RSS

Friday, March 26, 2010

হিট স্ট্রোক ও গরমকালের নানা সমস্যা

চারদিকে ভীষণ গরম, মনে হয় বিন্দু বিন্দু জলকণার উপস্থিতি প্রাণে স্বস্তি ফিরিয়ে দিত একটু হলেও। মাঝে মাঝে তাপমাত্রা চলে যায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এমন অবস্থায় আর্দ্রতার মাত্রা হয় ৮৫%। এই দুর্বিষহ গরমে কার ইচ্ছা করে বাইতে যেতে! কিন্তু কী আর করা, এই প্রখর রোদে কাজের তাগিদে ঘরের বাইরে তো যেতেই হয়। হিট স্ট্রোকের মতো বিপদজনক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই গরমে। বিপদ থেকে রেহাই পেতে কিছু জরুরি সতর্কতা মেনে চলতে হয়। তাই হিট স্ট্রোক সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন-

হালকা পাতলা সৌন্দর্য সমাধান

পরিচিত কয়েকটা সমস্যা প্রায়শই আমাদের সৌন্দর্যকে পিছিয়ে রাখে। ব্রণ, সানস্পট, ব্ল্যাকহেড্স, বলিরেখা, ডার্ক সার্কেল, স্কিন র‌্যাশ, নিস্তেজ চুল, পাফি আইজ নামক ছোটখাটো সমস্যাগুলো প্রতিনিয়ত দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়। তবে কিছু সহজ সমাধান জানা থাকলে এসব সমস্যা কোনো ব্যাপারই না। জেনে নিন সৌন্দর্য রক্ষার সঠিক সমাধান-

সমুদ্রে ভোজনবিলাস

কক্সবাজারের সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত তো অনেক দেখা হয়েছে। কখনো কি গভীর সমুদ্রের মাঝ থেকে দেখা হয়েছে এসব দৃশ্য? এখন এ সুযোগ করে দিয়েছে ‘কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন’ নামের এক প্রমোদতরী। কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য এটি নতুন সংযোজন। ১৩ ফেব্রুয়ারি এই কেয়ারি ক্রুজের উদ্বোধন করা হয়। প্রতিদিন সকাল ১০টায় শহরের বাঁকখালী
নদীর মোহনা অর্থাৎ নুনিয়াছটা বিআইডব্লিউটিএর জেটিঘাট থেকে জাহাজটি সাগরের উদ্দেশে ছুটে
চলে। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে সাগরে একাধিকবার প্রমোদ ভ্রমণ।

ছোট্টজনের বাঁধাছাঁদা

সংসারে যে মানুষটি সবচেয়ে ছোট, তারই জিনিসপত্তর কিন্তু সবচেয়ে বেশি। দুধের কৌটা, দুধের বোতল, খুদে বাটি-চামচ, দোলনা, তুলতুলে যত তোয়ালে, কতই না নরমসরম ছোট্ট জামাকাপড়, ঝুনঝুনি আর অন্তত শ-খানেক মন ভোলানো খেলনা—গুনতে গেলে শিশুর ব্যবহার্য জিনিসের ইয়ত্তা নেই। ঘরে না হয় আপনার হাতের কাছেই ইতিউতি থাকে সবকিছুই। তবে শিশুকে নিয়ে কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার প্রয়োজন হলে এত রাজ্যের জিনিস কি আর সঙ্গে নেওয়া যায়? আর শুধু ব্যবহার্য সামগ্রী নিলেই তো চলে না, ভ্রমণকালে শিশুর সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে নানা বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে তবেই বেরোতে হয়। তাই ভ্রমণের আগে আপনার জন্য যেমন ব্যাগ গোছাতে হয়, শিশুর জন্যও চাই তেমন আলাদা গোছগাছ।

বদলে ফেলুন ত্রুটিপূর্ণ অভ্যাস

অফিসে ঢুকতে প্রায়ই পাঁচ-দশ মিনিট দেরি করা, কারও সঙ্গে দেখা করার কথা থাকলে সময়মতো না পৌঁছানো, কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে তৈরি হতে বেশি সময় নিয়ে ফেলা এবং দেরি করে উপস্থিত হওয়া। এসব ঘটনা তো সব সময়ই ঘটে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো সাধারণ ত্রুটি মনে হলেও যেকোনো সময় এ জন্য বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ঘড়ির কাঁটা ধরে চলার অভ্যাস গড়ে তোলা তাই গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ অভ্যাস বর্জন করে সুন্দর অভ্যাসের চর্চা করার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন করপোরেট কোচের মুখ্য পরামর্শক যীশু তরফদার।

