RSS

Wednesday, December 30, 2009

সহজ আসবাবে সাজানো ঘর

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের রুচি, চাহিদা, প্রয়োজন, পছন্দ সব কিছুতেই এসেছে পরিবর্তন। আগে যেখানে অনেক বেশী কারুকাজ করা আসবাব, ভারী কাঠের আলমারি, লোহার সিন্দুক এসবের প্রচলন ছিল এখন সেখানে আধুনিক জীবন-যাপনে কোনো ঘরে এসবের স্থান হতে চায় না। আধুনিকতার সাথে সাথে আসবাবেও এসেছে সহজ-সরল এক রূপ। প্রয়োজনকে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়ে সহজেই তৈরি করে নেয়া যায় কিছু আসবাব। যদি বলতে হয় প্রয়োজনের কথা তবে প্রথমেই আসে নব-দম্পত্তি, যারা নতুন সংসার শুরু করেছেন তাদের কথা। এক্ষেত্রে বলে নেয়া ভাল। তাড়াহুড়ো করে, আসবাব দিয়ে ঘর ভরে ফেলতে হবে তার কোন মানে নেই। বছর দুই সময় নিয়ে আস্তে আস্তে করে প্রয়োজন বুঝে আসবাব কেনা উচিত। প্রথমে এমন কিছু কেনা উচিত যা প্রাথমিক চাহিদা মেটাবে এবং কিছু দিন পর আসবাব বদলে ফেলতে চাইলে তখন সেটাকে অন্যকোন কাজে লাগানো যাবে এমন। অল্প কিছু জিনিস দিয়ে, একই সাথে দুই ধরনের কাজ করে এমন সব জিনিস দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন।

ধুলার হাত থকেে বাঁচতে

আমাদের দেশে শীতকালে প্রায় সব ধরনের সবজির সমাহার দেখা যায়। এটি এমন একটি খাবার যা খেলে স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হয় না। বরং ভাতের পরিবর্তে সবজি খেলে তা ত্বক ও মেদের জন্য খুবই উপকারী। নিয়মিত শসা খেলে মেদ কমে। সবজি শুধু খাবার কাজে লাগে তা নয়। এটি রূপচর্চার কাজেও ব্যবহৃত হয়। যেমন- মুখ ক্লিন করতে শসা, গাজর, টমেটো, আলু প্রয়োজন। স্বাস্থ্য গঠনে সবজি অতুলনীয়। শীতের সবজি নিয়ে এমন কিছু মজার রেসিপি দিয়েছেন রিমিক্স বিউটি পার্লার ও রান্না বিষয়ক প্রশিক্ষক আফরিনা শিপন আর ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

ধুলার হাত থেকে বাঁচতে

চলছে শীতকাল। অনেকের কাছেই এই সময়টি খুব পছন্দের হলেও নানা রকম ঝামেলারও অন্ত থাকেনা শীতকালে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ধুলোর সমস্যা। শীতকালে বাড়িঘরে ধুলোর আস্তরণ জমে ওঠে। ধুলোর এই সমস্যা যাতে প্রকট আকার ধারণ করতে না পারে সেজন্য শীতের শুরুতেই বাড়িঘর পরিষ্কার করে নিন।

০ ধুলো ময়লা পরিষ্কার করার সময় ঘরের উপর থেকে শুরু করে উপরের অংশ থেকে পর্যায়ক্রমে নিচে নামুন। সিলিং ফ্যান পরিষ্কার করে সবশেষে সোফা ও মেঝে পরিষ্কার করুন।
০ ফ্যান পরিষ্কার করার আগে বিছানা ও অন্যান্য আসবাবে পুরনো খবরের কাগজ বিছিয়ে দিন। ভেজা পেপার টাওয়াল নিয়ে ফ্যানের গায়ে লেগে থাকা ময়লা পরিষ্কার করুন। নরম ব্রাশ সাবান পানিতে ভিজিয়ে সেটা দিয়ে ফ্যানের ব্লেড হালকা করে ঘষুন। সবশেষে ভেজা টাওয়াল দিয়ে মুছে ফেলুন।
০ ঘরের কোণে জমে থাকা ঝুল খাটের নিচের ধুলো, সোফার কোনায় ময়লা ইত্যাদি পরিষ্কারের ভ্যাকুয়াম ক্লিনারই উৎকৃষ্ট। একান্ত সম্ভব না হলে ঝাড় ব্যবহার করুন।
০ কম্পিউটার, টিভি, ডিভিডি প্লেয়ার ইত্যাদি ইলেক্ট্রনিক্স সরঞ্জামের ধুলো পরিষ্কারের আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন করুন। তারপর নরম সুতি কাপড় অথবা লম্বা হাতলের নরম ব্রাশ দিয়ে ধুলো ঝেরে ফেলুন। ক্যাবলের ধুলোও পরিষ্কার করে ফেলুন।
০ ছোটদের টেডিবিয়ার ধরনের পুতুল খেলনা পরিষ্কার রাখা জরুরি। এসব স্থানের জমে থাকা ধুলো থেকে শিশুর অ্যালর্জি হতে পারে বড় প্লাস্টিকের ব্যাগে এসব খেলনা ভরুন। তার মধ্যে এক কাপ বেকিং পাউডার দিন। ব্যাগের মুখ বন্ধ করে ভালো করে ঝাঁকান তারপর খেলনাগুলো বের করে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
০ রেফ্রিজারেটর পরিষ্কার করার আগে প্লাগ খুলে নিন এরপর ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ঝেড়ে ফেলুন হালকা গরম পানিতে সাবান মিশিয়ে মুছে নিন। সবশেষে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
০ ক্যাবিনেট, কাবার্ড, শেল্ফ পরিষ্কার করতে হালকা গরম পানিতে কাপড় ডুবিয়ে মুছে ফেলুন। পানিতে কয়েকটা নিম পাতা দিয়ে দিলে পোকা মাকড়ের উপদ্রব থেকে রেহাই পাবেন।
০ পর্দা, বেড সিট, বালিশের কভার ওয়াশিং মেশিনে ধুয়ে নিন অথবা ড্রাই ক্লিন করুন।

ত্বকের জন্য স্ক্রাব

‘আদর্শ ত্বক’ হবে পরিষ্কার, দাগহীন, সতেজ, টান টান, নমনীয় ও মসৃণ। ভাবছেন এতো কিছু এক সাথে পাওয়া সম্ভব নয়। তাও সম্ভব শুধুমাত্র একটি জিনিসের সাহায্যে। জিনিসটির নাম স্ক্রাব। তার গুণ বর্ণনা করতেই এই আলোচনা।

শীতের সবজি যখন রূপচর্চায়

শীতের শিরশিরে বাতাসে শুধু শরীর হিম হয়ে আসে না সেই সাথে এই রুক্ষ বাতাস কেড়ে নেয় আপনার ত্বকের নমনীয়তা, ফলে ত্বক হয়ে ওঠে শুষ্ক প্রাণহীন। তাই এ সময় ত্বকের বাড়তি যতœ নিতে হয়। শীতের এই সময়টাতে বাজারে পাওয়া যায় রকমারি সবজি ও ফল। খাওয়ার পাশাপাশি এসব টাটকা সবজি ও ফল দিয়ে আপনি সহজেই ত্বকের চর্চা করতে পারেন।

ত্বক পরিচর্যার এক্ষেত্রে প্রথমেই সেটা খেয়াল রাখতে হবে সেটা হল আপনার ত্বকে ব্রণ আছে কি না। ব্রণ যদি থাকেই তবে প্রথমে তা নির্মূল করবেন। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখবেন, মাথার ত্বকে খুশকি আছে কি না। খুশকি থাকলে নিয়মিত খুশকি নিরোধক শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নেবেন। মুখের জন্য অয়েল ফ্রি ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন। ত্বক সম্পূর্ণ তেলমুক্ত করতে হবে। মুখে ব্রণ থাকা অবস্থায় ফ্রুট ফেসিয়াল বা ভেজিটেবল ফেসিয়াল করা উচিত নয়।

ভিন্ন ধারার খাবার আয়োজন

খাবারের মেন্যু আর রেস্টুরেন্টের অভ্যন্তরীন সাজ, সব মিলিয়ে শহরে আছে হরেকরকম খাবারের জায়গা। কিন্তু এতো সব রেস্টুরেন্টের ভিড়েও কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে খাবার মান, পরিবেশ আর পুরো মেন্যু জুড়ে নজরে পড়বে কিঞ্চিৎ ভিন্নতা। নগরীর নতুন আড্ডাস্থল বনানী ১১ নম্বরের ৪ নম্বর সড়কে গত ১৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন হয় এমনই একটি রেস্টুরেন্ট ‘কেসার’-এর। নতুন এই খাবার ঘরকে নিয়েই আমাদের এ সপ্তাহের ফুডজোন।

বিস্তারে কিছুক্ষণ

সিঁড়ি দিয়ে উঠতেই নজরে পড়বে বিশাল ভাসে সাজিয়ে রাখা আর্ট ফ্লাওয়ার। এরপর ঘিয়ে রাঙা মেঝে আর কাঁচের বিশাল দরজা পেরুলেই বিস্তীর্ণ ‘বিস্তার’। দরজা ঠেলে ভেতরে যাওয়া পর্যন্তই হয়তো ক্রেতা নিজের পছন্দের লিস্টটা বহাল রাখতে পারবেন। এরপর আর কোনো লিস্টই আপনার কেনাকাটা দমিয়ে রাখতে পারবে না। থরে থরে সাজানো বিস্তারের বিষ্ময় আপনাকে ঘিরে ধরবে। সবকিছুতেই আপনি পাবেন ভিন্নতার ছোঁয়া

আংটি হাতের জ্যোৎস্না

মানুষের অঙ্গ বিন্যাসে সবার কাছেই খুব সহজে আলোকিত অংশ হিসেবে বিবেচিত হয় হাত। আর সেই মোলায়েম হাতের আঙ্গুলের নানা ভেদে ফুটে উঠে সৌন্দর্যের ভিন্ন ব্যাকরণ। হাতের আঙ্গুলকে যেমন নিয়মিত পরিচর্যায় সুন্দর রাখা যায় তেমনি সেই আঙ্গুলে ধারণ করা যায় সৌন্দর্যবর্ধনকারী নানা অনুষঙ্গ। এমনি এক জনপ্রিয় অনুষঙ্গ আংটি। এই জনপ্রিয় অলংকারটি মানুষের সৌন্দর্য বিকাশে ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগের পর যুগ। শুধু সৌন্দর্যের প্রকাশে নয়, বরং আংটির ব্যবহার ঘটে সম্পর্কের নতুন স্তর স্থাপনে। বিয়েতে বন্ধনের সূচনায় আংটি অনেক বেশি মানুষের কাছে পরিচিত অলংকার। সময়ের ধারাবাহিকতায় আংটির ব্যবহার যেমন বেড়েছে তেমনি মানুষের কাছে আংটির গ্রহণযোগ্যতাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। শুধু ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরি করতেও নানা উপকরণের আংটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর আংটির ব্যবহারের ক্ষেত্রেও দেখা যায় নানা বৈচিত্র্য। বিয়ের নিদর্শন হিসেবে নির্দিষ্ট আঙ্গুলে আংটি পরার রেওয়াজ থাকলেও এখন কিন্তু ফ্যাশনের চর্চা হিসেবে সব আঙ্গুলে আংটি পরা হয়। অনামিকাতে আংটি পরা সাধারণ রেওয়াজ হলেও কড়ে আঙ্গুল কিংবা বুড়ো আঙ্গুলেও আংটির ব্যবহার এখন অনেকের নজর কাড়ে। হাতের ত্বকের যথার্থ যতœ নিলে সঙ্গে আংটি আপনাকে দিতে পারে বাড়তি সৌন্দর্যের সংযোগ। আংটির উপকরণগত ভিন্নতাও সৌন্দর্য নির্ধারণে বাড়তি ভূমিকা রাখে। পিতলের আংটি, রুপার আংটি, স্বর্ণের আংটি, হিরার আংটি, হোয়াইট গোল্ড, মাটির আংটি, সিরামিকের আংটি এমনকি কাঠের আংটির মতোও বৈচিত্র্যময় উপকরণে এই অলংকারটিতে নতুনত্ব আর আভিজাত্যের ছোঁয়া দেয়া হয়।

সিঁড়ির ভাষা

ইদানিং ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত ডেইলি সোপ আমাদের দেশে কতটা প্রভাব বিস্তার করে তার প্রমাণ পাওয়া যায় চাদনীচক কিংবা মৌচাক মার্কেটে মেয়েদের পোশাকের দোকানগুলোতে গেলে। এসব সিরিয়ালে দেখানো চোখ ধাঁধানো ইন্টেরিয়র দেখে মনে হতে পারে এগুলো আসলে ক্যামেরার কারসাজি। কাঠ খোদাই করা বিশাল দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করতেই নজরে আসে বিশাল আকৃতির সিঁড়ি ঘরের দুপাশ বেয়ে উঠে গেছে উপর তলার ঘরগুলোতে। ক্যামেরার প্যান ইফেক্টে এসব সিঁড়ি দেখতে মনে হয় সিড়িগুলো বুঝি সিনেমারই একটি অংশ। কিন্তু আধুনিক ইন্টেরিয়র কনসেপ্ট বলছে ভিন্ন কথা। ইন্টেরিয়রের অংশ এই সিঁড়ি খুব সহজেই বাড়িতে পুরো দৃশ্যপট বদলে দিতে পারে। সিঁড়ি যে শুধুই দুটি ভিন্ন তলার মাঝে যোগাযোগ তৈরি করবে এমন কিন্তু নয়। এক চিলতে নান্দনিক সিড়ি ঘরের অভ্যন্তরিন সৌন্দর্যে বিরাট ভুমিকা রাখতে পারে।

এই শীতের রূপকড়চা

সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই নিজের সৌন্দর্য সম্পর্কে সচেতন থাকাটা এখন জরুরি। প্রয়োজনের সেই তাগিদেই বাস্তবতা এখন আপনাকে রূপ সচেতন করে তুলেছে। আর আপনার যে রূপটি আগে মানুষের চোখে পড়ে তা হচ্ছে আপনার ত্বক। ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষা তাই এখনকার জীবনে নিত্যদিনকার রুটিনে খুব সহজেই জাগয়া দখল করে নেয়। সুন্দর ত্বকের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যয় করার যেমন প্রয়োজন নেই, তেমনি একগাদা প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারেরও উপযোগীতা নেই। আপনার ত্বককে সুরক্ষা করতে চাইলে যত কম পরিমাণ প্রসাধন ব্যবহার করতে পারেন ততই মঙ্গল। এই শীতে আপনার ত্বক বাড়তি যতœ চাইতেই পারে। শীতের আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী বাড়তি যতেœর তত্ত্বতালাশ করে লিখেছেন মোর্শেদ নাসের

Tuesday, December 22, 2009

বড়দিনের কেক

ক্রিসমাস গাছ, আলোকসজ্জা, উপহার তো থাকবেই। বড়দিনের আনন্দ বহুগুণ বেড়ে যাবে সঙ্গে যদি থাকে ঘরে বানানো কেক। সিতারা ফিরদৌস দিয়েছেন কয়েক রকম কেক তৈরির প্রণালী।

সান্তাক্লজ কেক
উপকরণ: ডিম ৬টি, ময়দা ১ কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা চামচ, চিনি আধা কাপ, ভ্যানিলা এসেন্স সিকি চা চামচ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ।
প্রণালী: ময়দা, গুঁড়া দুধ, বেকিং পাউডার একসঙ্গে চেলে নিতে হবে। ডিমের সাদা অংশ ফোম করে চিনি, হলুদ অংশ ও ভ্যানিলা দিয়ে কিছুক্ষণ বিট করে অল্প অল্প করে ময়দার মিশ্রণ মিলিয়ে বেকিং ডিশে ঢেলে ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট বেক করে স্পঞ্জ কেক বানাতে হবে। কেক ঠান্ডা করে সান্তাক্লজ আকারে কেটে সুগার সিরাপ লাগিয়ে সফট ক্রিমের সঙ্গে লাল ও চকলেট রং মিলিয়ে সান্তাক্লজের আকারে কেকে লাগিয়ে নিতে হবে।

শীতের প্রস্তুতি

শীতের এ সময়ে চাই লেপ, কম্বল আর ভারী শীতের কাপড়। তুলে রাখা শীতের কাপড়গুলো এখন নামানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এরই প্রস্তুতি নিয়ে জানিয়েছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।
 লেপ, কম্বল, কাঁথা প্রভৃতি নামানোর পর ব্যবহারের আগে অবশ্যই কড়া রোদে শুকাতে হবে।
 লেপ ব্যবহারের সময় অবশ্যই লেপের ঢাকনি লাগিয়ে নিতে হবে।
 কম্বল ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক সময় ঢাকনি ব্যবহার করা হয় না। অনেক দিন ব্যবহার না করার কারণে এতে ছত্রাক পড়ে। এ থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে।
 কম্বল দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার কারণে অনেক সময় তা পোকায় কেটে ফেলে। ফলে যে অংশ পোকায় কাটে তা রিপু করে ব্যবহারের উপযোগী করতে হবে।
 শীতের পোশাক যেমন—সোয়েটার, চাদর, শাল ব্যবহার করার আগে ধুয়ে ভালো করে রোদে শুকিয়ে তবেই ব্যবহার করতে হবে।
 ছোটদের শীতের পোশাক, শীতটুপি, উল কিংবা ফ্লানেলের জামাও পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
 ছেলেদের কোট, ব্লেজার—এসব ব্যবহারের আগে ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে রোদে শুকাতে হবে।
 শীতের সময় ঘরের মেঝে যেহেতু ঠান্ডা থাকে, তাই শীত আসার আগেই শতরঞ্জি কিংবা সামর্থ্য থাকলে ফ্লোরম্যাট কিনে রাখা ভালো।
 পর্যাপ্ত শীতের পোশাক না থাকলে এখনই বেরিয়ে পড়ুন শীতের পোশাক কিনতে।
 শীতের পোশাক আলমারিতে রাখার সময় অবশ্যই নির্দিষ্ট স্থানে গুছিয়ে রাখতে হবে।
 অবশ্যই সব সময় আলমারির ভেতর ন্যাপথলিন দিয়ে রাখতে হবে।
 শীতের পোশাক ভাঁজ করে সারিবদ্ধ কিংবা হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, যাতে প্রয়োজনের সময় হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।
 যেসব ঘরে কাচের জানালা আছে, শীতের সময় তাতে অবশ্যই ভারী পর্দা ব্যবহার করতে হবে। যদি জানালার কোনো শার্সি কিংবা কাচ ভেঙে বা নষ্ট হয়ে যায়, তবে দ্রুত সারিয়ে নিতে হবে।
 বাড়ির উত্তর দিকের জানালা কম খুললে ঠান্ডা বাতাস ঘরের ভেতর তেমন ঢুকতে পারে না।
 শীতের উষ্ণতা পেতে হলে ঘরে পর্যাপ্ত রোদ আসার ব্যবস্থা করতে হবে।

