RSS

Saturday, August 22, 2009

অফিসে প্রথম দিন

প্রথম দিনে অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে অনেকের অনেক সময় লাগে! তাতে সমস্যা নেই। তবে অফিসে গিয়ে প্রথম দিনটা গড়বড় করে ফেললেই কিন্তু বিপদ।

"" তৈরি হতে সময় লাগে, ঠিক আছে, কিন্তু অফিসে আপনাকে পৌঁছাতে হবে সঠিক সময়। তবে এক ঘণ্টা আগে গিয়ে বসে থাকবেন না। আবার অফিস থেকে বের হবেনও সঠিক সময়ে; এক ঘণ্টা পরে নয়। বেশি আগে আসা, আর বেশি পরে যাওয়া−আপনার ব্যাপারে সঠিক ধারণা তৈরিতে সহায়ক হবে না।
"" দিনের অর্ধেক সময়টা হয়তো আপনার জন্য বিরক্তিকর হবে! কারণ, আপনার কাজ হয়তো বুঝিয়ে দেওয়া হবে না। এ সময় আপনি প্রতিষ্ঠানের কাজ ও ধরন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে পারেন।
"" কাউকে বলবেন না, এই চাকরিটি আপনার খুব দরকার ছিল, আপনি খুবই আনন্দিত, উত্তেজিত!
"" অফিসের প্রধান ব্যক্তি কারা, তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করুন। বস যদি না ডাকেন, তবে তাঁর কক্ষে যাওয়া ঠিক হবে না। ডাকলে যাবেন এবং আপনি কোন দিকটাতে কাজ ভালো পারবেন, সেটা তাঁকে খোলাখুলি বলবেন।
"" চাকরি ও প্রথম দিনের অফিস নিয়ে বেশি আশাবাদী হবেন না। বেশি আশার উল্টো পিঠে কিন্তু বেশি হতাশা। তাই একটু কম কম আশা, একটু কম কম হতাশাই ভালো। প্রথম দিন কেউ যদি আপনার কাছে এসে খোঁজখবর না-ও নেয়, তাতেও কোনো দুঃখ মনে রাখবেন না। আপনার জ্যেষ্ঠ সহকর্মীরা যদি খুব পেশাদারি মনোভাবের হন, তাঁরা কিন্তু আপনার প্রথম দিনকে একটি সাধারণ দিনের মতোই দেখবেন।
"" প্রথম দিনে সহকর্মীদের বেশি প্রশ্ন জিজ্ঞেস না করাই ভালো। মনে রাখবেন, আপনি যতই জানুন না কেন, কোনো ভুল যদি করেন, তবে নিজেকে রক্ষা করার সুযোগ কমই পাবেন। প্রথম দিন আপনার ডেস্ক ছেড়ে বেশি ঘোরাফেরা না করাই ভালো।
"" আপনি যদি প্রতিষ্ঠানের কোনো শীর্ষস্থানীয় পদেও যোগ দেন, তবুও কিন্তু অধস্তনদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করবেন।

Tuesday, August 18, 2009

জমকালো অনুষ্ঠানে সালোয়ার কামিজ

কুড়িতে আর বুড়ি নয়। একালে কুড়িতে পা মানে হলো ‘টিন’ তকমাটি পাকাপাকি ঝেড়ে ফেলে তরুণী হওয়ার পালা। তারপর একুশ, বাইশ... আরেকটু বড় মনে হয় নিজেকে। বড় বোন-ভাবীদের মতো পার্টিতে শাড়ি পরার ইচ্ছেটা হয় ভীষণ। এ বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া তরুণীদের নিজের শাড়ির সংগ্রহ সাধারণত কম, আবার অনভ্যস্ত হওয়ায় দাওয়াতে শাড়ি পরে আড়ষ্টতায় ভোগেন অনেকেই। তারুণ্যের উচ্ছলতায় শাড়ির ভারিਆিও প্রায়ই বেমানান। বিশ ও বিশ-ঊর্ধ্ব তরুণীদের পার্টি পরিচ্ছদের এ দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে ‘ড্রেসিডেল’-এর ডিজাইনার মায়া রহমান বলেন, শাড়ির বিকল্প হতে পারে সালোয়ার-কামিজই, তবে তা হতে হবে জমকালো, দৃষ্টিনন্দন, শালীন।

