বাংলাদেশসহ ভারতীয় বিয়ের আগে যেসব আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে, তার অন্যতম প্রধান একটি হলো গায়ে হলুদ। বাংলাদেশে আবহমান কাল থেকে পালিত হয়ে আসছে এই রীতি। তবে, বর্তমানে যেমন জাঁকজমকপূর্ণভাবে গায়ে হলুদ পালিত হয়, প্রাচীনকালে সেভাবে পালিত না হলেও বিয়ের আগের অন্যতম একটা প্রধান অনুষ্ঠান হিসেবে গায়ে হলুদের ঐতিহ্য সহস্র বছরের পুরোনো। প্রায় ৪ হাজার বছর আগে থেকে মশলার পাশাপাশি প্রসাধনী হিসেবে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদের গুণ হচ্ছে এটি সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে এবং ত্বকের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করে। কাঁচা হলুদ অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে।
Monday, January 24, 2011
বিবাহ সামগ্রী
বিবাহ সামগ্রীর তালিকায় আছে কসমেটিকস, বেল্ট, মানিব্যাগসহ নানা খুঁটি-নাটি জিনিস। বিয়ের এসব উপকরণের হদিস করতে বিভিন্ন দোকানে ছুটোছুটি করে ঘাম ঝরাতে হয়। তাই বিয়ের টুকি-টাকি সামগ্রীগুলোর দেখা কোথায় পেতে পারেন তা জানিয়ে দেওয়া হলো_
শপিং গাইড
বিয়ের শপিং সবার জন্য আনন্দের বন্যা বয়ে আনে। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে করা হলেও অভিজ্ঞ এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের মতামত ও পরামর্শ এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো জিনিস কি পরিমাণে এবং কার কার জন্য কিনতে হবে এসব আগে থেকে স্থির করা না হলে পরে এ নিয়ে জটিলতা ও মান অভিমানের জন্ম নেওয়াটা বিচিত্র কিছু নয়। তাই সবকিছু বিচার বিশেস্নষণ করে কিভাবে বিয়ের শপিংকে সার্থক করা যায়, তার জন্য কিছু টিপস এখানে দেওয়া হলো_
হানিমুন
দুজন নর-নারী বিয়ের স্বগর্ীয় বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর পরস্পরকে জানতে ও বুঝতে পারার জন্য কিছু সময় লোকচক্ষুর অন্তরালে নিজেদের একান্ত সানি্নধ্যে কাটাতে চায়। এ থেকেই হানিমুনের ধারণার উদ্ভব। পাহাড়ের উষ্ণতায় কিংবা সমুদ্রের গর্জনে স্নাত সৈকতে কিংবা অরণ্যের বিচিত্রতায় রহস্যময় মনের অতলে ডুব দিয়ে মণি-মুক্তা তুলে আনার প্রয়াসে নিজেদের হারিয়ে ফেলার উদ্দেশ্যেই বর কনের হানিমুন যাত্রা।
স্মৃতি ধরে রাখুন
বিয়ে বোধকরি মানুষের আদিমতম ও সবচেয়ে সচল একটি মানবিক প্রয়োজন, যা পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানটিকে সবচেয়ে সংহতি দেয় এবং তৈরি করে বন্ধন। তাই এ আয়োজনে থাকবে উৎসব মুখরতা_ এ যেন এক চিরায়ত প্রথা। তাই বিয়ের দিনের স্মৃতি ধরে রাখতে চায় প্রত্যেকেই। কিছু মধুর মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি থাকলে শেষ জীবনে তা এনে দিতে পারে প্রশান্তি আর স্মৃতি রোমন্থনের আয়েশ। তাই বিয়ের সময়কার মুহূর্তগুলোকে ছবি বা ভিডিওর মাধ্যমে ডিজিটাল বলয়ে বন্দি করতে পারলেঃ
বাবুর্চি বাড়ি'র খোঁজখবর