রূপচর্চায় আয়ুর্বেদ

গৃহিণী কিংবা কর্মজীবী নারী, নিজ নিজ ক্ষেত্রে দম ফেলার ফুরসত নেই এখন কারও। ফল স্নায়ুর ওপর চাপ এবং ক্লান্তিকর জীবন। এ ধকলটুকু কাটাতে দরকার একটু বাড়তি যত্ন, বিশ্রাম। আয়ুর্বেদ-পদ্ধতি ব্যবহারেও স্নায়ুচাপ কমিয়ে শারীরিক সুস্থতা আনা যায়। সঙ্গে পাওয়া যাবে পরিপূর্ণ সৌন্দর্যও।

Wednesday, March 17, 2010

সবজির কারুকাজ

খাবার যেমনি হোক না কেন তার প্রেজেন্টেশনটা কিন্তু জম্পেশ না হলেও ডাইনিং কখনোই জমে উঠবে না। উন্নত বিশ্বে ফুড গার্নিশিং-এর জন্য নানান ধরনের আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। আমাদের দেশেও এই ফুড গার্নিশিংও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। খাবারের রনন্ধনশৈলীর সাথে এর উপসস্থাপনাও যে জরুরি তা আমাদের দেশের রাধুনীরাও অনুধাবন করছেন। এ সপ্তাহের কড়চা’য় থাকছে সবজি দিয়ে খাবার সাজানোর কিছু কৌশল। পরিবেশনের এই কৌশলগুলো দিয়েছেন সাকসেস ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার আফরোজা জামান আর ছবি তুলেছেন জিয়াউদ্দিন আলম

সন্দেহকে নকআউট

একটি রোগ আছে যে রোগটির সৃষ্টি ও বিস্তার উভয়ই ঘটে মনের ভিতর অর্থাৎ এটি একটি মানসিক রোগ। এ রোগটিকে নীরব ঘাতক বললে অত্যুক্তি করা হবে না। কারণ রোগটির মাত্রা একজন ব্যক্তির ভেতর যখন খুব বেশি পরিমাণে দেখা দেয় তখন তা ধ্বংস করে দিতে পারে ব্যক্তি এবং তার চারপাশের সম্পর্ককে। রোগটির নাম ‘সন্দেহ’। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছেন এরকম মানুষ খুঁজতে গেলে কিন্তু কম পাওয়া যাবে না। তাই আমাদের এবারের মন মন্দিরে উঠে এসেছে মানসিক এ রোগটিকে নিয়ে নানা কথা।

দেশি সাজে খাবার টেবিল

পড়ন্ত দুপুরে মাটির সানকিতে ভাত, ভর্তা, সবজি, মাছ, সাজিয়ে আঁচলে ঢেকে বধূ চলেছেন খেতের আল ধরে। তাঁকে দূর থেকে দেখে গরু নিয়ে হাঁট্ হাঁট্ করতে থাকা কিষানের মুখে ফুটে উঠল হাসি। এগিয়ে এল বধূটির পানে। গাছের ছায়ায় বসে আঁচলে সানকি পেতে বধূ ভাত সাজিয়ে দিল কিষানের সামনে। মাটির সানকিতে পরিবেশন করা ভাত যেন কিষানের কাছে অমৃত... গ্রামীণ এ চিরাচরিত দৃশ্য সবারই জানা। নাগরিকজীবনে অভ্যস্ত আমরা চাইলেই কিন্তু দেশীয় এ রূপটিকে ফুটিয়ে তুলতে পারি আমাদের খাবারের টেবিলে। মুখে যা-ই বলি না কেন, মনে প্রাণে তো আমরা সবাই মাছে-ভাতে বাঙালি, তাই না?
আপনার নিত্যদিনের পরিচিত খাবারের টেবিলটা বদলে ফেলুন, সাজিয়ে তুলুন দেশে তৈরি তৈজসপত্রে। চমকে দিন আপনার পরিবারের সবাইকে, একদিন সকালে নাশতার টেবিলে অথবা দুপুরের আহারে।