স্টাইল যখন টুপি

টুপির বাংলা আভিধানিক নাম হচ্ছে ‘শিরস্ত্রাণ’ বা মস্তকাবরণ। যার কাজ হচ্ছে ঠান্ডা ও গরম থেকে মাথাকে রক্ষা করা। টুপি বা ক্যাপ নিয়ে আগেও লেখা হয়েছে। তবে এবারের আয়োজন একটু ভিন্ন। এখানে ক্যাপ বা টুপি পরে ঠান্ডা ও গরম বাঁচানো নয়, শুধুই স্টাইল।
ষাটের দশকে কিউবার বিপ্লবী নেতা চে’ গুয়েভারা ক্যাপ পরে তরুণদের মধ্যে ক্যাপকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন, যা পরে আস্তে আস্তে সারা বিশ্বের তরুণদের একটা বিশেষ স্টাইল হয়ে দাঁড়ায়।

ইফতারে চাই

সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে চাই মুখরোচক কিছু খাবার। আর সে জন্য ছোলা, পেঁয়াজু, হালিমের তুলনা নেই। তবে বাজার থেকে কেনা নয়, বাড়িতেই বানাতে পারেন এসব। দেখে নিন শাহানা পারভীনের দেওয়া রান্নাগুলো

বই ও আসবাবপত্রের যত্ন

চলছে ঋতুবদলের পালা। আবহাওয়ায়ও দেখা যাচ্ছে পরিবর্তন। এ সময়টায় তাই ঘরের বইপত্র ও আসবাবের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
আসবাবপত্রের যত্ন
ঢাকার পান্থপথ মোড়ে ২৫ বছর ধরে কাঠমিস্ত্রির কাজ করছেন শংকর সাহা।
আসবাবপত্র ভালো রাখার কয়েকটি টিপস তিনি দিয়েছেন−
"" আসবাবপত্র মোছার জন্য শুকনো ও নরম কাপড় ব্যবহার করা উচিত। নিয়মিত মুছলে ধুলা জমতে পারবে না। কেননা কাঠের আসবাপত্রে ধুলা জমলে নষ্ট হয়ে যাবে। ভেজা কাপড় দিয়ে মুছলে আসবাবের ওপর দাগ হয়ে যাবে।
"" আসবাবপত্র ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায় রাখা উচিত নয়, এতে কাঠ নষ্ট হয়ে যায়। লোহার আসবাবে মরিচা পড়ে।
"" যেকোনো আসবাবপত্রই সব সময় পানি থেকে দুরে রাখুন। তাই বর্ষার সময় আসবাবপত্র এমনভাবে রাখুন যাতে পানির সংস্পর্শে না আসে।
"" বছরে দুবার পলিশ করানো উচিত। শীতের সময় পলিশ করালে বেশি ভালো, এতে আসবাবপত্রের চকচকে ভাব বজায় থাকে।
"" কাঠের আসবাবপত্রে পোকামাকড়ের উপদ্রব প্রতিরোধ করতে কীটনাশক ব্যবহার করুন। সে ক্ষেত্রে ন্যাপথলিন, মোম, স্পিরিট ও নিম তেলের স্প্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
"" কখনোই কড়া রোদে আসবাবপত্র রাখবেন না। এতে রং হালকা হয়ে যায়, ফাটলও ধরে যাবে।
"" পর্যাপ্ত আলো-বাতাসপূর্ণ জায়গায় আসবাবপত্র রাখুন।
"" বৃষ্টির সময় জানালা ঠিকভাবে বন্ধ করুন, যাতে পানি ছিটকে আসবাবপত্রে না পড়ে।
"" আর কিছুদিন পর আসবাবপত্র পলিশ করিয়ে রোদে শুকিয়ে রাখুন।
"" বেশি তাপ ও আর্দ্রতা থেকে আসবাবপত্র দুরে রাখুন।
বইয়ের যত্ন
‘এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে। এ সময় সঠিকভাবে যত্ন না নিলে দেখা যায়, বই নষ্ট হয়ে গেছে, আর পুরোনো বই হলে তো কথাই নেই।’ কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা পাবলিক লাইব্রেরির জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান হারুনুর রশীদ। বর্ষায় বইয়ের যত্ন সম্পর্কে তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন:
"" বই সব সময় পানি থেকে দুরে রাখুন। শুষ্কক স্থানে বই ভালো থাকে।
"" বইয়ের ওপর ধুলা জমতে দেবেন না। শুকনো ও নরম কাপড় দিয়ে বই নিয়মিত মুছুন।
"" খাড়াভাবে বই রাখুন। চাপাচাপি করে রাখলে বই নষ্ট হয়ে যায়।
"" পোকামাকড়ের উপদ্রব যাতে না হয় সে জন্য বইয়ের ভেতর ন্যাপথলিন রাখুন। তাতেও কাজ না হলে রোদে শুকিয়ে বইয়ের ভেতর ঝিলিক পাউডার রেখে দিতে পারেন। তবে কড়া রোদে বই রাখা উচিত নয়।
"" স্যাঁতসেঁতে ও ভেজা জায়গায় বই রাখবেন না। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস রয়েছে, এমন স্থানে বই রাখুন।
"" ১৫ দিন অন্তর বইয়ের সেলফ পরিষ্ককার করুন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে করলে ভালো হয়।
"" দুর্লভ বইগুলো লেমিনেট বা বাঁধাই করে রাখতে পারেন।
"" নিউজপ্রিন্ট কাগজ পানি বেশি শোষণ করে। তাই এ কাগজের বইগুলোর দিকে আলাদা যত্ন নিন।
পরিষ্ককার-পরিচ্ছন্নতা কোনো কিছু ভালো রাখার মূলতন্ত্র। তাই বই বা আসবাবপত্র যা-ই হোক না কেন তা সঠিকভাবে যত্ন করুন, যেন তা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