শিশুর দাঁতের যত্ন

কয়েক দিন আগেই শিশুটি ফোকলা মুখে ঘরময় নেচে বেড়াত। দুধের দাঁতকে বিদায় জানিয়ে সেখানে জায়গা করে নেয় স্থায়ী দাঁত। একটি একটি করে দাঁত ওঠে। আর এই স্থায়ী দাঁতই রয়ে যায় সারা জীবন। সে জন্য এই দাঁতের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
শিশুর দুধের দাঁত পড়ে স্থায়ী দাঁত ওঠার সময়টাতে বেশ সতর্ক থাকা উচিত। তা না হলে দাঁতের গঠন ভালো হয় না। এ জন্য মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থাতেই সচেতন থাকতে হবে। মায়ের গর্ভের ছয়-আট সপ্তাহের মধ্যে ভ্রূণের দুধদাঁতের গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই সময় মাকে পুষ্টিকর খাদ্য বেশি করে খেতে দেওয়া উচিত। এতে ভবিষ্যতে শক্ত ও মজবুত স্থায়ী দাঁত গঠন হয়। বলেন ইন্টিমেন্ট ডেন্টাল কেয়ারের প্রধান চিকিত্সক মো. রিয়াজুল আহসান

অবসর কাটুক ঘরোয়া খেলায়

খেলা যে শুধু মাঠেই খেলতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। অবসর সময়ে আপনি মেতে উঠতে পারেন ঘরোয়া খেলায়। এতে একসঙ্গে রথ দেখাও হবে, সেই সঙ্গে কলা বেচাটাও হয়ে যাবে। তার মানে, ঘরোয়া খেলার জন্য বাইরে যেতে হয় না। তাই বাসায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতে পারছেন, একই সঙ্গে তাদের সঙ্গে নিয়েই অবসর সময়টা কাটিয়ে দিতে পারছেন বেশ মজা করে।
এখন জেনে নেওয়া যাক কয়েকটি ঘরোয়া খেলার ধরন ও দামদর।
দাবা: দাবা হচ্ছে বুদ্ধির খেলা। এ খেলা যেকোনো বয়সের মানুষ খেলতে পারে। অনেক চিন্তাভাবনা করে মাথা খাটিয়ে তারপর দাবার সৈন্য, রাজা, মন্ত্রী আকৃতির ঘুঁটিগুলো চালাতে হয়। বুদ্ধির একটু হেরফের হলেই কম্ম সাবাড়। নিশ্চিত হেরে যাবেন আপনি। দুজন মিলে এ খেলা খেলতে হয়। দুজনই ঝানু খেলোয়াড় হলে লেগে যেতে পারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময়। প্রতিটি দাবা ৫০ থেকে ৬০০ টাকায় পাওয়া যাবে

বড়দিনের উপহার, শুভেচ্ছা

‘ওই যে সান্তাক্লজ, আসছে উড়ে, তোমাকে, হ্যাঁ শুধু তোমাকেই শুভেচ্ছা জানাতে, বড়দিনের আনন্দঘন এ মুহূর্তে।’
বড়দিন আনন্দের দিন, প্রার্থনার দিন, পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানানোর দিন। মনের খুশির বহিঃপ্রকাশ ঘটে উপহার ও কার্ডের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে। হাতে বানানো অথবা দোকানের কার্ডগুলো এ ক্ষেত্রে বড় একটা ভূমিকা পালন করে।
বড়দিন উপলক্ষে কার্ডই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। রকমারি শুভেচ্ছাবাণী ও রঙের বাহারে ইতিমধ্যেই দোকানের কার্ড শেলফগুলো পরিপূর্ণ। কার্ডের পাশাপাশি উপহার দিতে পছন্দ করেন অনেকেই। এ উপহার পেয়ে খুশি হয় প্রিয় মানুষটিও। পছন্দের তালিকায় রাখার মতো উপহারও পেয়ে যাবেন নানা দোকানে- ছবির ফ্রেম, মগ, গহনা, পুতুল। অনেকে অবশ্য বেছে নিচ্ছেন ছোট টেবিল ল্যাম্প অথবা মোমদানিও। বড়দিন উপলক্ষে আড়ং নিয়ে এসেছে লাল-সাদা ঝলমলে রঙের মোমবাতি। ‘উপহার হিসেবে চকলেটই আমার সব থেকে প্রিয়’ বলে জানালেন এখানে আসা ক্যাথরিন রোজারিও।
ব্যাগ, ঘড়ি, গানের সিডি, ডিভিডি প্রভৃতি উপহারসামগ্রীর তো শেষ নেই। তবে কাজে লাগে এমন কিছুই দিতে চান সিমি। এ কারণেই তিনি এবার বড়দিনে নতুন বছরের ডায়েরি উপহার দেবেন সবাইকে।

শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন

সময়টা শীত। বনে বনে পাতা ঝরার উত্সব। পাতা ঝরে গেলে গাছকে যেমন নিষ্প্রাণ লাগে, তেমনি ত্বকের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। শুষ্ক আবহাওয়া ও ধুলাবালুতে চলার ফলে ত্বক হয়ে যায় খসখসে ও মলিন। তাই এ সময়টিতে ছেলেদের ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। হলিফ্যামিলি হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আফজালুল করিম জানালেন, শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ায় চামড়া শুকিয়ে খসখসে হয়ে যায়। এর ফলে ত্বক ফেটে যাওয়া থেকে শুরু করে ত্বকে চুলকানিও হতে পারে। তবে কিছু সতর্কতা জানা থাকলে এসব আর হবে না। প্রথমত, শীতকালে ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বকে খসখসে ভাব কমে আসবে। গোসলের পর ত্বকে ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে ও গোসলের পর নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করলে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে। ফলে আর চুলকানিও হবে না এবং ত্বকও ফাটবে না। ঘর থেকে বাইরে যাওয়ার সময় এসব লোশন মেখে বের হতে হবে। এতে ত্বকে সূর্যের তাপ লাগবে না। ত্বক বাইরের ধুলাবালু থেকেও রক্ষা পাবে। কোনো অবস্থায়ই শীতকালে বেশিক্ষণ রোদে থাকা উচিত নয়। এতে ত্বক কালো হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া শীতকালে অনেকের ঠোঁটও ফাটে। এই বাড়তি যন্ত্রণা এড়াতে ভালো মানের লিপজেল ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত। এতে ঠোঁট ফাটবে না। শীতকালে ছেলেদের ত্বকের যত্ন নিয়ে কথা বললেন পারসোনা হেয়ার অ্যাডামসের রূপসজ্জাশিল্পী দেলওয়ার হোসেন। তিনি বলেন, শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ছেলেদের ত্বককে স্বাভাবিক ও সজীব রাখতে হলে মালটা ও কমলার রস মুখে মাখা যেতে পারে। এরপর কিছুক্ষণ রেখে ১০-১৫ মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে। কিছুদিন নিয়মিত এটি করলে ত্বকের সজীবতা ফিরে আসবে। আর ক্রিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভিটামিন ই-জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া গোসলের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে কুসুম-কুসুম গরম পানির ভাপ নিলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক ভালো থাকবে। এ ছাড়া এ সময় ত্বকের ফেসিয়াল করালে ত্বক সজীব থাকবে। অনেক সময় হাতে বা কনুইয়ে খসখসে ভাব হয়। এটি দূর করতে পানি আর গ্লিসারিন একসঙ্গে মিশিয়ে হাতে বা খসখসে স্থানে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে নিয়মিত যত্ন না করলে কিন্তু শীতে ত্বক ভালো রাখা সম্ভব নয়। তাই প্রতিদিনই একটু সময় করে ত্বকের যত্ন নিতে হবে।

 ফরমাল ক্যাজুয়াল ব্লেজার


শীতকালে নাকি শীত তাড়াতে গিয়ে ফ্যাশন হয় না ঠিকমতো—এ রকম মন্তব্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেরই। কিন্তু দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে শীতের কাপড়। ফ্যাশনে কোনোভাবেই আর পিছিয়ে নেই এগুলো।
অফিসে এখন সাধারণত ব্লেজার ও স্যুটই পরছেন ছেলেরা। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও পরছেন ফরমাল ব্লেজার। ছেলেদের শুধু শার্ট-প্যান্টের সঙ্গে ব্লেজার পরলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে প্যান্ট, স্কার্ট এমনকি কেউ কেউ শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গেও পরছেন ব্লেজার। আবার সব সময় ফরমাল নয়, একটু ক্যাজুয়াল ধাঁচেও তৈরি হচ্ছে এখনকার ব্লেজারগুলো।

Tuesday, December 15, 2009

পিঠাপুলির স্বাদ

শীত শুরু হয়ে গেছে। নতুন চাল, নতুন গুড়ের ঘ্রাণ পাওয়া যাচ্ছে এখনই। পিঠাপুলি খাওয়ার এই তো সময়। দেখুন সিতারা ফিরদৌসের দেওয়া রান্নাগুলো।

Tuesday, December 8, 2009

ঈদের খাওয়া দাওয়া

উৎসব মানেই খাবারের ভিন্নতা। ভোজ আয়োজনে উৎসবের ছটা না লাগলে কোন উৎসবই যেন পরিপূর্ণতা পায় না। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদ-উল-আযহা যেন একটু বেশিই এগিয়ে। তার কারণ ঘরে ঘরে কোরবানির গোস্তের আমদানি। আর তাই ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে এ পক্ষ কড়চা’য় থাকছে উৎসবের খাবারের কিছু ভিন্ন আয়োজন। রেসিপিগুলো দিয়েছেন রিমিক্স বিউটি পার্লার ও রান্নার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্ণধার রন্ধন বিশেষজ্ঞ আফরিনা শিপন আর ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

হারবাল স্পা’তে তিন ধরনের ত্বক চর্চা রুটিন

মুখ আপনার মনের আয়না। মুখের যতœ নেয়ার দায়িত্ব আপনারই। বেশী টাকা খরচ না করে অল্প সময়েও আপনার ক্লান্তি বা মানসিক চাপ কাটিয়ে আপনার মুখের ত্বককে অত্যন্ত সুন্দর রাখা সম্ভব। আজকাল সৌন্দর্যের মাপকাঠী বিচার করার চাইতে ত্বক ও ি ম ফিগার অনেক বেশী মূল্যবান। খুব সুন্দর ত্বক হলে কোনো মেকাপের দরকার নেই। এর জন্য দরকার একটি ত্বক চর্চা রুটিন ও ধাপ সিস্টেম যেমনঃ ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং।

০ শুরু করুন ডিপ ক্লিনজিং দিয়ে। হারবাল ডিপ ক্লিনজিং করার জন্য ঘরে বসেই আপনি তৈরী করে নিন ডিপ ক্লিনজার। ১ চা চামচ ভার্জিন ওলিভঅয়েল ৪/৫ ফোটা লেবুর রস ও ১ চা চামচ শশার রস ভাল করে ফেটে নিয়ে আলতো করে ত্বকের উপর ম্যাসেজ করুন। এরপর ১টি পরিষ্কার তুলোর প্যাড দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

০টোনিং এর পালা : আপনার ত্বকে নিড্স কুইক ওয়েক- আপ। হালকা গরম পানিতে ছোট তোয়ালে ভিজিয়ে মুখে কিছুক্ষণ ধরে রাখতে হবে অথবা স্টিম দিতে হবে ৩ থেকে ৪ মিঃ এবং ব্ল্যাক হেডস, হোয়াইট হেডসগুলো টিপে বা ব্ল্যাক হেডস রিমুভার স্টিক দিয়ে চেপে বের করে নিতে হবে তার পর বরফ দিয়ে টোনিংটা সম্পন্ন করতে হবে।

০ ময়েশ্চারাইজিং শুষ্ক, তৈলাক্ত, স্বাভাবিক যে, ধরনের ত্বকই থাকুক না কেন দূষণ রোধ তাপ বা স্ট্রেস যাই থাকুক না কেন ত্বক প্রতি দিনই তার আদ্রতা হারায়। এই হারানো আদ্রতা ফিরিয়ে দিতে আপনার দরকার রোজ ময়েশ্চারাইজিং লোশন লাগানো আবার ময়েশ্চারাইজিং করার আগে ঘরের তৈরী একটি প্যাক লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে মুলতানী মাটি ও মধু মিশিয়ে প্যাক লাগানো যেতে পারে। প্যাকটা মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিঃ লাগিয়ে রাখতে হবে তার পর ধুয়ে ফেলে ভাল কোন ব্র্যান্ডের ফেসিয়াল ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজিং লাগিয়ে নিন। তবে অবশ্যই আপনার স্কিনের ধরন জেনে ময়েশ্চারাইজার কিনবেন।

রূপ টিপস্

সজীবতার রূপ রুটিন

০ সকালে মাইল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।

০ গোসলের আগে মাথায় হট অয়েল মাসাজ করুন। ত্বক অনুযায়ী ফেসিয়াল মাস্ক লাগাতে পারেন।

০ গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার দিয়ে মুখ, হাত ও পা মাসাজ করুন।

০ বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন লাগান।

০ বাড়ি ফেরার পর ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিংটাও জরুরি।

সজীব মেকআপের আট কৌশল

০ ত্বক পরিষ্কার করুন

০ ময়েশ্চারাইজার লাগান

০ আই লাইনারের সূক্ষ্ম রেখা টেনে নিন সাথে কাজল পরে নিন

০ লিপ পেন্সিল দিয়ে ঠোঁটের রেখা টেনে নিন। এবার লিপস্টিক লাগান।

০ টিপ পড়ে নিন

০ এবার সুগন্ধি লাগিয়ে নিন।

মেকআপ কিটে যা যা রাখবেন

০ ওয়েট টিস্যু

০ ছোট ময়েশ্চারাইজার

০ ফেস পাউডার

০ আই লাইনার

০ লিপ লাইনার

০ লিপস্টিক

০ চিরুনী

০ কাজল

কেমন ঘর চাই

বাড়ি সাজানোর আগেই ঠিক করে নেয়া উচিৎ বাড়িতে যারা বসবার করবে তাদের ইচ্ছা অভিরুচির কথা। এখানে আরও একটা ব্যাপার বলে রাখা দরকার, বাড়ি সাজাতে গিয়ে যদি আপনার ঘরের লোকজন বিরক্ত হয় তবে কিন্তু সেই গৃহ সজ্জার কোন মানেই হয় না। তাই ঘর সাজানোর আগে সবাইকে নিয়ে একটা তালিকা তৈরি করে নিন, যাতে এক নজরে আপনি দেখে নিতে পারেন পরিবারের সবার মতামত। এবার তালিকা ধরে হিসেবও তৈরি করুন, কোন ঘরে কত খরচ করবেন। এই হিসেব আর তলিকা তৈরিতে ৩টি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। ১) বাস্তবিক প্রয়োগ ২) রুচিশীলতা ৩) বাজেট।

ঠোঁটের আকার পরিবর্তন

তানিকে সে দিন বিয়ের পার্টিতে জমকালো শাড়ি আর গয়নায় বেশ লাগছিল। কিন্তু ওর মেকআপের মধ্যে কোথায় যেন একটা অসামঞ্জস্যতা ফুটে উঠছিল। তানিও এটা নিয়ে বেশ বিব্রত বোধ করছিল। এ সময় তানির বান্ধবী নাদিয়া এগিয়ে আসলেন তানির এ বিব্রত বোধ কাটানোর জন্য। নাদিয়া জানালেন তানির ঠোঁটের লিপস্টিক লাগানোটা ওর ঠোঁট অনুযায়ী মানানসই হয়নি বলেই পুরো মেকআপটা বেমানান লাগছে। কাজেই বুঝতেই পারছেন মুখের মেকআপের ক্ষেত্রে ঠোঁট কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। ঠোঁটের সাথে মানানসই মেকআপ করলে আপনার মুখশ্রী যেমন হয়ে উঠবে মোহনীয় তেমনি ঠোঁটের আকার অনুযায়ী মেকআপ না করলে পুরো মেকআপ প্রক্রিয়াই ভন্ডুল হয়ে যেতে পারে। তাই ঠোঁটের আকার অনুযায়ী মেকআপ রপ্ত করা অপরিহার্য। তাই নিয়ে এবারের রূপকড়চা

উৎসবের খাবার


উৎসব মানেই খাবারের ভিন্নতা। ভোজ আয়োজনে উৎসবের ছটা না লাগলে কোন উৎসবই যেন পরিপূর্ণতা পায় না। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদ-উল-আযহা যেন একটু বেশিই এগিয়ে। তার কারণ ঘরে ঘরে কোরবানির গোস্তের আমদানি। আর তাই ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে এ পক্ষ কড়চা’য় থাকছে উৎসবের খাবারের কিছু ভিন্ন আয়োজন। রেসিপিগুলো দিয়েছেন সাকসেস ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার ও রন্ধন বিশেষজ্ঞ আফরোজা জামান আর ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

বসনে স্বাধীনতা

লাল সবুজের গল্পে ডিসেম্বরের দিনগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় অকৃত্রিম দেশপ্রেমে মনভাসানিয়া স্বাধীনতার সংগ্রামের কথা। ১৯৭১ যেন এক সজীব আনন্দে ফিরে আসে এই ডিসেম্বরে। আর জাতির এই মুক্তি উৎসবে লাল সবুজের বসন আমাদের স্বাদ দেয় স্বাধীনতার আমেজের। তারই প্রেক্ষিতে ফ্যাশন হাউজগুলোতে চলে ছোট্ট পরিসরে কিন্তু আবেগের সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করে ভিন্ন আয়োজন। ফ্যাশন হাউজগুলোর সেই আয়োজনের কিছু চিত্র তুলে ধরে রাখা হলো এখানে

শীতের পিঠাপুলি


শীত মানে পিঠা খাওয়ার উৎসব। কনকনে শীতে গরম পিঠা খাওয়ার উৎসবে মেতে উঠে গ্রাম বাংলার পাশাপাশি শহরের মানুষগুলো। এ উৎসব যেন ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের। শীতের পিঠা চাইলেই কম খরচে ঘরে বসে করা যায়। আতপ চালের গুড়ি, গুড়, নারিকেল, দুধ, চিনি দিয়ে তৈরী এসব পিঠা খুবই সুস্বাদু। অতিথি আপ্যায়নেও পিঠার বিকল্প নেই। শীতকালে সকাল ও বিকেলের নাস্তা পিঠা দিয়ে করা হয়। কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে গরম পিঠার জুড়ি নেই। পিঠার এসব রেসিপি দিয়েছে রিমিক্স বিউটি পার্লার রান্না হ্যান্ডি ক্র্যাফট, ফ্যাশন ডিজাইন ও বুটিকস্ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক আফরিনা শিপন আর ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

