RSS

Wednesday, June 17, 2009

মন ভাল করা ফুলের গল্প

ফুল মানুষের মন ভাল করে, তবে সেই ফুল যদি নিজের ফোটানো হয় তবে তার আনন্দটা নিশ্চয়ই আরও দ্বিগুণ হয়। যে কেউই নিজের বাড়ির উঠোন থেকে শুরু করে বিল্ডিং বাড়ির বারান্দা পর্যন্ত ছোট্ট পরিসরে গড়ে তুলতে পারেন একরাশ চোখ জুড়ানো সতেজ ফুলের ভুবন। যেখানে আপনার নিজস্ব, পছন্দের ফুলগাছগুলো বাতাসে দুলবে। ফুলগাছ লাগানোর শ্রেষ্ঠ সময় হল শীতকাল। শীতকালে অনেকেই ব্যস্ত সময় থেকে কিছুটা সময় বের করে গাছ লাগানো ও এর পরিচর্যা করতে পারেন। তবে সতেজ ফুল পেতে কিছু সঠিক নিয়ম জানতে হবে।

যদি আপনি বীজ ফেলে চারা গজাতে চান, তবে অক্টোবর মাসের শেষের দিকে বীজ ফেলবেন এবং নভেম্বর নাগাদ টব বা বাগানে গাছ লাগাবেন। আর যারা ব্যস্ততার জন্য পারছেন না, তারা নভেম্বরে নার্সারি থেকে চারাগাছ কিনে বাড়ির বারান্দা ও ছাদের টবে বা বাগানে লাগাতে পারেন।

এছাড়া আমাদের দেশের খুব পরিচিত ফুল সরিষা। আপনি যদি বারান্দার টবে নতুনত্ব আনতে চান তবে ১৬ ইঞ্চি চবে খুব কাছাকাছি করে সরিষা গাছগুলো লাগাতে পারেন, যা সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি খাওয়ার কাজে লাগে।

ফুল গাছ রোপন করা থেকে যাবতীয় পরিচর্যা সম্পর্কে কিছু কথা-
০ ফুল গাছের ধরন বুঝে টবের আকার নির্বাচন করতে হবে। শীতকালের যেসব ফুলের গাছে চিকন সেগুলো ১০ ইঞ্চি টবে আর মোটা ও বড় ধরনের গাছ যেমন ডালিয়া, কসমস, সূর্যমূখী যেগুলো ১২ থেকে ১৪ ইঞ্চি টবে লাগাতে হবে।
০ টবে মাটি ভরার আগে কিছু নুড়িপাথর দিলে পানির সঙ্গে মাটি পড়ে যাবে না, টবে ২/৩টি ছিদ্র রাখলে চারা ভাল থাকবে।
০ টবের গাছের ক্ষেত্রে দোআঁশ বেলে এবং ভিটেমাটি ব্যবহার করতে হবে।
০ চারাগাছ লাগানোর আগে খেয়াল রাখতে হবে নার্সারির পলিব্যাগ যেন অবশ্যই খুলে ফেলা হয় এবং মাটি হালকা ভেজা থাকতে হবে।
০ চারা গাছে কখনই কাঁচা গোবর ব্যবহার করবেন না, এতে গাছ ঝলসে যাবে। তবে শুকনো গোবর, পঁচা পাতা, হাড়, চা পাতার পানি এক্ষেত্রে ভাল ফল দিতে পারে।
০ গাছে অতিরিক্ত পানি এবং কম পানি উভয়ই ক্ষতিকর। পরিমিত পানি দিতে হবে।
০ চারাগাছ লাগানোর পর এক-দুই দিন ছায়ায় রেখে ধীরে ধীরে আধো-আলো থেকে রোদে আনতে হবে।
০ যেসব গাছ বেড়ে উঠতে কাঠি লাগবে, সেগুলোতে কাঠি বেঁধে দিতে হবে।
০ মাটিতে চটা ধরলে অক্সিজেন যাওয়ার জন্য মাঝে মধ্যে চটা ভেঙে মাটি নিড়াতে হবে।

গাছের সৌন্দর্য বাড়াতে
০ গাছ ঘন ঝোপালো হলে দেখতে ভাল লাগবে। তাই গাছের অগ্রমুকুল নখ দিয়ে ভেঙে দিলে গাছ ঝোপালো হবে।
০ গাছের পুরোনো ডালপালা ছাঁটাই করলে নতুন ডালে বড় ফুল আসবে।
০ নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করে গাছের শক্তি বাড়াতে হবে। মাঝে মধ্যে গোবর ও ভিটেমাটির সার বানিয়ে গাছের গোড়ায় দিতে হবে।

পোকামাকড় দমন
বড় নার্সারিগুলোতে গাছের কীট পতঙ্গ রোধের কীটনাশক পাওয়া যায়। পোকার হাত থেকে গাছ রক্ষার জন্য নিমপাতা ভেজানো পানি গাছের পাতায় ছিটিয়ে দিতে পারেন। তাই এখন আর বাজারে কেনা ফুলে নয় নিজের বাগান থেকেই ফুল তুলে, ঘরের ফুলদানির শোভা বাড়ান আর সুবাস নিন সতেজ ফুলের।

0 comments:

Post a Comment