বিয়ে উৎসবকে অনেকে বলেন খাওয়াদাওয়ার উৎসব। আর বলার তো যথেষ্ট কারণও রয়েছে। কারণ, বিয়ের প্রতিটি আয়োজনেরই অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে খাওয়াদাওয়া। এনগেজমেন্ট থেকে শুরু করে বৌ-ভাত পর্যন্ত অতিথিদের খুশি করার অন্যতম হাতিয়ার এই খাওয়া। অনুষ্ঠান শেষে অতিথি বিদায় নেওয়ার সময় বর অথবা কনে বিশেষ করে বর একটি কমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তা হলো 'খাওয়া ভালো ছিল তো'। এই প্রশ্নের ইতিবাচক একটি উত্তর আশা করেন সবাই। তবে শুধু আশা করলেই তো আর হবে না। ভালো খাওয়ার জন্য চাই ভালো রাঁধিয়ে। আপনাদের এই সমস্যার ওজন খানিকটা কমাতে দেওয়া হলো কিছু নির্বাচিত বাবুর্চি বাড়ির খোঁজখবর-
বাসর সজ্জা
বিয়ে করা কিংবা করানো, দুটো কাজই আসলে ছোট ছোট অনেকগুলো কাজের সংমিশ্রণ। এর সবগুলো কাজে সবার অংশগ্রহণ না থাকলেও সবাই মিলে কাজ করার যে মজাটা তা কিন্তু আসলেই উপভোগ্য। ইন্টেরিয়র লিখতে এসে এসব কথা বলার কারণ হলো, যেহেতু দৈনিক ইত্তেফাক আপনার প্রিয় পত্রিকা, তাই কড়চা'র এই আয়োজনে আমরা বিয়ের সাথে ইন্টেরিয়র সংশিস্নষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। জীবনে একবারই বিয়ের আমেজ উপভোগ করেন সবাই। পুরো বিয়ে অনুষ্ঠানের সবকিছু হয়তো বর-কনেকে ওভাবে ছুঁয়ে যায় না। তবে, একটা জিনিস কিন্তু তাদের মনে বাজবে সারা জীবন। আর সেটা হচ্ছে বাসর রাতের কথা।
বিয়ে বাড়ির আল্পনা
বিয়ে বাড়িতে উৎসব-আমেজ বাড়িয়ে দেয় সাজ-সজ্জা আর আলপনা। বিয়ে বাড়ির সমস্ত আয়োজন উৎসবমুখর হয়ে ওঠে আলপনা অাঁকার মাধ্যমে। আলপনা অাঁকার জন্য দক্ষ প্রফেশনাল আর্টিস্ট পেতে পারেন আপনি নিউ এলিফ্যান্ট রোড, কাটাবন, গুলশান, শাহবাগ ইত্যাদি জায়গার বিয়ের সাজ-সজ্জার দোকানগুলোতে। হলুদের স্টেজ ও সাজসজ্জার ককশিট এসব জায়গায় ভাড়ায় পাওয়া যায়। আলপনা আকার জন্য শিল্পীকে দিতে হয় নির্দিষ্ট অংকের সম্মানী। বিয়ে বাড়িতে আলপনা অাঁকার কাজটি করা হয় রাতের বেলা।
বিয়ের গাড়ি
বিয়ের দৃশ্য কল্পনা করতে গেলে আমাদের মনের মানস পটে ভেসে ওঠে একটি পালকির চিত্র। ছয়জন বেহারা কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন পালকিটি। আর পেছনে পায়ে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছেন বরযাত্রীরা। এটা অনেক পুরোনো গ্রামবাংলার বরযাত্রার চিত্র। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। পাল্টেছে যাতায়াতের মাধ্যমও। সময়ের পটপরিবর্তনের ফলে আধুনিকায়নের ছোঁয়া লেগেছে মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। এখন বরযাত্রা হয় গাড়িতে করে। এমনকি হেলিকপ্টারে করে যাওয়াও কল্পনাতীত নয়। বিয়েতে যাতায়াতের জন্য কী ধরনের গাড়ি ব্যবহূত হয় এবং তার খরচ ও খোঁজখবরের বিস্তারিত জানাতেই এই আয়োজন_
প্রাইভেটকার
