গয়নার মধ্যে আনিলার প্রথম পছন্দ পায়ের নুপুর। অন্য কিছু না পরলেও নুপুর জোড়া সব সময় তার পায়ে-ই থাকে। কিন্তু সমস্যায় পড়তে হয় বেশ কিছু দিন পরপরই। কারণ, কয়েক মাস যেতে না যেতেই নুপুরগুলো কালো হয়ে যায়। শুধু নুপুর নয়, অন্য যে রুপার গয়নাগুলো আছে সেগুলো একটু বেশি দিন থাকলেই কালচে হয়ে যায়। প্রিয় গয়নাগুলো কীভাবে যত্নের মাধ্যমে সংগ্রহে রাখবেন তা নিয়ে ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। আনিলার মতো এ সমস্যায় আছেন অনেকেই। সঠিক উপায় জানা নেই বলে যত্ন নিতে পারেন না প্রিয় রুপার গয়নাগুলোর। রুপার গয়নার যত্নের ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকার চাঁদনীচকের রুপার গয়নার ব্যবসায়ী মো. আবদুল খালেক। পরামর্শমতে যত্নে রাখলে অনেক দিন পর্যন্ত টিকে থাকবে আপনার পছন্দের রুপার গয়না।
"" অনেকের ধারণা, রুপার গয়না কালো হওয়া মানেই তা নকল। আসলে রুপা যদি খাঁটি হয় তাহলে কালো হবেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
"" বায়ুনিরোধক পাত্রে রুপার গয়না রাখলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে এবং সহজেই কালো হবে না।
"" গয়নার কালো ভাব দুর করতে তেঁতুল জল বা গুঁড়া সাবানে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
"" বাজারে সিলভার পালিশ পাওয়া যায়, যা রুপাকে নতুনের মতো ঝকঝকে করে।
"" গয়না ব্যবহারের পর তুলো বা টিস্যু অথবা মখমলজাতীয় নরম কাপড়ে পেঁচিয়ে রাখলে ভালো থাকবে।
"" রুপার গয়না কেনার সময় ভালো দোকান দেখে কেনা উচিত। নামকরা দোকান থেকে গয়না কিনলে অপেক্ষাকৃত ভালো মানের গয়না পাওয়া যায়।
"" আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে গয়নার রং বদলে যেতে পারে। পানি লাগলে, চুলোর আঁচে গয়না কালো হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে।
"" গয়না কেনার সময় বিক্রেতার কাছ থেকে নিশ্চয়তাপত্র নিতে ভুলবেন না।
Thursday, July 30, 2009
এই বর্ষায় চুলের যত্ন
প্রতিদিন নিয়ম করে ঝেঁপে বৃষ্টি না হলেও বর্ষাকালে হঠাৎ বৃষ্টি তো হচ্ছেই। আচমকা ঝুপঝুপ বৃষ্টিতে ভিজে অনেকেই বিড়ম্বনায় পড়ে। আবার অনেকেই আছে, বর্ষাকালে শখ করে একটু বৃষ্টিতে ভিজবে না, এমনটি ভাবতেই পারে না। সবকিছুর সঙ্গে চুলও ভিজে তখন একদম চুপচুপে! কাপড় না-হয় শুকানো গেল, নিজেও ঠিকঠাক পরিষ্ককার হওয়া গেল, কিন্তু ঠিকমতো পরিচর্যা না হলে চুল চটচটে হয়ে থেকে ভীষণই অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। উপরন্তু এবারকার বর্ষার আর্দ্রতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভাপসা গরম। একদিকে বৃষ্টির পানি, অন্যদিকে যখন বৃৃষ্টি নেই, তখনকার স্যাঁতসেঁতে গুমোট আবহাওয়া−সব মিলে এই বর্ষায় চুলের জন্য প্রয়োজন সঠিক যত্ন।
ক্লাচ ব্যাগ