সেহ্রিতে কী খাবেন

রমজান মাসে জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে আসে বেশ পরিবর্তন। এ সময় দরকার বাড়তি পুষ্টি। সেহ্রিতে কী খাবেন সে নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন রান্না বিশেষজ্ঞ সিদ্দিকা কবীর। সঙ্গে থাকল তাঁর দেওয়া সেহ্রিতে খাওয়ার উপযোগী দুটি খাবারের রন্ধনপ্রণালী

পাটের তৈরি গয়না

যুগ যুগ ধরে পাট দিয়ে তৈরি হয়ে আসছে নানা পণ্য। ঘর সাজানোর নানা জিনিস তো আছেই। পাট দিয়ে ব্যাগ, স্যান্ডেল এমনকি গয়নাও তৈরি করা যায়। পাটের তৈরি ভিন্নধর্মী গয়না তৈরি করতে পারেন নিজেই। এখানে দেখানো হলো সেই কৌশল।
উপকরণ: পাট, আঠা (গ্লু) বা আইকা, কানের দুলের আংটা ইত্যাদি।
কৌশল: বাজার থেকে পাটের পাকানো চিকন রশি কিনে তৈরি করা যায় বিভিন্ন ডিজাইনের গয়না। কানের দুল, গলার সেট, আংটি, ব্রেসলেট, নুপুর, ব্যান্ড ইত্যাদি তৈরি করা যায়। প্রথমে গলার মালা তৈরি করার জন্য লম্বা এক টুকরা রশি গলার মাপে কেটে নিন। রশিতে হালকা করে গ্লু লাগিয়ে রশিটাকে দুই ভাঁজ করে একটু মোটা করে নিন। রশি ভাঁজ করার মাঝখানটা অর্থাৎ লকেটের শেষ প্রান্তটা একটু ফাঁকা রেখে বোতাম লাগানোর ঘর তৈরি করুন। এরপর ছোট এক টুকরা রশি হাতে নিন। এবার রশিতে হালকা করে গ্লু লাগিয়ে গোল করে পেঁচাতে পেঁচাতে একটা বোতামের মতো রোল তৈরি করুন। গলার সেটের জন্য তৈরি রশিটার অন্য প্রান্তে গ্লু দিয়ে বোতামটা বসিয়ে দিন।
এবার লকেট তৈরি করার জন্য এক টুকরো রশি হাতে নিন। রশিটার এক প্রান্তে গ্লু লাগিয়ে অন্য প্রান্তটাকে ঘুরিয়ে এনে গোল করে লাগিয়ে দিন। এভাবে ছোট, বড়, মাঝারি তিনটা রিং তৈরি করুন। ছোট রিঙের ওপর গ্লু লাগিয়ে মাঝারি রিংটার মাঝখানে ঢুকিয়ে ওপরের দিকে লাগিয়ে দিন। এরপর বড় রিংটার মধ্যে ঢুকিয়ে গ্লু দিয়ে লাগিয়ে দিন। এবার লকেটের মধ্যে গ্লু লাগিয়ে গলার সেটের জন্য তৈরি রশিটার মাঝ বরাবর বসিয়ে দিন। লকেটের ডিজাইনে আপনার পছন্দমতো সাইজে কানের দুল, আংটি, ব্রেসলেট, ব্যান্ড, নুপুর তৈরি করুন। বাজার থেকে কানের দুলের আংটা কিনে গ্লু দিয়ে বসিয়ে দিন। হাতের আঙ্গুলের মাপে রিং তৈরি করে ওপরের দিকে ডিজাইনটা গ্লু দিয়ে বসিয়ে দিন। গলার সেটটি যেভাবে তৈরি করেছেন একইভাবে ব্রেসলেট, পায়ের নুপুর/পায়েল, ব্যান্ড তৈরি করুন। ব্যস, হয়ে গেল পাটের তৈরি এক সেট গয়না।
এটি ব্যবহার করে ফ্যাশনে নতুনত্ব আনতে পারবেন। আপনি চাইলে এর ওপর বিভিন্ন রঙের প্রলেপ দিয়ে আপনার পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে পরতে পারেন।

