RSS

Sunday, November 28, 2010

কিছু টিপস

 ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া এয়ার এশিয়া অথবা মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের টিকিট পাবেন। খরচ জনপ্রতি রিটার্নসহ ১৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
 কুয়ালালামপুরে ইচ্ছা করলে হোটেলে না থেকে গেস্ট হাউসে থাকতে পারেন। এখানে বাংলাদেশিদের গেস্ট হাউস আছে, যা আপনাকে একেবারে ঘরোয়া অনুভূতি দেবে। খরচ পড়বে টাকায় এক হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার।
 কুয়ালালামপুরে শপিংয়ের জন্য সানওয়ে লেগুন, মাইনস, মাইডিন, টাইমস স্কয়ার, চায়না টাউন, মিড ভ্যালি আর লাংকাউইতে লাংকাউই ফেয়ার শপিং মল উল্লেখযোগ্য। ইলেকট্রনিকস যেকোনো পণ্যের জন্য অতি পরিচিত কুয়ালালামপুরের লে ইয়াট মার্কেট।
 ট্যাক্সিতে না ঘুরে বাসে যেতে পারেন, অনেক সাশ্রয়ী। এ ছাড়া আছে মনোরেল। শহরজুড়ে মাথার ওপর রেলপথ। অসাধারণ সার্ভিসে খরচ জনপ্রতি এক-পাঁচ রিঙ্গিত।
 বুকিট বিনতান সদা জমজমাট রেস্তোরাঁ, শপিং আর স্পা ম্যাসাজের পসরা নিয়ে। ইন্ডিয়ান ফুড, চায়নিজ ফুড, পাকিস্তানি ফুড আর মালয় ফুড খেতে পারেন স্বাদ বদলানোর জন্য। আর বিপদের সঙ্গী কেএফসি আর ম্যাকডোনাল্ডস তো আছেই গলির মোড়ে মোড়ে।
 লাংকাউইতে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে ভুলবেন না। কারণ, ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি জমা দিয়ে নামীদামি সব গাড়ি সারা দিনের জন্য ভাড়া নেওয়া যায় অনায়াসে। যাঁদের স্পোর্টস কার চালানোর স্বপ্ন, তাঁদের জন্য লাংকাউই স্বর্গ। কম খরচে নিজের হয়ে যাবে দামি দামি সব স্পোর্টস কার।
 গেনটিং হাইল্যান্ডের জন্য গরম কাপড় অবশ্যই নেবেন। অনেক উঁচুতে বলে মেঘের রাজ্যে শীতটা একটু বেশি।
 পুরো মালয়েশিয়া একদম নিরাপদ। তাই চুটিয়ে ঘুরে বেড়ান সারা দিন, এমনকি সারা রাত।

সবুজে নির্জনে

অকস্মাৎ নীরবতা। কারও যেন আর কিছু কইবার নেই। চারপাশ কী দারুণ নীরব নিস্তব্ধ! এমনকি পুরো পথ সরব ছিল যে পথপ্রদর্শক তরুণ, তার মুখেও রা নেই। অতি অসাধারণ কোনো দৃশ্যের সামনে দাঁড়িয়ে হুট করে চুপ হয়ে যাওয়াটাই সম্ভবত নিয়ম। চালক স্পিডবোটের গতি কমিয়ে এনেছে কোন ফাঁকে। আমরা চোখ দিয়ে গিলছি চারপাশের অবিশ্বাস্য সুন্দর। দূরে ওই উঁচুতে উঁকি দিচ্ছে ঘন সবুজ পাহাড়ের সারি। কুয়াশার মতো মেঘ ভর করে আছে পাহাড়ের মাথায়। নিচ দিয়ে বয়ে গেছে সারি নদীর অপরূপ জলরাশি।

চোখের যত্ন

'নীলাঞ্জনা ঐ নীল নীল চোখে চেয়ে থেকো না, তোমার ঐ দুটি চোখে আমি হারিয়ে গেছিঃ' কিংবা 'চোখ যে মনের কথা বলেঃ' গান বলেন আর কবিতাই বলেন এ অঙ্গের বন্দনা কোথায় নেই! সুন্দর একজোড়া চোখ যেমন আপনার শ্রীকে বাড়িয়ে দিতে পারে অনেক গুণ, তেমনি সুন্দর একজোড়া চোখের অভাবে আপনার সব সৌন্দর্যই মাটি হয়ে যেতে পারে। তাই চোখের যত্ন নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন-

ভাই-বোনের মনোমালিন্য

দুই বন্ধুর মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক যত গভীরই হোক না কেন, তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতেই পারে। কথাটি সহোদর ভাই-বোনদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কারণ, ভাই-বোনরা বন্ধুর মতোই। দুজন যদি শিশু এবং পিঠাপিঠি হয়, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। কারণে-অকারণে ঝগড়া, হাতাহাতি লেগেই থাকে। মাঝে মাঝে এমনও হয়_তাদের ঝগড়া ভাঙাতে মা-বাবা ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তারা ছেলেমেয়েদের গায়ে হাত তুলতেও বাধ্য হন। তবে মা-বাবা হাত তুলুন আর যাই করুন, যারা ঝগড়াঝাটি কিংবা হাতাহাতিটা করছে, তাদের কিছুই যায় আসে না। তারা কিছু সময়ের জন্যে হয়তো বন্ধুর মতো আচরণ করে, তারপর একটু সুযোগ পেলেই শুরু করে দেয় শত্রুর আচরণ। এই দৃশ্য দেখা যায় সবার ঘরে ঘরে।

