RSS

Sunday, December 11, 2011

ভালোবাসা প্রয়োজনীয়

দাদা বা দাদির অতিরিক্ত আদরে নষ্ট হয়ে পড়বে সন্তানেরা। এমন ভাবনা অনেকের। আর বর্তমানে বাবা-মায়ের সঙ্গে আলাদা থাকাটা তো রীতিই হয়ে পড়েছে। সেটা কি সঠিক? বরং গবেষকেরা শোনাচ্ছেন অন্য কথা। গবেষণা করে তাঁরা জানাচ্ছেন যে দাদুদের আদরে দুষ্টু নয়, বরং শিশুরা শেখে কীভাবে টিকে থাকতে হবে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে। এমনকি সেসব কঠিন সময়েও যখন শিশুটির মা ও বাবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।

একটি শিশুকে স্বাস্থ্যকর ও সতেজ রাখতে সবচেয়ে বেশি সচেতন থাকেন দাদু-দাদিরা। এমনই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে মার্কিন ও সুইস বিজ্ঞানীদের একটি দল। গবেষণা করেছেন তাঁরা বিশ্বব্যাপী। দাদা-দাদি কতটা গুরুত্ব বহন করেন, সেটা বের করে আনাই ছিল এই গবেষণার মূল লক্ষ্য। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে দিদার গুরুত্ব প্রাধান্য পেয়েছে। ফিনল্যান্ডে গবেষণাকারী দলটি জানিয়েছে আরেকটি বিষয়।
সেটি হলো, ‘যেসব শিশুর জন্মের সময় তাদের দাদা-দাদিরা যুবক থাকেন, সেসব শিশু দীর্ঘজীবী হয়।’ গবেষকদলের একজন ডেভিড কোয়াল বলেন, দাদা-দাদিরা সেই সব সন্তানকে বেশি দেখাশোনা করেন, যাদের মা-বাবার প্রতি তাঁদের বিশ্বাস থাকে। দাদা-দাদিদের ভালোবাসা যে কেবল শরীর ভালো করে তা-ই নয়, শিশুরা মানসিকভাবে যে সহায়তা পায়, সেটার গুরুত্বও অনেক।

0 comments:

Post a Comment