RSS

Wednesday, December 30, 2009

সহজ আসবাবে সাজানো ঘর

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের রুচি, চাহিদা, প্রয়োজন, পছন্দ সব কিছুতেই এসেছে পরিবর্তন। আগে যেখানে অনেক বেশী কারুকাজ করা আসবাব, ভারী কাঠের আলমারি, লোহার সিন্দুক এসবের প্রচলন ছিল এখন সেখানে আধুনিক জীবন-যাপনে কোনো ঘরে এসবের স্থান হতে চায় না। আধুনিকতার সাথে সাথে আসবাবেও এসেছে সহজ-সরল এক রূপ। প্রয়োজনকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়ে সহজেই তৈরি করে নেয়া যায় কিছু আসবাব। যদি বলতে হয় প্রয়োজনের কথা তবে প্রথমেই আসে নব-দম্পত্তি, যারা নতুন সংসার শুরু করেছেন তাদের কথা। এক্ষেত্রে বলে নেয়া ভাল। তাড়াহুড়ো করে, আসবাব দিয়ে ঘর ভরে ফেলতে হবে তার কোন মানে নেই। বছর দুই সময় নিয়ে আস্তে আস্তে করে প্রয়োজন বুঝে আসবাব কেনা উচিত। প্রথমে এমন কিছু কেনা উচিত যা প্রাথমিক চাহিদা মেটাবে এবং কিছু দিন পর আসবাব বদলে ফেলতে চাইলে তখন সেটাকে অন্যকোন কাজে লাগানো যাবে এমন। অল্প কিছু জিনিস দিয়ে, একই সাথে দুই ধরনের কাজ করে এমন সব জিনিস দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন।

ধুলার হাত থকেে বাঁচতে

আমাদের দেশে শীতকালে প্রায় সব ধরনের সবজির সমাহার দেখা যায়। এটি এমন একটি খাবার যা খেলে স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হয় না। বরং ভাতের পরিবর্তে সবজি খেলে তা ত্বক ও মেদের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত শসা খেলে মেদ কমে। সবজি শুধু খাবার কাজে লাগে তা নয়। এটি রূপচর্চার কাজেও ব্যবহৃত হয়। যেমন- মুখ ক্লিন করতে শসা, গাজর, টমেটো, আলু প্রয়োজন। স্বাস্থ্য গঠনে সবজি অতুলনীয়। শীতের সবজি নিয়ে এমন কিছু মজার রেসিপি দিয়েছেন রিমিক্স বিউটি পার্লার ও রান্না বিষয়ক প্রশিক্ষক আফরিনা শিপন আর ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

ধুলার হাত থেকে বাঁচতে

চলছে শীতকাল। অনেকের কাছেই এই সময়টি খুব পছন্দের হলেও নানা রকম ঝামেলারও অন্ত থাকেনা শীতকালে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ধুলোর সমস্যা। শীতকালে বাড়িঘরে ধুলোর আস্তরণ জমে ওঠে। ধুলোর এই সমস্যা যাতে প্রকট আকার ধারণ করতে না পারে সেজন্য শীতের শুরুতেই বাড়িঘর পরিষ্কার করে নিন।

০ ধুলো ময়লা পরিষ্কার করার সময় ঘরের উপর থেকে শুরু করে উপরের অংশ থেকে পর্যায়ক্রমে নিচে নামুন। সিলিং ফ্যান পরিষ্কার করে সবশেষে সোফা ও মেঝে পরিষ্কার করুন।
০ ফ্যান পরিষ্কার করার আগে বিছানা ও অন্যান্য আসবাবে পুরনো খবরের কাগজ বিছিয়ে দিন। ভেজা পেপার টাওয়াল নিয়ে ফ্যানের গায়ে লেগে থাকা ময়লা পরিষ্কার করুন। নরম ব্রাশ সাবান পানিতে ভিজিয়ে সেটা দিয়ে ফ্যানের ব্লেড হালকা করে ঘষুন। সবশেষে ভেজা টাওয়াল দিয়ে মুছে ফেলুন।
০ ঘরের কোণে জমে থাকা ঝুল খাটের নিচের ধুলো, সোফার কোনায় ময়লা ইত্যাদি পরিষ্কারের ভ্যাকুয়াম ক্লিনারই উৎকৃষ্ট। একান্ত সম্ভব না হলে ঝাড় ব্যবহার করুন।
০ কম্পিউটার, টিভি, ডিভিডি প্লেয়ার ইত্যাদি ইলেক্ট্রনিক্স সরঞ্জামের ধুলো পরিষ্কারের আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন করুন। তারপর নরম সুতি কাপড় অথবা লম্বা হাতলের নরম ব্রাশ দিয়ে ধুলো ঝেরে ফেলুন। ক্যাবলের ধুলোও পরিষ্কার করে ফেলুন।
০ ছোটদের টেডিবিয়ার ধরনের পুতুল খেলনা পরিষ্কার রাখা জরুরি। এসব স্থানের জমে থাকা ধুলো থেকে শিশুর অ্যালর্জি হতে পারে বড় প্লাস্টিকের ব্যাগে এসব খেলনা ভরুন। তার মধ্যে এক কাপ বেকিং পাউডার দিন। ব্যাগের মুখ বন্ধ করে ভালো করে ঝাঁকান তারপর খেলনাগুলো বের করে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
০ রেফ্রিজারেটর পরিষ্কার করার আগে প্লাগ খুলে নিন এরপর ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ঝেড়ে ফেলুন হালকা গরম পানিতে সাবান মিশিয়ে মুছে নিন। সবশেষে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
০ ক্যাবিনেট, কাবার্ড, শেল্ফ পরিষ্কার করতে হালকা গরম পানিতে কাপড় ডুবিয়ে মুছে ফেলুন। পানিতে কয়েকটা নিম পাতা দিয়ে দিলে পোকা মাকড়ের উপদ্রব থেকে রেহাই পাবেন।
০ পর্দা, বেড সিট, বালিশের কভার ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে নিন অথবা ড্রাই ক্লিন করুন।

