RSS

Saturday, October 3, 2009

সুস্বাস্থ্যের জন্য পরিচ্ছন্ন ফ্রিজ


ব্যস্ত জীবনে খানিকটা সময়কে বাঁচাতে ফ্রিজের ব্যবহার অনস্বীকার্য। আর ফ্রিজের সাথে সম্পর্কটা যেহেতু খাবার সংরক্ষণের সেহেতু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রসঙ্গ আগে উঠে আসাটাই স্বাভাবিক। ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করতে গিয়ে উল্টো যেন সেটা আনহাইজেনিক না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সবার আগে। আর এ জন্যই প্রয়োজন পড়ে ঠিকঠাক মত ফ্রিজ পরিষ্কার রাখার। ফ্রিজ পরিষ্কার রাখার কিছু পদ্ধতি জেনে নিন এখানে।


০ সপ্তাহে একদিন অবশ্যই ফ্রিজ ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করুন। পরিষ্কার করার দিন হিসেবে বেছে নিন সাপ্তাহিক বাজার করার আগের দিনটিকে। কারণ স্বাভাবিক ভাবেই এই সময় ফ্রিজে খাবার দাবার কম থাকবে। পরিষ্কার করার সময় ফ্রিজের প্লাগ আউট করে টেম্পারেচার নব ঘুরিয়ে মিনিমাম করে রাখুন।

০ আপনার ফ্রিজ যদি ডি-ফ্রস্ট হয়ে থাকে তাহলে সুইচ অফ করার পর পুরোপুরি বরফ গলে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এর আগে অবশ্যই ফ্রিজের সব খাবার ও ট্রে বের করে রাখুন। ফ্রিজ মোছার সময় ক্লিনিং লিক্যুইড স্প্রে এবং শুকনো স্পঞ্জ ব্যবহার করুন। তবে কখনোই ক্লোরিন, ব্লিচ বা খসখসে স্পঞ্জ ব্যবহার করবেন না। কারণ তাতে র‌্যাক বা শেলফের প্লাস্টিক কোটিং উঠে নষ্ট হয়ে যাবে।

০ শেলফ, ট্রে, চিলার এবং ক্রিসপার ধোয়ার জন্য হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট গুলে তার ভেতর চুবিয়ে রাখুন। এরপর ভাল করে ধুয়ে, শুকনো করে মুছে তারপর ফিট করুন।

০ ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য হালকা গরম পানিতে বেকিং সোডা বা ভিনেগার মিশিয়ে তা দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করুন। এছাড়া ফ্রিজের এককোণে বেকিং সোডার বক্স রাখতে পারেন। এতে ফ্রিজে গন্ধ কম হবে।

০ ফ্রিজের বাইরের দিকটা পরিষ্কার করার জন্য ভিনেগার বা রেডিমেড ক্লেনজার ব্যবহার করতে পারেন। ফ্রিজের চারপাশের রাবারের অংশ সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।

০ যদি রান্না ঘরে ফ্রিজ থাকে তাহলে ফ্রিজের উপরের অংশ কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন। অন্যথায় রান্নাঘরের তেল-ধোঁয়ায় ফ্রিজের আবরণ চিটচেটে ও আঠালো হয়ে যাবে।

০ বছরে অন্তত একবার হলেও ইলেকট্রিক কানেকশনে অফ করে ফ্রিজের পিছনে বা নিচে থাকা কনভেনসার কয়েল পরিষ্কার করুন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বা নরম ঝাড় দিয়ে কয়েলের ধূলা-ময়লা সাফ করুন।

০ ফ্রিজ পরিষ্কার শেষে প্লাগ ইন করে টেম্পারেচার সুইচ প্রয়োজন মত বাড়িয়ে নিতে ভুলবেন না।

ফ্রিজ ব্যবহারের কয়েকটি টিপস্

০ ফল-মূল, সবজি, ডিম দুধ আলাদা আলাদা র‌্যাকে স্টোর করুন। মাছ, মাংস, ফ্রোজেন ফুড ডিপে রাখুন।

০ ফ্রিজের ভেতর ফল এবং সবজি একসঙ্গে না রেখে আলাদা স্টোর করুন। কিছু কিছু ফল যেমন আপেল থেকে ইথিলিন নামক গ্যাস বের হয় যা সবজি তাড়াতাড়ি পাকিয়ে দেয়। তাই টমেটো এবং শসা একসঙ্গে ক্রিসপারে রাখবেন না।

০ সবজি প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে ক্রিসপারে রাখুন। প্যাকেটের মুখ অবশ্যই ভাল করে আটকে নেবেন।

০ রান্না করে সাথে সাথেই গরম খাবার ফ্রিজে রাখবেন না। ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা করে তারপরে ফ্রিজে ঢোকান। আর অনেকদিনের রান্না করা খাবার ফ্রিজে রেখে দিবেন না। রান্না করা খাবার কখনো ডিপে রাখবেন না।

০ শাকপাতা ফ্রিজে রাখার সময় আটি খুলে রাখুন। কাঁচা মরিচ রাখার আগে বোটা খুলে রাখুন। নয়তো পঁচে যাবে।

০ রান্না করা খাবার এয়ারটাইট কন্টেনারে ঢুকিয়ে তারপর ফ্রিজে রাখুন।

0 comments:

Post a Comment