 শাসন করুন, মারবেন না

ছেলেবেলায় দু-চারটা চড়, উত্তমমধ্যম খাননি এমন মানুষ মেলা ভার। অনেক অভিভাবকই মনে করেন, শাসন মানেই হলো মারা। তা না হলে যে সন্তানকে সঠিকভাবে মানুষ করা যাবে না। এমন ধারণা এখনো অভিভাবকদের মধ্যে রয়েছে। এ ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সন্তানকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে এমন মানসিকতা থাকা খুবই ক্ষতিকর। শাসন অবশ্যই করতে হবে। তবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে নয়। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে শাসনের এই প্রচলিত ধারায় পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তাহলেই সন্তানের সুস্থ বিকাশ সম্ভব—এমনটাই মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দিলরুবা আফরোজ।

ঝকঝকে ঘরের দেয়াল

যেকোনো আবাসিক ইমারতকে প্রাণবন্ত করে তোলে ঝকঝকে রঙিন দেয়াল। ইমারতের দেয়ালটি যদি হয়ে পড়ে বিবর্ণ ও রংহীন, তবে তা পুরো স্থাপনার সৌন্দর্যকেই নষ্ট করে দেয়। সে জন্য ঘরের দেয়ালের পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

জগিংয়ের টুকিটাকি

নিয়মিত শরীরচর্চার সময় করে উঠতে পারেন, এমন মানুষ এখন কম। তবে রোজ একটু সময় করে হাঁটাহাঁটি বা জগিং করাটা নিশ্চয়ই খুব কঠিন কোনো ব্যাপার নয়। এতে স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকবে, তেমনি সময়ও বেশি লাগবে না।

চার বল

আড্ডায় কথার তুবড়ি ছুটবে। সেই সঙ্গে পেটে চালান হবে মজার সব খাবার। বল আকারের খাবারগুলো তো এজন্যই চাই। হাতে নিয়ে টপাটপ মুখে পুরে দিলেই হলো। দেখে নিন শাহানা পারভিনের দেওয়া চার রকম বল।

সবজির বল
উপকরণ: সেদ্ধ আলু (পেষা) ২ টেবিল চামচ, কাঁচাকলা সেদ্ধ ২ টেবিল চামচ, গাজর মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ, মাশরুম কুচি (ভাপ দেওয়া) ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ মিহি কুচি ১ কাপ, কাঁচামরিচ মিহি কুচি ২টি, আদা কুচি আধা চা চামচ, ময়দা বা সুজি ১ কাপ, ডিম ১টি, বেকিং পাউডার আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য, পানি প্রয়োজনমতো।
প্রণালি: সব সবজি, ডিম, লবণ, ময়দা ও প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে মেখে মণ্ড তৈরি করুন। কড়াইতে তেল দিয়ে তাতে মণ্ড থেকে তৈরি বল আকারে গড়ে সোনালি করে ভেজে তুলুন।

 নখ রাঙানোর নতুন চল

ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে নখ রাঙানোর প্রতি মেয়েদের বরাবরই একটা বিশেষ দুর্বলতা আছে। নিজের নখগুলো রাঙিয়ে সবার কাছে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে মেয়েরা ভীষণ পছন্দ করে; আবার পাশেই কোনো মেয়ের নেইলপলিশটি আড়চোখে দেখে নিয়ে রংটা কেমন লাগছে, তা মনে মনে যাচাই করে নিতে একদণ্ড দেরি হয় না কোনো মেয়েরই। নখ রাঙানোর এ ফ্যাশন-চাহিদার জোগান দিতে কত রঙেরই না নেইলপলিশের আবির্ভাব—যার চল আবার সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনশীল।
চলতি ফ্যাশনে নেইলপলিশের রঙে এসেছে নতুনত্ব। যেমন, কালো রঙের নেইলপলিশ অনেকেরই নখে লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রচলিত রংগুলোর বাইরে এ নতুন ধারা প্রসঙ্গে বিউটি স্যালন রেডের কর্ণধার আফরোজা কামাল বলেন, ‘ট্রান্সপারেন্ট অর্থাত্ স্বচ্ছ নেইলপলিশ, ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরের মতো হালকা রঙের পর এখন গাঢ় রঙের চল হয়েছে নেইলপলিশে। কালো, সবুজ, নীল, মরিচ লালের মতো চোখটানা রংগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তবে সব বয়সী নয়, দেখার মতো এ রংগুলোর সমাদর টিনএজার আর ফ্যাশন-সচেতন তরুণীদের কাছেই বেশি। আবার মডেলরা বা যাঁরা কমবেশি ফ্যাশন দুনিয়ায় সম্পৃক্ত আছেন, তাঁদের নখে দেখা যাচ্ছে এসব রং।’

