তর কিন্তু সবচেয়ে বেশি। দুধের কৌটা, দুধের বোতল, খুদে বাটি-চামচ, দোলনা, তুলতুলে যত তোয়ালে, কতই না নরমসরম ছোট্ট জামাকাপড়, ঝুনঝুনি আর অন্তত শ-খানেক মন ভোলানো খেলনা—গুনতে গেলে শিশুর ব্যবহার্য জিনিসের ইয়ত্তা নেই। ঘরে না হয় আপনার হাতের কাছেই ইতিউতি থাকে সবকিছুই। তবে শিশুকে নিয়ে কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার প্রয়োজন হলে এত রাজ্যের জিনিস কি আর সঙ্গে নেওয়া যায়? আর শুধু ব্যবহার্য সামগ্রী নিলেই তো চলে না, ভ্রমণকালে শিশুর সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে নানা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে তবেই বেরোতে হয়। তাই ভ্রমণের আগে আপনার জন্য যেমন ব্যাগ গোছাতে হয়, শিশুর জন্যও চাই তেমন আলাদা গোছগাছ।

বদলে ফেলুন ত্রুটিপূর্ণ অভ্যাস

অফিসে ঢুকতে প্রায়ই পাঁচ-দশ মিনিট দেরি করা, কারও সঙ্গে দেখা করার কথা থাকলে সময়মতো না পৌঁছানো, কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে তৈরি হতে বেশি সময় নিয়ে ফেলা এবং দেরি করে উপস্থিত হওয়া। এসব ঘটনা তো সব সময়ই ঘটে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো সাধারণ ত্রুটি মনে হলেও যেকোনো সময় এ জন্য বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ঘড়ির কাঁটা ধরে চলার অভ্যাস গড়ে তোলা তাই গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ অভ্যাস বর্জন করে সুন্দর অভ্যাসের চর্চা করার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন করপোরেট কোচের মুখ্য পরামর্শক যীশু তরফদার।

রূপচর্চায় আয়ুর্বেদ

গৃহিণী কিংবা কর্মজীবী নারী, নিজ নিজ ক্ষেত্রে দম ফেলার ফুরসত নেই এখন কারও। ফল স্নায়ুর ওপর চাপ এবং ক্লান্তিকর জীবন। এ ধকলটুকু কাটাতে দরকার একটু বাড়তি যত্ন, বিশ্রাম। আয়ুর্বেদ-পদ্ধতি ব্যবহারেও স্নায়ুচাপ কমিয়ে শারীরিক সুস্থতা আনা যায়। সঙ্গে পাওয়া যাবে পরিপূর্ণ সৌন্দর্যও।

Wednesday, March 17, 2010

সবজির কারুকাজ

খাবার যেমনি হোক না কেন তার প্রেজেন্টেশনটা কিন্তু জম্পেশ না হলেও ডাইনিং কখনোই জমে উঠবে না। উন্নত বিশ্বে ফুড গার্নিশিং-এর জন্য নানান ধরনের আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। আমাদের দেশেও এই ফুড গার্নিশিংও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। খাবারের রনন্ধনশৈলীর সাথে এর উপসস্থাপনাও যে জরুরি তা আমাদের দেশের রাধুনীরাও অনুধাবন করছেন। এ সপ্তাহের কড়চা’য় থাকছে সবজি দিয়ে খাবার সাজানোর কিছু কৌশল। পরিবেশনের এই কৌশলগুলো দিয়েছেন সাকসেস ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার আফরোজা জামান আর ছবি তুলেছেন জিয়াউদ্দিন আলম

সন্দেহকে নকআউট

একটি রোগ আছে যে রোগটির সৃষ্টি ও বিস্তার উভয়ই ঘটে মনের ভিতর অর্থাৎ এটি একটি মানসিক রোগ। এ রোগটিকে নীরব ঘাতক বললে অত্যুক্তি করা হবে না। কারণ রোগটির মাত্রা একজন ব্যক্তির ভেতর যখন খুব বেশি পরিমাণে দেখা দেয় তখন তা ধ্বংস করে দিতে পারে ব্যক্তি এবং তার চারপাশের সম্পর্ককে। রোগটির নাম ‘সন্দেহ’। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছেন এরকম মানুষ খুঁজতে গেলে কিন্তু কম পাওয়া যাবে না। তাই আমাদের এবারের মন মন্দিরে উঠে এসেছে মানসিক এ রোগটিকে নিয়ে নানা কথা।

