RSS

Sunday, May 16, 2010

কখন, কী ও কতটা

প্রাপ্ত বয়স্ক যে কোন ব্যক্তির জন্যই রুটিন মেনে খাওয়াটা খুব জরুরী। সকাল, দুপুর, বিকেল ও সন্ধ্যা এ তিনবেলা কী খাবেন ও কী পরিমানে খাবেন তাই জানিয়ে দেয়া হল।
সকাল
সকাল ৭টা ৩০ চা এক কাপ (দুধ ও চিনিযুক্ত); বিস্কিট- ২টি (যে কোন ধরনের বিস্কিটই খাওয়া যাবে তবে ক্রিমযুক্ত বিস্কিট খাওয়া যাবে না)।

সকাল ৯টা ৩০
পাউরুটি ২-৩ পিস ( অল্প ১ চামচ মাখন দিয়ে); ফল ১টি (যে কোন মৌসুমী ফল); ডিম ১টি (৪৫ বছরের পর সপ্তাহে ২ টির বেশী নয়)।

সকাল ১০ টা ৩০
ডাবের পানি
নাস্তা খাবার ঘণ্টা তিনেক পর ক্ষুধা লাগতেই পারে। তাই বলে এখনই ভাত খাওয়া ঠিক হবে না। লাঞ্চের পূর্বের এ সময়টিতে লিকুইড ও তরল খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। ডাবের পানি, লেবুর শরবত, মৌসুমী ফল, শশা, পেপে, গাজর প্রভৃতি হতে পারে এসময়ের আদর্শ খাবার।

দুপুর

লাঞ্চ, ভাত ১০০ গ্রাম, ডাল (এক বাটি), তরকারী (১ বাটি), (মৌসুমী সবজী দিয়ে), সালাদ, মাছ-১ টুকরো, দই অথবা দুগ্ধ জাতীয় খাবার।
খাবারের পর ডেজার্ট খাওয়া জরুরি। ভরপেট খাবার পর এ ডেজার্ট হজমে সাহায্য করে। তাই চেষ্টা করুন মিষ্টি জাতীয় খাবার দুপুরের খাদ্যের তালিকায় সংযোজন করতে।

বিকাল

বিকেল ৫ টায় চা (১ কাপ), বিস্কিট (২টা তবে ক্রিম ছাড়া)।
অনেকে বিকেলের নাস্তায় জাঙ্ক ফুড বেছে নেন। এই জাঙ্ক ফুড মোটেও স্বাস্থের জন্য উপকারী নয়। হালকা স্ন্যাক্স এ সময় খাওয়া যেতে পারে।

সন্ধ্যা

সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিঃ মুড়ি বা চিড়ে ভাজা, ছোলা সিদ্ধ ও বাদাম (১ বাটি), ছানা ৪০ গ্রাম।
সন্ধ্যের এ সময়টিতে হালকা খাবার খাওয়াই বুদ্ধি মানের কাজ। কারণ ঘণ্টা দুয়েক পরেই রাতের খাবার খাওয়ার সময় হয়ে যাবে। তাই ক্ষুধা নিবৃত্ত করার জন্য মুড়ি, চিড়ে, ছোলা, বাদাম প্রভৃতি খাবার খেতে পারেন। ভুলেও ভাত জাতীয় খাবার এসময় খাবেন না।

রাত
রাতের খাবার ৯টা ৩০, ভাত ১ বাটি বা রুটি ২/৪ টি, ডাল-আধা বাটি, সালাদ, তরকারি- ১ বাটি, মুরগী/ মাছ- ১ টুকরো।

রাত ১০টা ৩০ মিঃ
দুধ ১ কাপ।

0 comments:

Post a Comment