কেশকাঁটা

বাঁধনে চুল বাঁধার ফ্যাশন এখন চলছে বেশ। গরমে লম্বা চুলগুলো খুলে না রেখে তরুণীরা আজকাল তা বেঁধে রাখছেন খোঁপায়। আর সে খোপার শোভা বাড়াতে তাতে গুঁজে দিচ্ছেন বাহারি সব কাঁটা।

ক্যালেন্ডারে বসন্তকাল চললেও গরম পড়েছে ভালোই। এ সময়ে পিঠ-ছাপানো চুলের জন্য গরমও বেশিই অনভূত হয়। তাই মেয়েরা এখন চুলগুলো বেঁধে ফেলছে খোঁপার বাঁধনে। আর সেই খোঁপাও একহারা গড়নের হাতখোঁপা নয়, বরং খানিকটা স্টাইলিশভাবে কাঁটা দিয়ে বাঁধা। যে যাঁর মনের মতো করে ব্যবহার করছেন এসব কাঁটা। মায়ের খোঁপায় রুপোর কাঁটা এমনটা দেখে বড় হলেও এখনকার মেয়েদের সে রকম খোঁপা বেঁধে আবার কাঁটা পরার সময় কই? তাই তো এখন চুলের কাঁটায় রুপার বদলে এসে হাজির হয়েছে হাজারটা উপকরণ।

Wednesday, March 10, 2010

কাঠের আসবাবের যতœ

ঘর মানে শান্তি, স্বস্তি আর একগাদা স্বপ্ন। ঘরকে স্বপ্নীল ভাষায় প্রকাশের প্রথম শব্দ সেই ঘরের আসবাব। একটি ঘরে প্রবেশ মাত্র সে ঘরের আসবাবের দিকে নজর পড়ে। তাই আসবাপত্র জোগাড় করলেই হবে না, পাশাপাশি প্রয়োজন এর সঠিক যতœ।

ওবেসিটি এড়াতে

আধুনিক জীবনযাত্রার নানা কুপ্রভাবে জন্ম নেয় শরীরের অত্যধিক ওজনের সমস্যা। অতিমাত্রায় জাঙ্কফুড খাওয়া আর প্রয়োজনীয় এক্সারসাইজের অভাব ধীরে ধীরে ঠেলে দেয় ওবেসিটির দিকে। কিন্তু নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজন সচেতনতা এবং হাতে খানিকটা সময়। ওবেসিটি এখন পৃথিবী জুড়ে এক মারাত্মক অসুখ হিসেবে স্বীকৃত। তাই সব বয়সের মানুষকেই সচেতন থাকতে হয়। খাওয়ার অভ্যাস আর কয়েকটি সাধারণ এক্সারসাইজ নিয়মিত করলে এ সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব।

পড়া নিয়ে বায়না, আর না আর না

পড়তে কিংবা লিখতে শেখার শুরুতে শিশুকে নিয়ে নানারকম ঝক্কি পোহাতে হয় কমবেশি সব বাবা-মা’কেই। তবে একটু ধৈর্য ধরে আর খানিকটা কৌশলে শিশুর মনস্তত্ত্বটাকে মাথায় রেখে তাকে পড়ানো গেলে এসব সমস্যা থেকে অনেকাংশেই রেহাই পাওয়া যায়। ‘কড়চা’র এবারের মূল আয়োজনে রইলো শিশুর আনন্দদায়ক শিক্ষার এমনই কিছু দিক নিয়ে আলোচনা।

মনের মিল

জীবনের পথে চলতে চলতে আমরা নির্ভর করি সেই মানুষটির উপর যে হবে পারফেক্ট জীবন সঙ্গী। কিন্তু এ নিয়ে প্রায়শই চলে নানা দ্বন্দ্ব। এসব দ্বন্দ্ব এড়াতে জীবন সঙ্গীকে জীবনের সাথে জড়িয়ে নিন। ‘মনের মতো’ শব্দটি বাদ দিয়ে মনের মিল গড়ে তুলুন। জেনে নিন মনের মিল গড়ে তোলার সহজ উপায়
আদর্শ সঙ্গীর যে স্বপ্নটা আমরা মনে মনে পালন করি, সেটা কতটা বাস্তব ভেবে দেখি না। তাই বিয়ের পর সেই কল্পনাপ্রসূত ভাবমূর্তিটা নষ্ট হতে সময় লাগে না। অপর তরফ থেকেও ঘটে একই স্বপ্নভঙ্গ। ফলে দেখা দেয় দাম্পত্যে এবং সংসারে অশান্তি। সেই জন্যই মনের মিল খোঁজার চেয়ে তা গড়ে তোলা অনেক বেশি জরুরি।

