আর পার্লারে গিয়ে নিম্নলিখিত কাজগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেরে আসুন_
ফেসিয়াল
ব্রনের সমস্যার সমাধান
বস্ন্যাক হেডস
হোয়াইট হেডস
লোমকূপের সমস্যা
চুলের কালার ঠিক করা
অবাঞ্ছিত লোম অপসারণ
স্পেশাল হারবাল ট্রিটমেন্ট ইত্যাদি।
চুল
চুলের সবচেয়ে বড় যত্ন হলো নিয়মিত পরিষ্কার করা, চুলে নিয়মিত শ্যাম্পু করলে শ্যাম্পু আর পানির মিলিত শক্তি চুলের গোড়ায় পেঁৗছে ময়লা পরিষ্কার করে আর চুলকে করে তোলে ঝকমকে ও মসৃণ। শ্যাম্পুর পর চুলে অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। কন্ডিশনারের ব্যবহার চুলকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে এবং চুলের জটাভাব গোটাতেও মসৃণভাবে চুল আঁচড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। হেয়ার ড্রেসিং কিভাবে করলে সেটা ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই হবে, সেটা অনেকেই বুঝতে পারেন না। এটার সহজ সমাধান হলো জেল ব্যবহার করা। চুলে জেল লাগিয়ে আপনি যেকোনোভাবে নিজেকে সাজাতে পারবেন। ক্ষেত্রেবিশেষে চুলের স্প্রেও ব্যবহার করতে পারেন। চলতি ফ্যাশনের চেয়ে যেভাবে নিজেকে ভালো মানায়, সেভাবেই হেয়ার ড্রেসিং করা উচিত। বিয়ের আগে গুরুত্বপূর্ণ হলো চুলের কিছু স্পেশাল ট্রিটমেন্ট নেওয়া, যেমন অয়েল ম্যাসাজ, হট অয়েল ট্রিটমেন্ট প্রভৃতি। এ ছাড়াও অয়েলের বিভিন্ন রকম অ্যাপিস্নকেশন, চুলের স্বাস্থ্য ভালো করতে ও তারুণ্যদীপ্ত ভাব আনতে এসব খুবই জরুরি। এ ছাড়াও চুলের যত্নে যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে তা হলো_
নিয়মিত চুল আঁচড়াতে হবে
সপ্তাহে অন্তত দু'বার শ্যাম্পু করতে হবে
খুশকি দূর করতে অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
হারবাল ট্রিটমেন্ট
হেনা কালারিং ও কন্ডিশনিং
হেড ম্যাসাজ ইত্যাদি
নিয়মিত খাবার, ঘুম আর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। তা হলেই বিয়ের দিন নজরকাড়া চুল নিয়ে সবাইকে চমকে দেওয়া যাবে।
হেয়ার কালার করাটা এখন একটা ক্রেজে পরিণত হয়েছে। সবাই চায় তাদের চুল বিভিন্ন রঙে সাজাতে। সবচেয়ে প্রচলিত হেয়ার কালারগুলো হচ্ছে লাল, পিঙ্গল, বেগুনী ইত্যাদি। হেয়ার কালার করানোর সময় গায়ের রঙের সাথে ম্যাচিং হওয়াটা খুব জরুরি। ফসর্া মেয়েদের জন্য লাইটকালার আর একটু শ্যামলাদের জন্য ডার্ককালার উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়। আজকাল প্রায় সব পার্লারেই হেয়ার কালারের ব্যবস্থা আছে। বিভিন্ন রকম হেয়ার স্টাইল কালারের মধ্যে রয়েছে ফুল হেয়ার কালার, জিওম্যাট্রিক হেয়ার কালার, ফ্রস্টিং, গেস্নাবাল কালারিং, গ্রে হেয়ার কাভারেজ, হারাইজন্টাল স্ট্রেকিং, হেয়ার স্পিস্নট অ্যান্ড বিস্নচিং ইত্যাদি। বিভিন্ন রকম চুলের পার্মের মধ্যে রয়েছে স্পাইরাল পার্ম, পনি পার্ম, ড্রেডলক পার্ম, হেয়ার জেটিং, সফট ওয়েভ, ক্রিম্প পার্ম ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে থেকে আপনার পছন্দের যেকোনোটি বেছে নিতে পারেন। বিয়েতে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য একটা ভালো চুলের কাট, ব্যক্তিত্বের সাথে মিলিয়ে চুলের স্টাইল আর মুখের গড়নের সাথে মিলিয়ে চুল বাঁধা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লেটেস্ট হেয়ার স্টাইল যেমন ব্রেইডস, বিভলেটস, ক্রিম্পিং, আয়রনিং কিংবা প্রচলিত লেয়ারস স্ট্রেইট, কম্বো, ফ্রিঞ্জ ইত্যাদির মধ্য থেকে নিজের জন্য মানানসইটি খুঁজে নিতে হবে। মেকআপ, পোশাক, মুখের গড়ন এই সবকিছুর সাথে মিলিয়ে নিজেকে একটা 'ব্যালেন্সড লুক' দেওয়ার জন্য চুল সাজানার কাজ অত্যন্ত যত্ন সহকারে পালন করা দরকার।
0 comments:
Post a Comment