ত্বকের জন্য স্ক্রাব

‘আদর্শ ত্বক’ হবে পরিষ্কার, দাগহীন, সতেজ, টান টান, নমনীয় ও মসৃণ। ভাবছেন এতো কিছু এক সাথে পাওয়া সম্ভব নয়। তাও সম্ভব শুধুমাত্র একটি জিনিসের সাহায্যে। জিনিসটির নাম স্ক্রাব। তার গুণ বর্ণনা করতেই এই আলোচনা।

শীতের সবজি যখন রূপচর্চায়

শীতের শিরশিরে বাতাসে শুধু শরীর হিম হয়ে আসে না সেই সাথে এই রুক্ষ বাতাস কেড়ে নেয় আপনার ত্বকের নমনীয়তা, ফলে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক প্রাণহীন। তাই এ সময় ত্বকের বাড়তি যতœ নিতে হয়। শীতের এই সময়টাতে বাজারে পাওয়া যায় রকমারি সবজি ও ফল। খাওয়ার পাশাপাশি এসব টাটকা সবজি ও ফল দিয়ে আপনি সহজেই ত্বকের চর্চা করতে পারেন।

ত্বক পরিচর্যার এক্ষেত্রে প্রথমেই সেটা খেয়াল রাখতে হবে সেটা হল আপনার ত্বকে ব্রণ আছে কি না। ব্রণ যদি থাকেই তবে প্রথমে তা নির্মূল করবেন। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখবেন, মাথার ত্বকে খুশকি আছে কি না। খুশকি থাকলে নিয়মিত খুশকি নিরোধক শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নেবেন। মুখের জন্য অয়েল ফ্রি ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন। ত্বক সম্পূর্ণ তেলমুক্ত করতে হবে। মুখে ব্রণ থাকা অবস্থায় ফ্রুট ফেসিয়াল বা ভেজিটেবল ফেসিয়াল করা উচিত নয়।

ভিন্ন ধারার খাবার আয়োজন

খাবারের মেন্যু আর রেস্টুরেন্টের অভ্যন্তরীন সাজ, সব মিলিয়ে শহরে আছে হরেকরকম খাবারের জায়গা। কিন্তু এতো সব রেস্টুরেন্টের ভিড়েও কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে খাবার মান, পরিবেশ আর পুরো মেন্যু জুড়ে নজরে পড়বে কিঞ্চিৎ ভিন্নতা। নগরীর নতুন আড্ডাস্থল বনানী ১১ নম্বরের ৪ নম্বর সড়কে গত ১৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয় এমনই একটি রেস্টুরেন্ট ‘কেসার’-এর। নতুন এই খাবার ঘরকে নিয়েই আমাদের এ সপ্তাহের ফুডজোন।

বিস্তারে কিছুক্ষণ

সিঁড়ি দিয়ে উঠতেই নজরে পড়বে বিশাল ভাসে সাজিয়ে রাখা আর্ট ফ্লাওয়ার। এরপর ঘিয়ে রাঙা মেঝে আর কাঁচের বিশাল দরজা পেরুলেই বিস্তীর্ণ ‘বিস্তার’। দরজা ঠেলে ভেতরে যাওয়া পর্যন্তই হয়তো ক্রেতা নিজের পছন্দের লিস্টটা বহাল রাখতে পারবেন। এরপর আর কোনো লিস্টই আপনার কেনাকাটা দমিয়ে রাখতে পারবে না। থরে থরে সাজানো বিস্তারের বিষ্ময় আপনাকে ঘিরে ধরবে। সবকিছুতেই আপনি পাবেন ভিন্নতার ছোঁয়া

