RSS

Tuesday, September 8, 2009

গজকাপড়ের খোঁজে

কাপড় কিনে নিজস্ব পছন্দ অনুযায়ী পোশাক বানানোর ইচ্ছা যাঁদের, তাঁরা এখনই বের হতে পারেন গজকাপড়ের বাজারে। কাপড় কেনার পর এর সঙ্গে মিলিয়ে ওড়না কেনা কিংবা কাপড়ে লেইস, চুমকি, পাথরের কাজ করানো প্রভৃতি কাজের জন্য আবার দর্জিবাড়িতে যেতে হবে। কোথায়, কেমন দামে, কোন ধরনের কাপড় পাবেন, দেখে নিন এ আয়োজনে।

যেমন চলছে এবারের ঈদের আয়োজন
ঈদের বাজারে এবার কাজ করা, পেইন্ট ও নকশা করা, শাহি ও জরির কাজ করা গজকাপড় আর সেলাই ছাড়া সালোয়ার-কামিজের কাপড় বেশি এলেও এখনকার তরুণীদের মধ্যে হালকা কাজ করা সুতির কাপড়ের প্রতি ঝোঁক বেশি দেখা যাচ্ছে। সুতি কাপড় পরার আরামটাই অন্য রকম। তবে ঈদ উৎসবে সুতির কাপড়ে রংটায় যাতে বৈচিত্র্য থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। এবারের ঈদ যেহেতু গরমের মধ্যে পড়েছে, তাই প্রাকৃতিক রং করা অ্যান্ডি কাপড় আরামদায়ক হবে। এ রকম মনে করেন প্রবর্তনার পরিচালক শাহিদ হোসেন শামীম।
ঈদ সামনে রেখে অনেকে ঈদের দিন জমকালো কাপড়ের পোশাক পরতে পছন্দ করেন। কিন্তু পরে দেখা যায়, ঈদের দিনের সেই জমকালো পোশাকটি ওই এক দিনই পরা হয়, পরে আর পরা হয় না। তাই ঈদের সারা দিন পরা যাবে, অবার ঈদের পরও পরা যাবে−এমন কাপড় বা পোশাক কেনাই ভালো।

জেনে নিন দরদাম
গজকাপড়ের সবচেয়ে বড় বাজার ইসলামপুর। ঈদ উপলক্ষে বাজারে এবার বাহারি নামের কাপড় এসেছে। দামেও আছে পার্থক্য। ফ্রেন্স বাটার সিল্ক ১০৫০ টাকা, বালিকা বধু মাখন ২০০০, পিওর মাখন ৩০০০, ত্রিশ-ত্রিশ জর্জেট ১২০০, মহারানি জর্জেট ১৮০০, স্পার্কল জর্জেট ৫৫০, জয়পুরি সুতি ৭০০, কম্পিউটারে কাজ করা দেশি সুতি ৫৫০ টাকা। এ ছাড়া রয়েছে প্রিন্টের সুতি থান কাপড়, গজপ্রতি দাম পড়বে ৩৫ টাকা। আছে বেক্সিফেব্রিক্সের একরঙা কাপড়, দাম পড়বে গজপ্রতি ১২০ টাকা।
গজকাপড়ের বাজারের কথা বললে প্রথমেই মনে আসে ঢাকার চাঁদনী চক ও গাউছিয়া মার্কেটের কথা। এ দুটি বিপণিবিতানে গজকাপড়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা সুতির চায়না কাপড়ের দাম ২০০ থেকে ৬০০ টাকা, চায়না জর্জেট ১৫০ থেকে ১৮০, চায়না নেটের কাপড় ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। এবারের ঈদের বিশেষ আকর্ষণ কাতানের কাপড়−জানালেন এ মার্কেটের অনেক বিক্রেতা। গজপ্রতি ১২০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে বাহারি সব কাতান কাপড়। এ ছাড়া একরঙা চোষা কাপড়ের দাম গজপ্রতি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, চিকেন জর্জেট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাখন জর্জেট (একরঙা) ১৫০ টাকা, মাখন সিল্ক প্রিন্ট ২০০ টাকা, ক্রাশড টিস্যু ২০০ টাকা গজপ্রতি। দেশি সুতি ও বাটিকের কাজ করা কাপড় পাবেন ১২০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
এমব্রয়ডারি, পাথর, চুমকি প্রভৃতি কাজ করা সেলাই ছাড়া জর্জেট, শিফনের সালোয়ার-কামিজের কাপড় পাওয়া যাবে চাঁদনি চকে। দামটা ওঠানাম করে মোটামুটি ২০০০ থেকে ৬৫০০ টাকার মধ্যে।
প্রিন্স প্লাজায় মনে রেখো শাড়িজ-এ পাবেন সেলাই ছাড়া সালোয়ার-কামিজের কাপড়। এর মধ্যে কৃত্রিম রিভার সিল্কের দাম ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা, বিশাল ২০০০ থেকে ৫০০০, র সিল্ক ৫০০০ থেকে ৯০০০, হাফসিল্ক ৩০০০ থেকে ১০ হাজার, জয়পুরি সুতির কাপড় ৩৩০০ থেকে ৫৫০০, পিওর জর্জেট চুন্দ্রি ১০০০ থেকে ৭০০০ টাকা। প্রাইডের শোরুমে সেলাই ছাড়া সালোয়ার-কামিজের কাপড় পাবেন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। মৌচাক ও আনারকলি মার্কেটে পাবেন দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টের কাপড়। এ ছাড়া মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বরে সবুজ বাংলা মার্কেটে রয়েছে দেশি তাঁতের বাজার।

