
চাকরির প্রথম দিন। কী পোশাক পরে প্রথম দিন কাজে যোগ দিবেন, আপনার অফিসের ধরন বুঝুন এবং তারপর সিদ্ধান্ত নিন। শাড়িতে স্বচ্ছন্দবোধ না করলে ফরমাল ফুল ি ভ সালোয়ার কামিজ পড়তে পারেন অথবা বিজনেস স্যুটেও মেয়েদের বেশ মানিয়ে যায়। কী ধরনের গহনা, জুতা বা ব্যাগ ব্যবহার করবেন তা নিয়েও ভাবনা চিন্তার প্রয়োজন আছে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করার জন্য কর্মদক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন এক সুন্দর পরিশীলিত ব্যক্তিত্ব। মিলেমিশে কাজ করার ক্ষমতা, সমস্যা হ্যান্ডল করতে পারা। কম সময়ে নিখুঁত কাজ করার ক্ষমতা ছাড়াও আরও যে জিনিসটা সবাই লক্ষ করেন তা হল আপনার ড্রেস সেন্স। তাই ড্রেস সেন্স নিয়ে কিছু পরামর্শ-
০ অফিসে জয়েন করার আগে দেখে নিন বেশির ভাগ কর্মচারী কী ধরনের পোশাক পরে অফিসে আসেন। যেমন স্কুল বা কলেজে শিক্ষকরা সাধারণত বাঙালী পোশাক (শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ) পরেন। আবার কর্পোরেট অফিসের লোকজন বিজনেস স্যুটেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
০ আপনার প্রাথমিক পোশাক বাছাইপর্ব এই ভিত্তিতে করুন।
০ খেয়াল রাখবেন অফিসের পোশাক যেন রং, ডিজাইন বা কাটের দিক দিয়ে উগ্র বা লাউড না হয়।
০ শীতের দিনে গাঢ় রঙের পোশাক পরুন। সঙ্গে নিন মানানসই শাল, কার্ডিগ্যান বা ব্লেজার। পরনের পোশাকের সাথে শীতের পোশাকের রঙের মধ্যে যেন অবশ্যই সামঞ্জস্যতা থাকে।
০ গরমের দিনে অফিসের পোশাকের জন্য প্যাস্টেল শেড বাছাই করুন। যারা এয়ারকন্ডিশনড এনভায়রনমেন্টে কাজ করেন না, তাঁদের জন্য সুতি পোশাকই ভাল। কারণ সুতি কাপড় সহজেই ঘাম শুষে নেয়।
০ অফিসে অলংকার পরার ব্যাপারে, সংযত থাকুন। চওড়া নেকলেস, ঝুলন্ত দুল, বড় আংটি অফিসে একেবারেই মানায়না। ছোট পাথর বা হিরে বসানো প্লেন আংটি অনেক বেশি শোভনীয়।
০ জুতা এবং ব্যাগের রং কাছাকাছি শেডের মধ্যে বাছুন। ল্যাপটপ ক্যারি করতে হলে এমন ব্যাগ বাছুন, যাতে ল্যাপটপের সঙ্গে অন্যান্য জিনিস নিতে পারেন। বেশি পকেট বিশিষ্ট ব্যাগ ব্যবহার করুন। বিভিন্ন পকেটে জিনিস রাখার অভ্যেস করলে জিনিস খুঁজে পেতে সহজ হবে।
০ অফিসে যাবার সময় হালকা ফাউন্ডেশন এবং কম্প্যাক্ট ব্যবহার করুন। আই মেক-আপের জন্যে কাজল বা আই লাইনারই যথেষ্ট। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক লাগালেই আপনার সাজ কমপ্লিট। তবে বেড়ানোর আগে ভাল করে ডিওডোর্যান্ট বা পারফিউম লাগাতে ভুলবেন না।
0 comments:
Post a Comment