দেশি সাজে খাবার টেবিল

পড়ন্ত দুপুরে মাটির সানকিতে ভাত, ভর্তা, সবজি, মাছ, সাজিয়ে আঁচলে ঢেকে বধূ চলেছেন খেতের আল ধরে। তাঁকে দূর থেকে দেখে গরু নিয়ে হাঁট্ হাঁট্ করতে থাকা কিষানের মুখে ফুটে উঠল হাসি। এগিয়ে এল বধূটির পানে। গাছের ছায়ায় বসে আঁচলে সানকি পেতে বধূ ভাত সাজিয়ে দিল কিষানের সামনে। মাটির সানকিতে পরিবেশন করা ভাত যেন কিষানের কাছে অমৃত... গ্রামীণ এ চিরাচরিত দৃশ্য সবারই জানা। নাগরিকজীবনে অভ্যস্ত আমরা চাইলেই কিন্তু দেশীয় এ রূপটিকে ফুটিয়ে তুলতে পারি আমাদের খাবারের টেবিলে। মুখে যা-ই বলি না কেন, মনে প্রাণে তো আমরা সবাই মাছে-ভাতে বাঙালি, তাই না?
আপনার নিত্যদিনের পরিচিত খাবারের টেবিলটা বদলে ফেলুন, সাজিয়ে তুলুন দেশে তৈরি তৈজসপত্রে। চমকে দিন আপনার পরিবারের সবাইকে, একদিন সকালে নাশতার টেবিলে অথবা দুপুরের আহারে।

 শাসন করুন, মারবেন না

ছেলেবেলায় দু-চারটা চড়, উত্তমমধ্যম খাননি এমন মানুষ মেলা ভার। অনেক অভিভাবকই মনে করেন, শাসন মানেই হলো মারা। তা না হলে যে সন্তানকে সঠিকভাবে মানুষ করা যাবে না। এমন ধারণা এখনো অভিভাবকদের মধ্যে রয়েছে। এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে এমন মানসিকতা থাকা খুবই ক্ষতিকর। শাসন অবশ্যই করতে হবে। তবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে নয়। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে শাসনের এই প্রচলিত ধারায় পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তাহলেই সন্তানের সুস্থ বিকাশ সম্ভব—এমনটাই মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দিলরুবা আফরোজ।

ঝকঝকে ঘরের দেয়াল

যেকোনো আবাসিক ইমারতকে প্রাণবন্ত করে তোলে ঝকঝকে রঙিন দেয়াল। ইমারতের দেয়ালটি যদি হয়ে পড়ে বিবর্ণ ও রংহীন, তবে তা পুরো স্থাপনার সৌন্দর্যকেই নষ্ট করে দেয়। সে জন্য ঘরের দেয়ালের পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

জগিংয়ের টুকিটাকি

নিয়মিত শরীরচর্চার সময় করে উঠতে পারেন, এমন মানুষ এখন কম। তবে রোজ একটু সময় করে হাঁটাহাঁটি বা জগিং করাটা নিশ্চয়ই খুব কঠিন কোনো ব্যাপার নয়। এতে স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে, তেমনি সময়ও বেশি লাগবে না।

চার বল

আড্ডায় কথার তুবড়ি ছুটবে। সেই সঙ্গে পেটে চালান হবে মজার সব খাবার। বল আকারের খাবারগুলো তো এজন্যই চাই। হাতে নিয়ে টপাটপ মুখে পুরে দিলেই হলো। দেখে নিন শাহানা পারভিনের দেওয়া চার রকম বল।

সবজির বল
উপকরণ: সেদ্ধ আলু (পেষা) ২ টেবিল চামচ, কাঁচাকলা সেদ্ধ ২ টেবিল চামচ, গাজর মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ, মাশরুম কুচি (ভাপ দেওয়া) ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ মিহি কুচি ১ কাপ, কাঁচামরিচ মিহি কুচি ২টি, আদা কুচি আধা চা চামচ, ময়দা বা সুজি ১ কাপ, ডিম ১টি, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য, পানি প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: সব সবজি, ডিম, লবণ, ময়দা ও প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে মেখে মণ্ড তৈরি করুন। কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে মণ্ড থেকে তৈরি বল আকারে গড়ে সোনালি করে ভেজে তুলুন।

 নখ রাঙানোর নতুন চল

ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে নখ রাঙানোর প্রতি মেয়েদের বরাবরই একটা বিশেষ দুর্বলতা আছে। নিজের নখগুলো রাঙিয়ে সবার কাছে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে মেয়েরা ভীষণ পছন্দ করে; আবার পাশেই কোনো মেয়ের নেইলপলিশটি আড়চোখে দেখে নিয়ে রংটা কেমন লাগছে, তা মনে মনে যাচাই করে নিতে একদণ্ড দেরি হয় না কোনো মেয়েরই। নখ রাঙানোর এ ফ্যাশন-চাহিদার জোগান দিতে কত রঙেরই না নেইলপলিশের আবির্ভাব—যার চল আবার সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনশীল।
চলতি ফ্যাশনে নেইলপলিশের রঙে এসেছে নতুনত্ব। যেমন, কালো রঙের নেইলপলিশ অনেকেরই নখে লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রচলিত রংগুলোর বাইরে এ নতুন ধারা প্রসঙ্গে বিউটি স্যালন রেডের কর্ণধার আফরোজা কামাল বলেন, ‘ট্রান্সপারেন্ট অর্থাত্ স্বচ্ছ নেইলপলিশ, ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরের মতো হালকা রঙের পর এখন গাঢ় রঙের চল হয়েছে নেইলপলিশে। কালো, সবুজ, নীল, মরিচ লালের মতো চোখটানা রংগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তবে সব বয়সী নয়, দেখার মতো এ রংগুলোর সমাদর টিনএজার আর ফ্যাশন-সচেতন তরুণীদের কাছেই বেশি। আবার মডেলরা বা যাঁরা কমবেশি ফ্যাশন দুনিয়ায় সম্পৃক্ত আছেন, তাঁদের নখে দেখা যাচ্ছে এসব রং।’