শীতে সৌন্দর্য-সুরক্ষা

ষড়ঋতুর পালাবদলে আমাদের দুয়ারে শীতকাল। হিম হিম এই সময়ে গাছ হয়ে পড়ে পত্র-পুষ্পহীন শুকনো। অন্যদিকে মানুষের নাজুক ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যেতে চায়। সূর্যের আলট্রাভায়োলেট-রে (অতি বেগুনী রশ্মি) শরীরের খোলা অংশে নানা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। চুল থেকে ঝলমলে ভাব উধাও হয়ে গিয়ে চুল বিবর্ণ ও মলিন হয়; মাথায় খুশকির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। ঠোঁট ফেটে হয় চৌচির। কপালে অকালে বলিরেখা দেখা দেয়।

শীত চাদরের আদর

ফ্যাশনে চাদর উপকরণটির সম্পর্ক অনেক পুরানো। এমন অনেক স্টাইল আছে যেগুলো ঠিক চাদর ছাড়া যেনো জমে ওঠে না। কিন্তু আমাদের উষ্ণ অঞ্চলে শীতের ৩-৪টা মাসই কেবল চাদর ব্যবহার করা যায়। এক সময় আমাদের দেশে বিদেশী শাল বা চাদর জনপ্রিয় হলেও এখন কিন্তু দেশী ফ্যাশন হাউজগুলোও মনযোগী হচ্ছে শীতের চাদর তৈরিতে। শীতের এই ফ্যাশন অনুসঙ্গ নিয়েই আমাদের এবারের কড়চার মূল আয়োজন। লিখেছেন এমএইচ মিশু

একাকিত্বের ঘেরাটোপে

পরিবর্তনটা হঠাত্ই চোখে পড়ে। প্রান্ত কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে। জেদি, একরোখা। কারও সঙ্গে কোনো কিছু ভাগ করে নিতে পারে না। স্কুল থেকেও অভিযোগ। ওর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তনটা বাবা-মা খেয়াল করেন। তত দিনে বেশ দেরি হয়ে গেছে। নিজেদের ব্যস্ততায় একমাত্র সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কটা ফিকে হয়ে গেছে, বেড়েছে দূরত্ব। এদিকে একাকিত্বের ঘেরাটোপে প্রান্তও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।

স্বাদবদলে চাই মাছ

ঈদের পর তো মাংস খাওয়া চলছেই। স্বাদবদলের জন্য এখন একটু মাছ হলেও মন্দ হয় না। কল্পনা রহমানের দেওয়া রান্নাগুলো দেখুন।

পালং ঝোলে মলা মাছ
উপকরণ ও পরিমাণ: মলা মাছ এক কাপ, পালং শাক ২৫০ গ্রাম, রসুন বাটা আধা চা চামচ, ঝোলের জন্য ভাতের মাড় দুই কাপ, পেঁয়াজ কুচি চার টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ছয়-সাতটি, জিরা বাটা আধা চা চামচ, তেল সিকি কাপ, লবণ প্রয়োজনমতো।
প্রণালী: পাত্রে তেল, লবণ, পেঁয়াজ কুচি, বাটা মসলা, কাঁচা মরিচ ও মলা মাছ একসঙ্গে মাখাতে হবে। এবার মাছগুলো উঠিয়ে অন্য পাত্রে রাখতে হবে। মসলার মধ্যে মাড় দিয়ে চুলায় বসাতে হবে। ভালোভাবে ফুটে উঠলে পালং শাক দিয়ে বেশি জ্বাল দিতে হবে। একটু পরে মাছগুলো বিছিয়ে ঢেকে দিতে হবে। মাখামাখা ঝোল রেখে নামাতে হবে। গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

শীতে শাল

বাংলাদেশে গ্রামের শীত আর শহরের শীতের মধ্যে বিস্তর তফাত। শহরে শীতের আমেজ উপভোগ করার সময় যেন কারোরই নেই। শীতের রূপ তাই দুই জায়গায় দুই রকম। এ কারণেই শহরে শীতের পোশাকটিও যেন নগরের যান্ত্রিকতা মাথায় রেখেই করা। তাই পাঁচ হাত লম্বা আর আড়াই হাত বহরের শীতের শাল এখানে হাল সময়ে এসে যেন একটু খাটো হয়ে যায়। দিনের বিভিন্ন সময়ে শীতের তারতম্য, আর ব্যবহারিক উপযোগিতা—এ দুই বিষয় মাথায় রেখেই যেন শীতের শালে এই নতুনত্ব।

Sunday, November 29, 2009

স্বাদ বাড়াতে কয়েক পদ


মাংসের স্বাদ আরও বাড়াতে চাই সালাদ, বোরহানি, চাটনির আয়োজন। সে রকম কয়েক পদের তৈরি প্রণালী দিয়েছেন নাসরিন আলম।

রাইতা
উপরকরণ: সাদা দই এক কেজি, পাকা টমেটো ছোট কিউব এক কাপ, শসা কিউব ছোট এক কাপ, পেঁয়াজ কুচি একটি (সিরকায় ভেজানো) পুদিনা পাতা কুচি দুই টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি স্বাদমতো, ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া স্বাদমতো। জিরা ভাজা গুঁড়া আধা চা চামচ। দই ফেটে নিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
প্রণালী: খাওয়ার আগে টমেটো, শসা, পেঁয়াজ, পুদিনা পাতা, লবণ, চিনি, মরিচের গুঁড়া, জিরাসহ ঠান্ডা দইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে পরিবেশন।

বোরহানি
উপরকরণ: টক দই এক কেজি, পানি এক লিটার, কাঁচা মরিচ বাটা আধা চা চামচ। পুদিনা পাতা বাটা এক চা চামচ, সাদা গোল মরিচ গুঁড়া, সরিষা গুঁড়া এক চা চামচ, জিরা ভাজা গুঁড়া এক চা চামচ, ধনেপাতা বাটা এক চা চামচ, লবণ এক চা চামচ, প্রয়োজনে বেশি, কালো লবণ এক চা চামচ, প্রয়োজনে বেশি, চিনি স্বাদমতো।
প্রণালী: দই, পানি ও ওপরের সব উপকরণ (মসলা) দিয়ে খুব করে ফেটে নিতে হবে। বিরিয়ানি, পোলাও, মাংসের সঙ্গে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন।

 বিয়ের আয়োজন

শোরুমটিতে ঢোকার পথেই চোখে পড়বে দেশি পোশাকে চমত্কারভাবে সজ্জিত বর-কনে মূর্তির হাস্যোজ্জ্বল মুখ, যা আপনাকে বাঙালি সংস্কৃতির আনন্দঘন পারিবারিক উত্সব বিয়ের কথাই মনে করিয়ে দেবে।
২০ নভেম্বর চিরায়ত সংস্কৃতির বিয়ের পোশাক ও ঘর সাজানোর উপাদান নিয়ে ড্রেসিডেল নতুনভাবে যাত্রা শুরু করল ঢাকার গুলশানের রূপায়ণ গোল্ডেন এজে। ড্রেসিডেলের প্রধান নির্বাহী মায়া রহমানের মা সুফিয়া চৌধুরী শোরুমটির দ্বার উন্মোচন করেন।

কোরবানির প্রস্তুতি এখনই...

আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। তার পরই শুরু হয়ে যাবে ঈদুল আজহা। এই ঈদে কোরবানির পশু কিনতে যাওয়া থেকে শুরু করে কোরবানি দেওয়া, কোরবানির পর করণীয় নানা দিক খেয়াল রাখতে হবে আপনাকে।

পশু কেনার পর

পশুর যাতে ঠান্ডা না লাগে এমন স্থানে রাখুন। পশুকে শুকনো স্থানে রাখা প্রয়োজন। পশু রাখার স্থানে মেঝেতে চট বা খড় বিছিয়ে দিন। পশুর গায়েও চট দিতে পারেন। পশু অসুস্থ হলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

পশুর খাবার

পশুর খাবার হিসেবে খড়, দানাদার খাদ্য যেমন—কুড়া, গমের ভুসি, ছোলাভাঙা, ভাতের মাড়, চিটাগুড়, ছাগলের জন্য কাঁঠালপাতাসহ অন্যান্য পাতা ও দানাদার খাদ্য খাওয়ানো যায়।

পশু কোরবানির আগে

পশু কোরবানি দেওয়ার আগে পশুকে প্রচুর পানি খাওয়াতে হবে। এতে জবাই করার পর চামড়া ছাড়াতে সুবিধা হবে। পশু কোরবানির স্থান আগেই ঠিক করে নিন। আগে থেকেই কসাই ঠিক করে রাখুন। পশু কাটার জন্য ছুরি, দা প্রভৃতি ধার দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

পশুর চামড়া ছাড়াতে

পশুর চামড়া একটি জাতীয় সম্পদ। ঠিকমতো চামড়া ছাড়াতে পারলে এর দাম ঠিক পাওয়া যায়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কলেজ অব লেদার টেকনোলজির প্রভাষক সবুর আহেমদ বলেন, পশুকে কোরবানির আগে প্রচুর পানি খাওয়াতে হবে। এতে চামড়া ছাড়াতে সুবিধা হবে। পশু জবাই করার পর দক্ষ লোক দিয়ে চামড়া ছাড়াতে হবে। অনেকে চামড়ার সঙ্গে লেগে থাকা মাংস বাঁচাতে গিয়ে চামড়া কেটে ফেলেন। এ ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ কাটা চামড়ার দাম ও মান অনেক কম। চামড়া ছাড়াতে ধারালো চাকু বা ছুরি ব্যবহার করতে হবে। তবে পশু জবাই করার পরপরই চামড়া সাইজ করে নিতে হয়। এতে চামড়া কাটতে সুবিধা হয়। চামড়া কাটা হয়ে গেলে তা থেকে ধুলা ও রক্ত এবং লেগে থাকা মাংস পরিষ্কার করতে হবে। এরপর পর্যাপ্ত লবণ মেখে চামড়া সংরক্ষণ করতে হবে।

পরিবেশ থাকুক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন
কোরবানির পশু জবাই করার পর ময়লা-আবর্জনা জমে যায়। এসব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করলে পরিবেশ দূষিত হতে পারে। গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে। এ বিষয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা দেওয়ান মো. শাহ্ আলম বলেন, কোরবানির পরপরই পশু জবাই করার স্থানে পানি ঢেলে রক্ত পরিষ্কার করতে হবে। রক্ত যেন শুকিয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিভিন্ন ময়লা যেমন—হাড়গোড়, নাড়িভুঁড়ি, চামড়ার কাটা অংশ প্রভৃতি এক স্থানে জমা করে রাখতে হবে। এরপর এমন স্থানে রাখতে হবে, যাতে পরিচ্ছন্নকতার্মীরা এসে নিয়ে যেতে পারে। তবে কোনো স্থানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী আসতে দেরি হলে বা না এলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এ ছাড়া যেসব স্থানে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই সেখান সব ময়লা-আবর্জনা একত্র করে মাটিতে গর্ত করে পুঁতে ফেলতে হবে। এতে একদিক থেকে যেমন ময়লা-আবর্জনা দূর হবে, অন্যদিকে পরিবেশও ভালো থাকবে।

Tuesday, November 24, 2009

ঈদে থাক ভিন্ন স্বাদ

ঈদে শুধু মাংস নয়, কলিজা, মগজও তো খাওয়া হবে। দেখুন শাহানা পারভীন-এর দেওয়া রান্নাগুলো।

কিমা কাবাব

উপকরণ: সেদ্ধ করা গরুর মাংসের কিমা ২ কাপ, মিহি কুচি সেদ্ধ করা সবজি (গাজর, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মাশরুম) ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ মিহিকুচি ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, পুদিনাপাতা কুচি ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ মিহি কুচি ২টি, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, ফেটানো ডিম ২টি, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, টোস্ট বিস্কুটের গুঁড়া ১ কাপ, লবণ স্বাদমতো এবং ভাজার জন্য তেল দিতে হবে।
প্রণালী: বিস্কুটের গুঁড়া ও তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মেখে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এবার মিশ্রণ থেকে নিয়ে কাবাবের মতো করে ডিমের গোলায় ডুবিয়ে বিস্কুটের গুঁড়া মেখে ডুবো তেলে ভেজে সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন।

ঝালে মসলায় ঈদের রান্না

মাংসই তো এই ঈদে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হবে। তাই চাই মাংসের নানা রকম স্বাদ। দেখে নিন সিতারা ফিরদৌসের দেয়া ভিন্ন রকম কয়েকটি রেসিপি।

আচার মাংস
উপকরণ: খাসি বা গরুর মাংস দেড় কেজি। আম বা জলপাইয়ের আচার ৩ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, বাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ, সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ পরিমাণমতো, দারচিনি ৪ টুকরা, এলাচ ৪টি, তেজপাতা ৪টি, মেথি আধা চা চামচ, তেল ১ কাপ, কাঁচামরিচ ৫-৬টি, টকদই আধা কাপ, চিনি ১ চা চামচ।
প্রণালী: মাংস টুকরা করে ধুয়ে সব বাটা মশলা, গুঁড়া মসলা, টকদই ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে ১ ঘণ্টা রাখতে হবে। তেল গরম করে মেথি ফোড়ন দিয়ে তেল ছেঁকে নিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে মাখানো মাংস দিয়ে কষাতে হবে। মাংস কয়েকবার কষিয়ে পরিমাণমতো গরম পানি দিয়ে রান্না করতে হবে। পানি শুকিয়ে গেলে কাঁচামরিচ, চিনি, আচার দিয়ে মাংস ভুনা ভুনা করে নামাতে হবে।

 ঈদ তো এসেই গেল...

কয়েক দিন পরেই ঈদ। ঘরে ঘরে চলছে প্রস্তুতি। বাড়ির লোকেরা ব্যস্ত কোরবানির হাট নিয়ে। এদিকে গৃহিণীর দম ফেলার ফুরসত নেই। কেননা, অনেকখানি ধকল যায় তাঁর ওপর দিয়ে। তাই আগেভাগেই নিতে হয় প্রস্তুতি। তা ছাড়া এই ঈদে রান্নার পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। সে জন্য গৃহিণীর পূর্বপরিকল্পনার প্রয়োজন। ধারাবাহিকভাবে কাজগুলো লিপিবদ্ধ করতে হবে। এতে সাজানো-গোছানোভাবে সহজেই সব কাজ হয়ে যাবে।

Wednesday, November 18, 2009

নাক সেজেছে নাকছাবিতে...


একটা সময় ছিল, যখন নাকফুল পরার চলনটা কেবল বিবাহিত মেয়েদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে কালের আবর্তে এর চলন ও চাহিদা সব বয়সের মেয়েদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বরং এ চলটি এখন টিনএজ মেয়ে, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়াদের মধ্যেই বেশি।
নাকফুলের রয়েছে হরেক রকম ধরন। একেক সময় চল আসে একেক রকম নাক ফুলের। অনেক আগে গ্রামের মেয়েদের মধ্যে চল ছিল নাকে বেশ বড় আকৃতির নথ পরার। গোল একটি রিং কিংবা রিংয়ের মধ্যে কয়েকটি ছোট পুঁতি বা ফুল অথবা একটু চেপটা ডিজাইনের লম্বাটে ধরনের নাকফুলও পরতেন অনেকে। গ্রামবাংলার সেই ধারা এখন হালফ্যাশনে জায়গা করে নিয়েছে। বিয়ের আসরে কনের নাকে বেশ বড় ধরনের নোলক থাকলেও এর ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনে নেই। আগে নাকফুল হিসেবে ছোট একটা মসুর ডালের দানার মতো সাদা পাথর পরতে দেখা যেত। যেটা হীরা বা ছোট কোনো জারকান পাথরেরই বেশি হতো। তারপর এল ভারতের টেনিস-তারকা সানিয়া মির্জার মতো নাকে পরার রিংয়ের চলন, যেটা টিনএজ মেয়েদের কাছে খুবই জনপ্রিয়তা পায়। এই রিং সোনালি, রুপালি কিংবা তামাটে রঙের হতে পারে। আবার অর্ধেক রিংও বেশ প্রচলিত আছে নাকফুল হিসেবে। এখনকার নাকফুলগুলোকে আসলে নথ বা নাকছাবিই বলা চলে। অনেকে নাকের মাঝের নরম হাড়টি ফুঁড়িয়েও সেখানে রিং পরছেন।

গরম গরম স্যুপ

শীত তো প্রায় এসেই গেল। এই সময়ের হিম হিম পরিবেশে এক বাটি গরম স্যুপে চুমুক দিতে চমত্কার লাগবে। দেখুন শাহানা পারভীন-এর দেওয়া রেসিপিগুলো।

পাঁচমিশালি স্বচ্ছ স্যুপ
উপকরণ: মুরগির স্টক ৪ কাপ, সেদ্ধ নুডলস ২ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম ৮-১০টি, মাখন ১ টেবিল চামচ, গাজর সেদ্ধ ২৫ গ্রাম, ফুলকপি ২৫ গ্রাম, বরবটি সেদ্ধ ২৫ গ্রাম, টমেটো ১টি, ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৩-৪টি, সাদা গোলমরিচ গুঁড়ো আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, স্বাদ লবণ আধা চা চামচ, ভাজা শুকনো মরিচ ২টি।
প্রণালী: কাজু বাদাম ও মাখন ছাড়া ওপরের সব উপকরণ স্টকের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে স্যুপ তৈরি করতে হবে। মাখনে কাজু বাদাম একটু ভেজে স্যুপে দিন। ভাজা শুকনো মরিচ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন ক্লিয়ার স্যুপ।

 চলছে চাপা জিনস


জাঁকিয়ে না এলেও হিম হিম ভাব নিয়ে শীত তো প্রায় চলেই এসেছে।এ ঋতুকে উপলক্ষ করে বদলে গেছে পোশাকের রং-ঢং। বাড়তি উষ্ণতা পাওয়া কিংবা একঘেয়েমি কাটানো—কারণ যা-ই হোক না কেন, পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে জিনসের প্যান্টেও। বাজার ঘুরে তুলে ধরা হলো মেয়েদের জিনসের প্যান্টের বর্তমান হালহকিকত।

চাপা জিনস
দোমড়ানো-মোচড়ানো জিনসের কাপড়টা স্ট্রেচ করা। কোমর থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত পা দুটিকে যেন মুড়ে রেখেছে শক্ত করে। দেখলে মনে হয়, জিনসের কাপড়টি পায়ের সঙ্গে লেগে আছে। গোড়ালির অনেক ভাঁজ যেন চুড়িদার সালোয়ারের মতো। অন্যভাবে বলা যেতে পারে, সুপার স্কিনি জিনস প্যান্ট বা চাপা জিনস প্যান্ট। এটাই এখন জনপ্রিয় জিনসের কাটে—জানালেন ফ্যাশন ডিজাইনার মাহিন খান।