আদর্শ ডায়েট ইফতারি

একটি আদর্শ ডায়েট ইফতারির তালিকা
ফলের রস ১ গ্লাস
খেজুর ২টি
মৌসুমি ফল ১টি
দই ২০০-২৫০ গ্রাম
চিঁড়া মাঝারি মাপের ১ বাটি
ছোলা অল্প পরিমাণে

লক্ষ রাখুন
"" ভাজাভুজি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
"" মাসের বাজারটা রমজান মাস শুরুর আগেই সেরে ফেলুন।
"" বাজার তালিকায় প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো খুচরা করে না কিনে একবারে কিনে ফেলুন।
"" দীর্ঘদিন রাখতে হবে এ ধরনের পণ্য খুব ভালোভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন।

বর্ণিল দেয়াল

সারা দিন কাজের শেষে ঘরে ফিরে এলে আপনার ঘর সব সময়ই আপনাকে স্বাগত জানায়। আর সেই স্বাগত জানানোর পদ্ধতিটা যদি একটু বর্ণিল হয় তাহলে তো কথাই নেই।
মনের মতো ডিজাইনে ঘর সাজানোর এই বিশেষ সেবাটিই নিয়ে এসেছে রং প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড।

তারুণ্যের ফ্যাশন

কৈশোর আর তারুণ্যের সময়টা বাঁধ ভাঙার, সবকিছুতেই নিজের মত ও স্বকীয়তা তুলে ধরার। পোশাক, সাজ এমন হতে হবে যাতে অনেকের ভিড়েও নিজেকে আলাদা করে চেনানো যায়। নিজের স্টাইলের বেলায় অন্যের মতামতটা তাই এ সময় তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনেই হয় না। নিজের ভালো লাগাটাই এখানে শেষ কথা।
বিবিএ তৃতীয় সেমিস্টারে পড়ছেন সৌরভ। সব সময় কালো রঙের পোশাক পরেন তিনি, এটাই তাঁর স্টাইল। কালো টি-শার্ট ও ফতুয়া তো পরছেনই, ঈদের পাঞ্জাবিটাও হওয়া চাই কালো। এ পর্যন্ত মেনে নিয়েছিল বাসার সবাই। কিন্তু এখন নতুন শখ হয়েছে প্রতি মাসে একটি করে ব্রেসলেট যোগ হবে কবজিতে। সংখ্যাটা পাঁচ-ছয়ে এসেছে। তবে তাঁর মা ভয়ে আছেন এটা বেড়ে না জানি কতগুলো হয়। নিত্যকার চলাফেরা তো বটেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রেজেন্টেশন, জমকালো বিয়ের নিমন্ত্রণ−সবখানেই সৌরভকে দেখা যাচ্ছে কালো পোশাকে, আর একগাদা ব্রেসলেট হাতে।

Tuesday, August 11, 2009

চটপট চটি

পাদুকার মধ্যে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গাটা দখল করেছে আকর্ষণীয় সব ফ্ল্যাট বা চটি জুতা। ‘ফ্যাশন আর আরাম−এ দুইয়ের এক সুষম সমন্বয় ঘটেছে ফ্লাট স্যান্ডেলে। তাই তো সবার পায়ে বেশ চমৎকারভাবেই মানিয়ে গেছে এ চটিগুলো।’ জানালেন আড়ংয়ের বিপণন নির্বাহী সাদিয়া হক।

বর্ষাকালে গাড়ির যত্ন

সময়টা বর্ষাকাল। তাই এখন প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে নদীপ্রধান এলাকা তো বটেই, বড় বড় শহরেও সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। রাস্তাঘাটে পানি উঠছে, অনেক সময় কোমরপানিও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ জন্য ব্যস্ত শহরে দৈনন্দিন কাজ তো আর থেমে থাকে না। শত জলাবদ্ধতার পরও রাস্তায় বের হতে হয় গাড়ি নিয়ে। আর এ ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন গাড়িচালকেরা।