মৌসুম যখন বদলায়

বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ঋতু বদল মানেই কিছুদিন পরপর সর্দি, কাশি, জ্বর আর এর সাথে গলায় ব্যথা, পেট খারাপ তো আছেই। মোট কথা বাচ্চাদের একেবারেই নাজেহাল অবস্থা। তবে ভয়ের কিছু নেই। একটু সতর্ক থাকলে ঋতু বদলের এই সাময়িক সমস্যা খুব সহজেই মোকাবেলা করা সম্ভব। এজন্য প্রত্যেক বাবা-মা’কে সচেতনতার সাথে সাথে সাধারণ কিছু প্রতিরোধ সম্পর্কেও জানতে হয়।

পায়ের যতœ

পায়ের সৌন্দর্য একটা মানুষের পুরো সৌন্দর্যের পূর্ণতা বহন করে। কিন্তু বিভিন্ন ঋতুতে নানা কারণে এ সৌন্দর্যে ঘাটতি পড়ে, পা ফাটা, পায়ের ত্বক রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা শুরু হয়। তাই প্রত্যেকটা সময়ে নিয়মিত যতœ নিলে পায়ের ত্বক নরম থাকে। নরম, পেলব আর মসৃন সেই পায়ের যতেœ কিছু পরামর্শ নিয়ে লিখেছেন তামান্না শারমীন

Tuesday, March 9, 2010

 শেষ থেকেই শুরু

স্বপ্নে ঘেরা চারপাশ। হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় প্রিয় মানুষটির স্পর্শ। তার মাঝে রয়েছে নির্ভরশীলতা। পারস্পরিক সমঝোতা। হাসি-আনন্দে ভরা সাধারণ জীবনটিকে মনে হয় অসাধারণ। কীভাবে সময় কেটে যায়, বোঝাই যায় না। বিশ্বাস আর ভালোবাসার জালে বোনা এমন সম্পর্কই অনেক সময় ভেঙে যায়। তখন এর প্রভাব পড়ে সম্পর্কে জড়ানো মানুষগুলোর ওপর। প্রিয়জন হারানোর শূন্যতা গ্রাস করে। জীবনটাকে অর্থহীন মনে হয় তখন। একাকীত্বের ঘেরাটোপে থমকে যায় সময়। সাময়িকভাবে স্থবির হয়ে পড়ে সবকিছু। এই কষ্ট অবর্ণনীয়।

 ঘর ধুলোবালিমুক্ত রাখতে...

‘বসন্ত বাতাসে সই গো বসন্ত বাতাসে, বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে...’ চলছে ঋতুরাজ বসন্তের পালা। তবে বসন্তের স্নিগ্ধ সময়ে বাড়ে ধুলোবালির ঝামেলাও। ঘরের কোনায় জমতে শুরু করে ধুলোবালির স্তর।
এখন স্থপতিরা ঘর দক্ষিণমুখী করে গড়ে তোলেন। কিন্তু ঘর দক্ষিণমুখী হলে এতে ধুলো আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়—বলছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা। তাই বলে কি ঘর অপরিষ্কার ধুলোময় হয়ে থাকবে! ঘর ধুলোবালিমুক্ত করে রাখতে হলে কী করণীয় সে সম্পর্কে বলছিলেন তিনি।

 ক্যামেরাটা ঠিক থাক

স্মৃতি ধরে রাখতে আপনার সঙ্গে ক্যামেরার বিকল্প নেই। একটা সময় ছিল যখন অ্যানালগ ক্যামেরার ব্যবহারই ছিল বেশি। এসব ক্যামেরার কিছু সীমাবদ্ধতা থাকায় মানুষের আগ্রহ বাড়ছে ডিজিটাল ক্যামেরার দিকে। কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরা স্পর্শকাতর হওয়ায় এর ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। আলোকচিত্রী আক্কাস মাহমুদ জানালেন, ‘ক্যামেরার ব্যবহার যত বেশি, এর ক্ষতির আশঙ্কাও তত বেশি। তবে সাবধান থাকলে ক্যামেরা নিয়ে চিন্তা নেই। এসব ক্যামেরা একটু এদিক-ওদিক হলেই বিড়ম্বনা। পাছে ক্যামেরার জন্য ভ্রমণের আনন্দটাই মাটি!’