সাধারণত বরকে বহনের জন্য প্রাইভেটকারই বহুল প্রচলিত। যারা ভাড়ার প্রাইভেট কার ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য টয়োটার নর্মাল প্রাইভেটকারগুলোই সহজলভ্য। সাধারণমানের এই প্রাইভেটকারগুলোর ভাড়া প্রতিদিন পনের'শ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। তবে, যাদের আর্থিক সচ্ছলতা বেশি তারা অনেকেই একটু বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করতে চান। বিলাসবহুল গাড়িগুলোর ভিতরে ঢাকা শহরে ভাড়া পাওয়া যায় মার্সিডিস বেঞ্চ, মিৎসুবিসি ল্যান্সার জিএল এক্স, টয়োটা করোলা জিএক্স ইত্যাদি এই গাড়িগুলোর ভাড়া প্রতি ১০ ঘন্টার জন্য ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে এ ছাড়া জিপ গাড়ির ভেতরে পাওয়া যায় টয়োটা প্রাডো, হ্যারিয়ার, পাজেরো ইত্যাদি।
প্রাইভেটকার
সাধারণত বরকে বহনের জন্য প্রাইভেটকারই বহুল প্রচলিত। যারা ভাড়ার প্রাইভেট কার ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য টয়োটার নর্মাল প্রাইভেটকারগুলোই সহজলভ্য। সাধারণমানের এই প্রাইভেটকারগুলোর ভাড়া প্রতিদিন পনের'শ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। তবে, যাদের আর্থিক সচ্ছলতা বেশি তারা অনেকেই একটু বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করতে চান। বিলাসবহুল গাড়িগুলোর ভিতরে ঢাকা শহরে ভাড়া পাওয়া যায় মার্সিডিস বেঞ্চ, মিৎসুবিসি ল্যান্সার জিএল এক্স, টয়োটা করোলা জিএক্স ইত্যাদি এই গাড়িগুলোর ভাড়া প্রতি ১০ ঘন্টার জন্য ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে এ ছাড়া জিপ গাড়ির ভেতরে পাওয়া যায় টয়োটা প্রাডো, হ্যারিয়ার, পাজেরো ইত্যাদি।
আয়োজনের খুঁটিনাটি
কথায় আছে 'বিয়ে মানে এক লক্ষ একটা কথা'। কারণ নানা জনের নানা মত। কথাগুলো যে অকারণে সৃষ্টি হয় তা কিন্তু না। নানা ঝামেলার সমাধান করতে গিয়েই এসবের আবির্ভাব। বিয়ের আয়োজন মোটেও স্বস্তিকর নয়। এই বিশাল ঝামেলার সমাধানকে কিছুটা শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টায় এই আয়োজন_
বিয়ের সাজে ফুল
হলুদ গাঁদা আর লাল গোলাপ, সঙ্গে সুই-সুতার গাঁথুনি। তৈরি করা হতো গায়ে হলুদের গহনা। ফুল ছাড়া এ অনুষ্ঠান যেন অসম্পূর্ণ। এখন ফুলের ব্যবহারে বৈচিত্র্য এলেও এর আবেদন কমেনি। কনের হলুদের গহনা যে ফুলেরই হতে হবে। তবে, গাঁদা বা গোলাপের পাশাপাশি আরো অনেক নতুন ফুল দিয়ে এখন গহনা তৈরি হচ্ছে।
মেকআপ গাইড
যেকোনো ধরনের মেকআপ লাগানোর আগে অবশ্যই ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। ত্বকে মসৃণতা আনতে হালকা ভাবে ময়েশ্চারাইজার ঘষে নিয়ে তারপর অন্য যেকোনো কসমেটিকস অ্যাপস্নাই করতে হবে। প্রথমেই ত্বকের চেয়ে হালকা উজ্জ্বল কোনো ফাউন্ডেশন দিয়ে সারামুখ, চোখ, নাক সব জায়গায় লাগিয়ে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে মুখের কোথাও ভাজ বা দাগ থাকলে সেখানে অবশ্যই ভালো করে ফাউন্ডেশন প্রয়োগ করতে হবে। ঘাড়ে ব্যবহারের জন্য ওয়েল ফ্রি ফাউন্ডেশন সবচেয়ে উপযুক্ত কেননা সেটা গরমেও অনেকক্ষণ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ম্যাট ফাউন্ডেশন আমাদের দেশের আবহাওয়ায় ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো।