ক্লাচ ব্যাগ। এক বছর আগেও এর জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা ছিল নির্দিষ্ট একটি সীমারেখার মধ্যে। তবে পরিবর্তিত ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমানে তৈরি হয়েছে এর বিপুল চাহিদা। চার কোনা, আকারে ছোট, পাঁচ আঙ্গুলের ভেতর ধরে রাখার এই ব্যাগটির আগমন হয়েছে পাশ্চাত্য দেশ থেকে। এ সম্বন্ধে আড়ংয়ের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ সাদিয়া হক জানান, পাশ্চাত্য দেশে এটি ব্যবহার করা হয় উৎসবমুখী ব্যাগ হিসেবে। গত এক বছরে এটি আমাদের দেশেও ফ্যাশন উপকরণ হিসেবে অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।
তুমি বন্ধু কেমন বন্ধু
বন্ধুত্ব হয়তো কখনোই পরিমাপ করবার বিষয় নয়। তবু জীবনে চলার পথে যারা তার বন্ধুতাটাকে যাচাই করে নিতে চান তাদের জন্যই দেয়া হলো এই স্কোরিং। হয়তো এর মাধ্যমেই বেরিয়ে আসতে পারে বন্ধুত্ব সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিটা। আর সেখান থেকেই আপনি খুঁজে পেতে পারেন আগামী দিনের সুন্দর কোনো বন্ধুত্বের রসদ।
Labels:
korcha,
relationship
Tuesday, July 21, 2009
জামদানি
বুননের নাম জামদানি। শিল্পের ভেতরের যে ঐশ্বর্য ছড়িয়ে আছে আমাদের ঐতিহ্যে তার ধারক হয়ে আজো জনপ্রিয়তায় অনন্য হয়ে আছে জামদানি বয়ন। একসময় মসলিনের পরিপূরক হয়ে আমাদের ফ্যাশন ঐতিহ্যে বসতি গেড়েছিল জামদানি। ক্রমেই তা বাংলার তাঁতিদের আপন মমতায় আর সুনিপূণ দক্ষতায় হয়ে উঠে ঐতিহ্যের পাশাপাশি আভিজাত্যের পোশাক। জামদানির সেই গর্ব নিয়েই লিখেছেন মোর্শেদ নাসের টিটু
ওভেন কিনতেঃ
শহুরে হেঁসেলে ওভেনের সংযোজনটা এখন খুব আহামরি কোনো আবদার নয়। পাকা গৃহিনীর রান্নাঘর হোক কিংবা নতুন সংসার, সবখানেই একখানা ওভেন যেন এখন আর না হলেই নয়। ঢাকাতে এখন তিন ধরনের ওভেন পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি ইলেকট্রিক ওভেন, একটি মাইক্রোওয়েভ ওভেন আর একটি হলো ইলেকট্রিক মাইক্রোওয়েভ ওভেন। এদের মধ্যে যেটা শুধু ইলেকট্রিক ওভেন সেখানে প্রায় সবধরনের খাবার রান্না করা সম্ভব কিন্তু খাবার গরম করে খাওয়ার মজাটা উপভোগ করা সম্ভব নয়। আর মাইক্রোওয়েভ ওভেনে খাবার দ্রুত রান্না করা গেলেও এখানে কিন্তু খাবার রান্না করার কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। অর্থাৎ সব রকমের খাবার এই ওভেনে রান্না হবে না। তবে এখন বাজারে বেশকিছু মাইক্রোওয়েভ ওভেন বাজারে পাওয়া যায় যেগুলোতে প্রায় সবধরনের খাবার রান্না করা যায় পাশাপাশি মাইক্রোওয়েভ দিয়ে খাবার দ্রুত গরম করাও যায়।
ক্রিম ময়েশ্চারাইজার
ত্বককে সজীব ও ন্যাচারাল রাখতে আজকাল অনেক ধরনের বিউটি এইডস বের হয়েছে। আধুনিক রূপচর্চায় ত্বকের ধরন, বয়স, প্রহর, মৌসুম এমনকি উৎসবকে মাথায় রেখে কসমেটিকসের উপাদান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এখন থেকে দুই যুগ আগেও যা কল্পনা করা যেত না। ফেসে লাগাবার জন্য দুই রকম ক্রিম বা লোশন প্রচলিত ছিল। একটি হচ্ছে কোল্ড ক্রিম অপরটি স্নো বা ভ্যানিশিং ক্রিম।