কেশকাঁটা

বাঁধনে চুল বাঁধার ফ্যাশন এখন চলছে বেশ। গরমে লম্বা চুলগুলো খুলে না রেখে তরুণীরা আজকাল তা বেঁধে রাখছেন খোঁপায়। আর সে খোপার শোভা বাড়াতে তাতে গুঁজে দিচ্ছেন বাহারি সব কাঁটা।

ক্যালেন্ডারে বসন্তকাল চললেও গরম পড়েছে ভালোই। এ সময়ে পিঠ-ছাপানো চুলের জন্য গরমও বেশিই অনভূত হয়। তাই মেয়েরা এখন চুলগুলো বেঁধে ফেলছে খোঁপার বাঁধনে। আর সেই খোঁপাও একহারা গড়নের হাতখোঁপা নয়, বরং খানিকটা স্টাইলিশভাবে কাঁটা দিয়ে বাঁধা। যে যাঁর মনের মতো করে ব্যবহার করছেন এসব কাঁটা। মায়ের খোঁপায় রুপোর কাঁটা এমনটা দেখে বড় হলেও এখনকার মেয়েদের সে রকম খোঁপা বেঁধে আবার কাঁটা পরার সময় কই? তাই তো এখন চুলের কাঁটায় রুপার বদলে এসে হাজির হয়েছে হাজারটা উপকরণ।

Wednesday, March 10, 2010

কাঠের আসবাবের যতœ

ঘর মানে শান্তি, স্বস্তি আর একগাদা স্বপ্ন। ঘরকে স্বপ্নীল ভাষায় প্রকাশের প্রথম শব্দ সেই ঘরের আসবাব। একটি ঘরে প্রবেশ মাত্র সে ঘরের আসবাবের দিকে নজর পড়ে। তাই আসবাপত্র জোগাড় করলেই হবে না, পাশাপাশি প্রয়োজন এর সঠিক যতœ।

ওবেসিটি এড়াতে

আধুনিক জীবনযাত্রার নানা কুপ্রভাবে জন্ম নেয় শরীরের অত্যধিক ওজনের সমস্যা। অতিমাত্রায় জাঙ্কফুড খাওয়া আর প্রয়োজনীয় এক্সারসাইজের অভাব ধীরে ধীরে ঠেলে দেয় ওবেসিটির দিকে। কিন্তু নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজন সচেতনতা এবং হাতে খানিকটা সময়। ওবেসিটি এখন পৃথিবী জুড়ে এক মারাত্মক অসুখ হিসেবে স্বীকৃত। তাই সব বয়সের মানুষকেই সচেতন থাকতে হয়। খাওয়ার অভ্যাস আর কয়েকটি সাধারণ এক্সারসাইজ নিয়মিত করলে এ সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব।

পড়া নিয়ে বায়না, আর না আর না

পড়তে কিংবা লিখতে শেখার শুরুতে শিশুকে নিয়ে নানারকম ঝক্কি পোহাতে হয় কমবেশি সব বাবা-মা’কেই। তবে একটু ধৈর্য ধরে আর খানিকটা কৌশলে শিশুর মনস্তত্ত্বটাকে মাথায় রেখে তাকে পড়ানো গেলে এসব সমস্যা থেকে অনেকাংশেই রেহাই পাওয়া যায়। ‘কড়চা’র এবারের মূল আয়োজনে রইলো শিশুর আনন্দদায়ক শিক্ষার এমনই কিছু দিক নিয়ে আলোচনা।

মনের মিল

জীবনের পথে চলতে চলতে আমরা নির্ভর করি সেই মানুষটির উপর যে হবে পারফেক্ট জীবন সঙ্গী। কিন্তু এ নিয়ে প্রায়শই চলে নানা দ্বন্দ্ব। এসব দ্বন্দ্ব এড়াতে জীবন সঙ্গীকে জীবনের সাথে জড়িয়ে নিন। ‘মনের মতো’ শব্দটি বাদ দিয়ে মনের মিল গড়ে তুলুন। জেনে নিন মনের মিল গড়ে তোলার সহজ উপায়
আদর্শ সঙ্গীর যে স্বপ্নটা আমরা মনে মনে পালন করি, সেটা কতটা বাস্তব ভেবে দেখি না। তাই বিয়ের পর সেই কল্পনাপ্রসূত ভাবমূর্তিটা নষ্ট হতে সময় লাগে না। অপর তরফ থেকেও ঘটে একই স্বপ্নভঙ্গ। ফলে দেখা দেয় দাম্পত্যে এবং সংসারে অশান্তি। সেই জন্যই মনের মিল খোঁজার চেয়ে তা গড়ে তোলা অনেক বেশি জরুরি।