Saturday, November 14, 2009

সামলে নিন যতো স্ট্রেস

সকাল বেলার ঘুমটা কি আরেকটু আগে ভাঙলেই হতো না? আর আজই কেন বেছে বেছে পানি ছাড়তে ভুলে গেলেন বাড়িওয়ালা? রাস্তার জ্যামটাও কি অফিস টাইমটাকে আরো একটু পেছনে ঠেলে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে? নাহঃ এতোসব যন্ত্রনা কাহাতক সহ্য করা যায়। তাই সুন্দর একটা সকালের স্বপ্ন নিয়ে আগের রাতে ঘুমুতে গেলেও জনৈক আদনান সাহেবের দিনটা শুরু হলো একরাশ ‘স্ট্রেস’ নিয়ে। তাই নিয়ে লিখেছেন রাশেদুল হাসান শুভ

চটজলদি কাবাব

মোঘল আমল থেকেই কাবাব আমাদের উপমহাদেশের জনপ্রিয়। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে এর নাম বারবিকিউ। কাবাব কিংবা বারবিকিউ যে নামেই ডাকা হোক ডাইনিং-এ এই খাবারটি নিঃসন্দেহে সবার জিহ্বে জল আনে। কিন্তু তৈরি প্রণালীতে ঝামেলা বলে অনেকেই কাবাব খেতে বেছে নেন শহরের রেস্টুরেন্টগুলোকে। ঘরে বসে জটজলদি তৈরি করা যায় এমন কিছু মজার রেসিপি নিয়ে এ সংখ্যা কড়চা রেসিপি। রেসিপিগুলো দিয়েছেন রিমিক্স বিউটি পার্লার ও রান্নার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্ণধার রন্ধন বিশেষজ্ঞ আফরিনা শিপন আর ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

চিরুনি কাহনঃ

সুন্দর চুল আরও সুন্দর আর বাহারি করে রাখতে চাই সঠিক দেখাশোনা। চুলের প্রথম যতœ বলতেই মনে পড়ে যায় ভাল চিরুনি এবং ব্রাশের কথা। ডারমাটোরজিস্টদের মতে, প্রতিদিন অন্তত একশোবার চুল আঁচড়ানো উচিত মস্তিষ্কের ব্লাড সারকুলেশন ঠিক রাখার জন্য। তাই কোথাও বেরোনোর সময় সঙ্গে একটা হেয়ার ব্রাশ থাকা মাস্ট। আর তা যদি বেশ স্টাইলিশ দেখতে হয়, তা হলে তো কথাই নেই! তবে স্টাইলিশ হওয়াটাই শেষ কথা নয়, প্রকৃত অর্থে যেটা প্রয়োজন, তা হলো চুলের সৌন্দর্য ও পরিচর্যা। তাই শুধু মেয়েদের নয়, ছেলেদের উদ্দেশ্যেও আমাদের এটাই সাজেশন যে, পাঁচ ইঞ্চির খুদে পকেট চিরুনি নয়, দরকার সঠিক হেয়ার ব্রাশ। কোন হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার করলে চুল ভাল রাখা যায়, কোন ধরনের চুলের জন্য কোন ধরনের ব্রাশ উপযুক্ত, সে ব্যাপারে কিছু পরামর্শ উপস্থাপন করা হলো-

অভিধানের দরদাম

ি - কার, ী - কার, ু - কার, ূ - কার ইত্যাদি নিয়ে প্রায়ই বন্ধুমহলে তর্কযুদ্ধ পরিলক্ষিত হয়। যারা লেখালেখির পেশায় জড়িত তাদেরকে খেতে হয় বসের বকুনি। আর এ সবই হয় বানান সম্পর্কে না জানার কারণ। এ সব সমস্যা থেকে খুব সহজেই রেহাই পেতে পারেন যদি আপনার সংগ্রহে থাকে অভিধান বা ডিকশনারি।

কাটিয়ে উঠুন বিষাদ

জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে আমরা যে কেউ ডিপ্রেশনে বা হতাশায় ভুগতে পারি। ডিপ্রেশন বা হতাশা কোন স্থায়ী রোগ নয়। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ডিপ্রেশনকে রোগ বলে গন্য করা হয়। কোনো কারণে দুঃখকষ্ট যখন আমাদের মনে গভীরভাবে বসে যায়, তার ফলে আমরা যখন আমাদের স্বাভাবিক কাজগুলো করতে পারি না তখনই ডিপ্রেশনের উদ্ভব হয়। দিনে দিনে এই ডিপ্রেশন ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন বা ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার-এ রূপ নেয়। এর পরিণতি খুব ভাল নয়, তা আমাদের জানা। তাই ডিপ্রেশন উড়িয়ে দিয়ে কিভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় তার কিছু টিপ্স জেনে নেয়া যাক-

রেঁস্তোরায় খেতে গেলেঃ


রেস্টুরেন্ট এ খাবার অভ্যাস কম বেশী সবারই আছে। পনের দিন কিংবা মাসে একবার রেস্টুরেন্টে যাওয়া পরে অনেকেরই। রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার কিছু সহবত রয়েছে। এ সহবতগুলো আসলে শেখার বিষয় নয় কমনসেন্স ও সিভিক সেন্সের বিষয়। তাই তুলে ধরা হলো এ রেষ্টুরেন্ট সহবত-

হার্ট ভাল রাখতে ডায়েট

আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষই মধ্যবয়সে হার্টের রোগে ভোগেন। এর প্রধান কারণ আমাদের অলস জীবনযাত্রা এবং ত্রুটিপূর্ণ খাদ্য তালিকা। এছাড়া আছে ধোয়া, ধূলিযুক্ত বাতাস এবং ধূমপান বা তামাক সেবনের প্রবণতা। আর আরামপ্রিয় জাতি হিসেবে তো আমরা বরাবরই বিখ্যাত। বিষাক্ত ধোঁয়া বা ধুলাবালি থেকে এড়িয়ে চলা হয়তো সম্ভব না। তবে ভোজনরসিক হিসেবে আমাদেরকে সুনাম বা দুর্নাম রয়েছে। তা হয়তো একটু চেষ্টা করলেই আমরা পরিবর্তন করতে পারবো। একটি সুস্থ খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে হার্টের নানারকম রোগ অনেকাংশেই এড়িয়ে চলা যায়।

হেলদি হার্ট ডায়েট

ঘুম থেকে উঠে

১ গ্লাস হালকা উষ্ণ গরম পানিতে একটু পাতিলেবুর রস এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে খান।

সকালের নাস্তা

২ টুকরা টোস্ট, সামান্য জ্যাম, ১ কাপ স্কিমড দুধ এবং ফলমূল (আপেল, আঙুর, পেঁপে, তরমুজ, পেয়ারা ইত্যাদি)।

সকাল সাড়ে ১০টা

এ সময়ে ১ গ্লাস ফ্রেশ ফলের জুস খাবেন। ডাবের পানিও বেশ উপকারী।

দুপুরে খাবার

দুপুরে ভাত বা রুটি যেকোনোটিই খাওয়া যাবে। সাথে থাকবে সবজী একবাটি, ছোট মাছ বা বড় মাছ ১ পিস (তৈলাক্ত মাছ না খাওয়াই ভাল) ১ বাটি পাতলা ডাল, দই এবং সালাদ।

বিকেলের নাস্তা

বিকেলের নাস্তায় তৈলাক্ত খাবার বা ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন। শশা, মুড়ি বা সালাদ খান।

রাতের খাবার

সবজীর স্যুপ, ব্রেড ২ পিস, চিকেন ২ পিস, ফলের সালাদ (ক্রিম ছাড়া)।

মেঝের আত্মকথা

ঘরে ঢুকতে হলে চৌকাঠ মাড়িয়ে যে জিনিসটি প্রথম আপনার পা ছুঁয়ে যায় সেটিই হচ্ছে মেঝে। এই মেঝের উপরেই দাঁড়িয়ে আছে পুরো বাড়িটি। তাই ঘরের সার্বিক সৌন্দর্যের একটা বড় অংশ নির্ভর করছে এই মেঝের উপরে। সে দৃষ্টিকোন থেকে আদি অন্ত থেকেই ঘরের মেঝে গৃহকর্তার কাছ থেকে একটু বাড়তি যতœ পেয়ে এসেছে। আর গৃহিনী সেই মেঝেকে মেজে ঘষে সর্বদা চকচকে রেখেছেন। গ্রাম বাংলার মাটির মেঝেকে প্রতিদিন একবার লেপন দিয়ে সর্বদা মসৃন রাখেন বাড়ির গিন্নি। আর শহুরে মেঝেতে ডেটল ছিটিয়ে হাতে শীর্ষেন্দু পড়তে পড়তে ভ্যাকুয়েম ক্লিনার চালান এযুগের আধুনিক গিন্নি। তাই ঘরে ঢুকতে মনযোগ যদি প্রথমেই পড়ে মেঝেতে তবে তো অবশ্যই মেঝেটি তৈরিতে একটু মনযোগী হতে হয়। সেই লক্ষ্যেই আমাদের এপক্ষের ইন্টেরিয়র অংশে আমরা নজর দিয়েছি মেঝেতে।

স্টাইলিশ চুলের নেপথ্যে



লম্বা কেশের নারী, এ প্রচলিত ধারণা থেকে আমরা এখন অনেকটাই দূরে অবস্থান করছি। আজকের আধুনিক নারী দীঘল কালো লম্বা চুলের চেয়ে স্বাস্থ্যবান চুলের দিকে দৃষ্টি দেন। চুলের দৈর্ঘ্যের চেয়ে জৌলুসের দিকেই নারী বেশি মনযোগী। যতœ-আত্তির পাশাপাশি স্টাইলের বিষয়টিও প্রাধান্য পাচ্ছে। স্টাইলিশ স্বাস্থ্যবান চুল কিভাবে বজায় রাখবেন চলুন তা এবার জেনে নেই।

ডাস্টিং অ্যান্ড ক্লিনিং

শীতের শুরুতে ধুলোময়লা পরিষ্কার করে বাড়ি ঝকঝকে রাখুন

০ ধুলোময়লা পরিষ্কার করার সময় সব সময় ঘরের ওপরের অংশ থেকে নীচের অংশ পরিষ্কার করবেন। সিলিং, ফ্যান দিয়ে শুরু করে তারপর সোফা , মেঝে পরিষ্কার করুন।

০ ফ্যান পরিষ্কার করার আগে বিছানায় খবরের কাগজ বিছিয়ে দিন। ফ্যান বন্ধ করে দিন। ভিজে পেপার টাওয়েল দিয়ে ফ্যানের গায়ে লেগে থাকা ময়লা পরিষ্কার করতে পারেন। তারপর নরম ব্রিসলের ব্রাশ সাবানপানিতে ডুবিয়ে, সেটা দিয়ে ফ্যানের ব্লেড হালকা হাতে ঘষুন। ভিজে পেপর টায়েল দিয়ে মুছে ফেলুন।

সৌন্দর্য রক্ষার কৌশল

সাজতে গিয়ে কিংবা ত্বকের যতেœ সববয়সী মেয়েরা ছোটখাটো ভুল-ত্রুটি করে থাকে। এসব ভুল-ত্রুটি একটু সাবধানতার সাথে এড়িয়ে চললে সৌন্দর্য্য রক্ষার কাজটি অনেক সহজ হয়। ত্বক এবং চুলের রং,ধরন প্রভৃতি নানা বিষয়ের সাথে চোখ, ঠোঁট কিংবা ফেসিয়াল সামগ্রিক বিষয়গুলো একসাথে শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিবেচনা করলে আপনি হবেন ‘রূপে অনন্যা’। নিজেকে অপরূপা সুন্দরী নয় বরং নজর করা রূপসী করতে গিয়ে আপনি যে সাধারণ বিউটি মিসটেক-গুলো করে থাকেন তার থেকে সাবধানতা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন মোর্শেদ নাসের টিটু। বর্ণনা নয় এই অংশটি সাজানো হয়েছে অনেকটা চেকলিস্ট আকারে-

Tuesday, November 10, 2009

আয়নায় সাজবে ঘর


শৌখিন আসবাব ঘরে নিয়ে আসে শৈল্পিকতার ছোঁয়া। তাই দৈনন্দিন গৃহসজ্জায় এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবের পাশাপাশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে শৌখিন আসবাবের বিষয়টিকেও। এখন গৃহসজ্জায় আয়নার ব্যবহার অনেক বেশি। ছিমছাম বসার ঘর থেকে ছোট স্নানঘর—সব ক্ষেত্রেই অন্দরসজ্জায় করা হচ্ছে আয়নার ব্যবহার। বিভিন্ন ধরনের লোকজ সংস্কৃতির আদল, পশু, পাখির নকশায় কাঠ, মাটি, সিরামিকসহ নানা ধরনের উপাদানে তৈরি করা হচ্ছে আয়না। গতানুগতিক নকশা থেকে বেরিয়ে এসে নানা ধরনের পরীক্ষণের ছোঁয়ায় এই আসবাবটিকে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তুলছে আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউস ও আসবাবের প্রতিষ্ঠানগুলো।

এই সময়ে চকচকে লিপস্টিক


সামনেই শীত। শীতকে গরম কাপড়, কাঁথা, কম্বল আর পিঠার উত্সবের মধ্যদিয়ে বরণ করে নেওয়ার তোড়জোড় চলছে। কিন্তু এত আয়োজনের মধ্যে সমস্যা একটাই। রুক্ষ ত্বক, হাত, পা তো আছেই; বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ফাটা ঠোঁট দুটি নিয়েও। ফাটা ঠোঁটে লিপস্টিক লাগালে মোটেও ভালো দেখায় না। তাই আগেভাগেই ঠোঁটের যত্ন নেওয়া শুরু হোক।

শীতে ঠোঁটের যত্ন
রূপবিশেষজ্ঞ নীপা মাহবুব জানালেন শীতে ঠোঁটের যত্নের কিছু কথা। ঘরে-বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন, ঠোঁট ফাটবেই। এ রুক্ষতা দূর করতে সব সময় ক্রিম বা ভ্যাসলিন ব্যবহার করুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগেও নিতে হবে যত্ন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পুরু করে ভ্যাসলিন লাগান ঠোঁটে। সকালে উঠে ভেজা সুতি কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষুন, মরা চামড়া উঠে যাবে।

হাত-পা ঘামছে?

শীতে আসলে অনেকেরই হাত-পা ঘামে । ফলে পোহতে হয় নানা দুর্ভোগ। আবার পা ঘেমে যাওয়ার কারনে এ থেকে সৃষ্টি হতে-পারে দুর্গন্ধ। এ নিয়েও অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় অনেককে।
হাত-পা ঘামলে..
হলিফ্যামিলি হাসপাতালের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক আফজালুল করিম বলেন, হাত-পা কেন ঘামে তার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো বের করা যায়নি। তবে বংশগতভাবে এ রোগ থাকা, শরীরের ভেতরের ভারসাম্যহীনতা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা প্রভৃতি কারনে হাত-পা ঘামতে পারে। সাধারণত তিনভাবে হাত-পা ঘামা কমানো যেতে পারে। এক হলো অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত এক ধরনের বিশেষ লোশন হাত-পায়ে ব্যবহার কারলে হাত-পা ঘামা কমে যায়। আর একটি হলো বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেঁকে নিলে হাত-পা ঘামা কমে যাবে। পরবর্তী সময়ে এটি দেখা দিলে আবার একইভাবে সেই বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেঁকে নিতে হবে। এসব পদ্ধতি ছাড়াও একটি বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচার করেও হাত-পা ঘামা কমানো যায়। এই অপারেশন নিউরো সার্জনরা করিয়ে থাকেন। তবে হাত-পায়ের ঘাম রোধে যা-ই করা হোক না কেন, তা করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
পায়ের দুর্গন্ধের কারণ
পায়ের দুর্গন্ধের প্রধান কারণ পায়ের ঘাম। আফজালুল করিম জানালেন, ঘেমে যাওয়া পায়ে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জুতার ভেতর থেকে ঘাম বেরোতে পারে না। অনেকক্ষণ এমন অবস্থায় থাকার ফলে পা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এ ছাড়া জুতা ও মোজা নিয়মিত না পরিষ্কার করলেও পা ও জুতা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে।
কী করবেন
পা থেকে দুর্গন্ধ দূর করতে কী করবেন? এ নিয়ে জানালেন ছেলেদের সৌন্দর্য চর্চার প্রতিষ্ঠান রেজরস এন সিজরসের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, সব সময় পা পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে এসে পায়ে শ্যাম্পু লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে পরিষ্কার করে শুকনো তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ফেলতে হবে।
প্রতিদিন ব্যবহার করা মোজা ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে। জুতাও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জুতার মধ্যে পাউডার দিতে পারেন। প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে এসব রোদে দেওয়া যেতে পারে। সুতি মোজা ব্যবহার করাই ভালো কারণ এতে পা কম ঘামে ও ঘাম শোষণ করে। আর যাঁদের পা বেশি মাত্রায় ঘামে, তাঁরা বেশি ঘাম শোষণ করতে পারে এমন জুতা কিনতে পারেন।

চুলের যত্ন নিন

ছেলেদের চুল নিয়ে অনেকে নানা সমস্যায় ভোগে। তখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় চুল। কীভাবে চুলের যত্ন নিলে সমস্যা দূর হবে, অনেকেই তা ঠিকমতো জানে না।
এ সময় আবহাওয়া কিছুটা শুষ্ক। বাতাসে ধুলোবালির পরিমাণও বেশি, তাই চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি চুল পড়া, চুলের ডগা ফেটে যাওয়া, চুল ভেঙে যাওয়াসহ বিভিন্ন চর্মরোগও দেখা দিতে পারে। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোগায় চুলের খুশকি। এ থেকেই বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ডিম ডিমা ডিম

শীত আসছে। এই সময়টায় ডিম খাবার মজাই অন্যরকম। ডিমের নানারকম রান্না দিয়েছেন সিতারা ফিরদৌস

ডিমের কাশ্মীরি কোরমা

উপকরণ: সিদ্ধ ডিম ৬টি, টক দই আধা কাপ, মিষ্টি দই সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, ঘি সিকি কাপ, তেল আধা কাপ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ, কিসমিস ২ টেবিল চামচ, লবণ পরিমাণমতো, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ।
প্রণালী: তেল, ঘি গরম করে পেঁয়াজ বাদামি রং করে ভেজে সব বাটা মসলা কষিয়ে গুঁড়া মসলা দিয়ে ১ কাপ পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে বাদাম বাটা ও দই দিতে হবে। কিসমিস ও ডিম দিয়ে নামাতে হবে।

এবার ফাটবে না

প্রকৃতিতে চলছে ঋতুর পালাবদল। শীত এগিয়ে আসছে তার রাজত্ব বিস্তারে। তাই বলে তাকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে সঠিক প্রসাধনী নির্বাচন আর ত্বক পরিচর্যা করে এ সময়টাতে আপনি হয়ে উঠতে পারেন আরও সজীব, আরও সুন্দর।
আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের পরিচর্যায়ও পরিবর্তন আনতে হয়। গরম ও শীতের সময় ত্বকের পরিচর্যা ভিন্নভাবে করতে হবে। শীতের সময় আর্দ্রতা কমে যায়। ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। এ সময় ত্বকের সঠিক পরিচর্যা জরুরি। বলছিলেন রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান।
লেজার চিকিত্সা বিশেষজ্ঞ ঝুমু খান বলেন, শীতে প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় ত্বকে টানটান ভাব হতে থাকে। তবে শীত আসার আগেই যদি ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়, তাহলে শীতের সময়ও ত্বক খুব ভালো থাকবে।
তাঁদের দুজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শীতে কীভাবে ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

