সোহানা সকালে ঘুম থেকেই উঠেই তাড়াহুরো করে তৈরি হচ্ছেন অফিসের জন্য। কারণ, দীর্ঘ রাস্তা এবং দীর্ঘ জ্যাম পাড়ি দিয়ে তাকে নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে ঢুকতে হবে। তারপর অফিসে ঢুকেই কাজে ডুব মারা বা ফাইলে মুখ গোঁজা বা কম্পিউটারের কিবোর্ড চাপতে চাপতে কখন যে সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে হয়ে যায়, টেরই পাওয়া যায় না। তখন কাঁধের মাংসপেশিগুলোতে ব্যথা শুরু হয়, হাত অবশ হয়ে আসে কিছুটা, শরীরেও নামে ক্লান্তি। কিন্তু অফিস শেষ হতে তো ঢের বাকি। না চাইলেও বিরক্তি আর শরীরের কষ্টে মুখটা তখন তেতো হয়ে আসে সোহানা। তাই তিনি এবং তার মতো চাকরিজীবীদের নিয়ে আমরা এবার কথা বলব_পূর্ণ উদ্যমে আর শক্তিতে অফিস সময়টা পাড় করতে চাইলে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম-কানুন।
যেমন_সারাদিন একটানা কাজ না করে, ক্লান্তি বোধ করলে একটু বিরতি নিন। এ সময় শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জাগিয়ে তুলতে হবে নতুন করে। এভাবে একটানা চার ঘণ্টা কাজ করা যাবে, তারপর আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আবার পূর্ণ উদ্যমে কাজ করতে পারবেন দুই থেকে তিন ঘণ্টা। এবার কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে পুনরায় চাঙ্গা করার কিছু উপায় নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন। লিখেছেন রিয়া খন্দকার
হাত
হাত কর্মক্ষেত্রের কোনো না কোনো কাজে সারাক্ষণই ব্যস্ত থাকছে। একটু চাঙ্গা করে নেওয়ার জন্য হাত দুটো ছড়িয়ে দিন দেহের দুই পাশে। কনুই আর কবজি ভাঁজ করুন কয়েকবার। এবার হাত দুটি ফিরিয়ে নিয়ে যান আগের কাজে।
পা
বসে যাদের কাজ করতে হয়, তাদের অনেকক্ষণ পায়ের কাজ থাকে না। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পা দুটি নিস্তেজ থাকে। ফলে, পায়ের মাংসগুলো শক্ত হয়ে আসে, রক্ত চলাচল হয় না ঠিকমতো। তাই পা দুটিকে কর্মক্ষম রাখতে সেলাই মেশিন যেভাবে চালায়, পায়ের পাতা সঞ্চালন করুন সেভাবে।
কোমর
দুই হাত কোমরে রেখে আস্তে-ধীরে পেছনে বাঁকা হন। মনে রাখবেন, সামনে ঝুঁকবেন না কখনোই।
ঘর
টানা কাজ করে গেলে ঘাড়ের মাংসপেশি, কশেরুকার অস্থিসন্ধির লিগামেন্ট অসাড় হয়ে আসে। প্রতি ২০ মিনিট পরে ঘাড়ের মাংসপেশিগুলো স্ট্রোচিং করে আবার ফিরে যান কাজে।
কিছু টিপস
০০ ভঙ্গিগত ত্রুটি যতটা সম্ভব এড়িয়ে বসে কাজ করুন।
০০ কোনো দিকে ঝুঁকে না বসে, বসতে হবে মেরুদণ্ড সোজা করে।
০০ যতটা সম্ভব টেবিলের কাছে বসতে হবে।
০০ লেখালেখির কাজে কাঠের সমান চেয়ারই সবচেয়ে ভালো।
০০ ল্যাপটপ টেবিলের মাঝে রেখে কাজ করুন (কম্পিউটার ল্যাপটপের ক্ষেত্রে)।
০০ খুব ছোট অক্ষরে লিখবেন না। এতে ঘাড়ের ছোট ছোট মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়।
০০ দিনে অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটুন। ২০ মিনিট পরপর উঠে দাঁড়ান।
০০ সবসময় লিফট না ধরে সিঁড়ি ভেঙে উঠতে পারেন।
0 comments:
Post a Comment