RSS

Sunday, June 14, 2009

জুতো’তেও আপনার ব্যক্তিত্ব

কতটা ব্যক্তিত্বের অধিকারী তার উপরই নাকি নির্ভর করে ছেলেদের গুণাগুণ এবং রূপ। এরপর আর বাড়তি সাজগোজের দরকার হয়না। আর মেয়েদের তো নাকি হাওয়াই চপ্পল পরেও যে কোনো স্থানে চলা যায়। এমনটাই ধারণা আছে আমাদের সমাজে। তবে কেউ এটাকে সমর্থন করে আর কেউ করেনা। যারা সমর্থন করেনা তারা তাদের ব্যক্তিত্বকে আরেকটু বাড়াতে চেষ্টার কমতি রাখেনা। পোশাক আশাকের মাধ্যমে বাড়তি যে সৌন্দর্য তৈরি হবে তার মধ্যে জুতার বিষয় অবশ্যই লক্ষ্যণীয়। জুতা নিয়ে ভাবনার সময় অনেকেই রাখেন না। কিন্তু ভাল পোশাক যেমন পড়বেন তার সাথে মানানসই জুতা বেছে নিলে আপনার সৌন্দর্য বাড়বে। তাই আপনার পোশাকের সাথে মানানসই জুতা নিয়ে কড়চার এই আয়োজন-

জামা-জুতার মিতালী

একটা দামি ভাল পোশাকের সাথে যেকোনো জুতা পরে নিলেই হল। জুতার দিকে আর কে তাকাবে। জুতো নিয়ে টেনশন নেই। এই যদি হয় আপনার ধারণা তবে এখুনি এ ধারণাটাকে আপনার মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন। কারণ জুতোতেও আপনার ব্যক্তিত্ব ও রূপ সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। হয়তো শার্ট প্যান্ট ইন করে পরলেন চটি জুতো। মেয়েরাও শাড়ির সাথে পরল হাই হিল জুতো। তবে কি আর ঠিকঠাক মতো আপনার ব্যক্তিত্ব ঠিক থাকল। তাই একটা বিষয় মাথায় রাখুন আপনার জামা কাপড়ের সাথে মানানসই জুতো অবশ্যই আপনার ব্যক্তিত্ব ও রূপ বাড়াবে।

অনুষ্ঠান বুঝে জুতো

শিরোনাম দেখে হয়তো ঘাবড়ে গেছেন। অনুষ্ঠান বুঝে জুতো পড়তে গেলে তো হাজার রকম জুতো কিনে ঘর বোঝাই করে রাখতে হবে। আর এতো জুতো কিনার সামর্থই বা ক’জনার আছে? এতো ঘাবড়ানো কিছু নাই, চার-পাঁচ জোড়া জুতো থাকলেই আপনার জন্য যথেষ্ট। জুতো কিন্তু অনেক রকম হয়। তাই কোন জুতো পরে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন সেটাই আপনাকে কিনতে হবে।

জুতো পায়ে ঢুকাবার আগেই চিন্তা করে নিন আপনি যাচ্ছেন কোথায়। আর উপলক্ষটা কি? সে জায়গার আবহাওয়া বুঝেই জুতো পরতে হবে। বন্ধুদের সাথে বেড়াতে যাওয়া কিংবা কলেজে যাওয়ার সময় আপনার পোশাক তো ক্যাজুয়ালই থাকে, তা হলে সেই সময় আপনার জুতোও হবে ক্যাজুয়াল, মানে স্নিকারস্। টি-শার্ট, জিন্স বা ট্রাউজার পরলেন অথচ পায়ে থাকল চটি, বুট কিংবা কাবলি শু, তাহলে কিন্তু সেটা আপনার জন্য মানানসই হলো না। আবার হয়তো ঈদের অনুষ্ঠান কিংবা বাঙ্গালী ঘরানার অনুষ্ঠান, সেখানে আপনার পরনে একবারে খাঁটি বাঙ্গালিয়ানার পোশাক, এখানে চটি কিংবা নাগরা জুতো ছাড়া আপনার সাজসজ্জাই মাটি হয়ে যাবে কিন্তু। মেয়েরাও যখন এসব জায়গায় যায় তখন পোশাকের সাথে মানিয়ে জুতো পরতে হবে। যেমন শাড়ি পরে গেলে সেক্ষেত্রে চটি জুতোতেই ভাল লাগবে আপনাকে। আর সালোয়ার কামিজ কিংবা শার্ট-প্যান্ট কিংবা ফতুয়া পরলে সেক্ষেত্রে যে কোনো ধরণের হিলই মানাবে।

