RSS

Monday, January 10, 2011

এই শীতে শিশুর সুস্থতা

শীত যত বাড়ছে মায়েদের দুশ্চিন্তা তত বাড়ছে। কেননা, শীত বাড়লেই ছোটদের নানান অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। ছোটখাটো অসুখ লেগেই থাকে। আর এ কারণে মায়েদের কপালে পড়ে চিন্তার রেখা। শিশুদের শীতের রোগবালাই থেকে রক্ষায় কী করণীয়, তা নিয়ে আমাদের এই প্রতিবেদন

যে কারণে অসুস্থতা

শীতের সময় মূলত জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া প্রভৃতি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এগুলো যে কারণে হয়, তা হচ্ছে_

০০ সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা বাতাসে গেলে।
০০ পাইপের পানিতে হাত-মুখ ধোয়ানো হলে।
০০ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত বয়োজ্যেষ্ঠদের সংস্পর্শে এলে।
০০ ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ হলে।
০০ অ্যালার্জি বা হাঁপানি কিংবা অন্য কোনো বংশানুক্রমিক রোগের ইতিহাস থাকলে।
০০ সন্ধ্যার কুয়াশায় গেলে।

অসুখের পরে করণীয়


০০ অসুস্থ শিশুকে কোনো অবস্থাতেই আর ঠান্ডা লাগানো যাবে না।
০০ সর্দি-কাশি আরম্ভ হলে, প্রথমেই চিকিৎসা করাতে হবে। কারণ, এতে বড় ধরনের অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাবে।
০০ মধু, আদা, তুলসীপাতার রস, লেবুর রস, রং চা, গরম পানি_এসব খাওয়ানো যেতে পারে।
০০ শিশুকে গার্গল করানো যেতে পারে।
০০ পানিশূন্যতা পূরণের জন্য (ডায়রিয়া হলে) বেবি জিংক খাওয়ানো যেতে পারে।
০০ স্বাভাবিক এবং পরিণত মাত্রায় সুষম খাদ্য খাওয়াতে হবে।
০০ ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের অসুস্থ অবস্থায় মায়েদের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
০০ বংশগত রোগের ক্ষেত্রে বাড়তি ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
০০ শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হলে হাসপাতালে নিতে হবে।

খেয়াল রাখতে হবে

০০ বাচ্চাকে আবহাওয়ার ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে।
০০ ঘরে কিংবা বাইরে যেখানেই হোক, ঠান্ডায় গরম কাপড়-চোপড় (টুপি, হাত-পা মোজা, জুতা সোয়েটার ইত্যাদি) পরাতে হবে।
০০ ফ্রিজের খাবার খাওয়ানো চলবে না।
০০ গোসল থেকে শুরু করে খাওয়া পর্যন্ত পানি হালকা গরম করতে হবে।
০০ সবসময় বাচ্চাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
০০ অসুস্থদের কাছ থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখতে হবে।
০০ ছয় মাসের কম বয়সী বাচ্চাদের মায়ের বুকের দুধ পান করাতে হবে।
০০ বাচ্চাদের শাক-সবজি ও ফলমূল বেশি করে খাওয়াতে হবে।

0 comments:

Post a Comment