বিয়ের শাড়িঃ
বাহারি রঙ আর কারুকাজের শাড়ির সমাহার বিয়েতে অন্যরকম মাধুর্য নিয়ে আসে। নববধূ কোন শাড়ির আঁচলে মুখ লুকিয়ে তার স্বপ্নের রাজপুত্রের কাছে যাবে, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয় বিয়ের কথা পাকাপাকি হওয়ার পর থেকেই। বাঙালি নারীদের ব্যক্তিত্বের সঠিক প্রকাশ পায় শাড়িতেই। এ ছাড়া শাড়িতে নারীকে যত কামনীয়, মার্জিত, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ও সৌন্দর্যমন্ডিত মনে হয়, অন্য কিছুতেই তা পাওয়া যায় না। বিয়ের শাড়ি হতে পারে বেনারসি কিংবা সিল্কের।
ত্বকের যত্ন
ত্বককে সতেজ ও সজীব আর মোলায়েম রাখতে বিয়ের মাসখানেক আগে থেকেই প্রতিদিন ৩-৪ বার করে ওয়াটার বেইজড ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত। গরমের দিনে বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন মাখতে হবে। রোদের তীব্রতা থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য, মুখ ধোয়ার সময় অবশ্যই সোপ ফ্রি ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। কারণ, সাবানের ক্ষার ত্বককে শুষ্ক আর রুক্ষ করে ফেলে। গরমের সময় অয়েলি কসমেটিকস ব্যবহার করলে ঘামের প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই এ জাতীয় যেকোনো কসমেটিকস থেকে একশ হাত দূরে থাকুন। আফটার শাওয়ার স্পস্নাশ, ডিওডরেন্ট, পারফিউম ব্যবহারে মুক্ত হস্ত হতে হবে কেননা সবসময় নিজেকে ফ্রেশ রাখাটা এ সময় খুব জরুরি, শরীরের যেসব স্থানে অতিরিক্ত ঘাম হয় সেখানে সুগন্ধী ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করুন।
বরের প্রস্তুতি
বিয়ের জন্য নানা পোশাক
বিয়ের দিনের সাজ-পোশাকটা সবাই চায় এমন হোক যেন তা পাত্রের ব্যক্তিত্বের সুষ্ঠ বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। ফ্যাশন দুনিয়ার নিত্যনতুন ডিজাইন আর স্টাইলের বিয়ের পোশাকের বৈচিত্র্য চিরায়িত পোশাকভাবনাতে অনেক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। বিয়ের আগে ও পরের বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন_এনগেজমেন্ট, গায়ে হলুদ, বিয়ের দিন ও বৌভাতে কিভাবে প্রায় কাছাকাছি ধরনের কিন্তু অনুষ্ঠানের ভাব গম্ভীরতার সাথে মিল রেখে পোশাক পরিকল্পনা করতে হবে, সে বিষয়ে ফ্যাশন ডিজাইনারদের বিস্তর গবেষণার ফসল হিসেবে নতুন অনেক ট্রেন্ড এখন বাজারে প্রচলিত।
কোর্তা ঢঙে ব্লাউজ
যুগ যুগ ধরে বাঙালি নারীর প্রিয় পোশাক শাড়ি। এর অনুষঙ্গ হিসেবে চলে এসেছে ব্লাউজের ব্যবহার। ফ্যাশনসচেতন নারীরা কিন্তু তাতেই চুপচাপ বসে নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে দিয়েছেন ফ্যাশনের ধারা। আজ আর শাড়ির অনুষঙ্গ হিসেবে ব্লাউজ নয়, বরং ব্লাউজের সঙ্গে মিলিয়ে শাড়ি পরাটা হয়ে উঠেছে আরও বেশি জনপ্রিয়। ধরন, বরন, নকশা, বুননে ব্লাউজ এখন অপরূপ।
অফিসের সমস্যা ঘরে?
