আবার এতে নানা ধরনের কাজ করা থাকলে তো কথাই নেই। আজকাল বিয়ের শাড়িতে জড়ি, এ্যামব্রয়ডারি, মুক্তা, আয়না, কুন্দন এর কাজ খুবই চোখে পড়ে। তবে আগের দিনের ভারী বেনারসি শাড়ির চেয়ে এখন ফ্যাশন ডিজাইনারদের হালকা সুতার কারুকাজ খচিত শাড়ির প্রচলন বেশি দেখা যায়। এগুলোর দাম হাজার থেকে লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। শাড়ি কেনার সময় যে সব ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে সেগুলোর একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো_
কনে যদি একটু মোটার দিকে হয় তাহলে তার জন্য দরকার পাতলা রেশমি অথবা সিল্ক শিফন শাড়ি, আর জমকালো আর আকর্ষণীয় শাড়ির জন্য ময়নূর সিল্ক-এর শাড়িগুলো দেখা যেতে পারে।
একটু খাটো কনের শাড়ি হতে পারে খুব ছোট পাড়ে কিংবা পাড় ছাড়া শাড়ি। বড় পাড়ের শাড়ির অবশ্যই এড়িয়ে যেতে হবে কেননা, এ ধরনের শাড়িতে যে কাউকেই আরো খাটো দেখায়। বড় পাড়ের শাড়ি আর্দশ যাদের উচ্চতা ভালো। লম্বা কম হলে জমকালো শাড়ি এড়িয়ে একরঙা শাড়ির দিকে দৃষ্টি দিলে সেটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
হালকা-পাতলা কনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হচ্ছে মোটা সুতার আর পুরো শাড়ি জুড়ে ভরাট কাজ আছে এমন শাড়ি। কেননা, এতে তাদের কিছুটা হলেও ভারিক্কি দেখায়।
গায়ের রং শ্যামলা কিংবা কালোর দিকে হলে হালকা কিংবা উজ্জ্বল রঙের শাড়ি মেরুন, সবুজ, গাঢ় গোলাপি ধরনের শাড়ি বেশি মানানসই হবে।
তবে সবধরনের শাড়ির ব্যাপারে একটা কথাই প্রযোজ্য। সেটি হচ্ছে শাড়ি পরতে হবে উপযুক্ত সতর্কতা আর যত্নের সাথে। এ ছাড়াও আনুষঙ্গিক অন্যান্য উপকরণগুলোর সাথে শাড়ির কম্বিনেশনটাও যেন ভালো হয়, সে ব্যাপারেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
0 comments:
Post a Comment