শরীরকে সুস্থ, সুন্দর ও সতেজ রাখতে বেশি বেশি করে পানি খান। শুধু তেষ্টা পেলেই পানি খাওয়া নয়, ঠিকমতো পানি খেতে হবে। গরমকালে নিয়ম মেনে পানি খাওয়া হলেও শীতকালে অধিকাংশ সময়ই আমরা পানি খাওয়ার কথা ভুলে যাই। এটা একেবারেই ঠিক না। এর ফলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদেরকে। নিয়মিত পানি খেয়ে সুস্থ থাকার কিছু পরামর্শ।
শীতকাল এলেই আমাদের আর পানি খেতে ভালো লাগে না। তেষ্টা না পেলে আমাদের মনেই থাকে না পানি খাওয়ার কথা। এটা করা একেবারেই ঠিক না। কম পানি খাওয়ার জন্য আমাদের দেহে তৈরি হতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। যেমন_হাতে-পায়ে ব্যথা, বদহজম, মাথাব্যথাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। তাই, গরম কালের মতো শীতকালেও নিয়ম মেনে পানি খান। সুস্থ, সুন্দর ও সতেজ থাকতে পানির কোনো বিকল্প নেই।
কেন পানি খাবেন
০০ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে
০০ কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে
০০ হাই বস্নাড প্রেসার থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে
০০ মাথা ব্যথা সারাতে
০০ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে
০০ ত্বক ভালো রাখতে।
পানি কম খেলে কী হতে পারে?
০০ পানির অভাবে ডিপ্রেশন দেখা যেতে পারে।
০০ শরীরে পানির অভাবে মাইগ্রেনের সমস্যা একটা বড় কারণ।
০০ কোনো শক্ত খাবারের সঙ্গে বেশ খানিকটা পানি খাওয়া উচিত। পানি হজমের জন্য খুবই দরকারি।
০০ আমাদের মস্তিষ্কে তৈরি হওয়া অ্যানার্জির মাত্রা বেশকিছুটা হ্রাস পায়, শরীরের পানিশূন্যতা দেখা দিলে।
০০ কোষ্ঠকাঠিন্যের এক বড় কারণ কম পানি খাওয়া।
০০ পানি আমাদের ফুসফুসকে আর্দ্র করে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের আনাগোনা সহজ করে তোলে।
০০ পানির অভাবে বর্জ্য পদার্থ জমে জমে কিডনি দুটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
০০ বুকজ্বালা থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়, পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে।
০০ পরিমাণমতো পানি খেলে ও এক্সারসাইজ করলে রিউমাটয়েড আথর্্রাইটিসের ব্যথাও কমে যায়।
ডিহাইড্রেশন
০০ ডিহাইড্রেশনের প্রথম ও প্রধান কারণ হচ্ছে, কম পানি খাওয়া।
০০ তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া মাইল্ড ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ।
০০ অত্যধিক পানির তেষ্টা পাওয়াও ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ।
০০ ডিহাইড্রেশনের আরো একটি লক্ষণ হচ্ছে, এটি শরীরকে দুর্বল করে ফেলে।
গর্ভাবস্থায় বেশি পানি খান
গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাস যে বমি বমি ভাব দেখা যায়, তা আসলে মা ও ভ্রুণের পানি খাওয়ার প্রয়োজনীয়তার সংকেত। গর্ভের শিশুর যে পানির দরকার তার কোষবৃদ্ধির জন্য তা মায়ের শরীর থেকেই আসে। গর্ভাবস্থায় পানির আরো অনেক উপকারিতা আছে। গর্ভাবস্থায় পানির সাহায্য নিয়েই খাদ্য এবং পুষ্টি রক্তের মধ্য দিয়ে ভ্রুণের শরীরে পেঁৗছায়।
০০ পানি বেশি করে খেয়ে গর্ভাবস্থায় যেসব সাধারণ অসুখ যেমন_বস্নাডার ইনফেকশন, কনস্টিপেশন খুব সহজেই প্রতিরোধ করা যায়।
০০ পানিশূন্যতার জন্য ডেলিভারির সময় কন্ট্র্যাকশন বেশি হতে পারে এবং লেবার পেইনও তাড়াতাড়ি শুরু হয়ে যেতে পারে।
০০ সারা দিন ধরেই ইউটেরাসে অ্যামনিয়টিক ফ্লুইড বদল হয়। সেজন্য গর্ভাবস্থায় বেশি পানি খাওয়া জরুরি।
০০ শরীরে যথেষ্ট পরিমাণের পানি থাকা প্রয়োজন বুকের দুধ তৈরি হওয়ার জন্য।
কতটা পানি খাবেন
কতটা পানি খাবেন তার কোনো নির্দিষ্ট মাপ নেই। দৈনিক কার্যাবলির উপর নির্ভর করে কতটা পানি আপনার জন্য দরকার। সাধারণ অবস্থায় পুরুষদের জন্য প্রতিদিন ৩ লিটার বা ১২ গস্নাস পানি খাওয়া দরকার। আর মেয়েদের জন্য প্রতিদিন ২ লিটার বা ৮ গস্নাস পানি খাওয়া দরকার। প্রতি ১৫ থেকে ২০ মিনিট এক্সারসাইজের পর ১ গস্নাস পানি খাওয়া উচিত। ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা বেশি থাকে প্রেগনেন্সির সময়। তাই, দিনে অন্তত ১০ গস্নাস পানি খাওয়া উচিত। যেসব মায়েরা বাচ্চাদের ব্রেস্টফিড করাচ্ছেন তারা দিনে ১৩ গস্নাসের মতো পানি খাবেন। পরিষ্কার পানিই সবচেয়ে সুরক্ষিত পানীয়।
0 comments:
Post a Comment