কাঙ্ক্ষিত পদোন্নতি হলো না। অকারণে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা চোখ রাঙালেন। সহকর্মীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি। পাশাপাশি প্রতিদিনের কাজের চাপ তো আছেই। এমন অবস্থায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন অনেকে। মনে হলো কোনো কিছুই নিজের অনুকূলে নেই। চারপাশের সবই বিরক্তিকর লাগে। দিনের শেষে তার প্রভাব গিয়ে পড়ে পরিবারে। অফিসের চাপের ভার যেন বইতে হয় পরিবারের অন্য সদস্যদের।
Labels:
noksha,
relationship
Friday, January 21, 2011
কম কথায় বাজিমাত
কথা বলাটা মানুষের বিশাল চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। বন্ধুত্ব, প্রেম বা যেকোনো ক্ষেত্রে কথা বলা অত্যন্ত জরুরি। কারো সঙ্গে যদি কথা বলতেই ভালো না লাগে, তবে প্রেম তো অনেক দূরে, ছোট কোনো সম্পর্কও গড়ে ওঠে না। আর তাই যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই কথা বলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আলসেমিকে বিদায়
পৃথিবীতে একজন মানুষের সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে নিজের নামটি অন্যের মুখে শোনা। নিজের সবকিছু সবসময় নিজেদের কাছে সেরা। আমরা কারণে অকারণে নিজেকে অন্যের মাঝে মেলে ধরতে চাই। আপনার চারপাশে সর্বত্রই ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে নিজের সম্পর্কে জ্ঞানের মাত্রাটা কতটুকু ঠিক রাখা উচিত, সে সম্পর্কে বেখেয়ালি হওয়া একদম উচিত নয়।
সাফল্যের ১০ মন্ত্র
জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গের মতে, অধ্যবসায়ের মতো সুহূদ, অভিজ্ঞতার মতো বিজ্ঞ মন্ত্রণাদাতা, আত্মবিশ্বাস আর সীমাহীন স্বপ্ন যদি হয় পথচলার সাথী, তা হলে সাফল্য সুনিশ্চিত। তবে সাফল্য লাভের জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রচেষ্টা আর কিছু সাধারণ কৌশল। আমরা প্রায়শই একটা কথা শুনতে পাই_'পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি'। আসলে সৌভাগ্য আর সাফল্য যেটাই বলি না কেন, পরিশ্রমের সাথে সাথে জানতে হয়, সফলতার কিছু কৌশল। যা অনুসরণে নিশ্চিতভাবে পেঁৗছে যেতে পারেন সাফল্যের স্বর্ণশিখরে। যার জন্য প্রয়োজন অন্তত দশটি বিষয়ে নিজের দৃঢ়তাকে মজবুত রাখা।
Labels:
lifestyle
মাশরুমের পুষ্টিগুণ
মাশরুম হলো এক প্রকার মৃতজীবি ছাত্রাক জাতীয় উদ্ভিদ। চারিপাশের চিরপরিচিত ব্যাঙের ছাতা আর বর্তমান মাশরুম এক জিনিস নয়। বিশ্বের প্রায় চিহ্নিত ৩ লক্ষ প্রজাতির ছত্রাকের মধ্য হতে বৈজ্ঞানিক ভাবে দীর্ঘ যাচাই-বাছাই করে যে সমস্ত ছত্রাক সম্পূর্ণ মানুষের খাওয়ার উপযোগী, নিরাপদ, পুষ্টিকর ও সুস্বাস্থ্য যা বিশ্বের সর্বাধুনিক পদ্ধতি টিসু্য কালচারের মাধ্যমে উৎপন্ন বীজ দ্বারা সম্পূর্ণ পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিজ্ঞান সম্মত অর্গানিক উপায়ে সযত্নে চাষকৃত ছত্রাকের ফলন্ত অংশ্যই হচ্ছে মাশরুম।