বর্ষায় ত্বকের যত্ন

বছরের ১২ মাসই ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে হয়। তবে বর্ষাকালে এটি বাধ্যতামূলক। কারণ এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে। এ কারণে জন্ন নেয় ছত্রাক। ফলাফল ত্বক ও চুলের নিষ্কপ্রাণ হয়ে যাওয়া। এ ঋতুতে ত্বক ও চুলের পরিচর্যার দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন হারমনি স্পার কর্ণধার রাহিমা সুলতানা।

Wednesday, August 5, 2009

নিটোল পায়ে রিনিক ঝিনিক

বসনের ঐশ্বর্য যেমনই হোক সাথে মানানসই অলংকার যেন নারীদের অহংকারের অংশ। রূপসজ্জ্বায় যুগে যুগে তাই গয়না ছিল নারীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। শরীরের নানা অংশে নানা আকৃতির গয়নার প্রচলন আছে আমাদের এই দেশে। এসব গয়না প্রতিটি নিজের জায়গা থেকে স্বকীয়। কিন্তু সারা গায়ে ভর্তি গয়নার মাঝে একজোড়া গয়না থাকে যা কিনা বেজে চলে রিনঝিন সুরে। সেটি নূপুর। নিটোল পায়ে একজোড়া নূপুর রমণীর পায়ে রিনঝিন সুরে মাতিয়ে তুলতে পারে জগৎ সংসার। রমণীর পায়ের নূপুর কখনো সুর তোলে তার মনের আনন্দ কথার। আবার বিষাদের সময়ও নূপুর বেজে চলে বেদনার সুরে। রবীন্দ্রনাথের গল্প-উপন্যাস থেকে শুরু করে এযুগের কপ্রি পড়া আধুনিক মেয়ে সবারই পদযুগল সাজায় নূপুর। পায়ের জন্য এই নিখুঁত অলংকার নিয়েই কড়চা’র এবারের মূল ফিচার লিখেছেন এমএইচ মিশু

তারুণ্য ধরে রাখুন

প্রাচীনকাল থেকে সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ চেয়েছে তার রূপ-লাবণ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি তারুণ্য ধরে রাখতে। বিজ্ঞানের এই অত্যাধুনিক যুগে এসেও এর বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম ঘটেনি। বরং রূপালী পর্দার তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই চায় বয়স যত বৃদ্ধি পাক না কেন তারুণ্যের ছোঁয়া থাকে সব সময়।

পেশোয়ারি হালুয়া

শবে-ই-বরাতের দিন শুধু খাওয়া দাওয়ার জন্যই হালুয়া তৈরি নয়, এ বাড়ি ও বাড়ি পাঠানো আর আতিথিয়তায়ও থাকা চাই বৈচিত্র্য। আর তাই রেসিপি মেকওভার বিভাগে থাকছে এমনই একটি ভিন্নধর্মী কিন্তু সহজ হালুয়া রেসিপি।
১. ছোলার ডাল, দুধ, চিনি, ঘি, এলাচ গুড়ো, দাঁরচিনি গুড়ো, গোলাপ পানি, মেওয়া কিসমিস আর পেস্তা কুঁচো সব একসাথে নিয়ে নিন।
২. গ্রেটারে মেওয়া ঘষে ঘষে ঝুড়া তৈরি করে নিন। ঢাকার অনেক জায়গাতেই মেওয়া কিনতে পাওয়া যায় প্রয়োজনে বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন।
৩. গার্নিশের জন্য কিসমিস আর পেস্তা কুঁচি বাদ রেখে সব উপকরণ একসাথে গোলাপ পানি দিয়ে গুলে নিন। তরলটি একটু পাতলা হবে।
৪. চুলায় প্যান দিয়ে তাতে ঘি গরম করে নিন। এবার তাতে একটু একটু করে আপনার মিশ্রণটি ছাড়তে থাকুন। কাঠি দিয়ে নাড়ুন যেন মিশ্রণটি ধীরে ধীরে ঘন হয়ে আসে।
৫. ঘন মিশ্রণটি পরিবেশনের বাটিতে ঢেলে উপরে কিসমিস, কাজু বাদাম আর চেরি কুঁচি ছড়িয়ে সাজিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল মজাদার পেশোয়ারি হালুয়া।