RSS

Tuesday, October 13, 2009

 ঝকঝকে ত্বক ঝরঝরে চুল


সময়মতো কাশফুল ফুটেছে ঠিকই কিন্তু শরতের আকাশে যেমন থাকার কথা, তেমন সাদা তুলোর মতো মেঘের দেখা নেই। সারা দিন থেমে থেমে ঝরছে বৃষ্টি। ফাঁকে ফাঁকে আবার রোদের দেখাও মিলছে। সব মিলিয়ে না গরম, না ঠান্ডা। এমন সময়ে ত্বক ও চুলের যত্ন কেমন হবে, তা ভাবছেন অনেকেই। এ নিয়েই নানা পরামর্শ দিয়েছেন হারবাল সলিউশনসের স্বত্বাধিকারী সুলতানা পারভীন হক।
‘বাতাসে এখন আর্দ্রতা খুব বেশি। এর প্রভাবেই হতে পারে ত্বক ও চুলের নানা সমস্যা। চুল ঘেমে গিয়ে খুশকি হতে পারে। আবার খুশকি থেকে ত্বকে হতে পারে ব্রণ। একটু সতর্কতার সঙ্গে তাই নিয়মিত যত্ন নিতে হবে এ সময়।’ বললেন সুলতানা পারভীন হক।

ত্বকের জন্য
ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার করাটাই সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করেন সুলতানা পারভীন হক। সকালে, দিনের যেকোনো সময় আর রাতে ঘুমানোর আগে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে। যত নরম সাবানই হোক, তাতে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নানা উপাদান থাকে। নিয়মিত সাবান ব্যবহারে মুখের ত্বকে বলিরেখা পড়তে পারে। মুখের ত্বকে তাই সাবান ব্যবহার না করাই ভালো। সপ্তাহে এক দিন যেকোনো স্ক্রাব দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। ত্বকে যাতে তেল না জমে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। নইলে তেল আর ময়লা জমে ব্রণ হতে পারে। ত্বকের তেলতেলে ভাব কাটাতে কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। বরফ দিয়ে ম্যাসাজ করলেও উপকার পাবেন। রাতে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে ঘুমালে অবশ্যই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। যে প্রসাধনীই ব্যবহার করবেন, খেয়াল রাখবেন, তা যেন নামী কোনো কোম্পানির তৈরি হয়।

চুলের জন্য
এ সময় প্রতিদিন চুল ধুতে হবে। যাঁরা বাইরে বেশি কাজ করেন, তাঁরা সম্ভব হলে প্রতিদিনই চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে কন্ডিশনার লাগান। সপ্তাহে অন্তত দুই দিন গরম তেল ম্যাসাজ করুন। নারকেল তেলই চুলের জন্য সবচেয়ে ভালো। সারা রাত লাগিয়ে রেখে পরদিন শ্যাম্পু করুন। এতে ঘুমও ভালো হবে। তেলের সঙ্গে যেকোনো প্রোটিনসমৃদ্ধ প্যাকও লাগাতে পারেন। ডিম, আমলা, টকদই, এসব দিয়ে তৈরি প্যাক লাগাতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন। লম্বা চুল হলে পাতলা স্কার্ফ দিয়ে মুড়িয়ে ঘুমাতে পারেন। চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার ভয় থাকবে না। দিনে চলাফেরার সময় চুল বেঁধে রাখলে কম ময়লা হবে। খুশকি থেকে বাঁচতে চুল সব সময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন। চুল ধুয়ে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নি

0 comments:

Post a Comment