Labels:
food
গোসলের পানি গরম হলে
গোসল করলে শরীর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়। আমরা সাধারণত ঠান্ডা পানিতে গোসল করেই অভ্যস্ত। তবে, শীতকালে অনেকেই গরম পানিতে গোসল পছন্দ করি, আরাম বোধ করি। গোসলের পানি গরম হলে শরীর তো পরিস্কার হয়ই, উপরন্তু কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। গোসলের জন্য গরম পানি যদি শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার কাছাকাছি পর্যায়ের গরম হয়, অর্থাৎ ৮৫ থেকে ৯২ ফারেনহাইট, এবং এরূপ গরম পানি দিয়ে ২ থেকে ১৫ মিনিট গোসল করা হয়, তাহলে শরীরের পেশির স্টিফনেস দূর হয়, পেশির নমনীয়তা বাড়ে।
Labels:
Tips
Thursday, January 20, 2011
কল্পনা করুক, সত্যটাও জানুক
ধরা যাক, মেয়েটির নাম দীপান্বিতা। ছয় বছর বয়স। এ বয়সেই স্কুলের ‘বড়’ ক্লাসের ছাত্রী হয়ে গেছে। প্লে-গ্রুপ, নার্সারি পার হয়ে এখন কেজি ওয়ানে। অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের যে বৈঠক হয়, তাতে শিক্ষকেরা ওকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন, কিন্তু শুধু একটি বিষয়েই ছোট্ট অনুযোগ তাদের, দীপান্বিতা ক্লাসে খুব বেশি কথা বলে। শিক্ষক যখন ক্লাস নেন, তখন ও পাশের সহপাঠীর সঙ্গে আলাপে মশগুল।
অনুযোগ শুনে মা দীপান্বিতাকে জিজ্ঞেস করেন, কী এত গল্প করিস তুই?
দীপান্বিতা বলতে পারে না কখন ও গল্প করে।
অনুযোগ শুনে মা দীপান্বিতাকে জিজ্ঞেস করেন, কী এত গল্প করিস তুই?
দীপান্বিতা বলতে পারে না কখন ও গল্প করে।
খেজুর গুড়ের কয়েকপদ
বাজারে উঠেছে নতুন গুড়। মৌ মৌ ঘ্রাণ আর স্বাদ—দুই-ই মন ভরায়। দেখুন নাসরিন আলমের দেওয়া খেজুর গুড়ে তৈরি কয়েকরকম খাবার।
নতুন গুড়ের ফিরনি
উপকরণ: দুধ ১ লিটার, পানি ১ কাপ, পোলাওয়ের চাল ১ মুঠ (২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে আধা ভাঙা করে নিতে হবে), গুড় (কুচি কুচি করে নেওয়া) আধা কাপ, মাওয়া আধা কাপ (নামানোর আগে), নারকেল কুড়ানো আধা কাপ, বাদাম সাজানোর জন্য।
প্রণালি: দুধ ও পানি জ্বাল দিয়ে নিন। বলক এলে অল্প অল্প করে চাল দিয়ে নেড়ে নেড়ে মিলিয়ে নিতে হবে। চাল ও দুধের মিশ্রণ যেন দলা না হয়। এবার এতে নারকেল মিশিয়ে অল্প আঁচে নেড়ে নেড়ে চাল সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে ১ টেবিল-চামচ চিনি দিয়ে জ্বাল করে গুড় মেলাতে হবে। গুড় মিলিয়ে নেড়ে নেড়ে ঘন হয়ে এলে মাওয়া মিশিয়ে নামাতে হবে।
নতুন গুড়ের ফিরনি
উপকরণ: দুধ ১ লিটার, পানি ১ কাপ, পোলাওয়ের চাল ১ মুঠ (২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে আধা ভাঙা করে নিতে হবে), গুড় (কুচি কুচি করে নেওয়া) আধা কাপ, মাওয়া আধা কাপ (নামানোর আগে), নারকেল কুড়ানো আধা কাপ, বাদাম সাজানোর জন্য।
