
একইভাবে খাটটি জানালার সামনে রাখতে পারেন। কারণ বৃদ্ধ বয়সে মানুষ বেশির ভাগ সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই বিছানার কাছে খোলা জানালা থাকলে তা কিছুটা হলেও শান্তি দেবে তাঁদের।
এ বয়সে অবসর কাটানোর জন্য অনেকেই প্রিয় সঙ্গী করে নেন বইকে। এ জন্য ঘরে রাখতে পারেন বইয়ের তাক-কাম টেবিল। এ ধরনের অন্দরসজ্জায় আসবাবের নকশাটা হয় সাদামাটা এবং দেয়ালের রং, সিলিং, পর্দা, বিছানার চাদরে তাঁদের বয়স ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করা হয় সাদা বা চাপা-সাদা রঙের ব্যবহার। এ দুটি রং শুধু চোখের নয়, মনেরও প্রশান্তি আনে। শুধু প্রয়োজনীয় আসবাবই নয়; শৌখিন কিছু জিনিসও রাখতে পারেন ঘরে। এ প্রসঙ্গে রুমানা আফজাল খান বলেন, ‘এ বয়সী মানুষেরা মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন। তাই তাঁদের মনকে প্রফুল্ল রাখতে উজ্জ্বল রঙের মাটির পটারি, কুশন, আয়না, গাছ ও বিভিন্ন ধরনের শোপিস সাজিয়ে রাখতে পারেন দেয়ালের সামনে। বিছানার কোনায় রাখতে পারেন স্ট্যান্ডিং ল্যাম্পশেড।’
আরাম কেদারা (রকিং চেয়ার) যেন হয়ে ওঠে এ বয়সী মানুষদের ঘরের শৌখিন এবং প্রয়োজনীয় আসবাব। রকিং চেয়ারে বসে বই পড়তে পড়তে বা চা খেতে খেতে কেটে যাবে তাঁদের অবসরের মুহূর্তগুলো। তা ছাড়া রকিং চেয়ারের পাশে রাখুন ছোট সাইড টেবিল বা টি-টেবিল। ঘরের দেয়ালজুড়ে ঝুলিয়ে দিন বিভিন্ন সময়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তোলা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি।
0 comments:
Post a Comment