আংটি হাতের জ্যোৎস্না

মানুষের অঙ্গ বিন্যাসে সবার কাছেই খুব সহজে আলোকিত অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় হাত। আর সেই মোলায়েম হাতের আঙ্গুলের নানা ভেদে ফুটে উঠে সৌন্দর্যের ভিন্ন ব্যাকরণ। হাতের আঙ্গুলকে যেমন নিয়মিত পরিচর্যায় সুন্দর রাখা যায় তেমনি সেই আঙ্গুলে ধারণ করা যায় সৌন্দর্যবর্ধনকারী নানা অনুষঙ্গ। এমনি এক জনপ্রিয় অনুষঙ্গ আংটি। এই জনপ্রিয় অলংকারটি মানুষের সৌন্দর্য বিকাশে ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগের পর যুগ। শুধু সৌন্দর্যের প্রকাশে নয়, বরং আংটির ব্যবহার ঘটে সম্পর্কের নতুন স্তর স্থাপনে। বিয়েতে বন্ধনের সূচনায় আংটি অনেক বেশি মানুষের কাছে পরিচিত অলংকার। সময়ের ধারাবাহিকতায় আংটির ব্যবহার যেমন বেড়েছে তেমনি মানুষের কাছে আংটির গ্রহণযোগ্যতাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। শুধু ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরি করতেও নানা উপকরণের আংটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর আংটির ব্যবহারের ক্ষেত্রেও দেখা যায় নানা বৈচিত্র্য। বিয়ের নিদর্শন হিসেবে নির্দিষ্ট আঙ্গুলে আংটি পরার রেওয়াজ থাকলেও এখন কিন্তু ফ্যাশনের চর্চা হিসেবে সব আঙ্গুলে আংটি পরা হয়। অনামিকাতে আংটি পরা সাধারণ রেওয়াজ হলেও কড়ে আঙ্গুল কিংবা বুড়ো আঙ্গুলেও আংটির ব্যবহার এখন অনেকের নজর কাড়ে। হাতের ত্বকের যথার্থ যতœ নিলে সঙ্গে আংটি আপনাকে দিতে পারে বাড়তি সৌন্দর্যের সংযোগ। আংটির উপকরণগত ভিন্নতাও সৌন্দর্য নির্ধারণে বাড়তি ভূমিকা রাখে। পিতলের আংটি, রুপার আংটি, স্বর্ণের আংটি, হিরার আংটি, হোয়াইট গোল্ড, মাটির আংটি, সিরামিকের আংটি এমনকি কাঠের আংটির মতোও বৈচিত্র্যময় উপকরণে এই অলংকারটিতে নতুনত্ব আর আভিজাত্যের ছোঁয়া দেয়া হয়।

সিঁড়ির ভাষা

ইদানিং ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত ডেইলি সোপ আমাদের দেশে কতটা প্রভাব বিস্তার করে তার প্রমাণ পাওয়া যায় চাদনীচক কিংবা মৌচাক মার্কেটে মেয়েদের পোশাকের দোকানগুলোতে গেলে। এসব সিরিয়ালে দেখানো চোখ ধাঁধানো ইন্টেরিয়র দেখে মনে হতে পারে এগুলো আসলে ক্যামেরার কারসাজি। কাঠ খোদাই করা বিশাল দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করতেই নজরে আসে বিশাল আকৃতির সিঁড়ি ঘরের দুপাশ বেয়ে উঠে গেছে উপর তলার ঘরগুলোতে। ক্যামেরার প্যান ইফেক্টে এসব সিঁড়ি দেখতে মনে হয় সিড়িগুলো বুঝি সিনেমারই একটি অংশ। কিন্তু আধুনিক ইন্টেরিয়র কনসেপ্ট বলছে ভিন্ন কথা। ইন্টেরিয়রের অংশ এই সিঁড়ি খুব সহজেই বাড়িতে পুরো দৃশ্যপট বদলে দিতে পারে। সিঁড়ি যে শুধুই দুটি ভিন্ন তলার মাঝে যোগাযোগ তৈরি করবে এমন কিন্তু নয়। এক চিলতে নান্দনিক সিড়ি ঘরের অভ্যন্তরিন সৌন্দর্যে বিরাট ভুমিকা রাখতে পারে।

এই শীতের রূপকড়চা

সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই নিজের সৌন্দর্য সম্পর্কে সচেতন থাকাটা এখন জরুরি। প্রয়োজনের সেই তাগিদেই বাস্তবতা এখন আপনাকে রূপ সচেতন করে তুলেছে। আর আপনার যে রূপটি আগে মানুষের চোখে পড়ে তা হচ্ছে আপনার ত্বক। ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা তাই এখনকার জীবনে নিত্যদিনকার রুটিনে খুব সহজেই জাগয়া দখল করে নেয়। সুন্দর ত্বকের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করার যেমন প্রয়োজন নেই, তেমনি একগাদা প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারেরও উপযোগীতা নেই। আপনার ত্বককে সুরক্ষা করতে চাইলে যত কম পরিমাণ প্রসাধন ব্যবহার করতে পারেন ততই মঙ্গল। এই শীতে আপনার ত্বক বাড়তি যতœ চাইতেই পারে। শীতের আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী বাড়তি যতেœর তত্ত্বতালাশ করে লিখেছেন মোর্শেদ নাসের

Tuesday, December 22, 2009

বড়দিনের কেক

ক্রিসমাস গাছ, আলোকসজ্জা, উপহার তো থাকবেই। বড়দিনের আনন্দ বহুগুণ বেড়ে যাবে সঙ্গে যদি থাকে ঘরে বানানো কেক। সিতারা ফিরদৌস দিয়েছেন কয়েক রকম কেক তৈরির প্রণালী।

সান্তাক্লজ কেক
উপকরণ: ডিম ৬টি, ময়দা ১ কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ, চিনি আধা কাপ, ভ্যানিলা এসেন্স সিকি চা চামচ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ।
প্রণালী: ময়দা, গুঁড়া দুধ, বেকিং পাউডার একসঙ্গে চেলে নিতে হবে। ডিমের সাদা অংশ ফোম করে চিনি, হলুদ অংশ ও ভ্যানিলা দিয়ে কিছুক্ষণ বিট করে অল্প অল্প করে ময়দার মিশ্রণ মিলিয়ে বেকিং ডিশে ঢেলে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট বেক করে স্পঞ্জ কেক বানাতে হবে। কেক ঠান্ডা করে সান্তাক্লজ আকারে কেটে সুগার সিরাপ লাগিয়ে সফট ক্রিমের সঙ্গে লাল ও চকলেট রং মিলিয়ে সান্তাক্লজের আকারে কেকে লাগিয়ে নিতে হবে।