 এই সময়ে নবজাতকের যত্ন

উষ্ণ আমেজ নিয়ে প্রকৃতিতে ঘটা করে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। আর বসন্তের বৈশিষ্ট্য হলো দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডা। তাই বাইরে বের হলে কোন ধরনের পোশাক পরবেন বা কোন ধরনের প্রসাধন ব্যবহার করবেন তা নিয়ে বিভ্রান্তে থাকেন অনেকেই। আর যাঁদের রয়েছে একেবারে ছোট শিশু, সেসব মায়েদের তো দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ একেবারেই কম, সেই সঙ্গে বেড়েছে ধুলোবালির প্রকোপ। তাই হাঁচিতে হাঁচিতে বেহাল ছয় মাস বয়সী তাশকিনের। সঙ্গে সঙ্গে নাক দিয়ে পড়ছে পানি। আর নবজাতক রোদেলার গায়ের চামড়া হয়ে গেছে খসখসে। কর্মজীবী মা সাদিয়া ইসলাম ভয়ে শিশুকে গোসল পর্যন্ত করাচ্ছেন না। এদিকে যথেষ্ট সতর্কতার পরও শিশু ফিদেলের দেখা দিয়েছে জ্বর ও কাশি। তাই চিকিত্সকের কাছে ছুটেছেন মা সোনিয়া আহমেদ।
এই আবহাওয়ায় শিশুর চামড়াসহ শরীরে দেখা দিচ্ছে বেশ কিছু সমস্যা।

কাজল কালো চোখ

চোখ জোড়াকে মায়াময় করে তুলতে কাজলের ব্যবহার হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। একসময় আগুনের উত্তাপে নিকষ কালো দাগ ফেলা হতো কাজলদানির গায়ে। একবার করে আঙুলের কোনায় তা ছুঁইয়ে আলতো করে লাগানো হতো চোখের কিনারে। এখন অবশ্য এত সময় কারই বা আছে? চিকন কাজল পেনসিলের মাথায় লাগানো খাপ (ক্যাপ) খুলতেই যা দেরি।
কাজল লাগানোর কাহিনি হয়তো বদলে গেছে। কিন্তু বদলায়নি এবং কমেনি এর চাহিদা। যেকোনো বয়সেই এখনো এটি সাজের প্রিয় একটি অনুষঙ্গ।

এই তো মাধবপুর হ্রদ


‘এটা হলো নীল শাপলা, বুঝছেন...?’ চা-শ্রমিকের সন্তান কৃষ্ণ তাঁতি এভাবেই জলে ভাসা ফুল চেনালো। তারপর মানুষ আসছে দেখে পাড়ের কাছ থেকে গভীর জলের দিকে ভেসে যাওয়া কয়েকটি নীলচে রঙের পাখি দেখিয়ে বলে, ‘এটা হলো নীল হাঁস।’ এভাবে নিজে থেকেই তার মতো করে ফুল ও পাখি চিনিয়ে দিল সে। ফাল্গুনের এক বেলা গড়ানো মুহূর্তে মাধবপুর লেকে পাখির সঙ্গে ফুলের সঙ্গে এমন করেই দেখা।

সাদা-কালোয় বর্ণিল ঘর

অন্দরসজ্জায় রং নিয়ে মেলা চলে কখনো আসবাবে, দেয়ালে, আবার কখনো বা গৃহসজ্জার সামগ্রীতে। রঙের ব্যবহার নির্ভর করে উৎসবের (বিয়ে, ঈদ) ওপর, কখনো বা ঋতুভিত্তিক (শীত, বর্ষা), আবার কখনো ঘরে বসবাসরত ব্যক্তির রুচিবোধের ওপর। এমন অন্দরসজ্জায় অনেকেই করছেন দেশীয় উৎসবের বিষয়ভিত্তিক রঙের ব্যবহার। যেমন লাল-সবুজ, সাদা-লাল, সাদা-কালো, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পয়লা বৈশাখ বা একুশে ফেব্রুয়ারিতে এই রংগুলো হয়ে ওঠে যেন দিবসটিকে তুলে ধরার প্রতীক। আর এসব উৎসবে রংগুলো প্রাধান্য দিয়ে অনেকেই সাজাচ্ছেন তাঁদের অন্দর। সাদা, কালো একুশের প্রতীক। এই রঙের মিশ্রণ বর্তমানে অন্দরসজ্জায় প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানালেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ফারজানা গাজী।

খোলা আকাশের নিচে...