দেখতে পারেন ফ্যাশন হাউসগুলোতে
গজকাপড়ের খোঁজ করতে পারেন বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে। নবরূপাতে সেলাই ছাড়া সালোয়ার-কামিজের কাপড়ের দাম পড়বে ৫০০ থেকে ৩৫০০ টাকা।
আড়ংয়ে গজকাপড়ের মধ্যে ভয়েলের দাম গজপ্রতি ৭১ টাকা, তাঁত ১০০ থেকে ১৫০, দুপিয়ান সিল্ক ৫২২ টাকা। আর সেলাই ছাড়া কাপড়ের মধ্যে সুতির থ্রিপিসের দাম ৭০০ টাকার ওপর, জামদানির টুপিস ২৬০০ থেকে ২৮০০ টাকা।
তাঁতের কাপড়ে অনেক বৈচিত্র্য দেখা যাবে প্রবর্তনায়। এখানে প্রাকৃতিক রং করা হাতে সেলাই ও মেশিনে সেলাই দুই রকম কাপড়ই পাওয়া যাবে। এসব কাপড়ের নাম শিবোরি ও রিবোরি। এবারের ঈদে প্রবর্তনার কাপড়ের মধ্যে খুব সাধারণ স্টাইলের কাপড় রয়েছে। এখানে সুতির তাঁতের কাপড়ের দাম গজপ্রতি ১০০ থেকে ১৮০ টাকা, এন্ডি সুতি ২২০, সিল্ক কাতান ১৫০০, কালার খাদি ১০০-১২০, তাঁতে তৈরি কাজ করা বুটি থান কাপড় ৩৭৫, বুটি সুতি ২০০ থেকে ২৭৫ টাকা পড়বে।

সিল্কের কাপড়ের খোঁজে
ঈদে সিল্ক ও মসলিনের গজকাপড় কিংবা সেলাই ছাড়া সালোয়ার-কামিজের কাপড় কিনতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন ধানমন্ডি ৪ নম্বরের মমতাজ প্লাজায়। দোয়েল সিল্কে এবারের ঈদে মসলিনের কাপড় বেশি চলছে বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার জি এম আলমগীর। এখানে গজকাপড়ের দাম পড়বে ১৫০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং ১৮০০ থেকে ৪৫০০ টাকা।
ঊষা সিল্কে সেলাই ছাড়া সালোয়ার-কামিজের কাপড়ের দাম পড়বে ১৬০০ থেকে ৩৫০০ টাকা। আর গজকাপড়ের দাম পড়বে ১২৫ থেকে ৪৩০ টাকা। এ ছাড়া রয়েছে সিল্ক, মসলিন, কাতান, মটকা প্রভৃতি কাপড়ের ওড়না, দাম পড়বে ৩৫০ থেকে ১৫০০ টাকা। রয়েছে তসর সিল্কের কাপড়, দাম পড়বে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা।

0 comments:

Post a Comment