শীতের প্রস্তুতি

শীতের এ সময়ে চাই লেপ, কম্বল আর ভারী শীতের কাপড়। তুলে রাখা শীতের কাপড়গুলো এখন নামানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এরই প্রস্তুতি নিয়ে জানিয়েছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।
 লেপ, কম্বল, কাঁথা প্রভৃতি নামানোর পর ব্যবহারের আগে অবশ্যই কড়া রোদে শুকাতে হবে।
 লেপ ব্যবহারের সময় অবশ্যই লেপের ঢাকনি লাগিয়ে নিতে হবে।
 কম্বল ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক সময় ঢাকনি ব্যবহার করা হয় না। অনেক দিন ব্যবহার না করার কারণে এতে ছত্রাক পড়ে। এ থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।
 কম্বল দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার কারণে অনেক সময় তা পোকায় কেটে ফেলে। ফলে যে অংশ পোকায় কাটে তা রিপু করে ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে।
 শীতের পোশাক যেমন—সোয়েটার, চাদর, শাল ব্যবহার করার আগে ধুয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে তবেই ব্যবহার করতে হবে।
 ছোটদের শীতের পোশাক, শীতটুপি, উল কিংবা ফ্লানেলের জামাও পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
 ছেলেদের কোট, ব্লেজার—এসব ব্যবহারের আগে ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে রোদে শুকাতে হবে।
 শীতের সময় ঘরের মেঝে যেহেতু ঠান্ডা থাকে, তাই শীত আসার আগেই শতরঞ্জি কিংবা সামর্থ্য থাকলে ফ্লোরম্যাট কিনে রাখা ভালো।
 পর্যাপ্ত শীতের পোশাক না থাকলে এখনই বেরিয়ে পড়ুন শীতের পোশাক কিনতে।
 শীতের পোশাক আলমারিতে রাখার সময় অবশ্যই নির্দিষ্ট স্থানে গুছিয়ে রাখতে হবে।
 অবশ্যই সব সময় আলমারির ভেতর ন্যাপথলিন দিয়ে রাখতে হবে।
 শীতের পোশাক ভাঁজ করে সারিবদ্ধ কিংবা হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, যাতে প্রয়োজনের সময় হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।
 যেসব ঘরে কাচের জানালা আছে, শীতের সময় তাতে অবশ্যই ভারী পর্দা ব্যবহার করতে হবে। যদি জানালার কোনো শার্সি কিংবা কাচ ভেঙে বা নষ্ট হয়ে যায়, তবে দ্রুত সারিয়ে নিতে হবে।
 বাড়ির উত্তর দিকের জানালা কম খুললে ঠান্ডা বাতাস ঘরের ভেতর তেমন ঢুকতে পারে না।
 শীতের উষ্ণতা পেতে হলে ঘরে পর্যাপ্ত রোদ আসার ব্যবস্থা করতে হবে।

শিশুর দাঁতের যত্ন

কয়েক দিন আগেই শিশুটি ফোকলা মুখে ঘরময় নেচে বেড়াত। দুধের দাঁতকে বিদায় জানিয়ে সেখানে জায়গা করে নেয় স্থায়ী দাঁত। একটি একটি করে দাঁত ওঠে। আর এই স্থায়ী দাঁতই রয়ে যায় সারা জীবন। সে জন্য এই দাঁতের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
শিশুর দুধের দাঁত পড়ে স্থায়ী দাঁত ওঠার সময়টাতে বেশ সতর্ক থাকা উচিত। তা না হলে দাঁতের গঠন ভালো হয় না। এ জন্য মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থাতেই সচেতন থাকতে হবে। মায়ের গর্ভের ছয়-আট সপ্তাহের মধ্যে ভ্রূণের দুধদাঁতের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই সময় মাকে পুষ্টিকর খাদ্য বেশি করে খেতে দেওয়া উচিত। এতে ভবিষ্যতে শক্ত ও মজবুত স্থায়ী দাঁত গঠন হয়। বলেন ইন্টিমেন্ট ডেন্টাল কেয়ারের প্রধান চিকিত্সক মো. রিয়াজুল আহসান

অবসর কাটুক ঘরোয়া খেলায়

খেলা যে শুধু মাঠেই খেলতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। অবসর সময়ে আপনি মেতে উঠতে পারেন ঘরোয়া খেলায়। এতে একসঙ্গে রথ দেখাও হবে, সেই সঙ্গে কলা বেচাটাও হয়ে যাবে। তার মানে, ঘরোয়া খেলার জন্য বাইরে যেতে হয় না। তাই বাসায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতে পারছেন, একই সঙ্গে তাদের সঙ্গে নিয়েই অবসর সময়টা কাটিয়ে দিতে পারছেন বেশ মজা করে।
এখন জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি ঘরোয়া খেলার ধরন ও দামদর।
দাবা: দাবা হচ্ছে বুদ্ধির খেলা। এ খেলা যেকোনো বয়সের মানুষ খেলতে পারে। অনেক চিন্তাভাবনা করে মাথা খাটিয়ে তারপর দাবার সৈন্য, রাজা, মন্ত্রী আকৃতির ঘুঁটিগুলো চালাতে হয়। বুদ্ধির একটু হেরফের হলেই কম্ম সাবাড়। নিশ্চিত হেরে যাবেন আপনি। দুজন মিলে এ খেলা খেলতে হয়। দুজনই ঝানু খেলোয়াড় হলে লেগে যেতে পারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময়। প্রতিটি দাবা ৫০ থেকে ৬০০ টাকায় পাওয়া যাবে