প্রণালি: দুধ ও পানি জ্বাল দিয়ে নিন। বলক এলে অল্প অল্প করে চাল দিয়ে নেড়ে নেড়ে মিলিয়ে নিতে হবে। চাল ও দুধের মিশ্রণ যেন দলা না হয়। এবার এতে নারকেল মিশিয়ে অল্প আঁচে নেড়ে নেড়ে চাল সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হয়ে এলে ১ টেবিল-চামচ চিনি দিয়ে জ্বাল করে গুড় মেলাতে হবে। গুড় মিলিয়ে নেড়ে নেড়ে ঘন হয়ে এলে মাওয়া মিশিয়ে নামাতে হবে।
Saturday, January 15, 2011
সুস্থ থাকুন ভ্রমনে
এখন চলছে ভ্রমনের মৌসুম। এই লেখা যখন আপনার হাতে - হতে পারে আপনি তখন ব্যাগপত্র গুছিয়ে ভ্রমনে। হতে পারে বাসে কিংবা ট্রেনে। অথবা প্রস্তুুতি নিচ্ছেন বেরিয়ে পড়বার। শীত ভ্রমনের জন্য উপযুক্ত সময়। তবে ভ্রমনে হতে পারে অনেক ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা। অসুখ বিসুখে ভ্রমনের আনন্দটাই যেন মাটি না হয়ে যায় তার জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
প্রতি সপ্তাহে এক পাউন্ড ওজন কমান
বাড়তি ওজনের বিড়ম্বনা তো কম নয়। একে তো দেখতে বেঢপ লাগে তার ওপর হাজারো স্বাস্থ্যগত সমস্যা আর অসুখ বিসুখের ঝুঁকি তো রয়েছেই। কিন্তু এই বাড়তি ওজন কমানো তো একেবারে সহজ কথা নয়। ডায়েটিং ব্যায়াম তো আছেই, হাল আমলে ওষুধ-পত্তর আর তথাকথিত সিস্নমিং সেন্টারের শরণাপন্ন হচ্ছেন অনেকেই ওজন কমানোর আশায়। কিন্তু এসবে সবাই কি কাঙ্খিত ফল পাচ্ছেন? প্রকৃতপক্ষে চিকিৎসা করে বা ওষুধ খেয়ে মোটা কমানো মোটেও নিরাপদ নয়। বরং নানাবিধ ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আপনাকে অসুস্থ করে তুলবে। ওজন কমাতে গিয়ে আপনি নিশ্চয়ই অসুস্থ হতে চান না।
Labels:
Fitness
Monday, January 10, 2011
এই শীতে শিশুর সুস্থতা
শীত যত বাড়ছে মায়েদের দুশ্চিন্তা তত বাড়ছে। কেননা, শীত বাড়লেই ছোটদের নানান অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকে। ছোটখাটো অসুখ লেগেই থাকে। আর এ কারণে মায়েদের কপালে পড়ে চিন্তার রেখা। শিশুদের শীতের রোগবালাই থেকে রক্ষায় কী করণীয়, তা নিয়ে আমাদের এই প্রতিবেদন
যে কারণে অসুস্থতা
শীতের সময় মূলত জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া প্রভৃতি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এগুলো যে কারণে হয়, তা হচ্ছে_
যে কারণে অসুস্থতা
শীতের সময় মূলত জ্বর, সর্দি, কাশি, হাঁচি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া প্রভৃতি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এগুলো যে কারণে হয়, তা হচ্ছে_
বিয়ের জন্য ঋণ
মানুষের জীবনে আনন্দঘন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হচ্ছে বিয়ে। বিয়ের দিনটিকে ঘিরে সবার মনেই থাকে হাজারো স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে সার্থক করতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বেসরকারি ব্যাংক।
বিয়ের নানা আনুষ্ঠানিক খরচ বহনের জন্য ঋণ দেয় তারা। কিছু ব্যাংক সরাসরি বিয়ের জন্য ঋণ দিচ্ছে আর কিছু ব্যাংক ব্যক্তিগত ঋণ দিচ্ছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য।
