
একটা সময় ছিল, যখন নাকফুল পরার চলনটা কেবল বিবাহিত মেয়েদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। তবে কালের আবর্তে এর চলন ও চাহিদা সব বয়সের মেয়েদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বরং এ চলটি এখন টিনএজ মেয়ে, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়াদের মধ্যেই বেশি।
নাকফুলের রয়েছে হরেক রকম ধরন। একেক সময় চল আসে একেক রকম নাক ফুলের। অনেক আগে গ্রামের মেয়েদের মধ্যে চল ছিল নাকে বেশ বড় আকৃতির নথ পরার। গোল একটি রিং কিংবা রিংয়ের মধ্যে কয়েকটি ছোট পুঁতি বা ফুল অথবা একটু চেপটা ডিজাইনের লম্বাটে ধরনের নাকফুলও পরতেন অনেকে। গ্রামবাংলার সেই ধারা এখন হালফ্যাশনে জায়গা করে নিয়েছে। বিয়ের আসরে কনের নাকে বেশ বড় ধরনের নোলক থাকলেও এর ব্যবহার দৈনন্দিন জীবনে নেই। আগে নাকফুল হিসেবে ছোট একটা মসুর ডালের দানার মতো সাদা পাথর পরতে দেখা যেত। যেটা হীরা বা ছোট কোনো জারকান পাথরেরই বেশি হতো। তারপর এল ভারতের টেনিস-তারকা সানিয়া মির্জার মতো নাকে পরার রিংয়ের চলন, যেটা টিনএজ মেয়েদের কাছে খুবই জনপ্রিয়তা পায়। এই রিং সোনালি, রুপালি কিংবা তামাটে রঙের হতে পারে। আবার অর্ধেক রিংও বেশ প্রচলিত আছে নাকফুল হিসেবে। এখনকার নাকফুলগুলোকে আসলে নথ বা নাকছাবিই বলা চলে। অনেকে নাকের মাঝের নরম হাড়টি ফুঁড়িয়েও সেখানে রিং পরছেন।
‘এখন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে খুব ছোট পিনের গোড়ার মতো বিভিন্ন রঙের পাথরের তৈরি নাকফুল।’ বললেন, ফারজানা শাকিল মেকওভার স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা শাকিল। নাক ফোঁড়ানোর জন্য যে কোনো পারলারেই যেতে পারেন। নাকে কিছু স্পর্শকাতর শিরা থাকে। তাই নাক ফোঁড়ানোর জন্য সাবধানতা ও অভিজ্ঞ হাত—দুটোই খুব জরুরি। নাক ফোঁড়ানোর পর প্রথম এক সপ্তাহ কিছু বিশেষ খাবারে এলার্জি হতে পারে। চিংড়ি মাছ ও গরুর মাংস না খাওয়াই ভালো—বললেন ফারজানা শাকিল।
নাকফুলের জনপ্রিয়তা কিশোরী থেকে শুরু করে সবার মধ্যেই বিদ্যমান। তবে বয়স, স্থান, কাল ও পাত্রভেদে নির্বাচন করা উচিত আপনার নাকফুল। যেমন অফিসে বড় কোনো নাকছাবি না পরাই ভালো। নাক ফোঁড়াতে যদি না চান, তবে সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন আলগা নাকফুল, যা বাজারে খুবই সহজলভ্য।
আড়ংয়ে পাওয়া যাবে সোনার তৈরি নানা ডিজাইনের নাকফুল। যাত্রায় আছে রুপার তৈরি নাকের নথ, রিং। এ ছাড়া বসুন্ধরা সিটির নিচতলায় বেশ কয়েকটি দোকানে পাবেন একটু ভিন্নধর্মী ডিজাইনের নাকফুল।
0 comments:
Post a Comment