RSS

Tuesday, September 8, 2009

ঈদের বিকেলে ঝাল ও মিষ্টি

ক্ষীর সেমাই
উপকরণ: দুধ ২ কেজি, সেমাই আধা কাপ, সাগুদানা ১ টেবিল চামচ, পেস্তা বাদাম কুচি সিকি কাপ, জাফরান এক চিমটি, কাঠবাদাম কুচি সিকি কাপ, কিসমিস ২ টেবিল চামচ, খুরমা কুচি সিকি কাপ, চিনি ১ কাপ। সাজানোর জন্য চেরি ও পেস্তা কুচি প্রয়োজনমতো।
প্রণালী: সাগুদানা ধুয়ে বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে চুলায় দিতে হবে। ঘন ঘন নাড়তে হবে। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে পাত্রে ঢালতে হবে। এবার ছোট ছোট পানতুয়া অথবা রসগোল্লা প্রয়োজনমতো পাত্রে দিতে হবে। ওপরে পেস্তা কুচি ও চেরি দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন। নামানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি ঘন হয়ে না যায়। কারণ ঠান্ডা হলে এটা জমে আসবে।

মুচমুচে ফিশ ফিঙ্গার
উপকরণ: কাঁটা ছাড়া যেকোনো মাছের টুকরা ১ কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, ধনে পাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ, পাউরুটি বড় ১ টুকরা, মুড়ি গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, আদা মিহি কুচি ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, ডিম ২টা, লবণ প্রয়োজনমতো, কর্ন ফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, ময়দা ২ টেবিল চামচ, পাউরুটি রুটি কুচি করা প্রয়োজনমতো।
প্রণালী: মাছের টুকরার সঙ্গে আদা-রসুন বাটা, লবণ ও কাঁচা মরিচ কুচি অল্প পানি দিয়ে সেদ্ধ করে শুকিয়ে নিতে হবে। কাঁটা বাছা মাছ, পেঁয়াজ, ধনে পাতা কুচি, পাউরুটি ভেজানো, লেবুর রস, আদা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, ডিমের কুসুম, মুড়ি গুঁড়া ও প্রয়োজনমতো লবণ দিয়ে খুব ভালোভাবে মাখিয়ে লম্বা ফিঙ্গারের মতো বানাতে হবে। ডিমের সাদা অংশ, ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার ও অল্প পানি দিয়ে পেস্ট বানাতে হবে। এবার ফিশ ফিঙ্গার পেস্টে চুবিয়ে পাউরুটি কুচিতে গড়িয়ে ডুবো তেলে ভাজতে হবে বাদামি করে। প্লাস্টিকের স্টিক অথবা শাশলিক কাঠি ঢুকিয়ে পাত্রে সাজিয়ে সস দিয়ে পরিবেশন করুন।

রেশমি সেমাই
ক. উপকরণ: সেমাই ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, জর্দার রং সামান্য, ঘি আধা কাপ, এলাচ ও দারচিনি চারটি করে, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, আনারস আধা কাপ, কিসমিস, পেস্তাবাদাম ও কাঠবাদাম ১ কাপ, লবণ এক চিমটি।
প্রণালী: কিসমিস, কাঠবাদাম ও পেস্তা বাদাম অল্প ঘি দিয়ে ভেজে নিতে হবে। সেমাই বাদামি করে ভেজে ঠান্ডা করতে হবে। গরম পানিতে দিয়ে ভাপে ছেঁকে নিতে হবে। আনারস কুরিয়ে রস ছেঁকে ছোবাটা আধা কাপ মেপে নিতে হবে। এখন ভাপা সেমাই, চিনি, আনারসের ছোবা, এলাচ, দারচিনি গুঁড়া, লবণ ও জর্দার রং সামান্য গুলে দিতে হবে। তারপর একসঙ্গে মাখতে হবে। এবার পাত্রটি একটি তাওয়ায় অল্প জ্বালে দমে বসাতে হবে। আঘা ঘণ্টা পর পাত্রের ঢাকনা খুলে নেড়ে দিতে হবে।
খ. উপকরণ: জাফরান অল্প, ডিম ২টা, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, ডিমের জন্য চিনি সিকি কাপ, পানি ১ কাপ (ডিমের জন্য), ঘি সিকি কাপ (ডিমের জন্য)।
প্রণালী: উপরের সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ঘি দিয়ে চুলায় দিতে হবে। ঘন ঘন নাড়তে হবে। একসময় এটি ছানার মতো হয়ে ঝরঝরে হবে; তখন আগে দমে দেওয়া সেমাইয়ের সঙ্গে ভালোভাবে মেশাতে হবে। বাকি ঘি ও বাদাম ভাজাগুলো মেশাতে হবে। পাঁচ মিনিট অল্প জ্বালে ঢেকে দমে রেখে বাটিতে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

দুররানি কাবাব
ক. উপকরণ: ডিম ৬টা, লবণ আধা চা চামচ, তরল দুধ সোয়া কাপ।
প্রণালী: উপরের সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে পুডিং বানাতে হবে। ঠান্ডা করে উল্টিয়ে নামাতে হবে। এবার দেড় ইঞ্চি চওড়া করে কিউব কাটতে হবে।
খ. উপকরণ: মুরগির মাংস কিউব ২ কাপ, সয়াসস ১ টেবিল চামচ, আদা বাটা ১ চা চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা আধা চা চামচ, সয়াবিন তেল ২ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ প্রয়োজনমতো।
প্রণালী: মাংস দেড় ইঞ্চি চওড়া কিউব করে কাটতে হবে। এবার ওপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মেরিনেট করতে হবে আধা ঘণ্টা। এবার শাশলিক কাঠিতে এক টুকরা মাংস, এক টুকরা পুডিং এভাবে তিন টুকরা মাংস ও দুই টুকরা পুডিং গেঁথে কাবাবের কাঠিগুলো তৈরি করতে হবে।
গ. উপকরণ: ময়দা ১ কাপ, মরিচের গুঁড়া ২ চা চামচ, লবণ ১ চা চামচ, পানি পরিমাণমতো।
প্রণালী: উপরের সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানাতে হবে। এবার গেঁথে রাখা কাঠিগুলো পেস্টে চুবিয়ে ডুবোতেলে মাঝারি আঁচে বাদামি করে ভেজে সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন।
"" এই কাবাব কাঠিতে গেঁথে দুই-তিন দিন ফ্রিজে রেখে প্রয়োজনের সময় অল্প অল্প ভেজে পরিবেশন করা যায়।
"" যাঁরা তেল খেতে চান না তাঁরা ইচ্ছা করলে এই কাবাব ডাবল বয়লারে ভাপ দিয়ে ও সস দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।ঈদের বিকেলে ঝাল ও মিষ্টি

0 comments:

Post a Comment