RSS

Thursday, July 29, 2010

শিশুকে ভয় দেখাতে মানা

মৃত্তিকা খেতে চায় না, চায় না পড়তে। মা সোনিয়া বিষয়টা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। সব সময়ই তিনি সমাধানের উপায় ভাবতে থাকেন। তবে এরই মধ্যে মা নতুন এক কৌশল আবিষ্কার করেছেন। মৃত্তিকা মায়ের কথা না শুনলেই মা ভয় দেখাচ্ছেন। পড়তে না বসলে ভূতে ধরবে, না খেলে সাপে কামড় দেবে। প্রথম প্রথম কাজ হয়েছিল ভালোই। কিন্তু এখন হিতে বিপরীত হওয়ার দশা। সব সময় মৃত্তিকা ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকে। মৃত্তিকার মধ্যে এসেছে জড়তা। সে আর ছোটাছুটি করে না। স্কুলে গিয়েও সে আগের মতো খেলে না। সার্বক্ষণিক যেন ভয় তাড়া করে তাকে। মা এখন পড়েছেন নতুন সমস্যায়।

Tuesday, July 13, 2010

ঘর হয়ে উঠুক প্রশান্তিময়

পরিবারের যে মানুষগুলো সারা জীবন আমাদের দিয়ে যান স্নেহ, মমতা আর ভালোবাসার ছায়া, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সেই মানুষগুলো শুধু চান একটু প্রশান্তিময় আশ্রয়। বৃদ্ধ বয়সে যখন কমে আসে মানসিক ও শারীরিক কর্মক্ষমতা, তখন নিজ ঘরটিই যেন হয়ে ওঠে একমাত্র শান্তির স্থান। সাধারণত পরিবারের বয়োবৃদ্ধ (৬০ বা তদূর্ধ্ব) মানুষগুলো ঘরেই দিনের অনেকটা সময় কাটান। তাই তাঁদের ঘরটি যাতে আরামদায়ক হয়, সেই বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে করতে হবে অন্দরসজ্জা; জানালেন ‘অন্দরসজ্জা’র ইন্টেরিয়র ডিজাইনার রুমানা আফজাল খান। তিনি বলেন, ‘পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের ঘরে বেশি আসবাব না রাখাই ভালো। এতে ঘরে তাঁদের চলাফেরার সুবিধা হয়। ঘরে আসবাব স্থাপনের সময় খেয়াল রাখতে হবে তা যেন আরামদায়ক এবং স্বচ্ছন্দে ব্যবহারের উপযোগী হয়।’ সে ক্ষেত্রে ঘরের এক দিকের দেয়ালজুড়ে বানাতে পারেন কেবিনেট আলমারি। ঘরে বড় কেবিনেট আলমারি থাকলে সেখানেই তাঁরা তাঁদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো সাজিয়ে রাখতে পারবেন। জিনিসপত্র রাখার জন্য আলাদা আসবাবের প্রয়োজন হবে না।

যোগব্যায়াম: শরীর ও মনের সৌন্দর্যে

সুন্দর মনের বসবাস সুস্থ দেহের মধ্যেই। মন বা শরীর যেটির সৌন্দর্যের কথাই বলি না কেন, দুটোই নির্ভর করে ব্যায়ামের ওপর। বিশেষ করে যোগব্যায়ামের মাধ্যমে দেহ ও মনের স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্য সহজেই ধরে রাখা যায়। বারডেম হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের ল্যাবরেটরি সার্ভিসেসের পরিচালক অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী বলেন, ব্যায়ামের মাধ্যমে আমাদের মন সজীব হয়। যখন আমাদের মন সতেজ থাকে, তখন এমনি এমনিই আমাদের শরীরও ভালো হয়ে যায়। তাই নিরোগ দেহের জন্য সব বয়সী মানুষই যোগব্যায়াম করতে পারে। তা ছাড়া ওষুধের পাশাপাশি যোগব্যায়াম অনুষঙ্গ হিসেবে ভালো কাজে দেয়।

Thursday, July 1, 2010

কাপড়ের দাগ তুলতে

সাবধানেই তো চলাফেরা করা হয়। তবু কোন ফাঁকে যে কাপড়ে দাগ লেগে গেল বুঝতেই পারলেন না। কীভাবে তুলবেন এ দাগ জানেন না। তবে আগে দেখেন, কোন উৎস থেকে দাগ লেগেছে। পরনের পোশাকটি কোন তন্তুর কোন রঙের, সেটাও দেখতে হবে। এরপর বেছে নেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়নশিল্প বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সানজিদা হকের দেওয়া টিপস।

ছোটবেলার আচরণ

দেড় বছরের দুরন্ত আইমান। হাতের কাছে যা পায়, তা-ই গালে পুরে ফেলে। বাসায় অনেক মেহমান এসেছে তার জন্মদিনে। সবার আকর্ষণ যখন তাকে ঘিরে, ঠিক তখনই একটা তেলাপোকা ধরে এনে মুখে পুরে দিল। মা-বাবা ছেলের এমন কাণ্ড দেখে হতবাক। বাবা তো মেরেই বসল।

কচুর মজা

বর্ষার শুরু থেকেই বাজারে দেখা যাচ্ছে কচু। কচুর মুখি, শাক—কতভাবেই তো এর স্বাদ নিতে পারেন।
কল্পনা রহমান দিয়েছেন কচুর কয়েক পদ রান্না।

কচুর লতিতে ডালের মাখনি

উপকরণ: কচুর লতি ৫০০ গ্রাম, রসুনকুচি ৪ টেবিল-চামচ, পেঁয়াজকুচি ২ টেবিল-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, তেল আধাকাপের কম, লেবুর খোসাসহ কুচি ১ টেবিল-চামচ, ডাল খেসারি বা মুগ ১ কাপ, কাঁচা মরিচ ৫-৬ টুকরা, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, মরিচগুঁড়া ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল-চামচ, লবণ পরিমাণমতো।

সবুজের স্নিগ্ধতায়

‘বর্ষা ঋতু গাছ লাগানোর আদর্শ সময়। এ সময় বৃষ্টি হওয়ায় বাতাসে শুষ্কতার পরিমাণ কমে যায়। আর এতে গাছপালার শেকড় ও ডালপালা মেলতে পারে খুব সহজেই।’ বললেন প্রকৃতিবিদ মোকাররম হোসেন। কিন্তু ইটপাথরের এই শহরে সবুজের দেখা প্রায় মেলে না বললেই চলে। আর চারদিকে আকাশছোঁয়া ঘরবাড়ির ভিড়ে একটু খোলা জায়গাও খুঁজে পাওয়া যেন দুষ্কর। যদি সবুজের স্পর্শ পেতে চায় আপনার মন, তাহলে একমুঠো সবুজের ছোঁয়ায় রাঙিয়ে নিতে পারেন আপনার অন্দর।