বিয়ের নানা আনুষ্ঠানিক খরচ বহনের জন্য ঋণ দেয় তারা। কিছু ব্যাংক সরাসরি বিয়ের জন্য ঋণ দিচ্ছে আর কিছু ব্যাংক ব্যক্তিগত ঋণ দিচ্ছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য।
পরিবারকে সময় দিন
নিজের আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায় সন্তানের সংস্পর্শে। আর শুধু সন্তান নয়; বরং মা-বাবা, ভাই-বোন নিয়েই দুজন মানুষের যে অবকাঠামো, তাকেই আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে পরিবার হিসেবেই জানি। মূলত এই পরিবারেই লুকিয়ে আছে আমাদের প্রতিদিনের আনন্দ আয়োজন। তাই প্রতিদিনের জীবনধারায় কর্মমুখর চিন্তার বাইরে পরিবারকেও দিতে হবে আলাদা করে সময়। পারিবারিক অবকাঠামো এবং তার ভেতরে এই আনন্দ খুঁজে নেয়ার চেষ্টাকেই কেন্দ্র করে আমাদের এবারের আয়োজন।
Labels:
korcha,
relationship
নিমন্ত্রণে এখন এমন সাজ
শীতকালটা যেন নিমন্ত্রণের মৌসুম। আবহাওয়ার কারণেই বোধহয় এমনটা বলা হয়। বৃষ্টি, গরমের উৎপাত নেই। বেশ নির্ঝঞ্ঝাটে যাতায়াত করা যায়। আবার সাজের বেলায়ও ভারী মেকআপ, জমকালো পোশাক ব্যবহার করা যায়। বছরের এ সময়টা দেখা যায় নানা বিয়ে বা পার্টির নিমন্ত্রণ লেগেই থাকে।
তবে এ বছর পার্টির সাজে বেশ একটা ভিন্নতা চোখে পড়ছে। সাজপোশাকে পুরোনো ধারা ভেঙে নানা নিরীক্ষা করছেন অনেকে। যেমন, বিয়েতে নিমন্ত্রণ মানেই সোনার ভারী সব গয়না পরতে হবে—এ ধারায় বদল এসেছে। রুপা, মুক্তা, পাথর, সোনার প্রলেপ দেওয়া গয়না পরেও সাজে জমকালো ভাব আনা যাচ্ছে।
আর্দ্রতা চাই ত্বকের
শীতকালে ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজার অপরিহার্য। প্রাথমিক পর্যায়ে ময়েশ্চারাইজারের কাজ হলো ত্বকের বাইরের পরতে পানি বা আর্দ্রতা ধরে রাখা। এ ছাড়া সংবেদনশীল ত্বককে নিরাপত্তা দেওয়া, ত্বকের মান উন্নত করা এবং ত্বককে আরও মসৃণ করে তোলাও ময়েশ্চারাইজারের কাজ। নিজের বয়স, ত্বকের ধরন এবং ত্বকে কোনো ধরনের সমস্যা আছে কি না, সেসব বিষয় লক্ষ রেখে সঠিক ময়েশ্চারাইজারটি বেছে নিতে পারলে শীতকালেও আপনি পেতে পারেন নরম ত্বক।
Tuesday, January 4, 2011
কর্মক্ষেত্রে মানসিক দৃঢ়তা
প্রতিদিনের কর্মজীবনে আমাদের মুখোমুখি হতে হয় নানা বিড়ম্বনার। পেশাগত দক্ষতার পাশাপাশি সঠিক কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার প্রয়োজনে আমাদের নিজেদেরও বাড়াতে হয় মানসিক দৃঢ়তা আর সিদ্ধান্ত দেয়ার সক্ষমতা। নিজের চারপাশকে কর্মদক্ষতায় মুগ্ধ করতে প্রয়োজন কাজের জায়গাটিকে আত্মস্থ করে নেয়া। প্রতিদিনের জীবনধারায় যারা নিজেদেরকে কর্মমুখর হিসেবে দেখতে চান তাদের জন্য এই দৃঢ়তা জীবনযাত্রার এক প্রয়োজনীয় অংশ। নিজের বুদ্ধি, কৌশল এবং কাজের স্পৃহাকে সঠিক পর্যায়ে প্রমাণ করতে কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজন যথার্থ মানসিক দৃঢ়তা। এই প্রয়োজনের ৬টি বিশেস্নষণে সাজানো হয়েছে আমাদের এবারের আয়োজন।