বড়দিনের উপহার, শুভেচ্ছা

‘ওই যে সান্তাক্লজ, আসছে উড়ে, তোমাকে, হ্যাঁ শুধু তোমাকেই শুভেচ্ছা জানাতে, বড়দিনের আনন্দঘন এ মুহূর্তে।’
বড়দিন আনন্দের দিন, প্রার্থনার দিন, পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানানোর দিন। মনের খুশির বহিঃপ্রকাশ ঘটে উপহার ও কার্ডের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে। হাতে বানানো অথবা দোকানের কার্ডগুলো এ ক্ষেত্রে বড় একটা ভূমিকা পালন করে।
বড়দিন উপলক্ষে কার্ডই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। রকমারি শুভেচ্ছাবাণী ও রঙের বাহারে ইতিমধ্যেই দোকানের কার্ড শেলফগুলো পরিপূর্ণ। কার্ডের পাশাপাশি উপহার দিতে পছন্দ করেন অনেকেই। এ উপহার পেয়ে খুশি হয় প্রিয় মানুষটিও। পছন্দের তালিকায় রাখার মতো উপহারও পেয়ে যাবেন নানা দোকানে- ছবির ফ্রেম, মগ, গহনা, পুতুল। অনেকে অবশ্য বেছে নিচ্ছেন ছোট টেবিল ল্যাম্প অথবা মোমদানিও। বড়দিন উপলক্ষে আড়ং নিয়ে এসেছে লাল-সাদা ঝলমলে রঙের মোমবাতি। ‘উপহার হিসেবে চকলেটই আমার সব থেকে প্রিয়’ বলে জানালেন এখানে আসা ক্যাথরিন রোজারিও।
ব্যাগ, ঘড়ি, গানের সিডি, ডিভিডি প্রভৃতি উপহারসামগ্রীর তো শেষ নেই। তবে কাজে লাগে এমন কিছুই দিতে চান সিমি। এ কারণেই তিনি এবার বড়দিনে নতুন বছরের ডায়েরি উপহার দেবেন সবাইকে।

শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন

সময়টা শীত। বনে বনে পাতা ঝরার উত্সব। পাতা ঝরে গেলে গাছকে যেমন নিষ্প্রাণ লাগে, তেমনি ত্বকের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। শুষ্ক আবহাওয়া ও ধুলাবালুতে চলার ফলে ত্বক হয়ে যায় খসখসে ও মলিন। তাই এ সময়টিতে ছেলেদের ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। হলিফ্যামিলি হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আফজালুল করিম জানালেন, শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় চামড়া শুকিয়ে খসখসে হয়ে যায়। এর ফলে ত্বক ফেটে যাওয়া থেকে শুরু করে ত্বকে চুলকানিও হতে পারে। তবে কিছু সতর্কতা জানা থাকলে এসব আর হবে না। প্রথমত, শীতকালে ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বকে খসখসে ভাব কমে আসবে। গোসলের পর ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে ও গোসলের পর নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করলে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে। ফলে আর চুলকানিও হবে না এবং ত্বকও ফাটবে না। ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার সময় এসব লোশন মেখে বের হতে হবে। এতে ত্বকে সূর্যের তাপ লাগবে না। ত্বক বাইরের ধুলাবালু থেকেও রক্ষা পাবে। কোনো অবস্থায়ই শীতকালে বেশিক্ষণ রোদে থাকা উচিত নয়। এতে ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া শীতকালে অনেকের ঠোঁটও ফাটে। এই বাড়তি যন্ত্রণা এড়াতে ভালো মানের লিপজেল ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত। এতে ঠোঁট ফাটবে না। শীতকালে ছেলেদের ত্বকের যত্ন নিয়ে কথা বললেন পারসোনা হেয়ার অ্যাডামসের রূপসজ্জাশিল্পী দেলওয়ার হোসেন। তিনি বলেন, শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ছেলেদের ত্বককে স্বাভাবিক ও সজীব রাখতে হলে মালটা ও কমলার রস মুখে মাখা যেতে পারে। এরপর কিছুক্ষণ রেখে ১০-১৫ মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে। কিছুদিন নিয়মিত এটি করলে ত্বকের সজীবতা ফিরে আসবে। আর ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই-জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া গোসলের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে কুসুম-কুসুম গরম পানির ভাপ নিলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক ভালো থাকবে। এ ছাড়া এ সময় ত্বকের ফেসিয়াল করালে ত্বক সজীব থাকবে। অনেক সময় হাতে বা কনুইয়ে খসখসে ভাব হয়। এটি দূর করতে পানি আর গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে হাতে বা খসখসে স্থানে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে নিয়মিত যত্ন না করলে কিন্তু শীতে ত্বক ভালো রাখা সম্ভব নয়। তাই প্রতিদিনই একটু সময় করে ত্বকের যত্ন নিতে হবে।