Saturday, November 7, 2009

রূপকড়চা : ময়শ্চারাইজিং

ত্বকে বিশেষ করে মুখশণ্ডলের ত্বকে, সরাসরি প্রয়োজনীয় জলীয় পদার্থ প্রলেপ লাগিয়ে শিশির সিঞ্চিত করাই হচ্ছে ময়শারাইজিং করা। ময়শ্চারাইজিং করার ফলে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকে ও পানীয় ভাবকে ধরে রাখতে সাহায্য করে। যাদের ত্বক্ শুষ্ক, তাদের ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা রক্ষা করার চেষ্টা করা উচিত। ময়শ্চারাইজিং করার ফলে বাতাসের পানীয বাষ্প ময়শ্চারাইজোর টেনে নেয়, ফলে রুক্ষ ত্বক হয়ে ওঠে ঝলমসলে কোমল, ফুটে ওঠে ত্বকের স্বাভাবিক বাহার। মেক-আপ করার আগে অল্পক ময়শ্চারাইজার (ময়শ্চারাইজিং লোশন) ব্যবহার করবেন। শুধুমাত্র ময়শ্চারাইজিং করার সময়ে একটু বেশি পরিমাণে ব্যবহার করবেন, লক্ষ্য রাখবেন, ময়শ্চারাইজিং লোশনটি যেন নামী উৎপাদকের তৈরি হয়।

কিভাবে মশ্চারাইজিং করবেন ঃ ক্লিনজিং ও ফ্রেশনিং করার পর নরম তোয়ালে দিয়ে পানি শুষে নিন। এ সময় ত্বকে যথেষ্ট পরিমাণে আর্দ্রভাব থাকে। ঠিক এই সময় ১০/১৫ ফোঁটা ময়শ্চারাইজিং লোশন হাতে ঢেলে নিয়ে দু’হাতের চেটোয় ভালভাবে মাখিয়ে মুখমণ্ডল, গলা, ঘাড় ও কনুই থেকে আঙুল পর্যন্ত হাল্কাভাবে লাগান। মনে রাখবেন, লোশন মাখবার সময় নিচ থেকে ওপর টানে হাত চালাবেন। প্রয়োজনে আরও কয়েক ফোঁটা নিয়ে দ্বিতীয় বার মাখতে পারেন। কপাল, নাক ও চিবুক ইত্যাদি অংশে আঙুলের ডগায় সাহায্যে বিন্দু বিন্দু করে লোশন লাগিয়ে বসিয়ে নিন। চোখের চারপারে তর্জনীর সাহায্যে লোশন অর্ধচন্দ্রকারে আস্তে আস্তো লাগান। এই সময় দু’হাতেও লাগিয়ে নেবেন। মেক-আপের আগে মযশ্চারাইজিং লোশন যদি লাগাতে চান, তবে লোশন মাখার পরে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে মেক-আপের কাজ শুরু করবেন। কারণ এ সময়ের মধ্যে লোশন ত্বকে ভালভাবে মিশে যাবে, ফলে মেক-আপের বিন্যাস হবে সর্বত্র সমান।

পুরুষালি রূপকড়চা

রূপচর্চায় লিঙ্গ ভেদ নেই। অথচ রূপচর্চা কথাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই চোখের সামনে ভেসে উঠে ত্বন্বী সুন্দরীর ছবি। আবার দেখুন শরীরচর্চার মধ্যে কেমন যেন মিশে আছে কতকগুলো জবজবে শরীর মন্ডল ডাম্বেল ইত্যাদি। কিন্তু সত্যি কি তাই? আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। মেয়েরাও ঘরের মধ্যে বা হেলথ ক্লাবে কসরৎ করে ৩৬-২৪-৩৬ হবার চেষ্টা করেন। অন্য দিকে পুরুষরাও বসে নেই। ব্যায়ামাগার ছেড়ে ঢুকে পড়েছেন সান বাথের ইফেক্টিভনেস এবং ক্রিম ময়শ্চারাইজারের কোয়ালিটি নিয়ে। রূপচর্চা আর শরীরচর্চার আসলে একই ব্যাপার। এমন কিছু পুরুষালি রূপকড়চা নিয়ে এবারের কড়চা রূপচর্চা-

অটিস্টিক শিশু : অভিভাবকের করণীয়


একটি পরিবারে যখন একটি শিশুর জন্ম হয়, সেই শিশুটিকে ঘিরে হাজারো কল্পনার জাল বোনেন তার মা বাবা। পাশাপাশি অনেক দায়িত্ব এসে পড়ে পরিবারটির উপর শিশুটিকে সুষ্ঠুভাবে লালন পালন করার ব্যাপারে। সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে থাকা শিশুটির বিকাশের পথে যদি কোন প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়, আর তা যদি হয় ‘অটিজম’ তা হ’লে সেই পরিবারটির যে বিড়ম্বনা আর কষ্ট তা অন্য কারো অনুভব করার শক্তি নেই।

সি ফর চওমিন


চওমিন, ভাতের বিকল্প হিসেবে পৃথিবীর অনেক দেশে এই খাবারটি জনপ্রিয়। বর্তমানে আমাদের দেশেও অনেকেই প্রধান শর্করার তালিকায় চওমিন বা নুডলসকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। চটজলদি রান্না করা যায়, খেতে সুস্বাদু আর বাচ্চাদের বিশেষ পছন্দ বলে এই সপ্তাহের কড়চায় থাকছে চওমিনের সুস্বাদু কিছু রেসিপি, দিয়েছে আফরোজা জামান আর ছবি তুলেছেন এমএইচ মিশু

রোদ চশমার গল্প


চোখ জোড়াকে রঙীন কাঁচের আড়ালে ঢেকে কখনো তীক্ষè দৃষ্টিতে কাউকে পর্যবেক্ষণ, কখনো রোদের আঁচড় থেকে চোখ রক্ষা আর কখনো নিজেকে ফ্যাশনেবল করে উপস্থাপন করতে প্রয়োজন হয় সানগ্লাসের। কার্তিকের এই সময়ে শহরজুড়ে হলদে রোদের প্রকোপটা যেন বেড়েই চলছে। আর তাই চলতি সংখ্যা স্টাইল স্টেটমেন্টে থাকছে রোদ চশমার গল্প।

শোকেসের আলোকসজ্জ্বা

ডাইনিং রুমের কাবার্ড কিংবা ড্রইংরুমের শোকেস সবখানেই শোকেসে এখন একটু ভিন্ন স্টাইল চলে এসেছে। আর সেই শোকেস লাইটিং নিয়েই আমাদের এবারের বসতবসতি অংশটি। শোকেসের এই লাইটিং একইভাবে শোকেসের বাইরের অংশকেও আলোকিত করবে তাই নিয়ে লিখেছেন এমএইচ মিশু

দূরে রাখুন অস্থিরতা

সেই গেল বসন্তের প্রথম দিনের কথা। দীর্ঘ প্রস্তুতি আর অপেক্ষার পর সেদিন সুদীপ্ত দাঁড়িয়েছিল তার ভালোবাসার মানুষের সামনে। ইনিয়ে-বিনিয়ে আর ভালোবাসার সবটুকু রঙ মাখিয়ে সে তার স্বপ্নকন্যাকে জানিয়েছিল ‘ভালোবাসি’। কিন্তু জীবনের দীর্ঘতম দিনে সেই ক্ষণেই সুদীপ্ত জেনে গিয়েছিল এ ভালোবাসা কখনো সত্যি হবার নয়। তার ভালোবাসার মানুষ যে বহু আগেই অন্যের হৃদয় বন্ধনে বাঁধা। তারপর কতো দিন যায়, কতো রাত যায়। কিন্তু সুদীপ্ত’র ভাবনার ক্যালেন্ডারে যেন সময় থেমে থাকে সেই আগের জায়গাতেই। তার দিন কাটে তো, রাত কাটে না; রাত কাটেতো দিন কাটেনা। কোনো কাজেই মন বসাতে পারে না সুদীপ্ত। পড়ায় মন বসে না, ছাত্র পড়ানোর টিউশনিতে যেতেও মন বসে না। সব মিলিয়ে কেমন যেন অস্থির আর দমবন্ধ মনে হয় সবকিছু। সুদীপ্তর মতো অজানা এক অস্থিরতায় ভুগছে বহুজাতিক একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা রায়হানও। তার পারিপার্শ্বিক সমাজ আর সংসারে সম্পর্ক নিয়ে কোনো টানাপোড়েন নেই। অফিসেও দিব্যি মাস শেষে পাওয়া যাচ্ছে মোটা অংকের মাইনে। তবু কেন যেন, ইদানিং আর কোনো কাজেই মন বসছে না তার। কর্মব্যস্ত একেকটা দিনকে মনে হচ্ছে সিন্দবাদের ভুতের মতো কাঁধের উপর চেপে বসা জগদ্দল কোনো পাথর। আবার বাড়িতে মা-বাবা কিংবা প্রিয়তম স্ত্রী’র সান্নিধ্যতেও কোথাও যেন একটা তাল কেটে যাওয়া বিষয় ঘটে চলছে দিনের পর দিন। সব মিলিয়ে এই অজানা অস্থিরতাটাই যেন কুুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে রায়হানকে।

Friday, November 6, 2009

কোমল পানীয়তে বিপত্তি

কোমল পানীয় হিসেবে প্রসিদ্ধ কোকা-কোলার জন্ম হয় ১৮৮৬ সালে আর একই ধাঁচের পানীয় পেপসির জন্ম ১৯০৩ সালে। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর বিভিন্ন প্রজাতি আর স্থান ভেদে মানুষ এই কোল্ডড্রিংস বা কোমল পানীয় পান করে আসছে। গরমে হাঁপিয়ে উঠে প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত ঠিক তখন এক বোতল কোল্ডড্রিংসে যেনো পৃথিবীর সব সুখ বোতলের বুদবুদে ঠাঁই নেয়। শুধু তেষ্টা মেটাতে নয়, বন্ধুদের প্রান চঞ্চল আড্ডায় কোল্ডড্রিংস যেনো না হলেই নয়। আপাত সুস্বাদু এই কোমল পানীয় আমাদের স্বাস্থের জন্য কতটা কোমল তা কিন্তু আমরা কখনই খতিয়ে দেখি না। এবারের কড়চার মুল প্রতিবেদনে থাকছে কোল্ডড্রিংসেরই ব্যবচ্ছেদ, লিখেছেন এমএইচ মিশু

Thursday, October 29, 2009

মোবাইল ফোনের যতœ

প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগের জন্য রয়েছে নানা মাধ্যম। তবে আপনাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় এ সব মাধ্যমের মধ্যে কোনটি অত্যাধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন, তাহলে আপনি চোখ বন্ধ করে বলে উঠবেন- মোবাইল। প্রয়োজনীয় এই জিনিসটি অনেকদিন ধরে কার্যকর রাখতে যতœ আত্তির কোন বিকল্প নেই। দক্ষ হাতে যতœ করলে আপনার সেটটি শুধু কার্যকরই নয়, নজর কাড়া থাকবে অনেকদিন ধরে। যে জিনিসটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে দিচ্ছে বন্ধু সুলভ সুবিধা, তার নাম মোবাইল ফোন। এদেশে প্রথম যখন মোবাইল ফোনের প্রচলন হয়, তখন শহরে গুটি কয়েক মানুষের হাতে দেখা যেত কেবল। তাও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা স্থানীয় লোকজনের হাতে। নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে হোক কিংবা ব্যয় বহুলতার জন্যই হোক, গ্রামের পর গ্রাম ঘুরেও কোন মোবাইলের সন্ধান মিলতো না। কিন্তু এখন শহরে সবার হাতে হাতে তো বটেই, এমনকি নিভৃত গ্রামেও প্রায় সবার হাতে শোভা পায় মোবাইল। তরুণ-তরুণীদের কাছে মোবাইল শুধু প্রয়োজনীয়ই নয়, বিশেষ ফ্যাশনও বটে। যে কোনো প্রয়োজনীয় জিনিসেরই সঠিক যতœ না নিলে তা অনেকদিন ধরে সচল থাকে না। বিশেষ করে কল-কব্জার জিনিস। এ দৃষ্টিকোণ থেকে মোবাইলের সঠিক যতœ নেয়া অতি জরুরী। সে যতেœর ধরণ কেমন হবে, তা হয়তো অনেকেই জানেন। তবে যারা জানেন না, কিংবা জেনেও প্রয়োগ করতে চান না, তাদের জন্য মোবাইলের যতœ আত্তির কিছু পদ্ধতি তুলে ধরা হলো-

বসার আয়োজন

প্রকৃতির বৈরি ভাব আর হিংস্র পশু-পাখিদের হাত থেকে বাঁচতেই মানুষ গুহায় বসবাস শুরু করেছিলো। আর সেই গুহায় বাস থেকে শুরু হয় ঘর তৈরির প্রয়োজনীয়তা। শুরুটা কেবলই দেয়াল আর ছাদ ঘেরা কোনো জায়গা হলেও বর্তমানে এই ঘরের সংজ্ঞাটা অনেকটাই পরিবর্তিত। মার্বেল করা মেঝে, রাফ টাইলসের দেয়াল আর নান্দনিক সব আসবাবের সমাহার ঘটে এখনকার ঘরগুলোতে। এতসব ফার্নিচারের মাঝ থেকে এসংখ্যার কড়চায় থাকছে বসার জন্য বিভিন্ন ফার্নিচার নিয়ে বিশেষ আয়োজন নিয়ে লিখেছেন এমএইচ মিশু

সুস্থ থাকতে মেডিটেশন

প্রতিদিনের জীবনে ভালো থাকার প্রয়োজনে শুধু যে দৌড়ঝাপ নয় বরং মনোজাগতিক চিন্তা চেতনার ভেতরেও উপলব্ধি ছড়িয়ে দেয়া যায় তা আজ প্রমাণিত। ফিটনেসের সেই অধ্যায় নিয়েই লিখৈছেন হাসান মাহমুদ

হয়তো পড়াশোনায় খুব চাপ যাচ্ছে আপনার। কিংবা অফিসের কাজ আর নানাবিধ টেনশন নিয়ে হয়তো প্রায়ই নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় আপনাকে। কাজেই শরীরটা দিব্যি সুঠাম হলেও মনের রোগে যেন প্রতিনিয়তই কাবু হয়ে পড়ছেন আপনি। পরোক্ষভাবে যেটি হয়তো প্রভাবিত করছে আপনার জীবনযাত্রা আর শারিরীক সক্ষমতাকেও। অথচ শরীর ও মনের জন্য প্রতিদিন সামান্য একটু সময় আলাদা করে বরাদ্দ করেই কিন্তু আপনি নিজেকে করে তুলতে পারেন কর্মচঞ্চল ও চাঙ্গা। আর শরীর ও মনের জন্য উপকারী এমনই এক বিষয় হলো মেডিটেশন।

হঠাৎ একা থাকা

‘আমার দিনগুলো ছিল গুমোট। আর রাতগুলো ছিল নীরব। নিজের খুব আপন জেনে যে স্বপ্নগুলোকে এতদিন লালন করে এসেছি সেগুলোকে হঠাৎ করেই খুব অচেনা বলে মনে হচ্ছিল। রাত জাগা ভোরে কানপেতে আমি শুধু ভাঙ্গনের শব্দই শুনেছি। হয়তো আমার, ওর কিংবা আমাদেরও ছিল অনেক অভিমান। সেই অভিমানের প্রকাশ কিংবা ঝোঁকের মাথায় নেয়া সিদ্ধান্তগুলো হয়তো সবসময় ঠিকও ছিল না। কিন্তু ঝড়ের পরের এক রাতে ওর জানিয়ে দেয়া কথাগুলো যে শেষ পর্যন্ত সম্পর্কের দেয়ালটাকে ভেঙ্গে দেবে এমনটাই কি জানা ছিল?’- ডায়েরির পাতা জুড়ে কথাগুলো লিখতে লিখতে একসময় নিজের অজান্তেই চোখ থেকে পানি পড়তে থাকে শ্রাবন্তীর। আজ ৩ মাস ১৮ দিন হলো আকাশের সাথে তার বিবাহিত সম্পর্কের ইতি ঘটেছে। অথচ এই ক’দিনেও পুরোপুরি ভুলে থাকা যায়নি ফেলে আসা দিনের স্মৃতিগুলোকে। কিংবা বলা চলে পারপার্শ্বিক সময় আর পরিবেশ চাইলেও ফেলে আসা দিনগুলোকে অতীত হতে দেয়নি। হয়তো এ কারণেই আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের কোনো আড্ডায়, নিমন্ত্রণে এখন আর যেতে ইচ্ছে করে না শ্রাবন্তীর। ইচ্ছে করে না কাছের মানুষদের অপ্রিয় প্রশ্নের মুখোমুখি হতেও। তার উপর ডিভোর্সের পরের এই সময়টায় নিজের চেনা বাবা-মা আর ভাই-বোনকেও কেমন যেন অচেনা বলে মনে হতে থাকে শ্রাবন্তীর। মা এখনো মনে করেন, শ্রাবন্তী আরেকটু সহনশীল হলেই নাকি টিকিয়ে রাখা যেতো সম্পর্কটাকে। তাহলে আকাশ এর কি কোনো দোষই ছিল না! আর ঘটনা যেভাবে যাই ঘটুক না কেন হঠাৎ একা হয়ে যাবার চাপটা কেন বইতে হবে শুধু শ্রাবন্তীকেই!

