RSS

Tuesday, December 8, 2009

বসনে স্বাধীনতা

লাল সবুজের গল্পে ডিসেম্বরের দিনগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় অকৃত্রিম দেশপ্রেমে মনভাসানিয়া স্বাধীনতার সংগ্রামের কথা। ১৯৭১ যেন এক সজীব আনন্দে ফিরে আসে এই ডিসেম্বরে। আর জাতির এই মুক্তি উৎসবে লাল সবুজের বসন আমাদের স্বাদ দেয় স্বাধীনতার আমেজের। তারই প্রেক্ষিতে ফ্যাশন হাউজগুলোতে চলে ছোট্ট পরিসরে কিন্তু আবেগের সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করে ভিন্ন আয়োজন। ফ্যাশন হাউজগুলোর সেই আয়োজনের কিছু চিত্র তুলে ধরে রাখা হলো এখানে

ফ্যাশনের দুনিয়া

বার্ডস আই

আজিজ মাকের্টের ‘দেশীয় ডিজাইনে সেরা’ বলে খ্যাত ফ্যাশন হাউস বার্ডস আই মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকল পোশাকে দিচ্ছে মূল্য ছাড়। বার্ডস আইয়ের সব ধরনের পোশাকে শতকরা ২০ ভাগ ছাড় চলবে পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়ে। এছাড়া বার্ডস আইয়ে এসেছে ব্যতিক্রমধর্মী শীতের পোশাক। এছাড়া সব পোশাক পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করা হয় এবং দামও হাতের নাগালে। ঠিকানা- ২৬ ও ৮ আজিজ সুপার মার্কেট (২য় তলা), শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, ফোন- ০১৯১৬৮২২৫৮৫।

খেয়া ক্রাফট’স

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভিন্নধর্মী পোশাক নিয়ে এসেছে খেয়া ক্রাফট’স। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবার মাঝে উজ্জীবিত করতে এসব পোশাকের ডিজাইন করা হয়েছে বিজয়ের থিম চিন্তা করে। বিজয় দিবস উপলক্ষে আসা পোশাকগুলোর মধ্যে রয়েছে টি-শার্ট, ফুল হাতা টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, শর্ট পাঞ্জাবি, মেয়েদের জন্য টপস্, ফতুয়া ও ওড়না। আর দামও হাতের নাগালে। খেয়া ক্রাফট এর ঠিকানা, ৭৭ ও ১২৪, আজিজ সুপার মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০। ফোন-০১৭৩১৫১৫৫৫২।

দেশ অ্যাটায়ার

আজিজ সুপার মার্কেটের অন্যতম ফ্যাশন হাউস দেশ অ্যাটায়ার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নিয়ে এসেছে ভিন্নধর্মী সব পোশাক। এসব পোশাকের ডিজাইন করা হয়েছে বিজয় দিবসের সব থিম চিন্তা করে। বিজয়ের দিবসের চেতনায় উজ্জীবিত করতে প্রতিটি টি-শার্টে ফুটে উঠেছে ১৯৭১ এর সব ডিজাইন। দেশ অ্যাটায়ারের সব ধরনের পোশাক পাইকারি এবং খুচরা বিক্রি করা হয়। দেশ অ্যাটায়ারের ঠিকানা, ১৩, আজিজ সুপার মার্কেট, নীচতলা, শাহবাগ, ঢাকা-১০০০।

জাহিদ ক্রাফট’স

স্বাধীনতার সব ধরনের থিম চিন্তা করে এবারের বিজয় দিবসের পোশাক নিয়ে এসেছে জাহিদ ক্রাফট। আজিজ সুপার মার্কেটের যে কটি ফ্যাশন হাউস দেশ মাতৃকা নিয়ে কাজ করে তার মধ্যে জাহিদ ক্রাফট অন্যতম। সেই চেতনা থেকেই এবারের পোশাকের ডিজাইন করেছে জাহিদ ক্রাফট’স এর নিজস্ব ডিজাইনার। জাহিদ ক্রাফট’স এ সব ধরনের পোশাক পাইকারি এবং খুচরা বিক্রি করা হয়। ঠিকানা- জাহিদ ক্রাফট’স , ৯১, আজিজ সুপার মার্কেট (নিচ তলা), শাহবাগ, ঢাকা-১০০, ফোন-৮৬২৬৮৩২।

