
সাদা-কালো রঙে সাজানো ফারজানা হালিম হাইয়ের বসার ঘরটিতে প্রবেশ করতেই একুশের চেতনায় আচ্ছন্ন হয় মন। মেঝের ছাই রঙের টাইলসের ওপর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্টে ঢাকনা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সাদা-কালো ছাপার কাপড়। ওপরে রাখা হয়েছে ছাই-কালো, সাদা রঙের কুশন কভার, দেয়ালজুড়ে বসানো হয়েছে ছাই-কালো রঙের কেবিনেট পর্দা এবং দেয়ালেও করা হয়েছে ছাই-কালো রঙের ব্যবহার। শুধু বসার ঘরেই নয়, ডাইনিং, কেবিনেট, বেসিন, আয়না—সব ক্ষেত্রেই করা হয়েছে এই রঙের ব্যবহার। সাদা-কালো রঙের ব্যবহার থেকে বাদ যায়নি ঘরের দেয়ালে ঝোলানো ল্যাম্পশেডগুলো। একইভাবে নাইমা রাহমানের শোবার ঘরেও প্রাধান্য পাচ্ছে সাদা-কালোর ব্যবহার। সাদা মোজাইকের ওপর কালো কৃত্রিম তন্তুর কার্পেট, দেয়ালজোড়া আলমারি, বুকশেলফ—সব কিছুতেই সাদা-কালোর ব্যবহার করা হয়েছে। সাদা-কালো রং করা খাটটিতে সাদা বিছানার চাদরের ওপর ব্যবহার করা হয়েছে কালো-ছাই রঙের কুশন। এ দুটি ঘরের অন্দরসজ্জা করেছেন ফারজানা গাজী। তিনি বলেন, ‘সাদা-কালো মিশ্রণ আনতে এখন আসবাবে চোষা রঙের ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া সাদা-কালো মোটিফে বিছানার চাদর, কুশন কভার, কার্পেট, ফুলদানি, শোপিস সবই তৈরি হচ্ছে আমাদের দেশে। তাই খুব সহজেই এ দুটি রংকে থিম ধরে অনেকেই সাজাতে পারেন অন্দর। শুধু শোবার ঘর, বসার ঘর, খাবার ঘরই নয়, সাদা-কালো রঙের ব্যবহারে সাজাতে পারেন স্নানঘর, রান্নাঘর, বারান্দা-দরজা এমনকি সিলিংও। তবে এ ক্ষেত্রে পুরো বাড়ি সাদা-কালো থিমে না সাজিয়ে যেকোনো একটি ঘরকে বেছে নিলে বিষয়ভিত্তিক রং দিয়ে অন্দরসজ্জার বিষয়টি আরও নান্দনিক হয়ে উঠবে বলে জানালেন ফারজানা গাজী।
শুধু দুটি রঙে সাজানো হলেও ঘরে বর্ণিলতার অভাব নেই। সাদা-কালোর আবেদন এমনই চিরন্তন।
0 comments:
Post a Comment