RSS

Friday, June 12, 2009

বাড়ন্ত বাচ্চার স্বাস্থ্যকর ডায়েট

বাড়ন্ত বাচ্চাদের জন্য চাই সঠিকমাত্রায় সুষম ডায়েট। কারণ বাড়ন্ত বাচ্চাদের ভবিষ্যত সুস্বাস্থ্য অনেকাংশেই নিশ্চিত হয়ে যায় এই বয়সে। তাই এই সময়ে পরিমিতভাবে সুষম ডায়েট গ্রহণ করা জরুরি।

যেসব খাদ্য গ্রহণ করলে বাচ্চারা প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান গ্রহণ করতে পারবে সে ধরনের কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করা হলো।

০ বাচ্চাদের শরীরের জন্য ওমেগা৩, ওমেগা৬ জাতীয় ফ্যাট এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

ইলিশ, টুনা, স্যামন, ম্যাকারেল, সুরমাই, সার্ডিন ইত্যাদি তৈলাক্ত ধরনের মাছে পাওয়া যাবে ওমেগা৩ জাতীয় ফ্যাট। তিলের বীজ, সরষের তেল, অলিভ অয়েল, ঘি, নারকেল এবং বাদামেও পাওয়া যাবে ওমেগা৩। আর ওমেগা৬ পাওয়া যাবে সূর্যমুখীর বীজ, ভুট্টা এবং আমন্ডের মধ্যে।

০ বাচ্চাদের ডায়েটের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান হচ্ছে কার্বোহাইড্রেট। এজন্য কার্বহাইড্রেট পাওয়া যাবে এমন খাবার বাচ্চাদের বেশি পরিমাণে খেতে দেওয়া উচিত। ভাল মানের কার্বোহাইড্রেট পেতে হলে খেতে হবে ফলমূল, সবজি, বাড়িতে তৈরি রুটি, বাদামী ডাল, ও পাস্তা। জাংক ফুড যেমন কোল্ড ড্রিংকস, প্রসেসড ফুড, প্যাকেজড ফুড ইত্যাদির মধ্যেও পাওয়া যাবে কার্বোহাইড্রেট। তবে এই সব খাবার খাওয়ার পর কার্বোহাইড্রেট হোয়াইট সুগারে পরিবর্তিত হয়ে যায়। হোয়াইট সুগার শরীরকে হাইপার অ্যাক্টিভ করে তোলে। এ ধরনের খাবার খেলে শরীরে সাময়িক এনার্জি পাওয়া গেলেও পরে আবার অবসন্ন হয়ে আসে। হোয়াইট সুগার হাড় থেকে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি শুষে নেয়। তাই জাংক ফুড বর্জন করে মধু, গুড়, শুকনো ফলের মতো ন্যাচারাল সুগার সমৃদ্ধ খাবার বাচ্চাকে খাওয়ান।

০ বাচ্চাদের জন্য আরেকটি অপরিহার্য খাদ্য উপাদান হচ্ছে প্রোটিন। প্রোটিন পাওয়া যাবে বাদাম, বীজ, মাছ, স্প্রাউটস, ডাল, দুধ, ডিম, পনির, মুরগি ইত্যাদির মধ্যে। তবে খেয়াল রাখবেন মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন কিডনীর ক্ষতি করে।

বাচ্চাদের খাওয়ানো নিয়ে কিছু পরামর্শ
০ বাচ্চাকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ান। সময়ে অসময়ে খাওয়ার অভ্যাস ধীরে ধীরে পরিবর্তন করান।
০ বাচ্চাদের প্রচুর শাক সবজী খাওয়ার অভ্যাস করান। সবুজ সবজী এমনভাবে রান্না করুন যেন তা বাচ্চাকে খেতে আগ্রহী করে।
০ জাংক ফুডে বাচ্চাদের টিফিনের ঝামেলা মেটে। কিন্তু এই খাবারে লবণ ও চিনির পরিমাণ বেশি থাকে।
০ বাচ্চাকে টিফিনে সবজী ও ফল খেতে দিন।
০ প্রতিবেলা খাওয়ার সময় বাচ্চা বেশি ক্ষুধার্ত থাকা অবস্থায় নতুন ধরনের খাবার খেতে দিন। এভাবে নানা ধরনের খাবারে বাচ্চাকে অভ্যস্ত করে তুলুন।

0 comments:

Post a Comment