মৌসুম যখন বদলায়

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ঋতু বদল মানেই কিছুদিন পরপর সর্দি, কাশি, জ্বর আর এর সাথে গলায় ব্যথা, পেট খারাপ তো আছেই। মোট কথা বাচ্চাদের একেবারেই নাজেহাল অবস্থা। তবে ভয়ের কিছু নেই। একটু সতর্ক থাকলে ঋতু বদলের এই সাময়িক সমস্যা খুব সহজেই মোকাবেলা করা সম্ভব। এজন্য প্রত্যেক বাবা-মা’কে সচেতনতার সাথে সাথে সাধারণ কিছু প্রতিরোধ সম্পর্কেও জানতে হয়।

পায়ের যতœ

পায়ের সৌন্দর্য একটা মানুষের পুরো সৌন্দর্যের পূর্ণতা বহন করে। কিন্তু বিভিন্ন ঋতুতে নানা কারণে এ সৌন্দর্যে ঘাটতি পড়ে, পা ফাটা, পায়ের ত্বক রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা শুরু হয়। তাই প্রত্যেকটা সময়ে নিয়মিত যতœ নিলে পায়ের ত্বক নরম থাকে। নরম, পেলব আর মসৃন সেই পায়ের যতেœ কিছু পরামর্শ নিয়ে লিখেছেন তামান্না শারমীন

Tuesday, March 9, 2010

 শেষ থেকেই শুরু

স্বপ্নে ঘেরা চারপাশ। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় প্রিয় মানুষটির স্পর্শ। তার মাঝে রয়েছে নির্ভরশীলতা। পারস্পরিক সমঝোতা। হাসি-আনন্দে ভরা সাধারণ জীবনটিকে মনে হয় অসাধারণ। কীভাবে সময় কেটে যায়, বোঝাই যায় না। বিশ্বাস আর ভালোবাসার জালে বোনা এমন সম্পর্কই অনেক সময় ভেঙে যায়। তখন এর প্রভাব পড়ে সম্পর্কে জড়ানো মানুষগুলোর ওপর। প্রিয়জন হারানোর শূন্যতা গ্রাস করে। জীবনটাকে অর্থহীন মনে হয় তখন। একাকীত্বের ঘেরাটোপে থমকে যায় সময়। সাময়িকভাবে স্থবির হয়ে পড়ে সবকিছু। এই কষ্ট অবর্ণনীয়।

 ঘর ধুলোবালিমুক্ত রাখতে...

‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে...’ চলছে ঋতুরাজ বসন্তের পালা। তবে বসন্তের স্নিগ্ধ সময়ে বাড়ে ধুলোবালির ঝামেলাও। ঘরের কোনায় জমতে শুরু করে ধুলোবালির স্তর।
এখন স্থপতিরা ঘর দক্ষিণমুখী করে গড়ে তোলেন। কিন্তু ঘর দক্ষিণমুখী হলে এতে ধুলো আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়—বলছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা। তাই বলে কি ঘর অপরিষ্কার ধুলোময় হয়ে থাকবে! ঘর ধুলোবালিমুক্ত করে রাখতে হলে কী করণীয় সে সম্পর্কে বলছিলেন তিনি।

 ক্যামেরাটা ঠিক থাক

স্মৃতি ধরে রাখতে আপনার সঙ্গে ক্যামেরার বিকল্প নেই। একটা সময় ছিল যখন অ্যানালগ ক্যামেরার ব্যবহারই ছিল বেশি। এসব ক্যামেরার কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় মানুষের আগ্রহ বাড়ছে ডিজিটাল ক্যামেরার দিকে। কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরা স্পর্শকাতর হওয়ায় এর ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। আলোকচিত্রী আক্কাস মাহমুদ জানালেন, ‘ক্যামেরার ব্যবহার যত বেশি, এর ক্ষতির আশঙ্কাও তত বেশি। তবে সাবধান থাকলে ক্যামেরা নিয়ে চিন্তা নেই। এসব ক্যামেরা একটু এদিক-ওদিক হলেই বিড়ম্বনা। পাছে ক্যামেরার জন্য ভ্রমণের আনন্দটাই মাটি!’

