
১. কথার পিঠে কথা বলে, তুমুল বাক বিতন্ডার সৃষ্টি করবেন না। পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। স্বামীর মাথা ঠান্ডা হলে তাকে যুক্তি, উদাহরণ দিয়ে বোঝান আপনার উপার্জনটুকু সংসারে কতটা প্রয়োজনীয়।
২. বন্ধুদের আড্ডায়, আত্মীয়-স্বজনদের ভীড়ে আপনার স্বামীর সহযোগিতার প্রসংশা করুন।
৩. আপনার স্বামীর অফিস, কাজ ও পদমর্যাদাকে গুরুত্ব দিন।
৪. যতটা পারা যায় স্বামীকে বেশী সময় দিন। প্রয়োজনে নিজের দৈনন্দিন কাজের রুটিনে পরির্বতন আনুন যেন স্বামীর সাথে আর একটু অন্তরঙ্গ সময় কাটানো যায়।
৫. অফিসের সমস্যা, সমসাময়িক পরিস্থিতি এসব বিষয় নিয়ে আপনার স্বামীর সাথে আলোচনা করুন। তার পরামর্শ নিন। এতে তার মধ্যে আপনার কর্মজীবন সম্পর্কে পজেটিভ ধারণা তৈরি হবে।
৬. স্বামীকে প্রতিবন্ধক বা শক্র ভাববেন না। তাহলে কখনোই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবেন না। সমাধান আসবেনা কখনোই।
৭. একজন রেগে থাকলে অপরজন ও যদি পাল্লা দিয়ে অভিমান করে বসে থাকেন, তাহলে দুরত্ব শুধু বেড়েই যাবে।
৮. যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনার অফিসের কলিগদের সাথে আপনার স্বামীর পরিচয় করিয়ে দিন। তবে সাবধান, এমন কাউকে আবার পরিচয় করিয়ে দেবেন না যে এই সুযোগে আপনার সম্পর্কে আপনার স্বামীর কান ভারি করার সুযোগ পায়।
৯. স্বামীর সঙ্গে বেতনের টাকা, অফিস আওয়ার কিন্তু অফিস সম্পর্কিত কোনো কিছুতেই ঝগড়ায় লিপ্ত হবেন না। মনে রাখবেন, ক্যারিয়ারের পাশাপাশি সংসারও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
১০. এমন বিষয়গুলো নিয়ে যখন কথা, আলোচনা করবেন, চেষ্টা করুন শুধুই আপনার দু’জন কথা বলতে। এর মাঝে বাইরে থেকে কাউকে আপনি কথা বলতে, পরামর্শ দিতে দিবেন না। তাহলে কিন্তু তিল, তাল হতে বেশী সময় লাগবে না।
শেষতক বলতে হয়, স্বামীর কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে কিন্তু আবার চাকরি ছাড়ার কথা ভাববেন না। সবকিছুর ক্ষেত্রেই পজেটিভ সিদ্ধান্তগুলোকে প্রাধান্য দিন। চেষ্টা করুন এগিয়ে আসার। আলোচনা করুন। আপনার স্বামীকে বোঝান, চাকরিটা আপনার সংসারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে এতে যেন স্বামীকে ছোট করা না হয়। সংসারের জন্য দু’জন আর দু’জনকে নিয়েই তো সংসার।
0 comments:
Post a Comment