RSS

Saturday, November 7, 2009

রোদ চশমার গল্প


চোখ জোড়াকে রঙীন কাঁচের আড়ালে ঢেকে কখনো তীক্ষè দৃষ্টিতে কাউকে পর্যবেক্ষণ, কখনো রোদের আঁচড় থেকে চোখ রক্ষা আর কখনো নিজেকে ফ্যাশনেবল করে উপস্থাপন করতে প্রয়োজন হয় সানগ্লাসের। কার্তিকের এই সময়ে শহরজুড়ে হলদে রোদের প্রকোপটা যেন বেড়েই চলছে। আর তাই চলতি সংখ্যা স্টাইল স্টেটমেন্টে থাকছে রোদ চশমার গল্প।

অনেক সময়ই দেখা যায় বখাটে ছেলেরা (বিশেষ ক্ষেত্রে মেয়েরাও) সানগ্লাস নামক বস্তুটি ব্যবহার করেন। নিজের মাঝে একটা কেউকেটা ভাব আনতে তারা এই সানগ্লাসকে অনেকটা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। ফলে একটা দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে আমাদের দেশের অভিভাবকদের মাঝেও ব্যাপারটি সেভাবেই উঠে এসেছে। কিন্তু আসল বিষয়টি কিন্তু একেবারেই ভিন্ন। যেভাবে ওজনস্তর ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তাতে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মিগুলো সরাসরি আমাদের পৃথিবী স্পর্শ করতে পারে। পাশাপাশি ধূলার প্রসঙ্গতো বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এতো সব ঝামেলায় হামলা হয় আমাদের সবচেয়ে কোমল ইন্দ্রিয় চোখে। তাই ঋতুভেদে আমাদের অবশ্যই সানগ্লাস ব্যবহার করা উচিৎ। শুধুমাত্র রোদ থেকে বাচতেই নয় ফ্যাশনের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে সানগ্লাস ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর তাই সানগ্লাসের আছে নানান ঢং, নানান স্টাইল। এসব স্টাইল অনেক ক্ষেত্রে ছেলে আর মেয়েদের জন্য পৃথক হয়ে থাকে আবার অনেক সময় হয়ে থাকে দুই লিঙ্গের জন্যই কমন। প্রয়োজন ভেদে সানগ্লাস নানা রকম হয়ে থাকে। যেমন খেলাধুলার সময় ব্যবহৃত সানগ্লাস গুলো সাধারণত স্পোর্টি হয়ে থাকে। এইসব সানগ্লাসের তৈরি উপকরণ এমন ধরনের হয় যেন ওজনে হালকা আর অতিমাত্রায় আরামদায়ক হয়। হাত থেকে পরে গেলে সাথে সাথে ভেঙে দু’ টুকরো এমন সানগ্লাসগুলো সাধারণত একটু অভিজাত হয়ে থাকে। স্পোটি সানগ্লাসের মধ্যে কিনতে পারেন ওকলে, এডিডাস, কেলভিন ক্লেইনসহ আরো বেশ কিছু ব্র্যান্ডের সানগ্লাস। যদি ভারি ফ্রেমে পাইলট গ্লাস কিনতে চান তাহলে কিনেত পারেন আমেরিকান আর্মি, ক্রিশ্চিন ডিওরের সানগ্লাস। একটু ফাঙ্কি টাইপের আকারে বড় সানগ্লাস হিসেবে গুচি, ডোলসি এন্ড গাব্বানা, কেলভেন ক্লেইন, পলিস, প্রাডা, জর্জিও আরমানি, ইম্পিরিও আরমানি ইত্যাদি ব্র্যান্ডের সানগ্লাস কিনতে পারেন।

সানগ্লাস কিনতে

আমাদের দেশে খুব কমদাম থেকে শুরু করে অনেক বেশী দামী সানগ্লাস কিনতে পাওয়া যায়। নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, রাপা প্লাজা, ইষ্টার্ন প্লাজা, রাইফেল স্কয়ার আর বসুন্ধরা সিটি এসব জায়গায় ভাল সানগ্লাস পাওয়া যায়। আর একদমই সস্তা দামে কিনতে চাইলে পাটুয়াটুলি বেষ্ট। একটু দেখে কিনতে পারলে এখানে থেকে এমন গ্লাস কেনা যায় যে বন্ধুদের ঈর্ষার মাঝে পড়ে যাবেন। এছাড়া গুলিস্তানের ফুটপাত, নিউমার্কেট ফুটপাত, পল্টন ফুটপাত এগুলোতেও ঢুঁ মেরে দেখতে পারেন। পুরো ব্যাপারটা নির্ভর করে মূলত আপনার রুচিশীল দৃষ্টি আর সময়ের ওপর। সানগ্লাস কিনতে গেলে নিচের বিষয়গুলোতে একটু খেয়াল রাখুন।

টিপস্

০ সানগ্লাস কিনতে যাবার আগে জেনে নিন এখন সানগ্লাসে কি স্টাইল চলছে। সেই সাথে এও দেখে নিন আপনার চেহারার সাথে ট্রেন্ডি সানগ্লাস কতোটা মানানসই।

০ বাজেট একটা বড় বিষয়, সেই সাথে স্টাইল। অনেক সময় খুব দামী সানগ্লাস চোখে না মানাতে পারে। আবার কমদামী সানগ্লাসও আপনার চোখে মানিয়ে যেতে পারে বেশ। তাই আগে বেছে নিন স্টাইল, তারপরে ব্র্যান্ড। আর এখন কিন্তু সানগ্লাস বেশি দাম দিয়ে কম মানুষই কেনে।

০ এখন শেড গ্লাস খুব চলছে, তাই সলিড কালারের চেয়ে শেড গ্লাস ব্যবহার করতে পারেন। অনেক রকম শেড গ্লাস ব্যাবহার করতে পারেন। ড্রেসের কালার আর উপযোগ বুঝে আপনি এই শেড গ্লাসগুলো ব্যাবহার করতে পারেন।

০ এখন বড় সানগ্লাসের ট্রেন্ড চলছে। পাশাপাশি পাইলট গ্লাসের চলও আবার চাউর হচ্ছে। তাই এগুলোও কিনতে পারেন।

০ গ্লাস কিনতে গেলে দেখে নিন এর পাওয়ার ঠিক আছে কিনা। চশমাটি চোখের সামনে নিয়ে একটু দূর থেকে তাকিয়ে দেখুন সামনের দৃষ্টি বেঁকে যাচ্ছে কি না।

০ অনেক সময় সানগ্লাস কানের কাছে শক্ত ভাবে আটকে যায়। ফলে কিছুক্ষন পরে ব্যাথা শুরু হয়। অহেতুক এই ব্যাথার কারনে শেষমেষ আপনার চশমা পড়াই দুরহ হয়ে পড়বে।

০ চশমা যতো হালকা পড়া যায় ততই ভালো। নইলে নাকের কাছে দাগ পড়ে যাবে।

0 comments:

Post a Comment