RSS

Saturday, November 7, 2009

রূপকড়চা : ময়শ্চারাইজিং

ত্বকে বিশেষ করে মুখশণ্ডলের ত্বকে, সরাসরি প্রয়োজনীয় জলীয় পদার্থ প্রলেপ লাগিয়ে শিশির সিঞ্চিত করাই হচ্ছে ময়শারাইজিং করা। ময়শ্চারাইজিং করার ফলে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকে ও পানীয় ভাবকে ধরে রাখতে সাহায্য করে। যাদের ত্বক্ শুষ্ক, তাদের ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা রক্ষা করার চেষ্টা করা উচিত। ময়শ্চারাইজিং করার ফলে বাতাসের পানীয বাষ্প ময়শ্চারাইজোর টেনে নেয়, ফলে রুক্ষ ত্বক হয়ে ওঠে ঝলমসলে কোমল, ফুটে ওঠে ত্বকের স্বাভাবিক বাহার। মেক-আপ করার আগে অল্পক ময়শ্চারাইজার (ময়শ্চারাইজিং লোশন) ব্যবহার করবেন। শুধুমাত্র ময়শ্চারাইজিং করার সময়ে একটু বেশি পরিমাণে ব্যবহার করবেন, লক্ষ্য রাখবেন, ময়শ্চারাইজিং লোশনটি যেন নামী উৎপাদকের তৈরি হয়।

কিভাবে মশ্চারাইজিং করবেন ঃ ক্লিনজিং ও ফ্রেশনিং করার পর নরম তোয়ালে দিয়ে পানি শুষে নিন। এ সময় ত্বকে যথেষ্ট পরিমাণে আর্দ্রভাব থাকে। ঠিক এই সময় ১০/১৫ ফোঁটা ময়শ্চারাইজিং লোশন হাতে ঢেলে নিয়ে দু’হাতের চেটোয় ভালভাবে মাখিয়ে মুখমণ্ডল, গলা, ঘাড় ও কনুই থেকে আঙুল পর্যন্ত হাল্কাভাবে লাগান। মনে রাখবেন, লোশন মাখবার সময় নিচ থেকে ওপর টানে হাত চালাবেন। প্রয়োজনে আরও কয়েক ফোঁটা নিয়ে দ্বিতীয় বার মাখতে পারেন। কপাল, নাক ও চিবুক ইত্যাদি অংশে আঙুলের ডগায় সাহায্যে বিন্দু বিন্দু করে লোশন লাগিয়ে বসিয়ে নিন। চোখের চারপারে তর্জনীর সাহায্যে লোশন অর্ধচন্দ্রকারে আস্তে আস্তো লাগান। এই সময় দু’হাতেও লাগিয়ে নেবেন। মেক-আপের আগে মযশ্চারাইজিং লোশন যদি লাগাতে চান, তবে লোশন মাখার পরে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে মেক-আপের কাজ শুরু করবেন। কারণ এ সময়ের মধ্যে লোশন ত্বকে ভালভাবে মিশে যাবে, ফলে মেক-আপের বিন্যাস হবে সর্বত্র সমান।

0 comments:

Post a Comment