কাব্য বুটিক বাড়ি

১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যেসব পোস্টার মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জীবিত করত সেই সব পোস্টার স্কিন প্রিন্টের মাধ্যমে টি-শার্টে নিয়ে এসেছে কাব্য বুটিক বাড়ি। পোস্টার ছাড়াও বিজয় দিবসের আরো অনেক থিম টি-শার্ট, পাঞ্জাবি ও ফতুয়াতে নিয়ে আসা হয়েছে। বিজয় দিবসের আয়োজন ছাড়াও কাব্যতে প্রতিটি পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে সুতি, কুমিল্লা ও নরসিংদীর খাদি, নরসিংদীর তাঁত, এন্ডি কটনসহ অনেক কাপড়। ডিজাইনের ক্ষেত্রে রয়েছে, স্ক্রীন প্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ, মেশিন অ্যাম্ব্রয়ডারী, কারচুপি, ব্লক, কাথা স্টিচসহ বেশ কিছু কাজ। এছাড়া কাব্যর সব পোশাক খুচরা বিক্রয়ের পাশাপাশি পাইকারী বিক্রি করা হয়। কাব্যর ঠিকানা- কাব্য বুটিক বাড়ি, ২৮ আজিজ সুপার মার্কেট (আন্ডার গ্রাউন্ড) শাহবাগ, ঢাকা-১০০০। ফোন- ০১৮১৮০৫৩৬৮২

নিত্য উপহার

১৬ ডিসেম্বর ২০০৯, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নিত্য উপহার ও নিত্য উপহার শঙ্খবার-এ শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, চন্দ্র শেখর সাহা, ওয়াকিলুর রহমান, ধ্রুব এষ, সব্যসাচী হাজরা, আনিসুজ্জামান সোহেল, মাহবুবুর রহমান, অনাহিত জাফরি এবং নিত্য উপহার ডিজাইন স্টুডিও-র কর্মীদের বিশেষ উপস্থাপনায় রকমারী পোশাক পাওয়া যাবে।

শাড়ি : টাংগাইলের তাঁতে বোনা সুতি কাপড়ে বিজয় দিবসের রক্তে লেখা শাড়ি, ডিজাইন করেছেন শিল্পী ওয়াকিলুর রহমান। নরসিংদীর কাপড়ে স্ক্রিনপ্রিন্ট ও হাতের কাজের মাধ্যমে করা নিত্য উপহার ডিজাইন স্টুডিও-র লাল-সবুজ রঙের ডিজাইনে ভিন্ন ইমেজ, মেজাজ ও অনুভূতির টপস্ ও ফতুয়া পাওয়া যাবে। নতুন ও পুরনো সবমিলিয়ে ১৩০টি ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের টি-শার্ট পাওয়া যাবে লাল-সবুজের মহান বিজয় দিবসে।

বরাবরের মতো এবারেও বিজয় দিবস উপলক্ষে কুমিল্লার খাদি শালে লাল-সবুজের স্ক্রিনপ্রিন্টে ডিজাইন করেছেন শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, চন্দ্র শেখর সাহা, ধ্রুব এষ, সব্যসাচী হাজরা এবং আনিসুজ্জামান সোহেল। বাংলাদেশের নদী, একুশের কবিতা, শীতের পাখি, বঙ্গভাষা, কৌটিল্যের নগর-এর মতো কিংবদন্তী চাদরগুলোও পাওয়া যাবে বিজয় দিবসের আয়োজনে।