 এই সময়ে নবজাতকের যত্ন

উষ্ণ আমেজ নিয়ে প্রকৃতিতে ঘটা করে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। আর বসন্তের বৈশিষ্ট্য হলো দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডা। তাই বাইরে বের হলে কোন ধরনের পোশাক পরবেন বা কোন ধরনের প্রসাধন ব্যবহার করবেন তা নিয়ে বিভ্রান্তে থাকেন অনেকেই। আর যাঁদের রয়েছে একেবারে ছোট শিশু, সেসব মায়েদের তো দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ একেবারেই কম, সেই সঙ্গে বেড়েছে ধুলোবালির প্রকোপ। তাই হাঁচিতে হাঁচিতে বেহাল ছয় মাস বয়সী তাশকিনের। সঙ্গে সঙ্গে নাক দিয়ে পড়ছে পানি। আর নবজাতক রোদেলার গায়ের চামড়া হয়ে গেছে খসখসে। কর্মজীবী মা সাদিয়া ইসলাম ভয়ে শিশুকে গোসল পর্যন্ত করাচ্ছেন না। এদিকে যথেষ্ট সতর্কতার পরও শিশু ফিদেলের দেখা দিয়েছে জ্বর ও কাশি। তাই চিকিত্সকের কাছে ছুটেছেন মা সোনিয়া আহমেদ।
এই আবহাওয়ায় শিশুর চামড়াসহ শরীরে দেখা দিচ্ছে বেশ কিছু সমস্যা।

কাজল কালো চোখ

চোখ জোড়াকে মায়াময় করে তুলতে কাজলের ব্যবহার হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। একসময় আগুনের উত্তাপে নিকষ কালো দাগ ফেলা হতো কাজলদানির গায়ে। একবার করে আঙুলের কোনায় তা ছুঁইয়ে আলতো করে লাগানো হতো চোখের কিনারে। এখন অবশ্য এত সময় কারই বা আছে? চিকন কাজল পেনসিলের মাথায় লাগানো খাপ (ক্যাপ) খুলতেই যা দেরি।
কাজল লাগানোর কাহিনি হয়তো বদলে গেছে। কিন্তু বদলায়নি এবং কমেনি এর চাহিদা। যেকোনো বয়সেই এখনো এটি সাজের প্রিয় একটি অনুষঙ্গ।

এই তো মাধবপুর হ্রদ


‘এটা হলো নীল শাপলা, বুঝছেন...?’ চা-শ্রমিকের সন্তান কৃষ্ণ তাঁতি এভাবেই জলে ভাসা ফুল চেনালো। তারপর মানুষ আসছে দেখে পাড়ের কাছ থেকে গভীর জলের দিকে ভেসে যাওয়া কয়েকটি নীলচে রঙের পাখি দেখিয়ে বলে, ‘এটা হলো নীল হাঁস।’ এভাবে নিজে থেকেই তার মতো করে ফুল ও পাখি চিনিয়ে দিল সে। ফাল্গুনের এক বেলা গড়ানো মুহূর্তে মাধবপুর লেকে পাখির সঙ্গে ফুলের সঙ্গে এমন করেই দেখা।

সাদা-কালোয় বর্ণিল ঘর

অন্দরসজ্জায় রং নিয়ে মেলা চলে কখনো আসবাবে, দেয়ালে, আবার কখনো বা গৃহসজ্জার সামগ্রীতে। রঙের ব্যবহার নির্ভর করে উৎসবের (বিয়ে, ঈদ) ওপর, কখনো বা ঋতুভিত্তিক (শীত, বর্ষা), আবার কখনো ঘরে বসবাসরত ব্যক্তির রুচিবোধের ওপর। এমন অন্দরসজ্জায় অনেকেই করছেন দেশীয় উৎসবের বিষয়ভিত্তিক রঙের ব্যবহার। যেমন লাল-সবুজ, সাদা-লাল, সাদা-কালো, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পয়লা বৈশাখ বা একুশে ফেব্রুয়ারিতে এই রংগুলো হয়ে ওঠে যেন দিবসটিকে তুলে ধরার প্রতীক। আর এসব উৎসবে রংগুলো প্রাধান্য দিয়ে অনেকেই সাজাচ্ছেন তাঁদের অন্দর। সাদা, কালো একুশের প্রতীক। এই রঙের মিশ্রণ বর্তমানে অন্দরসজ্জায় প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানালেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ফারজানা গাজী।

খোলা আকাশের নিচে...

যান্ত্রিক এ নগরে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে খোলা বাতাসে প্রিয়জনকে পাশে নিয়ে খাওয়ার কথা ভেবে নিশ্চই রোমাঞ্চিত হবেন। আবার পরক্ষণে ভাবছেন কোথায় আছে এমন সুযোগ! রাজধানীর উত্তরা এক নম্বর সেক্টরের এক নম্বর সড়কে চালু হয়েছে এমনই একটি খাবারের দোকান, অ্যারোমা। দোকানটির পুরোটাই স্বচ্ছ কাচে ঘেরা। নান্দনিক উপকরণ দিয়ে সাজানো অন্দরসজ্জাও নজর কাড়বে আপনার। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে মস্ত খোলা আকাশের নিচে সবুজে ঘেরা বারান্দায় এলে নিমিষেই নগরের ব্যস্ততা আর যান্ত্রিকতাকে বেমালুম ভুলে যাবেন। বিকেলে সূর্য অস্তের দৃশ্য আর নিঝুম সন্ধ্যার পরে রাতটাও উপভোগ্য মনে হবে। পাশে থাকা বিমানবন্দরের বিমান ওঠানামা করতে দেখা যাবে। আকাশে জোছনা থাকলে তো কথাই নেই! ভারতীয় ও থাই খাবারপ্রেমীরা এখানে বসেই এসব খাবার খেতে পারবেন। অ্যারোমার কর্মকর্তা সাজ্জাদ শোয়েব জানান, এখানে প্রতিদিন বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বসে কাবাব নাইট। পাঁচ-ছয় ধরনের কাবাব, নান খেতে পারবেন যত ইচ্ছা তত। খরচ পড়বে ৩৫০ টাকা। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার ৩১ রকমের খাবার নিয়ে থাকছে বুফে ডিনার। এতে জনপ্রতি খরচ পড়বে ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাবার তো আছেই। চাইলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে। অ্যারোমাকে বলা হচ্ছে ‘বার্ডস আই ভিউ’! আকাশের নিচে এমন সুযোগ চাইলে আপনারও হতে পারে। তাহলে আর দেরি নয়, আকাশের নিচে খোলা বাতাসে একান্ত নিজের মতো করে খেতে চলে যেতে পারেন অ্যারোমায়।

