RSS

Sunday, June 14, 2009

কাঁধে যখন ব্যাগ

ছেলে কিংবা মেয়ে, সবার জন্যই অন্যতম এক অনুষঙ্গ ব্যাগ। প্রয়োজনতো বটেই, স্টাইলের ক্ষেত্রেও ব্যাগের কদর নেহায়েত কম নয়। প্রজন্মের কমবেশি সবাই ব্যাগ ব্যবহার করেন। কিন্তু ব্যাগের ইতিহাস কজন জানেন?

খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় অব্দে প্রাচীন চীনে চা-পাতা সংরক্ষণের জন্য প্রথম প্যাকেটের ব্যবহার শুরু হয়। তৎকালীন প্যাকেটগুলো ছিলো কাগজের তৈরি। এই প্যাকেটই পরে বিবর্তিত হয়ে ব্যাগে রূপান্তরিত হয়। জিনিসপত্র এক স্থান থেকে আরেক স্থানে সরিয়ে নেয়ার সুবিধার্থে কাগজের প্যাকেট তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে চামড়া, কাপড় ও প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরি হয়। বর্তমানে ব্যাগের যতোটা প্রয়োজন রয়েছে কাজের বিচারে ততোটাই প্রয়োজন আছে স্টাইলের মাপকাঠিতে। তাইতো ব্যাগকে বলা হচ্ছে স্টাইল স্টেটমেন্ট।

অনেক ধরণের ব্যাগ আছে। প্রথমেই আসে হ্যান্ডব্যাগের কথা। হাতে বহন করা যায় এমন ব্যাগকেই হ্যান্ডব্যাগ বলা হয়। অফিস কিংবা সাধারণ ব্যবহারের জন্য ননারকম হ্যান্ডব্যাগ পাওয়া যায় বাজারে। সব ধরণের ব্যাগইে এখন ফ্যাশনেবল একটা বিষয় থাকে। হ্যান্ডব্যাগের ব্যবহার হয় প্রায় সবার হাতেই। এরপরেই যার কথা আসে সেটা হলো পার্স বা ওয়ালেট। সাধারণত টাকা-পয়সা রাখার জন্যই পার্স বা ওয়ালেট ব্যবহৃত হয়। ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ডও পার্স-ওয়ালেটে রাখা যায়। পার্সেরই আরেকটি ফরম্যাট হলো ক্লাচ। হার্ড বা সফট ম্যাটেরিয়ালে তৈরি এই ব্যাগ হাতের মুঠোয় রাখা হয়। সাধারণত পার্টি কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে মেয়েরা এই ক্লাচ ব্যবহার করে। যেসব ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে বলা হয় শোল্ডার ব্যাগ। এই ধরণের ব্যাগ অফিস বা পার্টি দু’ধরণেরই হয়। নিত্য ব্যবহার্য নানা জিনিস বহনের জন্য ব্যবহৃত বড় ব্যাগকে বলা হয় টোট ব্যাগ। দু’কাঁধে ঝুলিয়ে পিঠে যে বড় ব্যাগ নেয়া হয় তাকে বলে রুকস্যাক। সাধারণত পাহাড়ে ওঠার সময় এ ধরণের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। পোশাক ছাড়াও দড়ি, পানির বোতল বহনের জন্য ব্যবস্থা থাকে এই রুকস্যাকে। ছোট রুকস্যাকের হ্যান্ডেল সরু হলে তাতে স্ট্রিং লাগানো থাকে, তখন একে স্ট্রিং ব্যাগও বলা হয়।

0 comments:

Post a Comment