RSS

Sunday, June 14, 2009

ফল খান, সুস্থ থাকুন

স্বাস্থ্য রক্ষায় ফলের কোন বিকল্প নেই। সারাদিনে ফল খাওয়া খুব জরুরি। এনভায়রনমেন্টাল টক্সিন ডিটক্সিফাই করার জন্যে অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন। আর ফল সেই প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে ১ দিন সারাদিন ফল খেয়ে থাকতে পারেন। একে বলে ফ্রুট ফাস্টিং। সারাদিন শুধু ফল খেয়ে থাকলে আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম কিছুটা রেস্ট পায়। ফলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা অ্যাসিডিটিকে নিউট্রালাইজ করে টক্সিন রিমুভ করে, ফ্যাট বার্ণ করতে সাহায্য করে।
বেশি করে ফল খান। বেশি উপকার পাবেন। কারণ ফলে রয়েছে ফাইবার, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। কনস্টিপেশনের সমস্যা থেকে রেহাই দেয় ফল । ফল সহজে হজম হয় আর ব্লাড ও ডাইজেস্টিভ ট্র্যাক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
ফলের মধ্যে প্রোটিন ও ফ্যাটের পরিমাণ কম। ফলে যথেষ্ট পরিমাণে পানি রয়েছে। ব্রেস্টমিল্ক খাওয়া বন্ধ করার পরে বাচ্চাকে প্রথম ফল খেতে দিতে পারলে কারণু ফল অ্যান্টি-অ্যাসিডিক। ফলে উপস্থিত অর্গ্যানিক অ্যাসিড ও ন্যাচারেল হাই সুগার শরীর সুস্থ ও তাজা রাখে, সঙ্গে সঙ্গে এনার্জি দেয়। অথচ এতে ব্লাড সুগার লেভেল বেড়ে যায় না। ভিটামিন, মিনারেল ও এনজাইমে সমৃদ্ধ ফল রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এক্সারসাইজ করার জন্যে বেশি এনার্জি পাওয়া যায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। হাই ব্লাড প্রেশার ও কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করে। নিয়মিত ফল খেলে টাইপ-টঙ ডায়বেটিস হওয়ার আশঙ্কা কম। বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।
সিজনাল ফ্রুট খেতে পারলে সবচেয়ে ভাল। সিজনের ফল খেলে ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস থেকে বেশি পরিমাণে উপকার পাওয়া যায়। কৃত্রিম পদ্ধতিতে ফল না পাকিয়ে তার বদলে মৌসুমী ফল খান। এতে বেশি পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান থাকে এবং খেতে বেশি সুস্বাদু হয়। কেমিক্যাল ও কীটনাশক থাকার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম। ওবেসিটি, ডায়াবিটিস, হাইপারেশন, ক্যানসার, হার্টের সমস্যার মতো ক্রনিক ডিজিজ প্রতিরোধ করতে মৌসুমী ফল অনেকটা সাহায্য করে। এ ছাড়া ড্রাই ফ্রুটস যেমন কিশমিশ, শুকনো খেজুর, ডুমুর খেতে পারেন।
খাবারের সঙ্গে একসঙ্গে না খেয়ে আলাদা ফল চেষ্টা করুন। যেমন ব্রেকফাস্টে বা মিড ইভনিং স্ন্যাকস হিসেবে ফল খেতে পারেন।এক সময়ে যে কোনও এক ধরণের ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। পাকা ফল খান। রান্না করলে ফলের মধ্যের কার্বোহাইড্রেটও নিউট্রিয়েন্ট সল্ট নষ্ট হয়ে যায়। ব্রেকফাস্টে ড্রাই ফ্রুটস খান। ফ্রুট সালাদ খেতে পারেন। কাজে বেরনোর আগে একটা ফল খান।হালকা ওয়র্কআউট করার ৩০ মিনিট আগে বা পরে ফল খান। টিভি দেখতে দেখতে চিপস খেতে অভ্যস্ত্য হলে টিভির সামনে একবাটি ফল রাখুন।ফ্রেস ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

0 comments:

Post a Comment