 ফরমাল ক্যাজুয়াল ব্লেজার


শীতকালে নাকি শীত তাড়াতে গিয়ে ফ্যাশন হয় না ঠিকমতো—এ রকম মন্তব্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেরই। কিন্তু দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে শীতের কাপড়। ফ্যাশনে কোনোভাবেই আর পিছিয়ে নেই এগুলো।
অফিসে এখন সাধারণত ব্লেজার ও স্যুটই পরছেন ছেলেরা। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও পরছেন ফরমাল ব্লেজার। ছেলেদের শুধু শার্ট-প্যান্টের সঙ্গে ব্লেজার পরলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে প্যান্ট, স্কার্ট এমনকি কেউ কেউ শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গেও পরছেন ব্লেজার। আবার সব সময় ফরমাল নয়, একটু ক্যাজুয়াল ধাঁচেও তৈরি হচ্ছে এখনকার ব্লেজারগুলো।

Tuesday, December 15, 2009

পিঠাপুলির স্বাদ

শীত শুরু হয়ে গেছে। নতুন চাল, নতুন গুড়ের ঘ্রাণ পাওয়া যাচ্ছে এখনই। পিঠাপুলি খাওয়ার এই তো সময়। দেখুন সিতারা ফিরদৌসের দেওয়া রান্নাগুলো।

Tuesday, December 8, 2009

ঈদের খাওয়া দাওয়া

উৎসব মানেই খাবারের ভিন্নতা। ভোজ আয়োজনে উৎসবের ছটা না লাগলে কোন উৎসবই যেন পরিপূর্ণতা পায় না। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদ-উল-আযহা যেন একটু বেশিই এগিয়ে। তার কারণ ঘরে ঘরে কোরবানির গোস্তের আমদানি। আর তাই ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে এ পক্ষ কড়চা’য় থাকছে উৎসবের খাবারের কিছু ভিন্ন আয়োজন। রেসিপিগুলো দিয়েছেন রিমিক্স বিউটি পার্লার ও রান্নার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্ণধার রন্ধন বিশেষজ্ঞ আফরিনা শিপন আর ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

হারবাল স্পা’তে তিন ধরনের ত্বক চর্চা রুটিন

মুখ আপনার মনের আয়না। মুখের যতœ নেয়ার দায়িত্ব আপনারই। বেশী টাকা খরচ না করে অল্প সময়েও আপনার ক্লান্তি বা মানসিক চাপ কাটিয়ে আপনার মুখের ত্বককে অত্যন্ত সুন্দর রাখা সম্ভব। আজকাল সৌন্দর্যের মাপকাঠী বিচার করার চাইতে ত্বক ও ি ম ফিগার অনেক বেশী মূল্যবান। খুব সুন্দর ত্বক হলে কোনো মেকাপের দরকার নেই। এর জন্য দরকার একটি ত্বক চর্চা রুটিন ও ধাপ সিস্টেম যেমনঃ ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং।

০ শুরু করুন ডিপ ক্লিনজিং দিয়ে। হারবাল ডিপ ক্লিনজিং করার জন্য ঘরে বসেই আপনি তৈরী করে নিন ডিপ ক্লিনজার। ১ চা চামচ ভার্জিন ওলিভঅয়েল ৪/৫ ফোটা লেবুর রস ও ১ চা চামচ শশার রস ভাল করে ফেটে নিয়ে আলতো করে ত্বকের উপর ম্যাসেজ করুন। এরপর ১টি পরিষ্কার তুলোর প্যাড দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

০টোনিং এর পালা : আপনার ত্বকে নিড্স কুইক ওয়েক- আপ। হালকা গরম পানিতে ছোট তোয়ালে ভিজিয়ে মুখে কিছুক্ষণ ধরে রাখতে হবে অথবা স্টিম দিতে হবে ৩ থেকে ৪ মিঃ এবং ব্ল্যাক হেডস, হোয়াইট হেডসগুলো টিপে বা ব্ল্যাক হেডস রিমুভার স্টিক দিয়ে চেপে বের করে নিতে হবে তার পর বরফ দিয়ে টোনিংটা সম্পন্ন করতে হবে।

০ ময়েশ্চারাইজিং শুষ্ক, তৈলাক্ত, স্বাভাবিক যে, ধরনের ত্বকই থাকুক না কেন দূষণ রোধ তাপ বা স্ট্রেস যাই থাকুক না কেন ত্বক প্রতি দিনই তার আদ্রতা হারায়। এই হারানো আদ্রতা ফিরিয়ে দিতে আপনার দরকার রোজ ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগানো আবার ময়েশ্চারাইজিং করার আগে ঘরের তৈরী একটি প্যাক লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে মুলতানী মাটি ও মধু মিশিয়ে প্যাক লাগানো যেতে পারে। প্যাকটা মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিঃ লাগিয়ে রাখতে হবে তার পর ধুয়ে ফেলে ভাল কোন ব্র্যান্ডের ফেসিয়াল ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজিং লাগিয়ে নিন। তবে অবশ্যই আপনার স্কিনের ধরন জেনে ময়েশ্চারাইজার কিনবেন।

