রাজধানীর একেবারে উত্তর প্রান্তে আড়ং চালু করল বিশাল এক শাখা। এটাকে আড়ং বলছে তাদের প্রথম ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট। উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে এই দোকান চালু হলো ২৫ মার্চ। ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট বলতে খুচরা পণ্য বিক্রির যে প্রক্রিয়া তার মধে সর্ববৃহৎ, সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য আছে এমন শাখা বা দোকান, যেখানে থাকে পণ্যের বিপুল সমাহার।
৩৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের ছয়তলা ভবন নিয়ে সাজানো হয়েছে উত্তরার এই আড়ং। নান্দনিকভাবে সুন্দর এই ভবনের উত্তর দেয়ালজুড়ে রয়েছে আড়ংয়ের বৃত্তান্ত। একটি গাছের মতো করে সাজানো এটি। এতে আছে আড়ংয়ের সঙ্গে যুক্ত দেশের হাজার হাজার কারুশিল্পীর কাহিনির সম্পৃক্ততা। আড়ংয়ের জীবনবৃক্ষের শাখা-প্রশাখার নকশা বাংলাদেশে নদী আর মানচিত্রের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। ছয়তলাজুড়ে সুবিন্যস্ত দোকানের প্রতিটি তলার সাজসজ্জার জীবনবৃক্ষের কোনো না কোনো উপাদানকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আর প্রথমবারের মতো এখানে রয়েছে প্রদর্শনী গ্যালারি, বিভিন্ন বিশেষ (এক্সক্লুসিভ) পণ্যের সমারোহ নিয়ে সম্পূর্ণ একটি তলা, একটি প্রিমিয়াম কাস্টমার লাউঞ্জ আর নতুন সাজে আড়ং ক্যাফে।
আড়ংয়ের এই শাখা উদ্বোধন করেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ এ (রুমী) আলী, পরিচালক তামারা আবেদসহ ব্র্যাকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
তামারা আবেদ বলেন, ‘আমাদের সব প্রচেষ্টার সমন্বয়ে ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট আর এখানে ক্রেতারা পাবেন অভিনব ক্রয় অভিজ্ঞতা। আড়ংয়ের এত দিনের সেবাদানের পর ক্রেতাদের কাছে যে আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছে, তা আরও জোরালো হবে ফ্ল্যাগশিপ আউটলেটের মাধ্যমে।’
উদ্বোধনের প্রথম দিনেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় বলে দেয় এই বিরাট আয়োজন কতটা আকৃষ্ট করেছে তাদের। তবে শত ভিড়ের মধ্যে কিছু সময়ের জন্য থেমে যায় সব ব্যস্ততা। এরই মধ্যে কানে ভেসে আসে গানের সুরেলা ধ্বনি। সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ হয়ে যায় সিঁড়িতে। হ্যাঁ, ঠিক সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হয় অলংকার প্রদর্শনী। র্যাম্প মডেলদের অংশগ্রহণে আড়ংয়ের সোনা, রুপা, মুক্তা এবং ফ্যাশন জুয়েলারি প্রদর্শিত হয়। অলংকার যে নারীর অহংকার, প্রদর্শিত অলংকার থেকে তা বোঝা যায়। এই প্রদর্শনী দর্শককে দারুণ আকৃষ্ট করে।
1 comments:
It's indeed a pride for us all. homedeliverybd.com
Post a Comment