খাবারের সঙ্গে দাবার

খাবার যদি মুখরোচক হয় তখন কোন প্রকার অনুষঙ্গ ছাড়াই খেয়ে ফেলা যায় টপাটপ। কিন্তু মুখরোচক খাবারের সাথে যদি আরো কিছু দাবার যুক্ত করা যায় তাহলে ভোজ আয়োজন হয়ে উঠে পূর্ণাঙ্গ। এমনই কিছু ভর্তা, আচার নিয়ে এ সপ্তাহে কড়চা রেসিপিতে থাকছে খাবারের সঙ্গে কিছু উপাদেও আর সময় উপযোগী দাবার। রেসিপিগুলো দিয়েছেন সাকসেস ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার ও রন্ধন বিশেষজ্ঞ আফরোজা জামান

নাকের যতœ

চুল, হাত, পা, ত্বক এ সব কিছুর যতেœর ব্যাপারেই আজকালকার মেয়েরা অনেক সচেতন কিন্তু সৌন্দর্যের অন্যতম অঙ্গ নাকের প্রতি আমাদের উদাসীনতা প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়। চুল, চোখ, ঠোঁট, হাত, পা’র যতেœর পাশাপাশি নাকেরও সমান যতœ প্রয়োজন। এবারের রূপচর্চার আয়োজনে তুলনামূলক অবহেলিত এ ত্বকটির যতœ-আত্তি জানিয়ে দিচ্ছি আপনাদের।

চুলের জন্য দিওয়ানা

শুষ্ক চুল

০ যতোবার প্রয়োজন শ্যাম্পু করতে থাকুন। সপ্তাহে দু’বার রাতে অলিভ অয়েল লাগিয়ে সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন যা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

০ চুলের পুষ্টির জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

০ চুল বেশি শুষ্ক ও ভঙ্গুর হলে নিয়মিত নারকেল তেল হালকা গরম করে ম্যাসেজ করুন। এতে করে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।

০ শুষ্ক চুলের জন্য ভিটামিন ই, অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।

০ তৈলাক্ত চুল শ্যাম্পু করার সময় হালকা করে ঘষুন। বেশি ঘষলে চুল তেল তেলে হয়ে যাবে।

০ ঘন ক্রিমের মতো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। প্লেইন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু দেখতে ট্রান্সপ্যারেন্ট হলে বুঝবেন এটা প্লেইন শ্যাম্পু।

০ কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে চুলের শেষ প্রান্তে লাগাতে পারেন।

স্টাইলে আধুনিক ও সনাতন শাড়ি

নারীর জীবনের যে বর্ণাঢ্য বিবর্তন, তার বেড়ে ওঠা, পরিণত বয়সে পুরুষের সঙ্গে এক নতুন জীবনের সূচনা ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে শাড়ি জড়িয়ে আছে নারীকে উৎসবে কিংবা পার্বণে আনন্দ কিংবা বেদনার এক অনুভব বার্তায়। নারী জীবনের নানা অব্যর্থ সূচনায় শাড়ি হয়ে ওঠে তার পরিপূর্ণ রূপ বিকাশের সহায়ক। একটি শাড়ি শুধু ৬ গজ কাপড়ের বুনট নয় বরং তা নারীকে দেয় তার আব্রু রক্ষার সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা। শাড়ির সুদীর্ঘকালের ইতিহাস সেই সাক্ষ্যই বহন করে। আজ তাই শাড়ি বাঙালি নারীর জন্য এক অভিন্ন অভিরুচির প্রকাশই শুধু নয় বরং বাঙালি নারীর জন্য তা পাসপোর্টস্বরূপ। যখন থেকেই শাড়ির জন্ম ইতিহাস শুরু ঠিক তখন থেকেই বাঙালি নারীর জীবনে শাড়ি মানেই নিজের অঙ্গ সৌষ্ঠবকে আড়ালে আবডালে মোহনীয় করে তোলার এক অপার মাধ্যম। চর্যাপদের পদাবলী কিংবা শ্রীকৃষ্ণকীর্তন-সাহিত্যের সব আদি উপাদানেই বাঙালি নারীর জীবনে শাড়ির ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়। তাই নিয়ে লিখেছেন মোর্শেদ নাসের টিটু

Wednesday, October 28, 2009

কথা হোক মা-বাবার সঙ্গে

ফাহিম কিছুতেই বুঝতে পারছে না, ‘আর্টসেলের’ কনসার্টে যাওয়া নিয়ে মায়ের অসুবিধা কোথায়? বেশ কয়েকবার বুঝিয়ে ফাহিম অনুমতি তো পেলই না, না যেতে দেওয়ার কারণটাও ধরতে পারল না। ওদিকে বন্ধুরা সব উত্তেজনায় কাঁপছে। ফাহিম বন্ধুদের বোঝাতে পারছে না ওর না যাওয়ার কারণটি। মায়ের ওপর এত অভিমান হলো, ‘নাহ্, আর কথাই বলব না।’ সেই থেকে ২১ দিন ধরে ফাহিমের কঠিন অভিমান। কথা হতো শুধু প্রয়োজনের সময়, তাও খুবই কাট-কাট। মা ভেবেছিলেন, ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে পারলেন, নিজেও ছেলের সঙ্গে জেদ করছেন। এটা ঠিক হচ্ছে না।

 উপহারে থাকুক আন্তরিকতার ছোঁয়া

‘বয়োবৃদ্ধ শ্রদ্ধেয় কোনো ব্যক্তিকে উপহার দেওয়ার সময় তাঁর শখ ও পছন্দের বিষয়টি মাথায় রেখে এ ধরনের ব্যতিক্রমী উপহার দিলে তাঁর বাকি দিনগুলোতে বয়ে আনবে সুখস্মৃতি।’ বললেন আইডিয়াস ক্র্যাফটের স্বত্বাধিকারী নিপা খালেদ।
পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ কোনো সদস্যকে উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে সেটি তাঁর কী কাজে আসবে, তা ভেবে উপহার নির্বাচন করা উচিত। সে ক্ষেত্রে উপলক্ষের ওপরও নির্ভর করবে উপহারের ধরন। বাড়িতে নাতি-নাতনিরা মিলে অনেক সময় দাদা-দাদি বা নানা-নানির জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। সে ক্ষেত্রে মহিলা হলে দেওয়া যেতে পারে শৌখিন পানের কৌটো, চাবি রাখার ছোট বটুয়া, ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের হালকা ডিজাইনের ব্যাগ এবং পুরুষ হলে ঘরে পরার জুতা বা আরামদায়ক কোনো পোশাক।

ক্লান্তির ছাপ পড়বে না মুখে

কাল রাতভর জেগে অনেক কাজ করতে হয়েছে? ভালো ঘুম হয়নি? আগামীকাল অফিসে বা অন্য কোথাও কোনো জরুরি মিটিং আছে বা অনুষ্ঠান আছে, যেখানে চেহারাটা একটু সতেজ থাকা প্রয়োজন। অথচ আগের রাতে ঘুমের অভাবে চোখের কোণে পড়েছে গাঢ় কালি। চেহারাটাও দেখাচ্ছে ক্লান্ত। এ সমস্যা দূর করতে পারসোনার সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাসের সঙ্গে কথা বলে কিছু টিপস দেওয়া হলো:

 শিশুর স্কুল ব্যাগ

ঋতু সোনামণির ছোট্ট ছোট্ট পায়ের ছাপ পড়বে স্কুলের আঙিনায়। এ নিয়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নতুন স্কুলের জামা, নতুন জুতোর পাশাপাশি চাই সুন্দর একটা স্কুল ব্যাগ। বাবার হাত ধরে সে স্কুল ব্যাগ কিনতে এসেছে। এটা না, ওটা না করতে করতে পেয়ে গেল বার্বি ডলের ছবিসহ সুন্দর একটা ব্যাগ। স্কুল ব্যাগ কিনতে আসা ছোট্ট সামউনের সঙ্গে এর মধ্যে জমিয়ে ফেলেছে বন্ধুত্ব। সামউন কিনেছে মিকি মাউসের ছবিসহ ব্যাগ।
স্কুল ব্যাগ নিয়ে বাচ্চাদের যেন একটু বেশি আগ্রহ। সব শিশুই চায়, তার ব্যাগটি হবে সবচেয়ে সুন্দর, যাতে অন্য সব বন্ধুর প্রশংসা কুড়ানো যায়। শিশুরা কার্টুনের ভক্ত। তাই তাদের পছন্দের কথা চিন্তা করে বাজারে পাওয়া যায় বিভিন্ন রকম কার্টুন চরিত্রের সুদৃশ্য ব্যাগ। ঢাকার নিউমার্কেটের ব্যাগের শোরুম ‘আবীর’-এর স্বত্বাধিকারী খন্দকার মাকসুদুল আলম জানান, বাচ্চাদের পছন্দের প্রায় সব রকম কার্টুন চরিত্রের ছবিই এখন ব্যবহার করা হচ্ছে স্কুল ব্যাগে।

গুছিয়ে রাখুন পোশাক

শহুরে জীবনে আলমারির ব্যবহার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবু প্রয়োজনীয় পোশাকটি অনেক সময় হাতের কাছে পাওয়া যায় না। সঠিকভাবে আলমারি গুছিয়ে না রাখার কারণেই এমনটি হয়। পরিপাটি আলমারি দেখতেও ভালো লাগে। সহজেই সব পাওয়া যায় এবং সময়ও বাঁচে। কোন পোশাক কীভাবে রাখবেন তা-ই এবার জানাবেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।

দাগ নিয়ে ভাবছেন?

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিজওয়ান, তিনি স্কুলে থাকতেই হাতঘড়ি পরেন। কিন্তু একসময় হাতঘড়ি পরা বন্ধ করে দিলেন। এরপর আবিষ্কার করলেন, ঘড়ি পরার জায়গা হাতের অন্যান্য অংশের চামড়া থেকে খানিকটা সাদা ও ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে ।
শুধু তা-ই নয়, সেখানে একটি দাগও বোঝা যাচ্ছে, যা একেবারেই শরীরের সঙ্গে বেমানান।
দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘড়ি, চশমা, ব্রেসলেট, টুপি প্রভৃতি পরে থাকলে সেখানে একধরনের দাগ পড়তে পারে।

 ফিতায় ফিতায় পাদুকা

ফ্যাশন আর স্টাইলের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের মেয়েরা এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে আরামের বিষয়টি। আর তাই কয়েক বছর ধরে যেমন চলছে চটি স্যান্ডেল, তেমনি দেখা যাচ্ছে ফিতার মহাসমারোহ।দুই ফিতার স্লিপার স্যান্ডেলের পাশাপশি এখন চলছে অনেক ফিতার স্যান্ডেল। কখনো কখনো হিলও থাকে সেসবে। এসব স্যান্ডেল বেশি পরিচিত গ্ল্যাডিয়েটর স্যান্ডেল হিসেবে।
ফ্যাশন ডিজাইনার মাহিন খান জানালেন, বেশি ফিতার এ স্যান্ডেল এখন জনপ্রিয় সব মেয়ের কাছেই।
দুই বা এরও বেশি ফিতার বিভিন্ন ধরনের স্যান্ডেল চলছে ফ্যাশনে। চামড়া, স্পঞ্জ, রবার, কাঠসহ বিভিন্ন ধরনের উপাদানে তৈরি এসব স্যান্ডেল বেশি পরছে কিশোরী আর তরুণীরা। তবে ফিতাটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চামড়ার দেখা যায়।

Sunday, October 25, 2009

আর নয় ভুল বোঝা

টানা চারদিন ধরে জ্বরে ভুগছে আনিকা। অথচ সবচেয়ে কাছের বন্ধুটা পর্যন্ত একদিন ফোন করে জানতে চাইলো না কেমন আছে সে? অথচ বন্ধুদের কেউ অসুস্থ হলে সবার আগে তার খোঁজ নিতে ছুটে যায় অনিকাই। কাজেই এ অবস্থায় বন্ধুদের প্রতি যদি আনিকার একটু অভিমান হয়েই যায় তাহলে তাকে কি দোষ দেয়া যায়? অথচ মুদ্রার অন্যপিঠে ঘটনাটা কিন্তু তখন একেবারেই ভিন্নতর। কাছের বন্ধু তো দূরে থাক, আনিকার বন্ধুমহলের কারোই আসলে বিন্দু-বিসর্গ জানা নেই আনিকা সম্পর্কে। কাজেই আদৌ আনিকার জ্বর হয়েছে নাকি সে কোথাও বেড়াতে গিয়েছে সেটা জানাই ছিল না বন্ধুদের। আর এ কারণেই অহেতুক এ ভুল বোঝাবুঝি।

মুড ভাল রাখতে

সকালে ঘুম ভাঙতেই রাজ্যের কাজ এসে যেনো ঝাপিয়ে পড়ে কাধে। আমাদের শহুরে জীবনটাই এমন। বাড়িতে নানান কাজের ঝক্কি সামলে যখন আপনি নামবেন রাজপথে অফিস যাত্রা করতে, তখন আপনাকে আষ্টে-পিষ্ঠে জড়িয়ে ধরবে রাস্তার বেধড়ক ট্রাফিক জ্যাম আর অস্বস্তিকর গরম। গোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে জলবায়ু যেমন চরম ভাবাপন্ন তেমনি আপনার মেজাজটাও কিন্তু একই রকম উত্তপ্ত। আর এই উত্তাপ অনেকটাই ক্রমবর্ধমান। অফিসে ঢুকেই বসের ঝাড়ি। এরপর অগোছালো কাজগুলোকে গোছাতে গোছাতেই ২-৪টা মিটিং এসে হাজির হবে। সব কাজ শেষে যখন আপনি একটু একটু করে অফিস থেকে বাড়ির দিকে যাত্রা শুরু করেছেন তখনই বস ডেকে পাঠাকে আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করার জন্য। ব্যস! আপনার মেজাজটা আর একবার খিচড়ে গেলো। এরপর ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফেরার পরে নিজেকে সংসারের সুখ দুঃখের মাঝে গা ভাসানো কঠিন হয়ে পড়ে। এম সময় অস্থির মনকে বসে আনার জন্য কিছু প্রয়োজনিয় টিপস্ থাকছে এই সংখ্যা কড়চায়। মাথা ঠান্ডা করে একটু স্মরণ করে এই টিপসগুলো মেনে চললে সহজেই আপনি জীবনটাকে আর একটু সহজ ভাবে গ্রহণ করতে পারবেন।

চোখের জন্য

চোখের সাজ শুরু করার আগে ভ্রুর দিকে নজর দিন। ভ্রুর বাড়তি চুলগুলিকে উঠিয়ে ফেলতে হবে। তারপর ছোট শক্ত ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে শেপ দিতে হবে। আইব্রো পেন্সিলের হালকা ছোট ছোট টানে ভ্রু দু’টিকে গাঢ় করে নিতে পারেন।

চোখ ধাঁধানো গ্লিটার

মেকআপের হরেক রমক সরঞ্জামে নতুন সংযোজন গ্লিটার মেকআপ। পুরো নতুন বলা যাবেন না এই গ্লিটার মেকআপকে। অনেক দিন থেকেই এই গ্লিটার মেকআপের প্রচলন ছিলো। সম্প্রতি এই মেকআপের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। চটজলদি নিজেকে ঝলমলে করে সাজাতে এই গ্লিটার মেকআপের জুড়ি নেই। ক্লাসিক আর ড্রামাটিক লুক দিতে ব্যবহার করতে পারে এই গ্লিটার মেকআপ। পার্লারগুলোতে বটেই চাইলে বাড়িতে বসেও আপনি গ্লিটার মেকআপের ব্যবহার করতে পারেন। মেকআপের এই নতুন সংযোজন নিয়েই এবারের রূপকড়চা, লিখেছেন এমএইচ মিশু

Saturday, October 24, 2009

অফিস মিটিংয়ে বডি ল্যাংগুয়েজ

কর্মজীবনে অফিসিয়াল মিটিং এক রকম প্রাত্যহিক কাজ। কিন্তু জীবনে প্রথম যেদিন অফিসের সব কর্তা ব্যক্তিদের সাথে মিটিংএ, সেদিন কিন্তু কমবেশী সবারই গলা শুকিয়ে যায়। এমন সব গুরুত্বপূর্ণ মিটিংএ কিন্তু আপনার পোশাক, ব্যবহার সর্বোপরি আপনার বডিল্যাঙ্গুয়েজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অফিসে বসদের সাথে কিংবা সহকর্মীদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এর দিন ঠিক কি পোশাক পড়া উচিৎ, কেমন হওয়া উচিৎ আপনার বডি ল্যাংগুয়েজ আর তাই নিয়ে থাকছে এসপ্তাহের কড়চা ম্যানার্স বিভাগটি।

ছটফটে শিশুর জন্য


অনিমা রায়হানের একটি মাত্র সন্তান, মাত্র ছয় বছরের ছেলে রাজিন। কিন্তু এই ছয় বছরের ছেলেকে নিয়েই যত যন্ত্রণা অনিমার। কারণ রাজিন খুবই ছটফটে। সবকিছুতেই তার দুষ্টুমি করা চাই। এক জায়গায় বেশি সময় তাকে কিছুতেই বসিয়ে রাখা যায় না। আবার কোনো কিছুতে তার খুব বেশিক্ষণ মনোযোগও থাকে না। অনিমা ও রায়হানের মতো একই ঝামেলা পোহাতে হয় আরো হাজার হাজার মা-বাবাকে। রাজিনের মতো এরকম হাজার হাজার শিশুর জন্য প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মা-বাবা দিন কাটাচ্ছে অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে। রাজিনের যে সমস্যা বৈজ্ঞানিক ভাষায় একে বলে অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভ ডিজঅর্ডার।

আসুন জেনে নিই অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভ ডিজঅর্ডার সম্বন্ধে-

ফ্যাশনের রঙ যখন লাল


অস্তিত্ববাদী রঙ হিসেবে লালের অভিযাত্রা। জীবনের শুরুতে যেমন লালের অস্তিত্ব তেমনি রঙের ভাবনাতেও লাল যেন এক আদি বাকগাঁথা। উজ্জ্বলতা প্রকাশে লাল আদি ও অকৃত্রিম। উৎসব মানেই লালের অস্তিত্ব। লড়াইতে যেমন লাল তেমনি লাল হাজির থাকে নিজেকে অনন্য আর অন্যের কাছে দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেবার সহায় শক্তিতে। লালের এই দুনিয়া জোড়া আবেদন ফ্যাশন স্টেটমেন্টে আরো বেশি প্রাধান্যবাদী হয়। তাই নিয়ে আমাদের বিশেষ ফিচার।

গুডমর্নিং ব্রেকফাস্ট


দিনের শুরুরা যখন ডাইনিং-এ তখন কিছুটা মুখরোচক আর কিছুটা স্বাস্থ্যসম্মত খাবারই সাজানো উচিত প্রাতরাশের ডাইনিং। সকালবেলা অনেকেরই মুখে অরুচি থাকে। আর তাই সকাল বেলার নাস্তা প্রিপারেশনটা হওয়া চাই জম্পেশ। তবেই পুরো দিনটা কাটবে ঝকঝকে। এমনই কিছু মুখরোচক প্রাতরাশের খোঁজ নিয়ে থাকছে এবারের কড়চা রেসিপি।

গরুর মাংসের সুরুয়া

উপকরণ : মাংস ১ কেজি, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, ধনে বাটা ১ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদের গুড়া ১ চা চামচ, মরিচগুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, টমেটোর সস ২ টেবিল চামচ, টকদই হাফ কাপ, তেল হাফ কাপ, পেঁয়াজ রেরেস্তা সিকি কাপ, তেজপাতা ২টা, এলাচ ২ টা, দারুচিনি ৪ টুকরো, গরম মসলারগুঁড়ো ১ চা চামচ।