যান্ত্রিক এ নগরে কোলাহলমুক্ত পরিবেশে খোলা বাতাসে প্রিয়জনকে পাশে নিয়ে খাওয়ার কথা ভেবে নিশ্চই রোমাঞ্চিত হবেন। আবার পরক্ষণে ভাবছেন কোথায় আছে এমন সুযোগ! রাজধানীর উত্তরা এক নম্বর সেক্টরের এক নম্বর সড়কে চালু হয়েছে এমনই একটি খাবারের দোকান, অ্যারোমা। দোকানটির পুরোটাই স্বচ্ছ কাচে ঘেরা। নান্দনিক উপকরণ দিয়ে সাজানো অন্দরসজ্জাও নজর কাড়বে আপনার। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে মস্ত খোলা আকাশের নিচে সবুজে ঘেরা বারান্দায় এলে নিমিষেই নগরের ব্যস্ততা আর যান্ত্রিকতাকে বেমালুম ভুলে যাবেন। বিকেলে সূর্য অস্তের দৃশ্য আর নিঝুম সন্ধ্যার পরে রাতটাও উপভোগ্য মনে হবে। পাশে থাকা বিমানবন্দরের বিমান ওঠানামা করতে দেখা যাবে। আকাশে জোছনা থাকলে তো কথাই নেই! ভারতীয় ও থাই খাবারপ্রেমীরা এখানে বসেই এসব খাবার খেতে পারবেন। অ্যারোমার কর্মকর্তা সাজ্জাদ শোয়েব জানান, এখানে প্রতিদিন বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বসে কাবাব নাইট। পাঁচ-ছয় ধরনের কাবাব, নান খেতে পারবেন যত ইচ্ছা তত। খরচ পড়বে ৩৫০ টাকা। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার ৩১ রকমের খাবার নিয়ে থাকছে বুফে ডিনার। এতে জনপ্রতি খরচ পড়বে ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাবার তো আছেই। চাইলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে। অ্যারোমাকে বলা হচ্ছে ‘বার্ডস আই ভিউ’! আকাশের নিচে এমন সুযোগ চাইলে আপনারও হতে পারে। তাহলে আর দেরি নয়, আকাশের নিচে খোলা বাতাসে একান্ত নিজের মতো করে খেতে চলে যেতে পারেন অ্যারোমায়।

Wednesday, March 3, 2010

খাবার জন্য কয়লা

বাঙালিরা অতিথি আপ্যায়ন করতে যেমন ভালোবাসে, তেমনি ভালোবাসেন খাবার খেতেও। বাঙালিদের খাবারের প্রতি ভালোবাসা থাকার কারণে ধীরে ধীরে বাঙালি খাবারের সাথে যোগ বিদেশি খাবারও। খাবারের মেন্যু আর রেস্টুরেন্টের ভেতরের সাজ সব মিলিয়ে শহরের মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্ট। এতগুলো রেস্টুরেন্টের ভিড়েও কিছু কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যেখানে খাবারের মান, পরিবেশ আর পুরো মেন্যু জুড়ে নজরে পড়বে একটু ভিন্নতা। গুলশান, তেজগাঁও লিংকরোডে অবস্থিত রেস্টুরেন্ট কয়লা। কয়লাকে নিয়েই আমাদের এ সপ্তাহের ফুডজোন। রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে বলার আগে আসুন জেনে নেই এর অন্দরসাজ সম্পর্কে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনে সুন্দর করে সাজানো কয়লা রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টে ঢোকার মুখে নজরে পড়বে লালকালিতে লেখা কয়লার নেমপ্লেটের দিকে। প্রবেশ দ্বারের কাচের পাল্লা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করলেই হাতের ডানপাশে পড়বে রান্নাঘর এবং বামপাশে অতিথিদের বসার জায়গা। আর একটু সামনে এগিয়ে গেলেই পড়বে বিশাল হলরুম। হলরুমে ঢোকার সময় হাতের বামে পড়বে ম্যানেজারের রুম এবং আর একটু বামে গেলে চোখে পড়বে বিশাল মঞ্চ। মঞ্চ সম্পর্কে কয়লার ম্যানেজার শ্রীদাম দাস বলেন, মঞ্চটা রাখা হয়েছে মূলত বিয়ের অনুষ্ঠান এবং জন্মদিনের অনুষ্ঠান পালনের জন্য। কয়লাতে যেকোনো অনুষ্ঠান এবং পার্টির জন্য আপনাকে আগেই বুকিং দিতে হবে। খাবারের মেন্যুতে চোখ বুলালেই আপনি বুঝতে পারবেন কয়লা পুরোদস্তুর ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট।