Wednesday, March 3, 2010

খাবার জন্য কয়লা

বাঙালিরা অতিথি আপ্যায়ন করতে যেমন ভালোবাসে, তেমনি ভালোবাসেন খাবার খেতেও। বাঙালিদের খাবারের প্রতি ভালোবাসা থাকার কারণে ধীরে ধীরে বাঙালি খাবারের সাথে যোগ বিদেশি খাবারও। খাবারের মেন্যু আর রেস্টুরেন্টের ভেতরের সাজ সব মিলিয়ে শহরের মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্ট। এতগুলো রেস্টুরেন্টের ভিড়েও কিছু কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে খাবারের মান, পরিবেশ আর পুরো মেন্যু জুড়ে নজরে পড়বে একটু ভিন্নতা। গুলশান, তেজগাঁও লিংকরোডে অবস্থিত রেস্টুরেন্ট কয়লা। কয়লাকে নিয়েই আমাদের এ সপ্তাহের ফুডজোন। রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে বলার আগে আসুন জেনে নেই এর অন্দরসাজ সম্পর্কে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনে সুন্দর করে সাজানো কয়লা রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টে ঢোকার মুখে নজরে পড়বে লালকালিতে লেখা কয়লার নেমপ্লেটের দিকে। প্রবেশ দ্বারের কাচের পাল্লা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করলেই হাতের ডানপাশে পড়বে রান্নাঘর এবং বামপাশে অতিথিদের বসার জায়গা। আর একটু সামনে এগিয়ে গেলেই পড়বে বিশাল হলরুম। হলরুমে ঢোকার সময় হাতের বামে পড়বে ম্যানেজারের রুম এবং আর একটু বামে গেলে চোখে পড়বে বিশাল মঞ্চ। মঞ্চ সম্পর্কে কয়লার ম্যানেজার শ্রীদাম দাস বলেন, মঞ্চটা রাখা হয়েছে মূলত বিয়ের অনুষ্ঠান এবং জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালনের জন্য। কয়লাতে যেকোনো অনুষ্ঠান এবং পার্টির জন্য আপনাকে আগেই বুকিং দিতে হবে। খাবারের মেন্যুতে চোখ বুলালেই আপনি বুঝতে পারবেন কয়লা পুরোদস্তুর ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট।

মহাস্থানগড়

বগুড়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হলো মহাস্থানগড়। বগুড়া শহর থেকে প্রায় তের কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত এ জায়গাটি। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের এক দুর্গ নগরী এই মহাস্থানগড়। এককালে, মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন রাজাদের রাজধানী ছিল এখানে। এখন শুধু সেগুলোর ধ্বংসাবশেষ নীরবে দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে। এখানে এখনো আছে ৫০০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৪৫০০ ফুট প্রস্থের সেই প্রাচীন নগরীর দেয়াল। দেয়ালের ভেতরে রয়েছে জীয়ৎকুন্ড, প্রাচীন মসজিদসহ নানা নিদর্শন।

ব্যাক কেয়ার

রূপচর্চা বলতে আমরা বুঝি সুন্দর মুখশ্রী। আসলে কিন্তু তা নয়, রূপচর্চা যেমন হয় মুখের তেমনি পিঠেরও। মুখে ব্রণ হলে আমরা খুব দ্রুত চিন্তা করি কী করা যায় কিন্তু আমরা বডিকেয়ার নিয়ে মুখের মতো ততটা ভাবি না। বডি কেয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ হচ্ছে ব্যাক কেয়ার। আমাদের পিঠে অয়েল গ্ল্যান্ড থাকার কারণে বলিরেখার তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু আমরা প্রতিদিনই নানা কাজে বাইরে বের হই এর ফলে রোদে পুড়ে ট্যানিং, পিগমেন্টেড প্যাঁচ দেখা দেয়। ব্রণও দেখা যায়। এইসব কারণে পিঠের যতœ নেওয়া প্রয়োজন। ব্যাক কেয়ার কীভাবে নেবেন তাই জানাচ্ছেন ফারজানা বখতিয়ার তমা

