ইমন আর মলস্নার_দুই ফুটফুটে শিশুর মা মিতুল। লোকে তাকে 'হ্যাপি অ্যান্ড প্রাউড মাদার' হিসেবেই দেখে। কিন্তু পুরো সংসারের হ্যাপি, লৌকিকতা এবং সর্বোপরি দুটি দামাল শিশুর ঝক্কি-ঝামেলা সামাল দিতে দিতে মিতুলের নিজের সময়, শখ-আহ্লাদ বলে প্রায় কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।
মিতুলের সঙ্গে সেই দিন পুরোনো বান্ধবী রুমকির দেখা। রুমকি বলে ওঠে, আচ্ছা, কী চেহারা করছিস বল তো? তোর ফিগার দেখে আমাদের হিংসা হতো, মনে আছে তোর? দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে মিতুল বলে, আর ফিগার! নিজের কথা ভাববার সময় কই রে?
কী করবেন
০০ হোমমেকারই হন আর ওয়ার্কিংওম্যান_নিজের কাজকে একটু স্ট্রিমলাইন করে নিন। তারমধ্যে একান্ত নিজের শখের জন্য আলাদা সময় ধার্য্য করুন।
০০ পরিবারের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে আপনাকেই।
০০ নিজের প্রয়োজনকে নিজে শ্রদ্ধা করুন প্রথমে। তবেই দৃঢ়ভাবে সেটা প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।
০০ সবচেয়ে আগে নিজের মনকে পরিপূর্ণভাবে তৈরি করতে হবে।
০০ পরিবারের সবার কাছে নিজেকে, নিজের ব্যক্তিত্বকে মধুর আর আকর্ষণীয় করে তুলুন। তা হলে আপনার কাজে সবারই সহায়তা পাবেন।
০০ পরিবারের সবার সমর্থন পেলে কিছু কাজ ভাগ করে নিতে পারেন। তা হলে নিজের জন্য আরও বেশি কিছুটা সময় পাবেন।
০০ সব সময় মনে রাখবেন, জীবন একটাই। তাকে দীর্ঘনিঃশ্বাস দিয়ে ভরিয়ে রাখা ভুল।
কী করবেন না
০০ স্বামী বা অন্য কারো বিরোধিতার ভয়ে আগে থেকেই গুটিয়ে থাকবেন না।
০০ সব কাজ একা একা করতে যাবেন না। নিজেকে নিজেই কাজের চাপে ফেলে ভুলভাবে আত্মপ্রকাশের চেষ্টা করবেন না।
০০ এর জন্য অন্য কাজ বা কর্তব্যকে হেলাফেলা করবেন না। আবার এটা নিয়ে ঝগড়া বা অশান্তিতে যাবেন না।
০০ নিজের জন্য আলাদা করে কিছু করছেন বলে অপরাধে ভুগবেন না। জানবেন, নিজের মতো করে নির্মল আনন্দ খোঁজার অধিকার প্রত্যেকেরই আছে।
0 comments:
Post a Comment