RSS

Wednesday, September 29, 2010

ত্বকে থাকুক সচেতনতা

শরতের রৌদ্রদীপ্ত দিনগুলো তেমন অসহনীয় না হলেও মাঝে মাঝেই ভ্যাপসা গরম অনুভূত হয়। ঘাম, রোদেপোড়া কালচে দাগ, ব্রণ, অ্যালার্জি কোনোটাই পিছিয়ে থাকে না। একে তো বাইরে প্রখর রোদ আর ঘরেও অনেক সময় লোডশেডিং এর ঝামেলা তো আছেই। এই সময়ে ত্বকের সমস্যা নিয়ে যারা ভুগছেন তাদের জন্য রইল কিছু টিপস্।

ত্বকের অ্যালার্জি

গরমে ঘাম হলে এবং ধুলাবালির কারণে অনেকে ফাঙ্গাস আক্রান্ত হয়। এর ফলে চুলকানি, র‌্যাশ, অ্যালার্জির সমস্যা দেখা যায়। এ থেকে রক্ষা পেতে বাড়িতি সতর্কতা দরকার। জেনে নিন কিছু তথ্য-

০০ যারা অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগছেন, তারা কাঁচা হলুদ বাটা ও শসার রস লাগালে উপকার পাবেন।
০০ গাজরের রস বা দূর্বাঘাসের রস লাগালেও উপকার পাবেন।
০০ ধুলাবালি ও কোলাহলপূর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন।
০০ আরামদায়ক, নরম ও সূতি কাপড়ের পোশাক পরুন, যাতে পোশাকটি সহজেই ঘাম শুষে নেয়।
০০ সমস্যা বেশি হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো ছত্রাকনাশক ক্রিম, লোশন ও পাউডার ব্যবহার করুন।

ব্রণের সমস্যা দূর করতে

আমাদের ত্বকে রয়েছে তেলগ্রন্থি। যারমধ্যে অন্যতম হলো সেকেশাস। এটি থেকে নিঃসৃত হয় সেবাম। এই সেবাম ত্বকের ছোট ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে বাইরে আসতে না পারলে ত্বকে গোটার মতো দেখা যায়। এটিকেই ব্রণ বলা হয়। গরমে ধুলোবালি, ঘাম ময়লা জমলে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়।

০০ ব্রণ থেকে রক্ষা পেতে হলে সবচেয়ে বেশি জরুরি ত্বক পরিষ্কার রাখা। দিনে যতবার সম্ভব মুখে পানির ঝাপটা দিন। কোনো কৃত্রিম প্রসাধনী ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুণ।
০০ বেসন, শসার রস মিক্স করে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর তা ধুয়ে ফেলুন।
০০ ময়দা ও গোলাপজলের মিশ্রণ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে পারেন।
০০ লবঙ্গ ও মেথি পেস্ট করে ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণ কমে যাবে।

তেল ও ঘামমুক্ত ত্বক

০০ তেল মুক্ত ক্রিম, লোশন ও ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।
০০ বাইরে বের হওয়ার আগে ১০ মিনিট ত্বকে বরফ ঘষুন।
০০ সানক্রিন ক্রিমের উপর হালকা পাউডার লাগাতে পারেন।
০০ পাতিলেবুর রস তুলায় ভিজিয়ে ত্বকে দুবার লাগাতে পারেন।

অতিরিক্ত ঘাম ত্বকের আর্দ্রতা কমিয়ে ফেলে। ফলে লোমকূপের গোড়ায় বাসা বাঁধে রোগজীবাণু। এ থেকে হয় ঘামাচি যা খুবই বিরক্তির কারণ। অতিরিক্ত ঘামাচির কারণে ত্বক বাদামী বর্ণের হয়ে যায়। তাই ঘাম যাতে কম হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। নিয়মিত গোসল করুন। প্রচুর পানি পান করুন। এছাড়াÑ

০০ যাদের ত্বকে নিয়মিত ঘামাচি হয়, তারা নিমপাতার রস লাগালে উপকার পাবেন।
০০ তিতা জাতীয় খাবার খান।
০০ ঘাম বেশি হলে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে এক চিমটি খাওয়ার সোডা ব্যবহার করতে পারেন।
০০ নিয়মিত ডিওড্রন্ট ও বডি স্প্রে ব্যবহার করুন।
০০ রোদেপোড়া দূর করবেন যেভাবে
০০ পোড়া দাগ হয় যেভাবে

সবার ত্বকের রং এক নয়, মেলানিন কোষের তারতম্যের কাররণে এই বৈচিত্র ঘটে। রোদে এই মেলানিন বেশি তৈরি হয়। ত্বকে রোদেপোড়া এক ধরনের বাদামী ও কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে, এ দাগ দূর করা কঠিন নয়। ঘরে বসেই তা করতে পারেন, জেনে নিন কিছু টিপস্Ñ

০০ টক দুই, শসার রস, তিলের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
০০ দিনে একবার অর্থ্যাৎ রোদ থেকে ফিরে তরমুজের রস লাগাতে পারেন।
০০ এক টুকরো নিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন।
০০ যাদের ত্বকে রোদেপোড়া দাগ বেশি, তারা রাতে ক্যালামাইম্মিন লোশন ব্যবহার করুন।
০০ মধু ও দুই ফোঁটা লেবুর রস, মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ত্বক উজ্জ্বল লাগবে।
০০ পাকা কলা খুব ভালোভাবে পেস্ট করে ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
০০ আঙুর বা কমলার রস দিয়ে হালকাভাবে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
০০ তিলের তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে রাতে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলুন।

মনে রাখুন

ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। মৌসুমী ফল খান। দুশ্চিন্তা ভুলে গিয়ে শান্তিতে ঘুম দিন। বাইরে বের হওয়ার সময় রঙিন ছাতাটি মেলে ধরতে ভুলবেন না। দেখবেন কোনো সমস্যাই থাকছে না।

0 comments:

Post a Comment