নানারকম রোল

ঝটপট খাবারের মাঝে আমরা অনেকেই রোল খুব পছন্দ করে থাকি। ঝটপট তৈরি করা যায় আর উপকরণগুলোও থাকে হাতের কাছে তাই রসুইঘরে রোল ইদানিং আমাদের জনপ্রিয় খাবার তালিকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এমন কিছু চটজলদি রোলের রেসিপি নিয়ে এ পক্ষের কড়চা রেসিপি বিভাগটি সাজানো। পরিবেশনের এই কৌশলগুলো দিয়েছেন রিমিক্স বিউটি পার্লার ও ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার আফরিনা শিপন আর ছবি তুলেছেন জিয়াউদ্দিন আলম

 পরিবেশবান্ধব প্রতিদিন

যার যার অবস্থান থেকে সামান্য অবদান। এটাই পরিবেশ বাঁচাতে অনেকখানি সাহায্য করে। বৈজ্ঞানিক খুঁটিনাটিতে না-ই বা গেলাম। নাগরিক হিসেবে সাধারণ দায়িত্বগুলোও যদি আমরা পালন করি, চারপাশের পরিবেশ থাকবে অনেকটাই সুন্দর। এ জন্য চাই শুধু আপনার আন্তরিকতা ও সতর্কতা।

মাছ-পাখির অভয়াশ্রমে

‘ঠক-ঠক-ঠক, ঠকাঠক...’ সাতসকালে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। চোখ কচলে ঘড়ি দেখি, এত সকালে কড়া নাড়ে কে? দরজা খুলে দেখি ষাটোর্ধ্ব এক লোক দাঁড়িয়ে। নাম গফুর মিয়া। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর বাহন আমাদের পৌঁছে দেবে হাইল হাওরের বাইক্কা বিলে। এই বিল দেখতেই রাতে পৌঁছেছি শ্রীমঙ্গল শহরে।
অনেক দিন থেকেই ভাবছিলাম বাইক্কা বিলে যাব। পাখি দেখব, ছবি তুলব। শেষে ইচ্ছে ও সময়ের সম্মিলন ঘটে এবারের ফেব্রুয়ারির শুরুতে।

Thursday, February 25, 2010

জুতো’তেও আপনার ব্যক্তিত্ব

কতটা ব্যক্তিত্বের অধিকারী তার উপরই নাকি নির্ভর করে ছেলেদের গুণাগুণ এবং রূপ। এরপর আর বাড়তি সাজগোজের দরকার হয়না। আর মেয়েদের তো নাকি হাওয়াই চপ্পল পরেও যে কোনো স্থানে চলা যায়। এমনটাই ধারণা আছে আমাদের সমাজে। তবে কেউ এটাকে সমর্থন করে আর কেউ করেনা। যারা সমর্থন করেনা তারা তাদের ব্যক্তিত্বকে আরেকটু বাড়াতে চেষ্টার কমতি রাখেনা। পোশাক আশাকের মাধ্যমে বাড়তি যে সৌন্দর্য তৈরি হবে তার মধ্যে জুতার বিষয় অবশ্যই লক্ষ্যণীয়। জুতা নিয়ে ভাবনার সময় অনেকেই রাখেন না। কিন্তু ভাল পোশাক যেমন পড়বেন তার সাথে মানানসই জুতা বেছে নিলে আপনার সৌন্দর্য বাড়বে। তাই আপনার পোশাকের সাথে মানানসই জুতা নিয়ে কড়চার এই আয়োজন

নিজে নিজে ম্যানিকিওর পেডিকিওর

রূপচর্চায় মুখের ত্বকের সাথে সাথে সবচেয়ে জরুরি দুই প্রাথমিক অংশ হল ম্যানিকিওর এবং পেডিকিওর। আজকাল রূপসচেতন সবাই মোটামুটি এ শব্দ দুটির সাথে পরিচিত। তবে সব সময় ম্যানিকিওর-পেডিকিওর করার ইচ্ছে বা দরকার থাকলেও বিউটি পার্লারে গিয়ে এই ট্রিটমেন্টগুলো করানোর এনার্জি থাকে না। তাই সুবিধামত বাড়িতে বসেই হাত-পায়ের যতœ নেয়ার সহজ পন্থা জেনে নিন