দেয়ালের কাব্য

'সব ঘর-ই কিছু কথা বলে'_এমন করেই হয়ত বলা যায়। কারণ মানুষ যে ঘরে বসবাস করে, সেই ঘর সে তার মনের মতো করে সাজাতে পছন্দ করে। প্রত্যেকেই নিজের রুচি ও পছন্দের সমন্বয় ঘটিয়ে ঘরে ফুটিয়ে তোলে নান্দনিকতার ছোঁয়া। ঘরের সাজের ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ঘরকে সাজালে আরো সুন্দর হয়ে উঠবে আপনার ঘর। কিছু লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো_

Saturday, November 20, 2010

ধূমপান থেকে হার্টের সমস্যা

ধূমপান নিয়ে নানা সতর্কতামূলক প্রচারণা সত্বেও ধূমপান বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কেউ পরিহার করতে চাননা। ধূমপায়ীদের হার্টের সমস্যা অন্যদের চেয়ে অধিক থাকে। যদি কেউ ধূমপায়ী হয়, এ্যালকোহল পান করে কিংবা নিষিদ্ধ ড্রাগ নেয় তাহলে তার হার্টের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। অধিক পরিশ্রম করলে আমরা যেমন পরিশ্রান্ত হয়ে পড়ি তদ্রুপ হার্টও ক্লান্ত হয়ে যায়। এরূপ দীর্ঘদিন চলতে থাকলে হার্ট রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় প্রমাণ করেছেন যে ধূমপান হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং হূদরোগে মৃতু্যর হার বহুগুণে বাড়ে। সুতরাং ধূমপান করা মোটেই উচিত নয়। কেউ ধূমপায়ী হলে এখনই ছেড়ে দিন। গবেষণায় আরও প্রমাণিত হয়েছে যেসব ধূমপায়ী ১০ বছর যাবৎ ধূমপান সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করেছেন তাদের হঠাৎ করে হূদরোগে মৃতু্যর ঝুঁকি অনেক কমে গেছে। যে কোন ধরনের নেশা জাতীয় ড্রাগ হার্টের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই সকল নেশা জাতীয় দ্রব্য ত্যাগ করা উচিত। এমন কি ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোন ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়। উপরের নিয়মগুলো মেনে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে এবং সুস্থির জীবন-যাপনের মাধ্যমে হূদরোগ প্রতিরোধ অনেকটাই সম্ভব।

ডা: মোড়ল নজরুল ইসলাম

চুলপড়া, চর্মরোগ ও এলার্জি এবং
যৌন সমস্যা বিশেষজ্ঞ
কন্স্যালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট
ইউনাইটেড হাসপাতাল, গুলশান, ঢাকা

শিশুকে ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম

১. ওষুধ বিভিন্ন প্রকার

টেবলেট:

একটি টেবলেটকে চার ভাগের এক ভাগ করে দিনে ২ বার দিতে হলে প্রথমে টেবলেটকে একটি পরিষ্কার কাগজে নিয়ে গুঁড়ো করতে হবে। এর পর তা সমান ৪ ভাগ করে ১ ভাগ এক চামচ পানিতে গুলে তাতে চিনি বা মধু অথবা এ জাতীয় সুইটেক্স/গ্রিন সুইট মিশিয়ে শিশুকে সকাল-বিকাল দিতে হবে।

জমানো কাঁধ এবং করণীয়

কাঁধে যখন সবসময় ব্যথা হয় এবং রোগী নিজে নিজের বা চিকিৎসক রোগীর কাঁধের বিভিন্ন নড়াচড়া করাতে পারে না তখন একে ফ্রোজেন শোল্ডার (ঋৎড়ুবহ ঝযড়ঁষফবৎ) বা জমানো কাঁধ বলে। ফ্রোজেন শোল্ডার একটি সেল্ফ লিমিটিং রোগ অর্থাৎ এটা আপনা আপনি ভালো হয়; তবে পাঁচ মাস থেকে তিন বৎসর সময় লাগে ভালো হতে। এই সময়ে যথোপোযুক্ত চিকিৎসা এবং ব্যায়াম না হলে জয়েন্ট চিরস্থায়িভাবে স্টিফ বা জমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।

ঘুমের যত সমস্যা

ঘুমের সমস্যা কম বড় সমস্যা নয়। কতটুকু ঘুম হলো, কেমন ঘুম হলো এসব নিয়ে কত অভিযোগ মানুষের। কত শত কারণ। হয়ত বদভ্যাসের জন্য জেগে থাকে কেউ অনেক রাত, আবার অসুখের কারণেও ঘুম হয়না অনেকের। ঘুম চক্র ঘোরেনা ঠিকমত। সকালে উঠে যদি মনে হয় ঘুম হয়নি, সতেজ মনে হচ্ছেনা নিজেকে তখন ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো। কম ঘুম হওয়া বেশ বড় সমস্যা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার দুটোরই ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। ঘুম কম হলে বিপদ। দৈনন্দিন জীবনে এর প্রভাব অনেক খানি। গবেষকরা দেখেছেন, ঘুম কম হলে, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে মোটর কার দুর্ঘটনা হয় বেশি, সম্পর্ক নাস হয়, কর্মক্ষেত্রে পারফোরম্যান্স খারাপ হয়, কর্মস্থলে দুর্ঘটনা হয়, স্মৃতিসমস্যা হয়, মনমেজাজ খারাপ থাকে। আরও বলা হয়ে থাকে আজকাল ঘুমের সমস্যার জন্য কিছুটা হলেও পরিণতিতে হতে পারে হূদরোগ, স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের মত রোগ।