RSS

Wednesday, June 17, 2009

রূপ সমস্যার সমাধান

নারীর স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে আরও কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায় অথবা প্রসাধনীর সঠিক ব্যবহার করে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠা যায় এইসব তথ্য এবং তত্ত্ব তখনই মূখ্য হয়ে উঠবে যখন দৈহিক সৌন্দর্য বজায় থাকবে। শারীরিক কিছু সাধারণ সমস্যা যা প্রতিনিয়ত দেখা যায় তার জন্য কিছু টিপস্ রইল-

সানস্পট
০ রোদ থেকে সানস্পটের সৃষ্টি হয়। সানস্পটের সমস্যা কমাতে রেটিনয়েড সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
০ প্রতিদিন ঠান্ডা দুধে তুলো ভিজিয়ে সানবার্নের উপর লাগান। এতে করে ত্বক ঠান্ডা থাকবে ত্বকের জেল্লা বাড়বে এবং সানবার্নে উপকারী ভূমিকা পালন করবে।
০ এক মুঠো তিল গুড়ো করে আধাকাপ পানিতে ২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে সেই পানি ছেঁকে মুখ ধোয়ার জন্য ব্যবহার করুন। তিলের তেল সানবার্নের জন্য খুবই উপকারী।

ব্ল্যাকহেডস
০ সাধারণত লোমকূপে ময়লা জমে ব্ল্যাকহেডসের সূত্রপাত ঘটে। এজন্য নিয়মিত বাইরে থেকে ফিরে এসে সঠিকভাবে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।
০ কর্ণফ্লাওয়ার, গুড়ো চিনি এবং কয়েক ফোঁটা ভিনেগার একসঙ্গে মিশিয়ে আধাঘন্টা রেখে হালকা মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
০ ৩ ভাগ বেকিং সোডা, ১ ভাগ পানি মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এ ছাড়া ওটমিল, ডিমের সাদা অংশ ও মধু মিশিয়ে ১০ মিনিট ব্ল্যাকহেডসের উপর লাগিয়ে রেখে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

বলিরেখা
০ বলিরেখার জন্য বাঁধাকপির রস ১ চামচ মধু মিশিয়ে লাগান উপকার পাবেন।
০ প্রতিদিন শোবার আগে ১ চামচ আমন্ড ওয়েল চোখের পাতার এবং চোখের চারধারে মাসাজ করুন।
০ অ্যালোভেরা জেল রাতে শোবার আগে লাগান। অ্যাপেল সিডার, ভিনেগার ও অরেঞ্জ জুস মিশিয়ে স্টোর করে রাখতে পারেন।
০ নিয়মিত ব্যবহার করুন যা বয়সের ছাপ কমাতে টনিক হিসেবে কাজ করবে।
০ ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং-এর প্রাথমিক নিয়ম মেনে চলুন। প্রতিদিন সকালে ও রাতে মুখের সঙ্গে গলা মাইল্ড সোপ দিয়ে পরিষ্কার করবেন। বাইরে বের হবার সময় সানস্ক্রিন এবং রাতে শোবার সময় ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম অবশ্যই লাগাবেন।

পাফি আইজ
০ চোখের কোল ফুলে যাওয়াকে বলে পাফি আইজ। পাফি আইজ থেকে রক্ষা পেতে চোখে ঠান্ডা বরফ পানির সেঁক দিন।
০ শসার রস ঠান্ডা করে তুলোতে ভিজিয়ে চোখের উপর লাগিয়ে রাখুন। চোখের অনেক আরাম হবে।
০ আইজেল আধঘন্টা ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে সেই জেল চোখে লাগান। সমস্যা কমে যাবে।
০ সল্ট ইনটেক বেশী হলে চোখের চারপাশের টিস্যুতে পানি জমে যায়। এ থেকে রক্ষা পেতে বেশী করে পানি পান করবেন। এতে জমে থাকা সল্ট ফ্লাশ আউট হয়ে যাবে।

নিস্তেজ চুল
পাতলা, নেতিয়ে পড়া চুলে নিয়মিত হালকা শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন। মাথার ত্বকের তেল পরিষ্কার হয়ে চুলের তেলতেলভাব দূর হবে।
০ প্রোটিন সমৃদ্ধ বা ওয়াটার বেসড কন্ডিশনার ব্যবহার করুন চুলের ভলিউম বাড়বে।
০ শ্যাম্পুর পর বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন হেয়ার রিন্স। ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে তৈরি করে নিন হেয়ার রিন্স। চুল চকচকে থাকবে।
অতিরিক্ত শুষ্ক বা তৈলাক্ত ভাব কমাতে
০ ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক লাগলে কমলালেবুর জুস তুলায় ভিজিয়ে হালকা হাতে লাগান। ত্বক নরম ও মসৃণ হবে।
০ ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করতে আটা পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট করে ত্বকের উপর লাগান।
০ টমেটো জুসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে স্কিন টনিক হিসেবে ব্যবহার করুন। ত্বক উজ্জ¦ল থাকবে।

রুক্ষ ঠোঁটে আদ্রতা আনতে
০ ঠোঁটের ডেড স্কিন তুলতে লিপ বাম লাগিয়ে বেশী টুথ ব্রাশ দিয়ে আস্তে আস্তে ঘষে তুলে ফেলুন।
০ ঠোঁট নরম করতে এক সপ্তাহ নারকেল তেল, চন্দন বাটা ও গোলাপজল পেস্ট করে রাতে ঘুমানোর সময় লাগাবেন। ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে ফেলবেন।
০ মেকআপের সময় লিপস্টিক লাগানোর আগে সবসময় কোনও কোল্ড ক্রিম বা লিপ কম লাগিয়ে নিবেন।

0 comments:

Post a Comment