হয়তো চাকুরীর ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন সে সময় যখন আপনি শার্ট-প্যান্ট পরলেন সেখানে আপনার পুরো লুকটাইকে কিন্তু একটা স্মার্ট সমাধান দিতে পারে একমাত্র বুট জুতো। ইন্টারভিউ’এর ক্ষেত্রে মেয়েরা সাধারণত শাড়ি পরেই যায়। তখন মেয়েদের অবশ্য শাড়ির সঙ্গে চটি জুতোই মানানসই। আবার অফিসের বড় কর্তা হয়ে মনে করলেন, যেকোনো সাজই আমার জন্য যথেষ্ট। এমনটা ভাববেন না এখানেও আপনার পোশাকের সাথে মানিয়ে জুতো পরুন। শার্ট প্যান্ট ইন করলে অবশ্যই বুট জুতো পড়বেন। পাঞ্জাবি পাজামার সাথে আবার বুট পরবেন না। এখানে মানানসই একজোড়া চটি জুতো পরুন। আবার অনেকেই মোজা ছাড়া বুট জুতো পরে থাকেন। এমনটি কখনোই করবেন না। তাহলে কিন্তু পুরো বিষয়টাই অপমানজনক হয়ে যাবে। আবার কারো মোজা থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। যাদের মোজা গন্ধ হয় তারা প্রতিদিন মোজা পরিষ্কার করবেন। আবার পায়ে মাখার মেডিসিন পাওয়া যায় এগুলো ব্যবহার করলে গন্ধ থেকে রক্ষা পাবেন। এবং অন্যকেও রক্ষা দিবেন। হাওয়াই চপ্পলও কিন্তু বেশ আরামদায়ক। কিন্তু এ হাওয়াই চপ্পল কিছু সীমিত জায়গায় ব্যবহার উপযোগী। তাই হাওয়াই চপ্পল ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা রক্ষা করবেন। না বুঝেই যেকোনো কালারের জুতো কিনবেন না। ভেবে নিন কোন্ কোন্ কালারের জামার সাথে এটা ব্যবহার করতে পারবেন। তাই কালার বুঝে জুতা কিনুন, যাতে একের বেশি পোশাকের সাথে তা বেমানান না হয়ে যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে লাল, নীল, হলুদ, সবুজ রঙের জুতো কিনা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। কালো, সাদা, ক্রিম, ব্রাউন, মেরুন রং সব রকম পোশাকের সাথেই মানায়। মেয়েদের ক্ষেত্রে আপনি কেমন পোশাক পরেন তার উপর নির্ভর করবে কেমন জুতো পরবেন। যদি আপনি শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন তবে হাই হিল জুতো পরিহার করাই ভাল। এ ক্ষেত্রে আপনাকে চটিতে কিংবা হালকা হিলে বেশ মানাবে। আর যদি শার্ট প্যান্ট পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তবে বিভিন্ন ধরণের হিল ব্যবহার করতে পারেন। কালারের ক্ষেত্রে আর ডিজাইনের ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন। যেটা শার্ট প্যান্ট কিংবা সালোয়ার কামিজের সাথে পরবেন সেটা আবার শাড়িতে ব্যাবহার করতে যাবেন না। এজন্য যেখানে আপনার বেশি জুতা কেনার অপশন কম সেখানে বাছাই করে জুতা কেনাটা বুদ্ধিমানের কাজ।

তাহলেঃ
এখন থেকে বাড়ির বাইরে পা রাখার আগেই পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখুন একবার। কেমন লাগছে আপনার পোশাকের সাথে জুতাটাকে। আর শুধু জুতোর চেহারার দিকে তাকিয়ে দেখলেই হবে না আপনার পায়ের সাথে জুতাটা আরামদায়ক কি না তা পরখ করে নিন। যারা হাই হিলে অভস্থ্য নয় তার আবার হুট করে এমন জুতো পরে বেরুতে যাবেন না। এতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর আপনার পোশাক আশাকের স্টাইল নিয়ে যেমন ভাবেন তেমনি সেই পোশাক আশাকের সাথে কেমন জুতো পরবেন এটা নিয়েও ভাবতে শুরু করে দিন।

0 comments:

Post a Comment