অঞ্জন’স

বিজয় দিবস উপলক্ষে অঞ্জন’স লাল ও সবুজ রঙকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন পোশাকের ডিজাইন করেছে। ছেলে মেয়েদের জন্য ফতুয়া, শাড়ি ও পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে এই আয়োজনে। পোশাক গুলোতে স্বাধীনতার চেতনা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। কটন ও খদ্দর কাপড়ে প্রিন্ট ও এমব্রয়েডরী করা হয়েছে পোশাকগুলোতে। মূল্যসীমা রাখা হয়েছে ৪৫০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা পর্যন্ত। পোশাকগুলো অঞ্জন’স এর সকল শো-রুমে পাওয়া যাচ্ছে।

এড্রয়েট

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর আমরা ছিনিয়ে এনেছি লাল সবুজ পতাকা। দীর্ঘ ৯ মাসে জীবন দিতে হয়েছে অনেক বাঙালির, আমরা সবসময় তাদের কাছে ঋণী। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে এড্রয়েট প্রতিবারই বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের সমাহার ঘটায়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও দিবসটিকে সামনে রেখে এড্রয়েট তাদের শোরুমগুলো সাজিয়েছে বিজয় দিবসের পোশাক দিয়ে। শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, টি শার্ট, শার্ট প্রভৃতি পোশাকে বিজয় দিবসের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছে এড্রয়েট। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের পোশাকেও একই ডিজাইন করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লাল সবুজের পতাকা। পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমেও ব্যবহার করা হয়েছে বিজয় দিবসের বিভিন্ন প্রতীক। আর এসবে কাজ করা হয়েছে কখনো, ব্লকে, কখনো এপলিকে, কখনো অ্যাম্বয়ডারিতে, আবার কখনো দুই তিন মাধ্যমকে একসাথে ব্যবহার করে। রংয়ের ক্ষেত্রে প্রাধন্য দেয়া হয়েছে লাল, সবুজ,সাদা, আকাশী,নীল প্রভৃতি। এছাড়া অন্যান্য পোশাক তো থাকছেই।

গাঙচিল

মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে ফ্যাশন হাউস গাঙচিল নিয়ে এসেছে ১৬ টি নতুন ডিজাইনের পোশাক। এরমধ্যে রয়েছে ফুল-ি ভ টি-শার্ট, টি-শার্ট, ফতুয়া, শর্ট পাঞ্জাবি ও মেয়েদের জন্য টপস্। এসব পোশাকে ফুটে উঠেছে বিজয় দিবসের চিত্র। ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরের থিমকে চিন্তা করে পোশাকগুলোর ডিজাইন করা হয়েছে। এছাড়া শীতকে প্রাধান্য দিয়ে গাঙচিলে এসেছে ভিন্নধর্মী শীতের শাল এবং শীতের পোশাক। উল্লেখ্য গাঙচিলের সকল পোশাক পাইকারি এবং খুচরা বিক্রি করা হয়। ঠিকানা- গাঙচিল ১৩০ আজিজ সুপার মার্কেট (২য় তলা), শাহবাগ, ঢাকা-১০০০, ফোন- ০১৭১২২২১০৯৬।

ফড়িং

১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতির অধিকার অর্জনের চূড়ান্ত দিন। দিনটিকে সামনে রেখে ফ্যাশন হাউজ ফড়িং তাদের ডিজাইন ও কাটিংয়ে নিয়ে এসেছে নতুনত্ব। দিবস উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে প্রতিটি পোশাক। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ফড়িং তাদের শোরুমগুলো সাজিয়েছে নতুন পোশাক দিয়ে। লাল, সবুজ রংকে প্রাধান্য দিয়ে প্রতিটি পোশাক তৈরি করা হয়েছে। লাল সবুজের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে সাদা, নীল, গোলাপি, হলুদ, গোল্ডেন, টিয়া, কমলা, সবুজ, আকাশী প্রভৃতি। শাড়ি, সালোয়য়ার-কামিজ, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, ফিউশন, প্রভৃতি পোশাকে কাজ করা হয়েছে অ্যাম্ব্রয়ডারি, এপ্লিক, ব্লক, হাতের কাজ, স্প্রে হ্যান্ডপেইন্ট, টাইডাই প্রভৃতি। আরো থাকছে মাটির গহনা, হ্যান্ডি ক্র্যাফট এর ব্যাগ প্রভৃতি। ফোন ৮১৫৬৩০৪, ০১৭৪১৩৩৫৩৪১।