মহাস্থানগড়

বগুড়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হলো মহাস্থানগড়। বগুড়া শহর থেকে প্রায় তের কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত এ জায়গাটি। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগের এক দুর্গ নগরী এই মহাস্থানগড়। এককালে, মৌর্য, গুপ্ত, পাল ও সেন রাজাদের রাজধানী ছিল এখানে। এখন শুধু সেগুলোর ধ্বংসাবশেষ নীরবে দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে। এখানে এখনো আছে ৫০০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৪৫০০ ফুট প্রস্থের সেই প্রাচীন নগরীর দেয়াল। দেয়ালের ভেতরে রয়েছে জীয়ৎকুন্ড, প্রাচীন মসজিদসহ নানা নিদর্শন।

ব্যাক কেয়ার

রূপচর্চা বলতে আমরা বুঝি সুন্দর মুখশ্রী। আসলে কিন্তু তা নয়, রূপচর্চা যেমন হয় মুখের তেমনি পিঠেরও। মুখে ব্রণ হলে আমরা খুব দ্রুত চিন্তা করি কী করা যায় কিন্তু আমরা বডিকেয়ার নিয়ে মুখের মতো ততটা ভাবি না। বডি কেয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ হচ্ছে ব্যাক কেয়ার। আমাদের পিঠে অয়েল গ্ল্যান্ড থাকার কারণে বলিরেখার তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু আমরা প্রতিদিনই নানা কাজে বাইরে বের হই এর ফলে রোদে পুড়ে ট্যানিং, পিগমেন্টেড প্যাঁচ দেখা দেয়। ব্রণও দেখা যায়। এইসব কারণে পিঠের যতœ নেওয়া প্রয়োজন। ব্যাক কেয়ার কীভাবে নেবেন তাই জানাচ্ছেন ফারজানা বখতিয়ার তমা

নানারকম রোল

ঝটপট খাবারের মাঝে আমরা অনেকেই রোল খুব পছন্দ করে থাকি। ঝটপট তৈরি করা যায় আর উপকরণগুলোও থাকে হাতের কাছে তাই রসুইঘরে রোল ইদানিং আমাদের জনপ্রিয় খাবার তালিকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এমন কিছু চটজলদি রোলের রেসিপি নিয়ে এ পক্ষের কড়চা রেসিপি বিভাগটি সাজানো। পরিবেশনের এই কৌশলগুলো দিয়েছেন রিমিক্স বিউটি পার্লার ও ট্রেনিং সেন্টারের কর্ণধার আফরিনা শিপন আর ছবি তুলেছেন জিয়াউদ্দিন আলম

 পরিবেশবান্ধব প্রতিদিন

যার যার অবস্থান থেকে সামান্য অবদান। এটাই পরিবেশ বাঁচাতে অনেকখানি সাহায্য করে। বৈজ্ঞানিক খুঁটিনাটিতে না-ই বা গেলাম। নাগরিক হিসেবে সাধারণ দায়িত্বগুলোও যদি আমরা পালন করি, চারপাশের পরিবেশ থাকবে অনেকটাই সুন্দর। এ জন্য চাই শুধু আপনার আন্তরিকতা ও সতর্কতা।

মাছ-পাখির অভয়াশ্রমে

‘ঠক-ঠক-ঠক, ঠকাঠক...’ সাতসকালে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। চোখ কচলে ঘড়ি দেখি, এত সকালে কড়া নাড়ে কে? দরজা খুলে দেখি ষাটোর্ধ্ব এক লোক দাঁড়িয়ে। নাম গফুর মিয়া। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর বাহন আমাদের পৌঁছে দেবে হাইল হাওরের বাইক্কা বিলে। এই বিল দেখতেই রাতে পৌঁছেছি শ্রীমঙ্গল শহরে।
অনেক দিন থেকেই ভাবছিলাম বাইক্কা বিলে যাব। পাখি দেখব, ছবি তুলব। শেষে ইচ্ছে ও সময়ের সম্মিলন ঘটে এবারের ফেব্রুয়ারির শুরুতে।