RSS

Tuesday, July 26, 2011

ঘরেআনুন পরিবর্তনের ছোঁয়া

নিজের ঘরকে মনের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার প্রবণতা অতি আদিম এবং অকৃত্রিম মানুষ যখন গুহায় বাস করত তখনো গুহাটাকে ঝাট্ দিয়ে পরিষ্কার রাখত গুহার দেয়ালে নকশা কেটে গুহাকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলত গুহা থেকে আমরা উঠে এসেছি ঘরে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পরিমাণ, সেইসাথে বেড়েছে ঘর-সাজসজ্জার ঝক্কি-ঝামেলা তাই যে যার মতো করে সাজিয়ে তোলে আপন ঘর প্রতিদিনই একই আসবাব দেখতে দেখতে অনেকেই আবার হয়ে পড়ে ক্লান্ত সিজন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ঘরের ডেকোরেশনে সামান্য অদলবদল করে দেখুন, পুরো লুকটাই পালটে যাবে তাই এই গরমেও আপনার ঘর ফ্রেশ এবং কুল রাখতে দেওয়া হলো কিছু বিশেষ পরামর্শ

ঘর সাজানোর সবচেয়ে সহজ এবং সুন্দর উপকরণ বই আলতু-ফালতু ডেকোরেশন পিস না কিনে বই কিনুন ড্রইংরুমের একপাশে বেতের বা কাঠের র্যাকে বই সাজিয়ে রাখুন র্যাক যত বড় হবে এবং বইয়ের পরিমাণ যত বেশি হবে, রুমটাকে তত বেশি রুচিশীল এবং দৃষ্টিনন্দন মনে হবে

ছোট ছোট ইন্ডোর গাছ কিনুন, যেসব গাছে রোদের তেমন প্রয়োজন পড়ে না (যেমন—মানিপ্ল্যান্ট, পাতাবাহার ইত্যাদি)। মাটির বা কাচের ছোট ছোট টব বা ফ্লাওয়ার ভাসে করে পড়ার বা খাবার টেবিলের এক কোনায়, ঘরের এক কোনায়, টিভির স্ট্যান্ডের পাশে, সেন্টার টেবিলে, ওয়াড্রবের উপরে, দেয়ালে স্টিকি হুকের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে ছোট ছোট গাছ লাগান। ঘরে ঢুকতেই অন্যরকম সতেজ লাগবে।

নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাধ্য না হলে কোনো বাড়তি জিনিস কিনবেন না। প্রচণ্ড লোভ হলেও ‘না’। ঘরে বা রুমে জিনিষের পরিমাণ যত কম হবে তত বেশি দেখতে স্পেশাস এবং আরামদায়ক মনে হবে।

রুমের দেয়ালে বাংলাদেশের গ্রামবাংলার শোভনীয় প্রাকৃতিক দৃশ্য সম্বলিত বা ক্যালিওগ্রাফির একটা বড় (রুমের সাইজের সাথে যেন খাপ খায়) পেইন্টিং রাখতে পারেন, যা রুমকে আরও বেশি দৃষ্টিনন্দন করে তুলবে।

ঘরের প্রতিটা জিনিসের কালার—বিশেষ করে পর্দা, সোফা, কার্পেট, বিছানার চাদর ইত্যাদি যতটা পারুন হালকা রঙের কিনুন। গাঢ় রং চোখে খুব সহজেই লাগে এবং রুমকে ছোট করে ফেলে।

গোছানোর ক্ষেত্রে কিছু পরামর্শ

++ পরিষ্কার ক্ষেত্রে একেকদিন ঘরের একেক জায়গা বেছে নিন। সব একদিনে করতে যাবেন না।

++ ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো হাতের কাছে গুছিয়ে রাখুন, যাতে বেশি খুঁজতে না হয়।

++ আপনার সন্তানের আলমারি নিজে না গুছিয়ে ছুটির দিনে ওদের দিয়েই গোছান। এতে গোছানোর অভ্যাস হবে। প্রয়োজনে আপনি সাহায্য করুন।

++ আপনি যদি ওয়ার্কিং ওম্যান হন, তা হলে কাজের গুরুত্ব সেট করুন। সে অনুযায়ী পরপর গোছান।

++ যার রুম গোছাচ্ছেন তার রুচিকে প্রাধান্য দিন।

++ আপনি ঘরে থাকছেন বলে সব আপনার একার সামলাতে হবে—এমন নয়, বাড়ির অন্য সদস্যদের উপরও দায়িত্ব দিন। চাপ বেশি হলে তাদের সাথে প্রয়োজনে খোলামেলা কথা বলে নিতে পারেন।

++ প্রতিদিন ঘর গোছানো সম্ভব না হলে যেকোনো ২-৩টি ছুটির দিন বেছে নিন।

++ কাজ ভাগ করে নিতে পারেন, একেকজন একেক রুম গোছাতে পারেন।

++ অফিসের কাজের মতো ঘর গুছিয়ে রাখা নিয়ে টেনশন করবেন না। ব্যাপারটা এনজয় করুন।

++ অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আলমারির একেবারে পেছনে রাখুন। যাতে সহজে এগুলো নাড়াচাড়া করতে না হয়।

++ ঘর গোছানোর ব্যাপারে বাড়ির সবার মতামত চান, তা হলে ওরা ব্যাপারটা এনজয় করবে এবং নিজেদের ইনভলভ করতে পারবে।

++ মনে রাখবেন, কখনোই নিজের রুচি অন্যের উপর চাপিয়ে দেবেন না। তাদের রুচির প্রাধান্য দিন। বাইরে যান বলে ঘর গোছানোর সময় পান না—এই অজুহাতটা কিন্তু ঠিক নয়।

0 comments:

Post a Comment