বাংলার মেলা

১৬ই ডিসেম্বর আমাদের মহান বিজয় দিবস। রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত এ দিবস আমাদের একদিকে আনন্দের অন্যদিকে লাখো শহীদকে হারানোর কষ্টেরও। তাই এ দিবসের পোশাকেও যেন থাকে জাতীয়তার প্রতীক, সেদিকে লক্ষ্য রেখে বাংলার মেলা এবার বিজয় দিবসের পোশাক তৈরি করেছে সবার জন্য। জাতীয় প্রতীক লাল সবুজ রঙ ছাড়াও সাদা, কালো, হলুদ এসব রঙের ব্যবহারে খাদি ও কটন কাপড়ে করা হয়েছে ফতুয়া, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ ও টপস্। আরো থাকছে স্কার্ফ। কটন শাড়িতে টাইডাই ব্লক, স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি, বিজয়ের মিছিল, বিজয়ের কবিতাকে মোটিফ ধরে ব্লক, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্টে করা হয়েছে এসব পোশাক। দাম : ফতুয়া ৩৫০-৫৫০ টাকা। শাড়ি ১০৫০ টাকা। মেয়েদের টপস্ ৩৫০-৪০০ টাকা। সালোয়ার কামিজ ১২৫০ টাকা।

কে ক্র্যাফট

গর্ব করার মতো আমাদের যা কিছু আছে, তার অনুভূতিকে আরো বেশী মানুষের কাছে তুলে ধরার প্রচেষ্টায়, বিজয়ের এ মাসে বিজয়ের মহিমাকে পোশাকের মাধ্যমে সমুন্নত করতে সচেষ্ট হয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান ফ্যাশন হাউস কে ক্র্যাফ্ট। বিজয়ের মাসে কে ক্র্যাফ্ট আয়োজন করেছে ‘জাগো বাংলাদেশ’ শীর্ষক পোশাকের একটি বিশেষ কালেকশন। পহেলা ডিসেম্বর থেকে প্রতিটি কে ক্র্যাফ্ট আউটলেটে এই কালেকশনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। প্রধানত সুতি কাপড়ে তৈরী এ কালেকশন এ রঙ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে সবুজ ও লাল। নিজস্ব উইভিং ডিজাইনে লাল-সবুজে শাড়ি, টাই এন্ড ডাই শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া ও টপস্, পাঞ্জাবি, টি শাটর্, শাল, ব্যান্ডানা, কার্ফ এর একটি সমৃদ্ধ আয়োজন করা হয়েছে।

ছেলে মেয়েদের ফতুয়ার দাম এর সীমা ৩৫০ টাকা থেকে ৫৯৫ টাকা, সালোয়ার কামিজ ১০০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের শাড়ি ৭০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা, টি শার্ট ২২৫ টাকা থেকে ২৭৫ টাকা পর্যন্ত। পাওয়া যাচ্ছে সোবহানবাগ, নিউ বেইলী রোড, প্লাজা এ.আর., রাইফেলস স্কয়ার, আজিজ সুপার মার্কেট, উত্তরা টাওয়ার, বনানী ১১ নং রোড, বনানী কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ, মালিবাগ, বসুন্ধরা সিটি মার্কেট, মিরপুর ও দেশীদশ চত্বরে অবস্থিত কে ক্র্যাফ্ট শোরুমে।

0 comments:

Post a Comment