রূপ টিপস্

সজীবতার রূপ রুটিন

০ সকালে মাইল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।

০ গোসলের আগে মাথায় হট অয়েল মাসাজ করুন। ত্বক অনুযায়ী ফেসিয়াল মাস্ক লাগাতে পারেন।

০ গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার দিয়ে মুখ, হাত ও পা মাসাজ করুন।

০ বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন লাগান।

০ বাড়ি ফেরার পর ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিংটাও জরুরি।

সজীব মেকআপের আট কৌশল

০ ত্বক পরিষ্কার করুন

০ ময়েশ্চারাইজার লাগান

০ আই লাইনারের সূক্ষ্ম রেখা টেনে নিন সাথে কাজল পরে নিন

০ লিপ পেন্সিল দিয়ে ঠোঁটের রেখা টেনে নিন। এবার লিপস্টিক লাগান।

০ টিপ পড়ে নিন

০ এবার সুগন্ধি লাগিয়ে নিন।

মেকআপ কিটে যা যা রাখবেন

০ ওয়েট টিস্যু

০ ছোট ময়েশ্চারাইজার

০ ফেস পাউডার

০ আই লাইনার

০ লিপ লাইনার

০ লিপস্টিক

০ চিরুনী

০ কাজল

কেমন ঘর চাই

বাড়ি সাজানোর আগেই ঠিক করে নেয়া উচিৎ বাড়িতে যারা বসবার করবে তাদের ইচ্ছা অভিরুচির কথা। এখানে আরও একটা ব্যাপার বলে রাখা দরকার, বাড়ি সাজাতে গিয়ে যদি আপনার ঘরের লোকজন বিরক্ত হয় তবে কিন্তু সেই গৃহ সজ্জার কোন মানেই হয় না। তাই ঘর সাজানোর আগে সবাইকে নিয়ে একটা তালিকা তৈরি করে নিন, যাতে এক নজরে আপনি দেখে নিতে পারেন পরিবারের সবার মতামত। এবার তালিকা ধরে হিসেবও তৈরি করুন, কোন ঘরে কত খরচ করবেন। এই হিসেব আর তলিকা তৈরিতে ৩টি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। ১) বাস্তবিক প্রয়োগ ২) রুচিশীলতা ৩) বাজেট।

ঠোঁটের আকার পরিবর্তন

তানিকে সে দিন বিয়ের পার্টিতে জমকালো শাড়ি আর গয়নায় বেশ লাগছিল। কিন্তু ওর মেকআপের মধ্যে কোথায় যেন একটা অসামঞ্জস্যতা ফুটে উঠছিল। তানিও এটা নিয়ে বেশ বিব্রত বোধ করছিল। এ সময় তানির বান্ধবী নাদিয়া এগিয়ে আসলেন তানির এ বিব্রত বোধ কাটানোর জন্য। নাদিয়া জানালেন তানির ঠোঁটের লিপস্টিক লাগানোটা ওর ঠোঁট অনুযায়ী মানানসই হয়নি বলেই পুরো মেকআপটা বেমানান লাগছে। কাজেই বুঝতেই পারছেন মুখের মেকআপের ক্ষেত্রে ঠোঁট কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। ঠোঁটের সাথে মানানসই মেকআপ করলে আপনার মুখশ্রী যেমন হয়ে উঠবে মোহনীয় তেমনি ঠোঁটের আকার অনুযায়ী মেকআপ না করলে পুরো মেকআপ প্রক্রিয়াই ভন্ডুল হয়ে যেতে পারে। তাই ঠোঁটের আকার অনুযায়ী মেকআপ রপ্ত করা অপরিহার্য। তাই নিয়ে এবারের রূপকড়চা

উৎসবের খাবার


উৎসব মানেই খাবারের ভিন্নতা। ভোজ আয়োজনে উৎসবের ছটা না লাগলে কোন উৎসবই যেন পরিপূর্ণতা পায় না। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদ-উল-আযহা যেন একটু বেশিই এগিয়ে। তার কারণ ঘরে ঘরে কোরবানির গোস্তের আমদানি। আর তাই ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে এ পক্ষ কড়চা’য় থাকছে উৎসবের খাবারের কিছু ভিন্ন আয়োজন। রেসিপিগুলো দিয়েছেন সাকসেস ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার ও রন্ধন বিশেষজ্ঞ আফরোজা জামান আর ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

বসনে স্বাধীনতা

লাল সবুজের গল্পে ডিসেম্বরের দিনগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় অকৃত্রিম দেশপ্রেমে মনভাসানিয়া স্বাধীনতার সংগ্রামের কথা। ১৯৭১ যেন এক সজীব আনন্দে ফিরে আসে এই ডিসেম্বরে। আর জাতির এই মুক্তি উৎসবে লাল সবুজের বসন আমাদের স্বাদ দেয় স্বাধীনতার আমেজের। তারই প্রেক্ষিতে ফ্যাশন হাউজগুলোতে চলে ছোট্ট পরিসরে কিন্তু আবেগের সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করে ভিন্ন আয়োজন। ফ্যাশন হাউজগুলোর সেই আয়োজনের কিছু চিত্র তুলে ধরে রাখা হলো এখানে

