RSS

Monday, June 29, 2009

বর্ষার সাজ

আষাঢ় মাসের বেশ কয়েক দিন কেটে গেল। ঝুম বৃষ্টি নামেনি এখনো। কিন্তু আকাশে মেঘের ঘনঘটা, মাঝে মধ্যে এক পশলা বর্ষণ, নতুন গজানো কচি লতাপাতা আর কদম ফুলের বাহারে বর্ষার আমেজ পাওয়া যাচ্ছে বেশ। আর ঋতুবদলটা প্রকৃতিতে ফুটে ওঠার পাশাপাশি সাজপোশাকে তো চোখে পড়বেই। যেমন মেয়েদের পরনে এখনই দেখা যাচ্ছে নীল-সবুজ পোশাক, চুলে কদম বা বেলি।

বানিয়ে নিন পছন্দের ব্লাউজ

একটি ব্লাউজ বানাতে নাকি ৫৫০ টাকা? অনেকে আবার ১৫০০-২০০০ টাকাও দেয়। বাচ্চার স্কুল ছুটির অপেক্ষায় পাশে দাঁড়ানো ভাবিদের গল্প শুনে তো থ আফরোজা রহিম। ভাবছিলেন, এ তো খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি। শাড়ি ঠিক থাকলেই তো হয়, ব্লাউজে এত মনোযোগ দেওয়ার কীই বা আছে? আছে বৈকি। ব্লাউজটি যদি সুন্দর এবং শাড়ির সঙ্গে মানানসই না হয়, তাহলে তো সবই মাটি। পরিধেয় শাড়িটিকে অপূর্ব করে তোলার জন্য ব্লাউজটিও হওয়া উচিত দারুণ।

চোখের ভাষা

চোখের নীরব ভাষা নাকি হাজারো শব্দের তুলনায় জোরালো। ওই চোখ নিয়ে কবির যত কাব্য...পাখির নীড়ের মতো চোখের বনলতা সেনকে নিয়ে আজও মানুষের কল্পনার অন্ত নেই। মনের কথা বলতে পারা সে চোখের ভাষা সহজ করে তুলতে পারাটাও কম কৃতিত্বের নয়। চোখের সৌন্দর্যের নানা দিক নিয়ে বলেছেন রূপ বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান।

উজ্জ্বল রঙে প্রাণবন্ত ঘর

একান্ত মুহুর্তের সঙ্গী মানুষের ঘর। আর ঘরটি যদি বসবাসরত ব্যক্তিটির রুচিবোধের সঙ্গে মিলিয়ে করা হয়, তবে সহজেই ঘরটি দেবে তাকে এক প্রাণবন্ত উচ্ছ্বাসের ছোঁয়া।

রান্না করুন পুষ্টিমান বজায় রেখে

খাদ্য তালিকায় শাকসবজি অনেকের পছন্দের শীর্ষে। স্বাস্থ্য নয়তো ত্বকসচেতনতায় সবজি সবারই প্রিয়। ভিটামিন ও খনিজ লবণের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট ও সহজলভ্য উৎস হচ্ছে শাকসবজি। কিন্তু খাবার টেবিলে আমরা বাটিভর্তি যে সবজি পাই তার সবটুকুতে কি পুষ্টিমান বজায় থাকে? রান্না করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়। তাহলে পুষ্টিমান বজায় রেখে সবজি খাওয়ার উপায়? খুব কঠিন কিছু নয়, আছে সে উপায়ও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক খুরশীদ জাহান বাতলে দিয়েছেন সে উপায়। খুরশীদ জাহান বললেন, ‘শাকসবজি ও ফলমূল থেকে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাওয়া যায়। কিছু কিছু শাকসবজি যেমন ধনেপাতা, পুদিনা পাতা, টমেটো, গাঁজর, মুলা, শসা ইত্যাদি কাঁচাই খাওয়া যায়। অন্যান্য শাকসবজি রান্না করে খেতে হয়। রান্না করতে গিয়ে আমরা পুষ্টি উপাদান নষ্ট করে ফেলি। এর ফলে গৃহীত খাদ্য থেকে যতটুকু পুষ্টি উপাদান পাওয়া উচিত তা আমরা পাই না। যদি একটু সচেতন হয়ে রান্না করি তবে পুষ্টির অনেকটাই আশানুরূপ আমরা পাব।’
শাকসবজি কাটা, ধোয়া ও রান্নার সময় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সংরক্ষণের জন্য সেসব ব্যাপারে মনোযোগী হতে হবে তা নিয়ে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন খুরশীদ জাহান।
0 রান্নার ঠিক আগে শাকসবজি ধুয়ে কাটতে হবে। অনেকক্ষণ ধরে কেটে না রাখাই ভালো।
0 সবজি কাটার সময় যতটা সম্ভব খোসাসহ কাটতে হবে। কারণ খোসার নিচেই বেশির ভাগ ভিটামিন থাকে। প্রয়োজনে খোসা পাতলা করে কাটতে হবে।
0 ধারালো এবং পরিষ্ককার বঁটি দিয়ে যতটা সম্ভব বড় বড় টুকরা একই সাইজ করে কাটতে হবে। টুকরা ছোট-বড় হলে পুষ্টি উপাদান বেশি নষ্ট হয়।
0 সবজি বেশি তাপে অল্প সময়ে রান্না করা উচিত। বেশি সেদ্ধ হলে পুষ্টি উপাদান বেশি নষ্ট হয়।
0 অল্প পানি দিয়ে রান্না করলে ভিটামিন ‘সি’ অনেকটা রক্ষা করা যায়।
রান্নার সময় পাত্রের মুখ ভালো করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে, যাতে বাইরের বাতাস পাত্রের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে।
0 ছড়ানো পাত্রে শাকসবজি রান্না করা উচিত নয়। এতে বাতাসের অক্সিজেন সবজির সংস্পর্শে বেশি আসার ফলে ভিটামিন বেশি নষ্ট হয়।
0 শাকসবজি সেদ্ধ করা পানি না ফেলে এ পানি ডাল বা অন্য তরকারির সঙ্গে ব্যবহার করে অথবা শাকের সঙ্গে শুকিয়ে নেওয়া যায়।