যেভাবে তৈরি করবেন : মাংস টুকরা করে ধুয়ে সরবাটা মসলা ও গুঁড়া মসলা ভাল করে মিশিয়ে এবং মাখিয়ে ১ ঘন্টা রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, গরম মসলার গুঁড়ো, টমেটো সস, পেঁয়াজ রেরেস্তা যেন একসঙ্গে না দিয়ে ফেলি। এক ঘন্টা রাখার পর চুলায় মাংস চাপিয়ে কষাতে হবে। তেল উপরে এলে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে রান্না করতে হবে। মাংস সিদ্ধ হয়ে গেলে এবং সুরুয়া ঘন হয়ে এলে টমেটো সস, গরম মসলার গুঁড়ো ওপরে ছড়িয়ে পেঁয়াজ বেরেস্তা ছিটিয়ে একটু রেখে নামাতে হবে। পরোটা, নান, রুমালী রুটির সাথে পরিবেশন করুন।

অসুখ থেকে বাঁচতে

আজ বিকেলে রুমানার গায়ে হলুদ। রুমানা হলো ফারাহর বান্ধবী অনন্যার ছোট বোন। বান্ধবীর বোনের বিয়ে উপলক্ষে ফারাহর বান্ধবীদের মাঝে বেশ একটু সাজ সাজ রব পড়ে গেল। মার্কেটে বেড়ে গেল ঘোরাঘুরি, টেলিফোনে ঘন ঘন আলাপন, ‘এ্যাই শামীমা আসছে তো ? মহুয়াকেও বলেছিঃ।’ সংসার, চাকরি নানান সূত্রে বন্ধুদের ব্যস্ততায় ক্ষীণ হয়ে আসা যোগাযোগটা ঝালাই করে নেওয়া যাবে এই উপলক্ষে, উৎসাহের তাই কমতি নেই। ফারাহও বেশ পছন্দ করে একটা শাড়ি কিনেছে আজকে পরার জন্য। খোপায় পরার ফুলও আনিয়ে রেখেছে দুপুরের মধ্যে। কিন্তু হঠাৎই সকল উৎসাহে যেন ভাটা পড়ে গেল যখন ছোট ছেলে রাব্বী ছটফট করতে লাগল পেটের ব্যথায়। ক’দিন ধরেই ছেলেটার শরীরটা শুকিয়ে যাচ্ছে, খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণ অবশ্য হ্রাস পায়নি। কৃমির আক্রমণ নয় তো ? ওদিকে বড় ছেলে রাকিব কোচিং থেকে ফিরল ‘হ্যাচ্চো হ্যাঁচ্চো’ হাচি দিতে দিতে। উদ্বিগ্ন আশঙ্কায় ফারাহ্ ভাবতে লাগল, এবার রাজিব (ফারাহর স্বামী) অফিস থেকে ফিরে ওষুধের বাক্সে মাথা ব্যথার ঔষুধের খোঁজে বসলেই ষোলকলা পূর্ণ হয়। এই পাল্টে যাওয়া সময়ে প্রতিদিনই ধুলোবালি, দুষিত পানি-বাতাস, ভেজালের ভিড় ঠেলে পরিবারের সদস্যদের সু স্বাস্থ্য রক্ষা করতে ফারাহ্র মতো কম-বেশি সব গৃহকত্রীই যেন হিমসিম খেয়ে যাচ্ছেন। ডাক্তার-বৈদ্যবাড়ি ছোটাছুটি, দুর্ভাবনা আর খরচপাতির যোগান দিতে গিয়ে ক্রমশই সমস্যা সঙ্কুল হয়ে উঠছে জীবনযাত্রা। অসুখ হলে ডাক্তারের বিকল্প তো কিছু নেই। কিন্তু একটু লক্ষ্য করে দেখুন তো, রোগ জীবাণুর উৎসগুলো আপনার সাথেই সহাবস্থান করছে নাতো আপনারই ভুলে, অজ্ঞানতায়। সেক্ষেত্রে সামান্য সচেতনতাই কিন্তু আপনার পরিবারকে সুরক্ষা দিতে পারে ছোট-বড় অনেক অসুখ থেকে। কেননা প্রতিরোধই কি সর্বোত্তম ব্যবস্থা নয় ? তাই, এই আয়োজন থেকে জেনে নিন পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে করণীয় কর্তব্যগুলো।

Tuesday, October 20, 2009

চায়ের সঙ্গে টা

চা, একেক দেশে জনপ্রিয় একেক রীতিতে। কিন্তু পান করার উদ্দেশ্য একটিই—মুহূর্তে সতেজ হয়ে যাওয়া। চায়ের পরিপূর্ণ স্বাদ পাওয়া যায় এর পরিবেশনের সঙ্গে। সারা দিনের পর ক্লান্তি দূর করতে চা-ই আমাদের সঙ্গী হয়। মনোরম বিকেলে বা সন্ধ্যায় সেই চা পরিবেশনের কথাই তুলে ধরা হলো এখানে।
শত হোক মনের সঙ্গে চোখের শান্তিরও একটা যোগাযোগ আছে বৈকি। চায়ের উপকারিতা কম-বেশি সবারই জানা। দুধ দিয়ে, দুধ ছাড়া-চা তো আমরা খাই-ই। এ ছাড়া মসলা চা, দুধের ভেতর পাতি দিয়ে বানানো চা, আদা চা তো আছেই। আছে লেবু চা-ও। প্রিয় পানীয়ের স্বাদ আনতে ব্যবহার করা হয় অনেক রকমের উপকরণ। বানানো হয় মনমতো করে। বানাতে যখন এত আয়োজন, তখন পরিবেশনও হওয়া উচিত রঙে-ঢঙে মিলিয়ে।

কাটিয়ে উঠুন হতাশা

প্রতিযোগিতার দৌড়ে মানুষ হয়ে যাচ্ছে যন্ত্র। যান্ত্রিক জীবনে আনন্দ-বিনোদনের স্থান দখল করে নিয়েছে কাজের ব্যস্ততা। ব্যস্ততা আর কাজের চাপে কেউ হচ্ছেন জয়ী, আর কেউ যাচ্ছে হেরে। পরাজিত অনেকেই ডুবে যাচ্ছেন হতাশার সাগরে। শুধু কাজের ব্যস্ততা নয়, অনেকে একাকিত্বের ভাবনায় হচ্ছেন হতাশ। শত কাজের ব্যস্ততায় নিজেকে ভাবছেন একা, জড় পদার্থ। আবার অনেকে অকারণেই নিজেকে ছোট ভেবে কষ্ট পাচ্ছে। এর কোনোটিই ঠিক নয়। হতাশার পরিণতি সর্বদাই নেতিবাচক। ঝেড়ে ফেলুন হতাশা, অবসাদ।
যে ব্যক্তি যত বেশি হতাশ হবে, সে জীবন থেকে তত বেশি পিছিয়ে যাবে। হতাশা শুধু কষ্টই ডেকে আনে, কোনো সাফল্য নয়। মানুষের মস্তিষ্ক তার চিন্তা-চেতনা আর আবেগের স্থান। মস্তিষ্কই নিয়ন্ত্রণ করে যাবতীয় মানসিক বিষয়। মস্তিষ্কে রয়েছে অসংখ্য শিরা-উপশিরা আর স্নায়ু। মন খারাপ বা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় স্নায়ুগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। একটি স্নায়ু অপর স্নায়ুকেও প্রভাবিত করে। ফলে অপর স্নায়ুগুলো দুর্বল হয়ে যায়। এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে অন্য অঙ্গগুলোর ওপর। ফলে দেহ তার স্বাভাবিক কাজকর্মের গতি হারিয়ে ফেলে। আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ত্বক ও চুলের ওপর। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলে ত্বক অকালেই বৃদ্ধ মানুষের মতো দেখায়। দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো দুর্বল হওয়ার জন্য চুলও ঝরতে শুরু করে। হারিয়ে যায় চুলের ঔজ্জ্বল্য। ত্বকে সৃষ্টি হয় অজস্র ভাঁজ এবং বলিরেখা।

দুপুরে খাই পাস্তা-নুডলস

দুপুরে ভাত খেতে আজকাল অনেকেই পছন্দ করেন না। নুডলস, পাস্তার মতো খাবার তাই হতে পারে ভাতের বিকল্প। আর বাচ্চাদেরও দারুণ প্রিয় এসব খাবার। দেখুন শাহানা পারভীনের রান্নাগুলো।

কেশবতী কন্যা

চুলের ফ্যাশন বদলে যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। আর তাই কখনো দেখা যায়, মেয়েদের চুল কাঁধ পর্যন্ত, কখনো পিঠ ছাপিয়ে নেমে গেছে কোমর পর্যন্ত; আবার কখনো একদম বব কাট। তবে সবকিছু ছাপিয়ে চুলের ফ্যাশনে বরাবরই রাজত্ব লম্বা চুলের। পিঠ ছাপানো দীঘল চুলেই যেন খুঁজে পাওয়া যায় সৌন্দর্যের দিশা। এখন লম্বা চুলের চলটা বেশ দেখা যাচ্ছে।তবে লম্বা চুলের জন্য চাই সঠিক যত্ন-আত্তি।

তোয়ালের যত্নআত্তি

প্রতিদিনের গোসল কিংবা ধোয়ামোছায় একটি জিনিসের প্রয়োজন পড়ে, যা ছাড়া আধুনিক জীবন যাপন সম্ভব নয়। তা হলো তোয়ালে। কিন্তু এর সঠিক ব্যবহার, যত্নআত্তি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় এই জিনিসের ব্যবহার ও যত্নআত্তি নিয়ে কিছু টিপস রইল। দিয়েছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।

Saturday, October 17, 2009

পোশাকের নানা প্রথা

প্রতিদিন আমরা নানা কারণে ফ্যাশনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হই। আধুনিক জীবনধারায় নিজেকে ফ্যাশন সচেতন করে তুলতে পারা সমসাময়িকদের সঙ্গে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এক ভিন্ন ধরনের চেষ্টা। শুধু তাই নয় আধুনিক লাইফস্টাইলে নিজস্বতা খুঁজে পেতেও কিছু পোশাকি প্রথা সম্পর্কে জেনে নিতে হয়। একথা সবাই জানে যে সব পোশাক সবার জন্য নয়। পোশাকেরও কিন্তু চরিত্র থাকে। আর পোশাকের সেই চরিত্রেই নির্ণীত হয় পোশাকের অধিকারীর জীবনযাত্রা। তাই নিজের পোশাকখানি কেমন হবে এই ভাবনায় আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত প্রতিদিন নিজেকে সজ্জা করার আগে খানিকটা ভেবে নেয়া। এক্ষেত্রে কয়েকটি প্রাথমিক বিষয়

জাদুর লাঠির ছোঁয়া

আমাদের এবারের রূপচর্চার বিষয় কারেকটিভ মেকআপ এবং ত্বকের রঙ অনুযায়ী মেকআপ। কারেকটিভ মেকআপ-এর সাহায্যে মুখের যেকোনো ত্রুটি ঢাকা যায় এক ধরনের ইলিউশন তৈরি করে। ব্যাপারটা অনেকটা মুখের উপর। একটা জীবন্ত ক্যানভাসের ওপর ছবি আঁকার মতো। কারেকটিভ মেকআপ-এর সাহায্যে ধাপে ধাপে মুখের খুঁত ঢেকে ফেলা যায়।

বিস্তারের গল্পগাথা

সিঁড়ি দিয়ে উঠতেই নজরে পড়বে বিশাল ভাসে সাজিয়ে রাখা আর্ট ফ্লাওয়ার। এরপর ঘিয়ে রাঙা মেঝের আর কাঁচের বিশাল দরজা পেরুলেই বিস্তীর্ণ ‘বিস্তার’। দরজা ঠেলে ভেতরে যাওয়া পর্যন্তই হয়তো ক্রেতা নিজের পছন্দের লিস্টটা বহাল রাখতে পারবেন। এরপর আর কোনো লিস্টই আপনার কেনাকাটা দমিয়ে রাখতে পারবে না। থরে থরে সাজানো বিস্তারের বিষ্ময় আপনাকে ঘিরে ধরবে। সবকিছুতেই আপনি পাবেন ভিন্নতার ছোঁয়া

রট আয়রনের ফার্নিচার

ফার্নিচার ইন্টেরিয়রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঘরের মাপ, রঙ আর উপকরনের উপরে নির্ভর করে সাজানো একঝাঁক ঝকঝকে ফার্র্র্নিচার আপনার ঘরকে করে তুলবে অপরের কাছে ঈর্ষনীয়। আর তাই ইন্টেরিয়রে বরাবরই ফার্নিচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ফার্নিচারের এই স্টাইল পরিবর্তিত হয় অনেকটা হালের ফ্যাশন কালচারের মতোই। সময়ের সাথে সাথে ফার্নিচারের স্টাইলেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। এখানে বলে রাখা ভাল, আমাদের দেশে ফার্নিচারের এই বিবর্তনটা খুব বেশি দিনের নয়। কিন্তু এরই মধ্যে অভিজাত শ্রেণী হতে মধ্যবিত্ত সব জায়গাতেই ফার্নিচারের স্টাইলিশ টাচ আনতে মোটামুটি সবাই ব্যাকুল। এ পক্ষের ইন্টেরিয়রে থাকছে এমনই এক আধুনিক সময়ের ফার্নিচার রট আয়রন প্রসঙ্গে কথা।

পুর ভরা

ঝটপট তৈরি করতে যেসব রেসিপি জনপ্রিয় তার মধ্যে পুর ভরা রেসিপিগুলো জনপ্রিয়। এ ধরনের রেসিপিগুলোতে সুবিধা হচ্ছে পুর তৈরিতে কিছুটা সময় ব্যয় করলেই রান্না মুখরোচক হয়ে উঠে। আর ওভেন রান্নার ক্ষেত্রেও পুর ভরা রেসিপি সহজেই তৈরি করা যায়। এমনই কিছু পুর ভরা রেসিপি দিয়েছেন সাকসেস ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার আফরোজা জামান আর ছবিগুলো তুলেছেন এমএইচ মিশু

কাঁচের ভিতর মাছের যতœ

ঘরের এক কোণে রাখা কাঁচের এ্যাকুরিয়ামে হরেক রকম মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে, এ যেন এক মৎস রাজ্য, যে রাজ্যে চোখ রাখলেই আপনি পেতে পারেন প্রকৃতির এক অনন্য ছোঁয়া। তাই সৌখিন মানুষ মাত্রই এমন একটি মৎস রাজ্যের অধিকারী হতে চাইবেন। তবে প্রকৃতির এ সৌন্দর্যকে কেবল ড্রইংরুমে সাজিয়ে রাখার মধ্যেই আপনার দায়িত্ব কিন্তু শেষ নয় বরং এ সৌন্দর্যকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আপনাকে অবশ্যই নিতে হবে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। তাই এবারের গৃহস্থালির আয়োজনে আপনাদের জানিয়ে দিচ্ছি একুরিয়ামের মাছের যতœ সম্পর্কে।

ড্রয়ারের সাজ

প্রতিদিনের ব্যস্ততায় কখন কোথায় কোন জিনিসটি রাখা হয়েছে তা অনেক সময়ই আধুনিক আমাদের ভুলো মন সময় মতো মনে রাখতে ভুলে যায়। সম্ভবত এই একটি কারণেই পশ্চিমা বিশ্বে অফিস কিংবা বাসায় খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ড্রয়ার ম্যানেজমেন্ট কনসেপ্ট। ব্যস্ততার চারদেয়ালে বন্দি হয়ে আমাদের বর্তমান জীবনেও এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানা দরকার। কিভাবে বিন্যাস আর সমন্বয়ের মাধ্যমে মনের জানালা খুলে দেয়া যায় দরকারি জিনিসপত্রের জন্য তাই নিয়ে খানিকটা উপদেশের ঢঙ্গে আমাদের এই বিশেষ আয়োজন

মাত্র ১৫ মিনিট

যান্ত্রিক জীবনের ব্যস্ততায় অনেকেই শরীরের দিকে খেয়াল রাখার সুযোগ পাননা। কিন্তু একথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে সুস্বাস্থ্য আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাব ফেলে। একদিনে ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৪৪০ মিনিট। এই সময় থেকে প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট সময় বের করা বোধকরি খুব কষ্টকর বিষয় নয়। তাই জেনে নিন ১৫ মিনিটের ওয়ার্ক আউট প্ল্যান।

মেকআপের বাড়তি যতœ

কাঠফাটা রোদে সারাদিন ঘোরাফেরার পর আয়নায় নিজের চেহারা দেখে বোঝারই উপায় নেই সেই আমি আর এই আমি। গরমের তপ্তরোদে প্রতিদিনই পুড়ছে আপনার ত্বক। একেবারে নাভিশ্বাস অবস্থা। মেকআপ করার সময় অবশ্যই দামি ব্র্যান্ডের মেকআপ ব্যবহার করবেন এবং খুব বেশি পুরনো মেকআপ ব্যবহার করবেন না। কেননা এই সময় আপনার মুখে ব্রণের প্রকোপ একটু বেশি থাকে গরম আবহাওয়ার বের হওয়ার জন্য। আর ব্রণের আরেক শত্রু হচ্ছে মেকআপ। অনেক সময় এর থেকে ইনফেকশনও হয়ে যেতে পারে। তাই গরমে মেকআপ ব্যবহার করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেকআপ তুলে মুখ পরিস্কার করে ফেলবেন, মেকআপ তোলার সময় ভাল কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। আর যদি ঘরেই ময়েশ্চারাইজারের কাজ সারতে চান তাহলে মুখ ধোয়ার পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিবেন। পহেলা বৈশাখের ধকল থেকে ত্বককে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ১ সপ্তাহ পরে একবার পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করিয়ে নিবেন এই ক্ষেত্রে ফ্রুট ফেসিয়ালটাই বেশি উপকারী। ফেসিয়াল করার পাশাপাশি এই সময় ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে মুখে ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন। এতে আপনার মুখের কালচে ভাব দুর হবে। আপনি ঘরে বসেও ফেস প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। কাঁচা হলুদ, কমলা লেবুর খোসা, মসুরের ডাল এক সাথে বেটে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। রাতে মেকআপ তুলে ফেলার পর আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন ক্লিনজিং ক্রিম লাগাতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের জন্য নিভিয়া মিল্ক ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকে ঘুমাতে যাওার আগে নাইট ক্রিম খুবই উপকারী। এই ক্রিম আপনি ইচ্ছে করলে ঘরে বসেও তৈরি করে নিতে পারেন।

ঠোঁট রাঙাতে

াল রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করার সময় সবার আগে খেয়াল রাখতে হয় নিজ নিজ ত্বকের বর্ণের দিকে। পাশাপাশি ত্বকের বর্ণের পরিবর্তনের সাথে সাথে লাল রঙের ভিন্নতার দিকে খেয়াল রাখবেন। এছাড়া আপনি কি ধরনের এবং কোন রঙ এর পোশাক পড়বেন সেদিকে দৃষ্টি দিবেন। মনে রাখবেন দিনের কোন সময় আপনি আপনার ঠোঁটে লাল লিপস্টিক ব্যবহার করছেন সে বিষয়টিও আপনার জানতে হবে। যাদের ত্বকের রঙ গোলাপি ফর্সা তারা হালকা গোলাপি আভা মিশ্রিত লাল লিপস্টিক লাগাবেন, গোলাপি বা পিংক ছাড়াও ব্লু লাগাতে পারেন। দেখতে ভালো লাগবে। যাদের ত্বকের রঙ শ্যামলা তারা যদি ঠোঁটে লাল লিপস্টিক ব্যবহার করতে চান তবে লালের সাথে মেরুন, ব্রাউন, বার্গেন্ডি অথবা ওরেঞ্জ মিক্সড করে লাগাতে পারেন।