শীতের পিঠাপুলি


শীত মানে পিঠা খাওয়ার উৎসব। কনকনে শীতে গরম পিঠা খাওয়ার উৎসবে মেতে উঠে গ্রাম বাংলার পাশাপাশি শহরের মানুষগুলো। এ উৎসব যেন ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের। শীতের পিঠা চাইলেই কম খরচে ঘরে বসে করা যায়। আতপ চালের গুড়ি, গুড়, নারিকেল, দুধ, চিনি দিয়ে তৈরী এসব পিঠা খুবই সুস্বাদু। অতিথি আপ্যায়নেও পিঠার বিকল্প নেই। শীতকালে সকাল ও বিকেলের নাস্তা পিঠা দিয়ে করা হয়। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে গরম পিঠার জুড়ি নেই। পিঠার এসব রেসিপি দিয়েছে রিমিক্স বিউটি পার্লার রান্না হ্যান্ডি ক্র্যাফট, ফ্যাশন ডিজাইন ও বুটিকস্ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক আফরিনা শিপন আর ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

শীতে সৌন্দর্য-সুরক্ষা

ষড়ঋতুর পালাবদলে আমাদের দুয়ারে শীতকাল। হিম হিম এই সময়ে গাছ হয়ে পড়ে পত্র-পুষ্পহীন শুকনো। অন্যদিকে মানুষের নাজুক ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যেতে চায়। সূর্যের আলট্রাভায়োলেট-রে (অতি বেগুনী রশ্মি) শরীরের খোলা অংশে নানা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। চুল থেকে ঝলমলে ভাব উধাও হয়ে গিয়ে চুল বিবর্ণ ও মলিন হয়; মাথায় খুশকির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ঠোঁট ফেটে হয় চৌচির। কপালে অকালে বলিরেখা দেখা দেয়।

শীত চাদরের আদর

ফ্যাশনে চাদর উপকরণটির সম্পর্ক অনেক পুরানো। এমন অনেক স্টাইল আছে যেগুলো ঠিক চাদর ছাড়া যেনো জমে ওঠে না। কিন্তু আমাদের উষ্ণ অঞ্চলে শীতের ৩-৪টা মাসই কেবল চাদর ব্যবহার করা যায়। এক সময় আমাদের দেশে বিদেশী শাল বা চাদর জনপ্রিয় হলেও এখন কিন্তু দেশী ফ্যাশন হাউজগুলোও মনযোগী হচ্ছে শীতের চাদর তৈরিতে। শীতের এই ফ্যাশন অনুসঙ্গ নিয়েই আমাদের এবারের কড়চার মূল আয়োজন। লিখেছেন এমএইচ মিশু

একাকিত্বের ঘেরাটোপে

পরিবর্তনটা হঠাত্ই চোখে পড়ে। প্রান্ত কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে। জেদি, একরোখা। কারও সঙ্গে কোনো কিছু ভাগ করে নিতে পারে না। স্কুল থেকেও অভিযোগ। ওর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তনটা বাবা-মা খেয়াল করেন। তত দিনে বেশ দেরি হয়ে গেছে। নিজেদের ব্যস্ততায় একমাত্র সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কটা ফিকে হয়ে গেছে, বেড়েছে দূরত্ব। এদিকে একাকিত্বের ঘেরাটোপে প্রান্তও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।

স্বাদবদলে চাই মাছ

ঈদের পর তো মাংস খাওয়া চলছেই। স্বাদবদলের জন্য এখন একটু মাছ হলেও মন্দ হয় না। কল্পনা রহমানের দেওয়া রান্নাগুলো দেখুন।

পালং ঝোলে মলা মাছ
উপকরণ ও পরিমাণ: মলা মাছ এক কাপ, পালং শাক ২৫০ গ্রাম, রসুন বাটা আধা চা চামচ, ঝোলের জন্য ভাতের মাড় দুই কাপ, পেঁয়াজ কুচি চার টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ছয়-সাতটি, জিরা বাটা আধা চা চামচ, তেল সিকি কাপ, লবণ প্রয়োজনমতো।
প্রণালী: পাত্রে তেল, লবণ, পেঁয়াজ কুচি, বাটা মসলা, কাঁচা মরিচ ও মলা মাছ একসঙ্গে মাখাতে হবে। এবার মাছগুলো উঠিয়ে অন্য পাত্রে রাখতে হবে। মসলার মধ্যে মাড় দিয়ে চুলায় বসাতে হবে। ভালোভাবে ফুটে উঠলে পালং শাক দিয়ে বেশি জ্বাল দিতে হবে। একটু পরে মাছগুলো বিছিয়ে ঢেকে দিতে হবে। মাখামাখা ঝোল রেখে নামাতে হবে। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

শীতে শাল

বাংলাদেশে গ্রামের শীত আর শহরের শীতের মধ্যে বিস্তর তফাত। শহরে শীতের আমেজ উপভোগ করার সময় যেন কারোরই নেই। শীতের রূপ তাই দুই জায়গায় দুই রকম। এ কারণেই শহরে শীতের পোশাকটিও যেন নগরের যান্ত্রিকতা মাথায় রেখেই করা। তাই পাঁচ হাত লম্বা আর আড়াই হাত বহরের শীতের শাল এখানে হাল সময়ে এসে যেন একটু খাটো হয়ে যায়। দিনের বিভিন্ন সময়ে শীতের তারতম্য, আর ব্যবহারিক উপযোগিতা—এ দুই বিষয় মাথায় রেখেই যেন শীতের শালে এই নতুনত্ব।