RSS

Wednesday, June 17, 2009

আধুনিক রসুইঘর

সেকেলের রান্নাঘর আর আজকের রান্নাঘরের সাজ-সজ্জার তুলনা আকাশ পাতাল। নানী-দাদীরা আগে মাটির চুলার উপর সাদামাটির প্রলেপ আর রান্নাঘরের মাঝে লালমাটির প্রলেপ দিয়ে তকতকে করে রাখতেন। রান্নার কাজে ব্যবহার্য জিনিসপত্র কোনো উঁচু জায়গায় অথবা পেরেকে ঝুলিয়ে রাখতেন। আর হাঁড়ি পাতিল রাখা হত পাটের তৈরি শিকায় করে। সুতারাং দেখা যায় রাঁধুনীরা কিন্তু তখনকার দিনেও তার রসুই ঘরটিকে কম সাজিয়ে রাখতেন না। আর আধুনিক সময়ে তো বাজারে এসেছে নতুন সব তাক লাগানো জিনিসপত্র। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব সরঞ্জাম পাল্টে দিয়েছে আধুনিকার রসুইঘরের চেহারা।

রান্নাঘরের সৌন্দর্য নিয়ে কিছু কথা-
পরিকল্পিত গোছানো রান্নাঘরই রান্নাঘরের সৌন্দর্যের প্রধান চাবিকাঠি। রান্নার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মধ্যে প্রথমেই দরকার পড়ে কাটাকুটির যন্ত্রপাতির ও ধোয়া মোছার জায়গা, দ্বিতীয়ত মেশানোর উপকরণ অর্থাৎ মশলা এবং সবশেষে রান্না। তাই রান্নাঘর সাজানোর ও বাড়ি তৈরির সময় এই কাঠামোর দিকে লক্ষ রাখতে হবে। এতে রাধুনীর সময়ের অপচয় ও কষ্ট উভয়ই কম হবে। এবার জানা যাক রান্নাঘরের সুরক্ষা এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কৌশল ও উপকারিতা সম্পর্কে কিছু টিপস্।

কাটার ও কাটিং বোর্ড
এখন অনেকেই রান্নার কাটাকুটি দাঁড়িয়েই করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাই ক্যাবিনেটে কাটিং বোর্ড রাখা দরকার হয়। কাটিং বোর্ডে মাছ, মাংস, যেকোনো সবজি, ফল ও অন্যান্য খাবার দাঁড়িয়ে কম সময়ে কাটা যায়। বাজারে এখন বিভিন্ন কাটার পাওয়া যায়। যেমন- ফ্রুট কাটার, পিৎজা কাটার, বাটার ও সালাদ তৈরিতে কাটার বেশ সহায়ক।

ভেজিটেবল পিলার: বিভিন্ন ধরনের সবজি ফলের খোসা নিখুঁতভাবে ছাড়াতে ভেজিটেবল পিলার ব্যবহার করা হয়।
গ্রেটার: সবজি বা অন্য খাবার খুব দ্রুত কুচিকুচি করতে ব্যবহৃত হয় গ্রেটার।
কিচেন হুড: রান্নাঘরে চুলার উপরে হুডের মত এটা লাগানো হয়। কিচেন হুড রান্নাঘরের বাড়তি তাপ, চুলা থেকে জামা ময়লা ও তেল চিটচিটে হওয়া ভাব দূর করে। কিছুদিন পর পর এই কিচেন হুড পরিষ্কার করবেন। এটি বিদ্যুতে চলে।
কিচেন ক্যাবিনেট: রান্নাঘরের প্রশস্ততা অনুযায়ী কিচেন ক্যাবিনেট বানাতে হবে। যা একই সঙ্গে রান্নাঘরের সৌন্দর্য রক্ষা করবে। জায়গার অপচয় কম করবে ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সুনির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে সহায়ক হবে। বাজারে ‘এল’ ও ‘ইউ’ আকৃতির ক্যাবিনেট রয়েছে। এসব ক্যাবিনেট আলাদা বা পুরো সেটসহ পাওয়া যায়।
কিচেন গ্লাভস: আগুন থেকে নিরাপদ থাকতে কিচেন গ্লাভস ব্যবহার করুন। চুলা থেকে গরম পাতিল ও ওভেন থেকে গরম খাবার বের করতে গ্লাভস ব্যবহার করলে হাতের ত্বকের সুরক্ষাও হয়। আবার হাতে কালি ঝুলিও লাগে কম।
ননস্টিক ফ্রাইপ্যান: ননস্টিক ফ্রাইপ্যান ব্যবহার সাধারণ কড়াই থেকে সুবিধাজনক ও সাশ্রয়ী। কারণ, ননস্টিক ফ্রাইপ্যান রান্না করলে খাবার সহজে পুড়ে বা লেগে যায় না। তেল পরিমাণে কম লাগে। যা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
কিচেন অ্যাপ্রন: আধুনিক রাঁধুনীদের জন্য কিচেন অ্যাপ্রন ব্যবহার জরুরী, কারণ ব্যস্ত কর্মজীবী মহিলারা অনেক সময় হাতে নিয়ে রান্না করতে পারে না। হয়ত বাচ্চাকে স্কুলে দেয়া নেয়ার ফাঁকেই সারতে হয় দুপুরের রান্নার কাজ তাই বারবার কাপড় বদলানোর ঝামেলা না করে এ্যাপ্রন ব্যবহার করলে তরকারির ঝোল, মসলার দাগ এবং শরীর তাপের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকে।

রান্নাঘরের টুকিটাকি

যেভাবে রাখবেন
ব্লেন্ডার, এগবিটার, জুসার, মিক্সচার, স্যান্ডউইচ মেকার, কফি মেকার, টোস্টার, প্রেসার কুকার, রাইস কুকার, মাল্টি নাইফ ইত্যাদি ইলেট্রনিক সরঞ্জাম চুলা থেকে দূরে ক্যাবিনেটের একটি সুরক্ষিত জায়গায় রাখবেন। আর বেসিনের কাছাকাছি শেলফে ফিট করবেন কাটার বোর্ড।
ডোর ম্যাট: প্রয়োজনে চট জলদি কাজে লাগাতে হাতের কাছে টুকটাক জিনিসপত্র রাখা যায়। এজন্য ডোর ম্যাটে স্যাভলন ক্রিম, পোড়ার ওষুধ, ব্যান্ডেজ, কাঁচি, তুলা, চামচ, টিস্যু ইত্যাদি রাখা যায়। যা হঠাৎ প্রয়োজনে আপনাকে সাহায্য করবে তৎক্ষণাৎ।

1 comments:

Ovi said...

অসংখ্য ধন্যবাদ, একটি আধুনিক রান্নাঘরে যা যা এক্সেসরিজ থাকা প্রয়োজন তা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি আমার রান্নাঘরের জন্য উল্লেখিত এক্সেসরিজগুলোই নির্বাচন করি এবং এগুলোর সবকিছুই অনেক অনলাইন ওয়েবসাইটে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শেষে fixit.com.bd থেকে এক নিমিষেই সব kitchen accessories পেয়ে যাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

Post a Comment