অনেকের ত্বকের রঙ শ্যামলার ভেতর হালকা গোলাপি আভা মিশ্রিত থাকে, তারা চেষ্টা করবেন ঠোঁটের লিপস্টিকে গাঢ় লাল এর সাথে ব্লুইশ কিংবা পিংকি আভা রাখতে। এতে দেখতে ভাল লাগবে। যাদের ত্বকের রঙ ফর্সা কিন্তু হালকা হলুদাভাব রয়েছে তারা ওয়ার্ম রেড-এর সাথে ওরেঞ্জ অথবা ব্রাউন কালার মিক্সড করে লাল লিপস্টিক লাগাতে পারেন, দেখতে ভাল লাগবে।

যদি আপনার ত্বক ইয়েলো বেইজড ডার্ক হয় তাহলে ঠোঁটে গাঢ় লাল এর সাথে ওরেঞ্জ কালার ব্যবহার করলে ভাল লাগবে। পাশাপাশি এ ধরনের ত্বকে ব্লু বেইজ লালটা ব্যবহার না করলেও ভাল হয়।

আমাদের দেশের আবহাওয়ায় যে ধরনের ত্বক দেখা যায় তার সাথে অন্য কোনো রঙ না থাকলে সাধারণত ঠোঁটে ব্রাউন বেইজড রেডটা সহজেই ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া ঠোঁটে ব্রাউন বেইজড লাল রঙটা যে-কোনো স্কিনের সাথেই স্মাট করে। তাই আপনার ত্বক যে রকমই হোক না কেন ব্রাউন বেইজ ড লাল রঙটা আপনি আপনার ঠোঁটে ব্যবহার করতে পারেন সহজেই।

লিপস্টিক ঠোঁটে বেশি সময় রাখতে হলে প্রথমে ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে একটা টিস্যু দিয়ে চেপে লিপস্টিকটা ড্রাই করে নিতে হবে। তারপর ব্রাসের মধ্যে একটু পাউডার নিয়ে ঠোঁটের উপর হালকা করে লাগিয়ে নিয়ে আবার এক কোট লিপস্টিক লাগিয়ে নিতে হবে। আবার একবার টিস্যু দিয়ে লিপস্টিকটা চেপে নিয়ে আর এক কোট লিপস্টিক লাগিয়ে নিতে হবে।

সারা হাতের


পরিচর্যাশরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্মুক্ত অংশ যা সরাসরি রৌদ্রের মুখে পড়ে তা হলো হাত। সাধারণত রোদে পোড়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য আমরা মুখের যতœ করি কিন্তু হাতের তেমন যতœ করিনা ফলে সান বার্ন ও সান বার্ন জনিত ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন হয় হাত। এতে করে সামার বয়েল, র‌্যাশ, এমনকি হাতে ঘামাচিরও প্রকোপ দেখা দেয়। তাই রোদে পোড়া থেকে আপনার হাতকে মুক্ত রাখতে চাইলে প্রতিদিন বাইরে বেড় বার আগে সম্পূর্ণ হাতে সানস্ক্রিন মেখে নিন। এক্ষেত্রে যে কোনো ভাল ব্র্যান্ডের সানস্ক্রিন বেছে নিতে পারেন। কেবল সানস্ক্রিন মাখলেই হবে না। সপ্তাহে একদিন সম্পূর্ণ হাতে শশার রস অথবা পাকা পেঁপের রস লাগিয়ে শুকাতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।

নতুন পণ্য ডায়াবিনো

ডায়াবেটিস এখন পৃথিবীতে চতুর্থ মরণ ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৮% লোক এই ভয়ঙ্কর রোগ বয়ে বেড়াচ্ছে এবং এর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এই রোগের চিকিৎসায় প্রচলিত ঔষধগুলোর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই ডায়াবেটিসের জন্য একটি নিরাপদ ও কার্যকরী ঔষুধ প্রয়োজন। ‘ডায়াবিনো’ হারবাল চা এই প্রয়োজন সফলভাবে মিটাবে। এটি ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ’ এর সফল আবিষ্কার। বিজ্ঞানীগণ দীর্ঘদিনের গবেষণার পর উক্ত চা আবিষ্কার করেছেন। এই চা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে, বাড়তি মেদ কমায়, তারুণ্য দীর্ঘায়িত করে। এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, ইনসুলিন এর নির্ভরতা কমায়, সাধারণ চা এর মত পান করা যায়, অন্য কোনো ঔষধের সাথে এর কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই। যোগাযোগ : সাইন্সল্যাব শো-রুম ঢাকা, ডাঃ প্রিন্স : ০১৭১২২৬৬০৯০, ঢাকা হেড অফিস : ৮৮-০২-৮৮১৭৯৫০, এছাড়াও উত্তরা, ধানমন্ডি ও কাকরাইল, নন্দন মেগাশপ ও মিরপুর প্রিন্স বাজারে। চট্টগ্রাম : ০১৮১৯৫৩৫৫০২, নোয়াখালী : ০১৭১৩৬৩৯৬৮৬, রংপুর : ১৭৩৩০১৬৬৯৯, দিনাজপুর : ০১৭১২২৩৮২২২, ঝিনাইদহ : ০১৮২০৫১৯২৯৪।

স্মার্টনেসের ব্যাকরণ


স্মার্ট। খুব পরিচিত একটি ইংরেজি শব্দ। অভিধানে স্মার্টের দুই রকম অর্থ রয়েছে। এক উজ্জ্বল, নবীন-দর্শন, কেতাদুরস্ত ইত্যাদি। দুই. তীব্র ব্যথা অনুভব করা বা তীব্র ব্যথা দেওয়া। সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী অর্থ। অথচ বানান একই। যাক, শব্দের অর্থ নিয়ে নিরর্থক প্যাঁচালে না গিয়ে বরং অর্থপূর্ণ বিষয়ে চলে আসি। মূল বিষয় ‘স্মার্টনেস’। বলা হয় বর্তমানে সকল সাফল্যের চাবিকাঠি এই স্মার্টনেস। সবাই বলেন বি স্মার্ট। কিন্তু এর সংজ্ঞা তো কেউ বলেন না। কারও কারও স্মার্টনেসে সত্যিই মুগ্ধ হতে হয়। আবার কারও স্মার্টনেসে সত্যিই, তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। কিন্তু আসলে স্মার্টনেস কী ? স্মার্টনেসের ব্যবচ্ছেদ করেছেন মোর্শেদ নাসের টিটু

Tuesday, October 13, 2009

মনে রাখুন সহজে

চাকরির পাশাপাশি সংসারও সামলাতে হয় নাজিয়াকে। এতসবের পরও মাঝেমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছুই মনে থাকে না। এই তো গত মাসের কথা। বড় বোনের জন্মদিন ছিল। ওই দিন শুভেচ্ছা জানাতেই ভুলে গেলেন। পরদিন মনে পড়লে নিজের ওপর খুব বিরক্ত লাগল, আফসোস হতে থাকল। এমন ঘটনা আমাদের জীবনেও ঘটে। ‘নাগরিক জীবনে সবকিছু মনে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ ছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা ব্যস্ততায় আমাদের স্মৃতিশক্তি খানিকটা কমে যায়। তবে কিছু পন্থা অবলম্বন করলে সহজেই মনে রাখা সম্ভব। নিজের পাশাপাশি পরিবারের সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’ কথাগুলো বললেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।
তিনি মনে রাখার বিভিন্ন উপায় জানিয়েছেন।

 ঝকঝকে ত্বক ঝরঝরে চুল


সময়মতো কাশফুল ফুটেছে ঠিকই কিন্তু শরতের আকাশে যেমন থাকার কথা, তেমন সাদা তুলোর মতো মেঘের দেখা নেই। সারা দিন থেমে থেমে ঝরছে বৃষ্টি। ফাঁকে ফাঁকে আবার রোদের দেখাও মিলছে। সব মিলিয়ে না গরম, না ঠান্ডা। এমন সময়ে ত্বক ও চুলের যত্ন কেমন হবে, তা ভাবছেন অনেকেই। এ নিয়েই নানা পরামর্শ দিয়েছেন হারবাল সলিউশনসের স্বত্বাধিকারী সুলতানা পারভীন হক।
‘বাতাসে এখন আর্দ্রতা খুব বেশি। এর প্রভাবেই হতে পারে ত্বক ও চুলের নানা সমস্যা। চুল ঘেমে গিয়ে খুশকি হতে পারে। আবার খুশকি থেকে ত্বকে হতে পারে ব্রণ। একটু সতর্কতার সঙ্গে তাই নিয়মিত যত্ন নিতে হবে এ সময়।’ বললেন সুলতানা পারভীন হক।

 স্বাস্থ্য সম্মত রান্নাঘর

গৃহিণীদের দিনের বেশির ভাগ সময় কাটে রান্নাঘরে। বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ স্থানটি হওয়া উচিত স্বাস্থ্যসম্মত। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমেই তা সম্ভব। ছিমছাম পরিপাটি রান্নাঘর দেখতে সবারই ভালো লাগে। কাজ করাও আরামদায়ক হয়। কিন্তু সামান্য অসচেতনতাই এই পরিবেশ পাল্টে দেয়। কাজ করা দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়। বদ্ধ ও অপরিষ্কার ঘরেই ভাপসা দুর্গন্ধ তৈরি হয়। নিয়মিত পরিষ্কার না করলেই এমন অবস্থা হয়। এ জন্য খোলামেলা পরিসরে রান্নাঘর হওয়া উচিত। প্রতিটি জিনিস রাখা উচিত নির্দিষ্ট জায়গায়। গোছানো ঘরে ভ্যাপসা গন্ধ হয় না। হলেও সহজেই তা দূর করা যায়। এমনটিই মনে করেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।
রান্নাঘরের ভ্যাপসা গন্ধ দূর করার কিছু টিপস দিয়েছেন তিনি।
রান্নাঘরের প্রতিটি জিনিস ধুয়েমুছে রাখতে হবে।
নির্দিষ্ট স্থানে মাছ-মাংস বা সবজি কাটতে হবে। কাটা হয়ে শেষ হলে সেই স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
রান্নাঘরের ঢাকনাযুক্ত তাকগুলো মাঝে মধ্যে খুলে দিতে হবে, যাতে গন্ধ না হয়।
সাবানের ছোট টুকরা ফেলে না দিয়ে শুকিয়ে রাখুন। তারপর পাতলা কাপড়ে ঢেকে ঘরের এক কোনায় রেখে দিন। এতেও গন্ধ দূর হয়।
মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখলেও রান্নাঘরের গন্ধ দূর হয়।
এখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ময়লা রাখুন।
কখনোই ময়লা জমিয়ে রাখবেন না। যেদিনের ময়লা সেদিনই ফেলে দিন।
এ ছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের এয়ার ফ্রেশনার পাওয়া যায়। সামর্থ্য থাকলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

দেশি খাবারের নতুন রেস্তোরাঁ

ধবধবে সাদা টাইলসে মোড়ানো পুরো মেঝে। দুই দিকে সারি সারি কাচে মোড়ানো টেবিল। রেস্তোরাঁ জুড়েই বাহারি গাছ আর লতার ছড়াছড়ি। ছাদের হালকা নীল আলোর আভা চারদিকে ছড়িয়ে আছে। ঠিক যেন আকাশের মতো। এটাই ঢাকার গুলশানে নতুন চালু হওয়া বাংলা স্পাইস রেস্তোরাঁ। ৭ অক্টোবর এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। স্বত্বাধিকারীদের একজন নাহিদ হোসেন জানান, ‘আমাদের দেশে বুফে হিসেবে চীনা, থাই—এসব খাবারেরই ছড়াছড়ি। বুফেতে বাংলা খাবার খাওয়ার তেমন সুযোগ নেই। এটা ভেবেই আমাদের এই উদ্যোগ।’
বাংলা স্পাইসে খাবার পরিবেশন হবে বুফে পদ্ধতিতে। টেবিলে সাজানো থাকবে নানা পদের খাবার। যেমন, শুরুতেই আছে সিরাজগঞ্জের খাঁটি ঘি। এর পরই আছে ভর্তা—আলুভর্তা, ডালভর্তা, কলাভর্তা, শিমভর্তা ইত্যাদি। আছে ভাজি—চাক বেগুনভাজি, ডিম দিয়ে উষিভাজি, করল্লা-চিংড়িভাজি, ভেণ্ডিভাজি। এগুলোর সংখ্যাও নয়-দশের কম হবে না। শাক-ভাজির সংখ্যাও নেহাত কম নয়। আছে কয়েক রকমের ডাল, মুড়িঘণ্ট। তরকারির মধ্যে আছে গরুর মাংসের ভুনা, মুরগির ভুনা, ছোট মাছ। সঙ্গে ভাত, খিচুড়ি তো আছেই। গুলশান ১-এর ১৩১ নম্বর সড়কে বাংলা স্পাইস খোলা থাকে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।

বাপ বেটার বন্ধুত্ব

‘কোথায় যাচ্ছ?’
‘বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে।’
‘এই সন্ধেবেলায়? এখন পড়াশোনার সময়। বাইরে যাওয়া চলবে না। ঘরেই থাকো।’
‘না বাবা, আমাকে যেতেই হবে। ওদের কথা দিয়েছি।’
‘ওদের কথা দিয়েছি, মানে? ওদের কি পড়াশোনা নেই? আমি তোমাকে বাইরে যেতে নিষেধ করছি, তা তোমার গায়ে লাগছে না?’
বাবা খুব কড়াভাবে বললেন কথাটা।

Wednesday, October 7, 2009

ত্বক পরিচর্যায় স্ক্রাব

ত্বক পরিষ্কার করা বলতে আমরা ক্লিনজিংই বুঝি। নিয়মিত তা করলেও গুরুত্বপূর্ণ একটা ধাপ কিন্তু প্রায়ই বাদ পড়ে যায়। তা হলো স্ক্রাবিং।
‘আমরা নিয়মিত যে ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করি তা মূলত ত্বকের উপরিভাগকেই পরিষ্কার করে, ত্বকের লোমকূপ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। স্ক্রাব ব্যবহারের ফলে ত্বকে লোমকূপের রন্ধ্রে যে ময়লা জমে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করা যায়। পাশাপাশি ত্বকও পায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি।’ ত্বক পরিচর্যায় স্ক্রাবের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে এভাবেই বলছিলেন রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান।
ঘরে বসে ভেষজ উপাদান দিয়ে আপনি নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন আপনার ত্বকের উপযোগী স্ক্রাবটি। স্ক্রাব তৈরিতে যে পানি ব্যবহার করবেন তা ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ফলমূল বা শাকসবজি ছেঁচে রস করার আগে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন এবং এগুলো টাটকা দেখে বেছে নিন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন স্ক্রাবটি।

যত্নে থাকুক কাঠের আসবাব

প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে কাঠের আসবাবপত্র হয়ে পড়ে শ্রীহীন। আর এতে ঘরের সৌন্দর্যও ম্লান হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন ঘর পরিষ্কার করার সময় আসবাব পরিষ্কার করার দিকেও নজর দিতে হবে।
নিয়মিত শুকনো ও নরম কাপড় (পুরোনো গেঞ্জির কাপড় হলে ভালো হয়) দিয়ে কাঠের আসবাব মুছতে হবে। কখনোই কাঠের আসবাবের ওপর ভেজা জিনিস (যেমন—থালা-বাসন বা কাপড়) রাখবেন না। এতে আসবাবে দাগ পড়ে এবং কাঠে পচন ধরে আসবাবের স্থায়িত্ব নষ্ট হয়। কাঠের আসবাবের প্রধান শত্রু ঘুণপোকা। আসবাবে ঘুণের সংক্রমণ হলে ছয় মাস পর পর নিমের তেল ছিটিয়ে (স্প্রে) দিন। ঘুণে ধরা আসবাবটি অন্য কাঠের আসবাব থেকে যথাসম্ভব দূরে সরিয়ে রাখুন। তা না হলে অন্য আসবাবেও ঘুণের সংক্রমণ হতে পারে।

স্পা - ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো...

আজকাল বেশির ভাগ বিউটি পারলারের নামের সঙ্গে দুটি শব্দ যুক্ত থাকে। ‘স্যালন’ ও ‘স্পা’। ‘স্পা’ শব্দটি পরিচিত হয়ে উঠলেও এ ব্যাপারে মানুষের মধ্যে ধারণা কিছুটা কম। স্পা কী? এ প্রশ্নের জবাবে রূপবিশেষজ্ঞ ও পারসোনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কানিজ আলমাস খান বলেন, ‘শরীর ও মনের অবসাদ ও ক্লান্তি দূর করে সৌন্দর্য-সজীবতা ফিরিয়ে আনে স্পা।
যে মানুষটি নিয়মিত স্পা করে, তার জীবনীশক্তিও অনেক বাড়ে। বর্তমান যান্ত্রিক যুগে মানুষ প্রকৃতি থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। স্পা মানুষকে নিয়ে যায় প্রকৃতির কাছাকাছি। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ম্যাসাজ করে, প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে, মানুষকে প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় সিক্ত করে স্পাতে দূর করা যায় সব ক্লান্তি ও অবসাদ। তিনি আরও জানান, নিয়মিত স্পা কর্মক্ষমতা, সজীবতা বাড়ায়; আবার ত্বক হারানো জৌলুশ ফিরিয়ে এনে তাকে উজ্জ্বল ও সুন্দর করে।


Saturday, October 3, 2009

কামিজে কাটিং স্টেটমেন্ট

ফ্যাশন মানেই হচ্ছে পরিবর্তন। তাইতো ইদানীং সালোয়ার কামিজের ফ্যাশনেও বেশ বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আর এই পরিবর্তনের ব্যাপকতা চোখে পড়ার মতো। কাট, কলার, টেক্সটাইল সব ক্ষেত্রেই চেঞ্জটা এসেছে। প্রথমে কাটের কথাই বলি। পেছনের বছরগুলোর ফ্যাশনের দিকে তাকালে দেখা যায় যে শর্ট কামিজের আধিপত্যটাই বেশি ছিল। আজকাল আবার শর্ট কামিজের পাশাপাশি হাটুর নিচ পর্যন্ত লম্বা ঝুলের কামিজও বেশ চলছে। যা কিনা আট দশ বছর আগেও দেখা যেত। ঈদে যেসব কামিজ জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল তার মধ্যে আনারকলি, আঙরাখা, মাজাককালি কামিজ হঠাৎ করেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আবার এ সময় ঠিক এর কন্টিনিউশন দেখা যাচ্ছে না।