RSS

Monday, December 27, 2010

ফুলেল সাজে হলদে কনে

হলুদ গাঁদা আর লাল গোলাপ, সঙ্গে সুঁই-সুতার গাঁথুনি। তৈরি করা হতো গায়েহলুদের গয়না। ফুল ছাড়া এ অনুষ্ঠান যেন অসম্পূর্ণ। এখন ফুলের ব্যবহারে বৈচিত্র্য এলেও এর আবেদন কমেনি। কনের হলুদের গয়না যে ফুলেরই হতে হবে। তবে গাঁদা বা গোলাপের পাশাপাশি আরও অনেক নতুন ফুল দিয়ে এখন গয়না তৈরি হচ্ছে।

ফুলের গয়নায়
রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান মনে করেন, এখন মানুষের মধ্যে পরিমিতিবোধ এসেছে। কী দিয়ে সাজলে নিজেকে মানাবে, তা তারা জানে। খুব বেশি ফুল দিয়ে না সেজে অল্পের মধ্যে নিজেকে সাজাতে চায়। সে কারণে গায়েহলুদের শাড়ি কেনার পর ঠিক করতে হবে, কোন ফুল দিয়ে আপনি সাজবেন। আগে শুধু গাঁদা, গোলাপ আর রজনীগন্ধা দিয়ে কনেকে সাজানো হতো। এখন নানা ধরনের দেশি-বিদেশি ফুল বাজারে পাওয়া যায়। সেসব দিয়ে নিজেকে সাজায় মেয়েরা। এ জন্য প্রথমে দেখতে হবে, শাড়িটা কোন উপাদানের।

সুতির শাড়ি হলে ছোট আকারের গয়না পরতে হবে। এ ক্ষেত্রে কাঠবেলি, ছোট চন্দ্রমল্লিকা (ফুলের বিক্রেতার কাছে এটি পমপম নামে পরিচিত), কাঠগোলাপ, অর্কিড ব্যবহার করা যেতে পারে। যাদের মুখ ছোট, তাদের শাড়ি যদি শিফন, জামদানি হয়, তাহলে বড় আকারের গয়না পরা যেতে পারে। জারবেরা, ক্যালান্ডুলা ফুলের গয়না তাদের মানাবে। কনের গলা খাটো হলে ঝোলানো বড় মালা পরতে হবে। আর লম্বা গলা যাদের, তারা চিক আকৃতির একটা মালা পরে সীতাহারের মতো আরেকটা বড় মালা পরতে পারে। ছোট কাঠবেলি দিয়ে দু-তিন লহরের সিঁথিপাটি করা যায়। ফুলের গয়নার সঙ্গে নানা বিডস আর কৃত্রিম ফুলের ব্যবহারও রয়েছে। হাতাকাটা ব্লাউজ পরলে ফুলের বাজু পরতে হবে। লাল রঙের শাড়ি হলে কাঠবেলি, চন্দ্রমল্লিকা বা হলুদ ক্যালান্ডুলা ব্যবহার করা যেতে পারে। হলুদ শাড়িতে কাঠগোলাপ, কাঠবেলির সঙ্গে জারবেরা ব্যবহার করা যায়। সোনালি কারুকাজের শাড়ি পরলে নানা বিডস, বিশেষ করে সোনালি বিডস, পুঁতি দিয়ে তৈরি গয়না মানাবে। চুলের খোঁপার পাশাপাশি বেণি করে ফুল জড়িয়ে দেওয়া যায়।
যেহেতু ফুলের আধিক্য বেশি থাকে, তাই গায়েহলুদের সাজটা হালকা হতে হবে। তা না হলে স্নিগ্ধতা কমে যাবে। হালকা মেকআপ মুখে ব্যবহার করতে হবে। হাতের আঙুলে লাল রঙের স্টিক, ফেব্রিক বা আলতা ব্যবহার করা যায়। খেয়াল রাখতে হবে, পুরো সাজে যেন হলুদের আভাটা থাকে।

কোথায় পাবেন
ফুলের গয়না তৈরি করার কথা ভাবলে প্রথমেই মনে আসে ঢাকার শাহবাগের ফুলের দোকানের কথা। নানা ধরনের ফুল দিয়ে নকশা তৈরি করে থাকে তারা। এখানকার হূদয় পুষ্পকেন্দ্রের স্বত্বাধিকারী ফরিদ জানান, গাঁদার পাশাপাশি জারবেরা, হলুদ ক্যালান্ডুলা, চন্দ্রমল্লিকা (পমপম), কাঠবেলির চাহিদা বেশি। ফুল ও গয়নার নকশার ওপর দাম নির্ভর করে। তবে ১২০০-২০০০ টাকার মধ্যে গয়না তৈরি করা যায়। এসবের পাশাপাশি অনেকেই আসেন কৃত্রিম ফুল, বিডস আর পুঁতির তৈরি হলুদের গয়নার জন্য। এর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। অনেক সময় প্রাকৃতিক ফুলের সঙ্গে অনেকে বিডস, কৃত্রিম ফুল ব্যবহার করতে বলেন। ক্রেতা যেভাবে চায়, সেভাবে করার চেষ্টা করা হয়।
এ ছাড়া কাঁটাবন এবং নগরের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা ফুলের দোকানগুলোতে আপনি অর্ডার দিতে পারবেন। যেহেতু এটা বিয়ের মৌসুম, তাই অন্তত চার দিন আগে ফুলের গয়নার অর্ডার দিতে হবে।

0 comments:

Post a Comment