RSS

Monday, March 14, 2011

ফল খাওয়ার অভ্যেস করুন

শরীর সুস্থ ও সুন্দর রাখতে হলে, প্রতিদিন একটি করে ফল খান। ফলে রয়েছে একাধিক ন্যাচারাল এলিমেন্ট। ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম, পস্নান্ট ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে ফলের মধ্যে।

ফল খাওয়ার উপকারিতা

ডাইজেস্টিভ সিস্টেম ভালো রাখে :গোটা ফল খান, রেডিমেট ফ্রুট জুস বা সাপিস্নমেন্ট খাওয়ার বদলে। গোটা ফলে রয়েছে ফাইবার, যা খাবার হজম করতে খুবই সাহায্য করে এবং কনস্টিপেশনের সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। গোটা ফলে রয়েছে বেশি উপকার। ফল সহজে হজম হয় আর বস্নাড ও ডাইজেস্টিভ ট্র্যাক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

উইনিং ফুড হিসেবে উপকারী :ফলে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণের পানি। আরও রয়েছে প্রোটিন ও ফ্যাট। তবে ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। ব্রেস্টমিল্ক খাওয়া বন্ধ করার পরে বাচ্চাকে ফল খেতে দিতে পারলে খুবই ভালো, যেহেতু ফল অ্যান্টি-অ্যাসিডিক।

ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে :সারাদিন ফল খাওয়া খুবই জরুরি কারণ, আজকের দিনে যেখানে পলিউশন খুব বেশি, সেখানে এনভারয়নমেন্টাল টক্সিন ডিটস্কিফাই করার জন্যও অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন। আর ফল সেই প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে পুরো ১ দিন আমরা শুধু ফল খেয়ে থাকতে পারি। একে বলে ফুড ফাস্টিং। তবে, শরীরের বিশেষ করে কোনো অসুবিধে থাকলে ডাক্তারের পরার্শ নেবেন। সারাদিন ফল খেয়ে থাকলে আমাদের ডাইজেস্টিক সিস্টেমস কিছুটা রেস্ট পায়। ফল ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে।

এনার্জি সরবরাহ করে :ফলে উপস্থিত অর্গ্যানিক অ্যাসিড ও ন্যাচারাল হাই সুগার শরীর সুস্থ ও তাজা রাখে, সঙ্গে সঙ্গে এনার্জি দেয়। অথচ, এতে বস্নাড সুগার লেভেল বেড়ে যায় না। ভিটামিন, মিনারেল ও এনজাইমসমৃদ্ধ ফল রোগ প্রতিরোধে খুবই সাহায্য করে।

অন্যান্য উপকারিতা

০০ ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ফল।

০০ হাই বস্নাড প্রেসার ও কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

০০ টাইপ টু ডায়বেটিস হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে নিয়মিত ফল খেলে।

০০ বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।

সময়ের ফল, সময়ে খান

সিজনাল ফ্রুট খেতে পারলে সব থেকে ভালো। সিজনের ফল খেলে ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস থেকে বেশি পরিমাণে উপকার পাওয়া যায়। সিজনাল ফ্রুটে বেশি পরিমাণে পুষ্টি থাকে এবং খেতেও বেশি সুস্বাদু হয়। ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ক্যান্সার, হার্টের সমস্যার মতো ক্রনিক ডিজিজ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে সিজনাল ফ্রুট। এ ছাড়া ডাই ফ্রুটসও খেতে পারেন।

কী ধরনের ফল খাবেন

০০ ফ্রেশ ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন সবসময়

০০ আপেল, পেয়ারা, শসার মতো ফল ছিলে খাবেন না। এই খোসাতেই রয়েছে ফাইবার। যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে।

০০ ছোট বাচ্চাদেরকে ফল জুস করে খাওয়ান, যারা চিবিয়ে ফল খেতে পারে না, তাদের জন্যও জুস।

ডায়েটে কিভাবে ফল রাখবেন

০০ গোটা পাকা ফল খান। রান্না করে ফল খাবেন না। এতে করে ফলের মধ্যের কার্বোহাইড্রেট ও নিউট্রিয়েন্ট সল্ট নষ্ট হয়ে যায়।

০০ ব্রেকফাস্টে ড্রাই ফ্রুটস খান।

০০ খাবারের সঙ্গে একসঙ্গে না খেয়ে আলাদাভাবে ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন_ব্রেকফাস্টে বা স্ন্যাকস হিসেবে ফল খেতে পারেন।

০০ কাজে বের হওয়ার আগে একটা ফল খান।

০০ এক সময়ে যেকোনো এক ধরনের ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।

০০ ওয়ার্কআউট করার তিরিশ মিনিট আগে বা পরে ফল খান।

০০ টিভি দেখতে দেখতে হাবি-জাবি না খেয়ে তার বদলে টিভির সামনে এক বাটি ফল রাখুন।

কোন ফলের কী উপকারিতা

০০ লেবু, বস্নাড প্রেসার, কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটি দূর করে।

০০ আপেল গলস্টোনের সমস্যায় কাজ করে।

০০ আঙুর, চুল, ত্বক ও চোখের জন্য খুব ভালো। আর জন্ডিসের জন্য আঙুর দারুণ কাজ করে। আঙুরে রয়েছে অ্যান্টি-ক্যানসার জাতীয় উপাদান।

০০ পটাশিয়াম-সমৃদ্ধ আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

০০ প্রস্টেটের সমস্যায় টমেটো উপকারী।

০০ ফ্রেশ থাকতে গরমের সময় তরমুজ খুব উপকারী।

০০ কলা দারুণ কাজ দেয়_ডিপ্রেশন, অ্যানিমিয়া, বস্নাড প্রেসার, ব্রেন, পাওয়ার, কনস্টিপেশনের মতো সমস্যায়।

০০ ক্যানসার প্রতিরোধ করতে বেদানা ভালো কাজ করে।

০০ মুসম্বিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি, ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো রাখতে সাহায্য করে।

০০ খরমুজ এক ধরনের ট্রপিক্যাল ফল। এতে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। খরমুজ বডি হিট কমাতে সাহায্য করে। এবং ইউরিক অ্যাসিড লেবেল নিয়ন্ত্রণে রাখে।

০০ পেঁপেতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, মিনারেল, ভিটামিন ও ফাইবার। পেঁপে ত্বক উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।

0 comments:

Post a Comment