RSS

Monday, March 14, 2011

প্রত্যাশার অমিল

আমার স্বামী ব্যস্ত প্রফেশনাল। প্রতিদিনই বাসায় ফিরতে দেরি হয়। আমিও চাকরি করি।তারপরও বাসায় যাবতীয় যত কাজ রয়েছে আমাকেই করতে হয়। ভুল করেও খোঁজ নেয়না ও। ধরেই নিয়েছে, সংসারের এই দায়িত্বগুলো আমারই। তার শুধু খরচ দেওয়াটাই কর্তব্য। মাঝে মাঝে যখন একা থাকি তখন মনে হয়, ও কেন আমার কাছ থেকে এতটা আশা করে? আমারও তো কিছু এক্সপেক্টেশন থাকতে পারে। কিন্তু আমি জানি, আমাদের এক্সপেক্টেশনগুলো মিলবে না। দুটো সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ একসাথে থাকতে থাকতে পারস্পরিক চাহিদা তলিয়ে দেখতে ভুলে যান। একসঙ্গে থাকার অভ্যাস বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। দেখা দেয় প্রত্যাশার অমিল।

নিজেরা যে কাজটা করতে পারি না, তার বোঝা অন্যের ঘাড়ে চাপানোর মধ্যে স্বার্থপতার গন্ধ রয়েছে। দুভার্গ্যের বিষয় এই যে, আমাদের সবচেয়ে কাছের মানুষটির উপরই আমাদের এই জুলুম চাপিয়ে দিই। এই সমস্যাটা আমরা খুব সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারি। তার জন্য প্রয়োজন একটু সহমর্মিতা আর একটু যত্নের।

নতুনভাবে চিন্তা করুন

০০ স্বামী বা স্ত্রী। দুজন দুজনার কাছে প্রত্যাশা যেন লাগামছাড়া না হয়, সেটার দিকে নজর রাখুন সবসময়। যেকোনো কাজেই সবসময় ব্যালান্স করে চলুন; সেটা বাইরে হোক আর বাসাতেই হোক। তাতে করে পরিশ্রম ভাগ হয়ে যাবে। আর এতে পরস্পরের সঙ্গতও পাবেন।

০০ সঙ্গীর প্রতি রাগ বা ক্ষোভ থাকুক না কেন, সেটা মনের ভিতর চেপে রেখে কষ্ট পাবার মানে হয় না। কিভাবে সমস্যাটা মিটিয়ে ফেলা যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা করুন।

০০ দিনের মধ্যে কিছুটা সময়, হোক না সেটা মোটে এক ঘণ্টা, শুধুমাত্র নিজের জন্য রাখুন।

০০ সব কাজ একা করতে যাবেন না। আপনার সঙ্গী নিজের থেকে ইচ্ছা প্রকাশ না করলেও, আপনি তাকে ডেকে নিন। দুজনে গল্প করতে করতে হালকা মিউজিক চালিয়ে দিন। দেখবেন, খুব সহজেই কাজটা শেষ হয়ে গেছে। কোনো দ্বিধা বোধ না করে দুজন দুজনার কাজের প্রশংসা করুন।

০০ কাজের ফাঁকে ফ্রি টাইমে ফোন করে একটু গল্প করুন। মাঝে মাঝে মজার এসএমসএস পাঠান। এতে করে আপনার পুরোনো সম্পর্কে নতুন করে রং লাগবে।

মনে রাখুন

০০ ভালোবাসা প্রকাশের ব্যাপারে একটু পারসোনাল টাচ আনলে প্রিয় মানুষটির হূদয়ের অনেকটা কাছাকাছি পেঁৗছে যাবেন।

০০ দায়িত্ব ভাগ করে নিন। অপছন্দের কাজও মাঝে মাঝে করুন।

০০ উদাসীনতা দাম্পত্যের বড় শত্রু। সঙ্গীর ভালোলাগা নিয়ে মাথা না ঘামানো অন্যায় ছাড়া আর কিছু নয়। সঙ্গীর ভালোলাগা নিজের ভালোলাগার মতো গুরুত্ব দিন সবসময়।

0 comments:

Post a Comment