RSS

Friday, June 12, 2009

খুশকি থেকে মুক্তি

রূপকড়চার বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞের কলাম বিভাগে আমাদের সঙ্গী হয়েছে রূপ বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান। এ সপ্তাহে তার কলামে উঠে এসেছে রূপচর্চায় প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপকরণের ব্যবহার।

চুল যাদের আছে, চুল নিয়ে ভাবনাটাও তাদের নিত্য দিনের। চুল যদি সুস্থ আর স্বাভাবিক হয় তাহলে হয়তো সামান্য একটু যতœতেই তাকে স্টাইলের অংশ করে নেয়া যায়। কিন্তু চুল যদি হয় রূক্ষ কিংবা খুশকি যুক্ত তবে স্টাইলতো দূরে থাক, বরং চুল নিয়ে অস্বস্তিতেই কাটে পুরোটা সময়। আজকাল বাজারে হরেক রকমের এন্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু পাওয়া যায় যেগুলো নিয়মিত ব্যবহারে চুলের খুশকি অনেকাংশেই কমে যায়। তবে কথায় বলে প্রতিরোধ হচ্ছে প্রতিকারের চাইতে উত্তম। কাজেই একবার খুশকি হয়ে যাবার পর সেটার নিদান হাতরে মরবার চাইতে আগে থেকেই জেনে রাখুন যে কি কি পদক্ষেপ নিলে আপনার মাথায় খুশকি হবার সম্ভাবনা কমবে।

খুশকির সংক্রমনের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবার জন্য আপনি যা যা খেয়াল রাখবেন তা হলো -

০ বাসার আর কারো খুশকি থাক বা না থাক, নিজের চিরুনি সব সময়ই আলাদা করে রাখুন। এই চিরুনি অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না। নিজেও অন্য কারোটা মাথায় ছোঁয়াবেন না।
০ একইভাবে নিজের জন্য আলাদা একটি মাথা মোছার তোয়ালে রাখুন।
০ বালিশের কাভার এবং বিছানার চাদর কিছুদিন পর পর ডেটল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
০ চুল বড় হোক কিংবা ছোট, খুশকি থেকে বাঁচতে চাইলে তা কখনোই ভেজা অবস্থায় আঁচড়ানো যাবে না।
০ খুশকি প্রতিরোধে প্রচুর পরিমানে পানি, টাটকা ফল, সবজি এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।

এদিকে যাদের চুলে ইতোমধ্যেই খুশকির সংক্রমন হয়েছে তারাও ঢালাওভাবে চুলে এন্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে বসে থাকলে চলবে না। বরং খুশকির ধরণ বুঝে নিতে হবে বিশেষ ব্যবস্থা। খুশকি যদি আঠালো বা তেলতেল টাইপের হয় অথবা যদি মাথার ত্বকে সেরোরিক ডার্মাটাইটিসের মতো রোগের সংক্রমন হয় তাহলে চুলে কোনোপ্রকার তেল দেয়া যাবে না। আর দ্রুত কোনো ভাল বিউটি পার্লার থেকে নিতে হবে হার্বাল ট্রিটমেন্ট। তবে যাদের পক্ষে পার্লারে গিয়ে হার্বাল ট্রিটমেন্ট করানো সম্ভবপর নয় তারা বাসায় বসেও কিছু কৌশল অবলম্বন করে খুশকির সংক্রমন কমাতে পারেন। এক্ষেত্রে নীচের যেকোনো একটি পদ্ধতি আপনার কাজে আসতে পারে।

০ জবা ফুল, আমলকি ও জলপাই একসঙ্গে বেটে চুলের গোড়ায় লাগান। এরপর আধঘন্টা সময় এটি মাথায় রেখে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
০ দূর্বা ঘাস এবং নিমপাতা বাটার সাথে ভিনেগার ও শসার রস মিশিয়ে পেস্ট করে মাথায় লাগান এবং আধঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
০ তুলসি পাতা বাটার সাথে কর্পুর ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় আধঘন্টা দিয়ে রেখে চুল শ্যাম্পু করে ফেলুন।
অন্যদিকে যাদের খুশকি আঠালো বা তেলতেলে ধরণের নয়, অর্থাৎ যারা শুস্ক খুশকিতে আক্রান্ত তারা ঘরে বসে যা করতে পারেন তাহলো -
০ কিছু কাঁচা আমলকি ছেঁচে তেলে দিয়ে রোদে দুই তিন দিন শুকিয়ে নিন। তারপর এই তেলটি সপ্তাহে দুদিন মাথায় লাগান। চুলে শ্যাম্পু করবার আগে মাথায় গরম তোয়ালের ভাপ নিয়ে নিন।
০ মেথী বাটা, আমলকির রস, অল্প গ্লিসারিন, একটি ডিম ও টকদই সামান্য গরম পানিতে পেস্ট করে মাথায় লাগান এবং আধঘন্টা পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
০ কেশুতি পাতা বাটা, আদার রস, আমলকি ও শিকাকাই গুড়ো নারকেলের দুধ দিয়ে পেস্ট করে মাথায় লাগান। আধঘন্টা পর চুল শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

0 comments:

Post a Comment