হাঁটুর ব্যথায় করণীয়

যাদের পা ও হাঁটুর শক্তি কম, পায়ে বাতের সমস্যায় ভুগতে হয় বা কোমরে জোর কম, কোথাও বসলে উঠতে কষ্ট হয়, তাদের জন্য উৎকটাসন বেশ উপকারী। এই আসন নিয়মিত করলে দেহের নীচের অংশ খুবই শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তবে যারা বই দেখে ব্যায়াম করেন, তাদের ব্যায়াম সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে যদি কোনো সন্দেহ থাকে তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। মানুষের দেহের গঠন অনুসারে অনেক ক্ষেত্রেই বইয়ের নির্দেশনার সঙ্গে দেহের ভঙ্গিমার হুবহু মিল নাও হতে পারে। তবে নিয়মিত অনুশীলন করতে করতে একসময় ব্যায়ামের কৌশলগুলো দেখবেন নিজের আয়ত্তে এসে গেছে। আর সবচেয়ে যেটা জরুরি সেটা হল ব্যায়াম করার সময় ইতিবাচক চিন্তা বা আশা থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনার যদি মনে হয় ব্যায়াম করে কোনও কাজ হচ্ছে না বা সুফল পাচ্ছেন না তাহলে সত্যিই উপকার পাবেন না আপনি। তাই মনে আত্মবিশ্বাস সহকারে ব্যায়াম করা উচিত।

পরিচ্ছন্নতার সূত্র

কথায় কথায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে লেকচার দেয়ার লোক অনেকেই আছেন। কিন্তু নিজেদের জীবনে এই সব লেকচারের সিঁকিভাগ বাস্তবায়নেও এদের ভীষণ আলসেমী। তবে অপরিচ্ছন্ন একজন মানুষ হিসেবে যদি প্রিয়জনের কাছে নিজের পরিচয়টাকে পাঁকাপোক্ত করতে না চান, তবে চটজলদি পড়ে নিন নিচের করণীয় এবং বর্জনীয়গুলো। আর হ্যাঁ, শুধু পড়লেই চলবে না, সেই সাথে এইসব বিষয় পালনের প্রতিও মনোযোগী হতে হবে।

পেপের নানা গুণ

যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের জন্য মিষ্টি খাওয়া হারাম। যেকোনো রকম সুগারজাত খাদ্যদ্রব্য খাওয়ার নিষেধজালে আটকা পড়েন তারা। কিন্তু আমাদের দেশে অত্যন্ত সহজলভ্য একটি ফল পেঁপে, যা মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন। এমন আরো নানা গুণ আছে দেশীয় এই ফলের। আসুন জেনে নেয়া যাক তেমনই কিছু গুণ-

রান্নাঘরের যতœআত্তি

রান্নাঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় গ্যাস এবং ওটিজি অনেক সময় অবহেলায় অযতেœ পরে থাকে। পরিষ্কার করব করব করে আর করা হয়ে উঠে না। কিন্তু এ দুটি জিনিস সবসময় পরিষ্কার না রাখলে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। আর এ দুটি জিনিস পরিষ্কার করতে গিয়েও কোনো অবহেলায় বা দ্রুত করার চেষ্টা করবেন না কারণ এতেও পড়তে পারেন মারাত্মক দূর্ঘটনায়। গ্যাস এবং ওটিজির কীভাবে যতœ নেবেন তাই নিয়ে এই আয়োজন-০ প্রথমে গ্যাস সুইচ অফ করে দিন। শুধু ওভেনের সুইচ অফ করবেন না। সিলিন্ডারেরও সুইচ অফ করে দিন। গ্যাসের বার্ণার ঠান্ডা হয়ে এলে তবেই পরিষ্কার করা শুরু করবেন।

কাপড়ের রাজ্যে বিশাল আয়োজন

শুরু থেকেই সৈয়দ হোসেনের স্বপ্ন ছিল সাধারণ মানুষের কাছে তার সাধ্য অনুযায়ী পোশাক তৈরির কাপড় পৌঁছে দেয়া। অর্থাৎ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত নানা ব্র্যান্ডের ফেব্রিক্স যা শাটিং স্যুটিং থেকে সাধারণ পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত হয় তা মানুষের কাছে যথার্থতা রেখে যোগ্যমূল্যে পৌঁছে দেয়ার স্বপ্ন দেখতেন এই মানুষটি। ক্রেতাদের কাছে সর্বাধিক পরিচিত এমন একজন মানুষ সৈয়দ হোসেন। ৯০’র দশকে তার সেই স্বপ্নযাত্রা শুরু। দুই দশকের স্বপ্ন যাত্রায় বর্তমানে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশে ফেব্রিক্স এবং টেইলারিং জগতে এক অনন্য প্রতিষ্ঠান ‘টপটেন’এর।

নানা স্বাদের সালাদ

খাবার যেমনি হোক না কেন তার প্রেজেন্টেশনটা কিন্তু জম্পেশ না হলেও ডাইনিং কখনোই জমে উঠবে না। উন্নত বিশ্বে ফুড গার্নিশিং-এর জন্য নানান ধরনের আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। আমাদের দেশেও এই ফুড গার্নিশিংও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। খাবারের রনন্ধনশৈলীর সাথে এর উপসস্থাপনাও যে জরুরি তা আমাদের দেশের রাধুনীরাও অনুধাবন করছেন। এ সপ্তাহের কড়চা’য় থাকছে সবজি দিয়ে খাবার সাজানোর কিছু কৌশল। পরিবেশনের এই কৌশলগুলো দিয়েছেন সাকসেস ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার আফরোজা জামান আর ছবি তুলেছেন জিয়াউদ্দিন আলম