মশার উৎপাত আর নয়

‘সাধারণত শীতকালের চেয়ে গরমকালে মশার প্রকোপটা অনেকটাই বেড়ে যায়। কেননা শীতের চেয়ে গরমের সময়ে মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায়। মশার মাধ্যমে ছড়াতে পারে নানা ব্যাধি। তাই এ থেকে সব সময় সতর্কতা প্রয়োজন। মশার মাধ্যমে সাধারণত দুটি রোগ বেশি ছড়ায়−ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া।’ বলেছিলেন বারডেম হাসপাতালের শিশুবিভাগের বিভাগীয় প্রধান তাহমিনা। তিনি আরও বলেন, সব সময়ই মশা থেকে সুরক্ষিত থাকলে এসব রোগ এড়ানো সম্ভব।
মশা সাধারণত জমানো পানিতে অর্থাৎ খাবার বা গোসলের জন্য সংরক্ষিত পানি, বৃষ্টির পানি যেখানে জমে থাকে, যেমন টায়ার, নারকেলের ভাঙা অংশ, পড়ে থাকা হাঁড়ি-পাতিল, ফুলের টব, ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনারে জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে এবং ছয়-সাত দিনের মধ্যে বংশবিস্তার করে।

চোখ ঢাকুন রোদচশমায়

গরমটা ভালোই পড়েছে। সেই সঙ্গে সুর্যের তাপ, ধুলোবালি কিছুই আপনাকে ছেড়ে দিচ্ছে না। এই গরমে যতই এগুলো থেকে দুরে থাকতে চান না কেন, ঘুরে-ফিরে তা আপনার কাছে আসবেই। ত্বকে না হয় সানস্ক্রিন বা লোশনে কাজ চালিয়ে নিতে পারেন, কিন্তু চোখ দুটো? চোখ দুটোকে বাঁচাবে কে? ঠিক ধরেছেন−রোদচশমা। এই গরমে রোদচশমা যে কতটা দরকারি তা জেনে নিন চিকিৎসকের কাছ থেকে। ‘গরমেই মূলত চোখের নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।’ বলছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ শফিকুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, ‘গরমে চোখের ভেতরটা শুকিয়ে যায়। আবার পরিবেশগত কারণে বারবার ঘেমে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যায়। এই ঘাম যদি চোখের ভেতর চলে আসে, চোখে নানা ধরনের রোগ দেখা দেয়। আবার রোদে বের হওয়ার ফলে চোখ জ্বলে এবং লাল হয়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের ফলেও চোখ লাল হয়। কড়া আলোর উপস্িথতি চোখের জন্য ক্ষতিকর। আবার প্রচন্ড রোদের মধ্যে সুর্যের দিকে তাকানো হলে চোখের জন্য নানা ধরনের অসুখের সৃষ্টি করে। এসব সমস্যা থেকে খুব সহজে রেহাই পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো রোদচশমা ব্যবহার করা।’